অদ্ভুত ভালোবাসা
নীরা আর তার বান্ধবীরা কলেজ থেকে বের হচ্ছে এর মধ্যে নিলয় সিগারেটের ধোয়া উড়াতে উরাতে নীহার সামনে এসে প

নিলয়: নীরা তোমার সাথে আমার একটু কথা আছে বাকিরা যেতে পারো

নীরা: আপনার মতো ফালতু লোকের সাথে আমার কেনো কথা বলার

parsonality সারাদিন বাইকে ঘোরা আর মেয়েদের টিজ করা ছাড়্ আপনার কেনো কাজ আছে কে আপনি হ্যা আমার ভাই বন্ধু বি এফ??? কেনো কথা বলবো আপনার সাথে??? আমার লাইফ টা মজা বানিয়ে দিছেন আপনি

 

নিলয়: আমি তোমার কাছে আমার carecter certificate নিতে আসিনি বুঝলা ওই ছেলের সাথে যেনো আর কথা বলা না দেখি বলে দিলাম। তা না হলে তোমার কপালে দুঃখ আছে বলে দিলাম

 

নীরা আমি আপনার ঘরের বউ না যে আপনি যা বলবেন আমার শুনতে হবে আর না আমার ওপর আপনার কোনো অধিকার আছে ওকে???? সরেন আমার সামনে থেকে

 

নিলয়:: কাজটা তুমি মোটেই ভালো করলেনা নীর তোমার ওপর যে আমার অধিকার কি সেটা আজ বুঝবে

 

এবার আসিন জেনে নেই এই অদ্ভুত ভালোবাসার হিরো হিরোইনদের পরিচয় এতক্ষন যে মেয়েটি না ছেলেটিকে ঝাড়ি দিলো সে আমাদের নায়িকা নীরা নীহারিকা নীরা কলেজে অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্রী বাবা মা এর একমাত্র আদুরে মেয়ে ওর বাবা ব্যাংকের ম্যানেজার আর মা সংসার সামলান সংসার সামলানো কিন্তু চাট্টিখানি কাজ না যে করে সে যানে ?

 

আর যে ছেলেটি মানে আমাদের হিরো সব ঝাড়ি সহ্য করলো হয়তো ক্ষনিকের জন্য তার নাম নিলয় মাহমুদ পড়াশোনা কমপ্লিট তাও কলেজে পরে থাকে বাবার একমাত্র সন্তান মা মারা যাবার পর তার বাবা আরেকটা বিয়ে করে নিলয় এর দেখাশোনার জন্য কিন্তুু অসুভাকাঙ্খীদের কান ভাঙানিতে নিলয় কখনও তাকে মা বলে ডাকে নি কিন্তুু উনার মেয়ে নিলয় এর জান ওরে বলতে নিলয় পাগল মা মরা ছেলের প্রতি কেনো শাসন করতে পারে নি নিলয় এর বাবা যার ফলে নিলয় এখন পুরাপুরি বখে গেছে

 

কলেজ এ নীরা কে প্রথম দেখায় নিলয় এর খুব ভালোলাগে অনেকবার প্রপোজ করে কিন্তুু নীরা ও না বলে দেয় কারন নিলয়কে নীরার কোনোদিক থেকেই ভালো লাগে না আর ভালোবাসা তো দুরে থাক নিলয় নীরাকে তার ক্লোজ বন্ধু আশিক এর সাথে কথা বলতে বারন করে কিন্তুু নীরা নিলয় এক কেনো কথার পাত্তা না নিয়ে ওর সামনেই আশিকের হাত ধরে গল্প করে নিলয় লাস্টবার বারণ করতে আসে কিন্তু নীরা নিলয়কে ওই কথাগুলা শোনায় দেয় পরে আশিকের সাথে বাসায় যাবার জন্য বেরিয়ে যায় রাস্তায় নিলয় গাড়ি নিয়ে আশিকের বাইক এর সামনে দাড়ায় তারপর দুজনকেই জোর করে গারিতে তুলে নেয়

 

নীরার যখন সেন্স ফিরলো তখন নিজেকে সুন্দর একটা ফুল এ ভরা বিছানায় আবিস্কার করে নীরার রুম টা খুব ভালো লাগে ধুরে ঘুরে দেখতে থাকে তখন ওর আশিক এর কথা মনে পরে

 

নিলয় :আমার নীর পাখিটা কি করছে????

 

নীরা : মানে কি এসবের??? আশিক কই???

 

নিলয় : মরে নি এখনও কিন্তুু আমার কথা না শুনলে যে ওর কি হবে তা আমি নিজেও বলতে পারছিনা

 

নীরা :আপনি কিন্তুু মোটেই ভালো করছেন না আমি কিন্তু পুলিশ এর কাছে যাবে

 

নিলয় :;:: আমার নীর পাখিটার এত্ত কষ্ট করতে হবে না উনি আমার এখানেই আছে আশিক কে মারার পর উনি এক্সিডেন্ট কেস বানিয়ে চ্যাপ্টার ক্লোজ করে দিবে

 

নীরা :আপনি কেনো করছেন এটা???? প্লিজ আমায় ছেড়ে দিন আমায় আমার মতো বাচতে দিন

 

নিলয় :: নীর পাখি আমি তোমায় শুধু এখন পেপার ফরমালিটি তে বিয়ে করবো যাতো তোমার ওপর আমার অধিকার থাকে ছোট্ট একটা সই দিয়ে তুমি বাসায় চলে যাবে

 

নীরা:: : আমি আপনার সব কথা শুনবে প্লিজ এ কাজ টা আমি করতে পারবো না

 

নিলয় ঠিক আছে নীর তুমি বারি যাও

 

নীরা: আশিক???

 

নিলয়:: : ওরে তো আর আমি ছাড়ছি নামরতে হবে ওরেওরে বারন করছিলাম তোমার সাথে কথা বলতে কিন্তুু ও আমার কথা শোনে নাই

 

নীরা :; কি চান আপনি???

 

নিলয় :এই পেপার টাতে জাস্ট একটা সই

 

নীরা: কোথায় সই করতে হবে

 

পর্ব ---২

 

নীরা : কোথায় সই করতে হবে????

 

নিলয়: এইতো আমার নীর পাখি এখানটায়

 

নীরা : আগে আমি আশিককে আমার সামনে চাই

 

নিলয়: তুমি সই টা করে দাও আমি ওকে সশরীরে বাসায় পৌছে দিবো বিশ্বাস রাখো আমার ওপর

 

নীরা : হা হা হা হা ( তাচ্ছিল্লের হাসি দিয়ে) বিশ্বাস আর আপনাকে আজ যে কাজ টা আপনি করলেন তারপর আপনার মুখটা দেখতেও আমি রাজি না i just hate you just hate you

 

নিলয় : এমন টা বলোনা নীর এই নিলয় তার নীর টিকে পাওয়ার জন্য যে কোনো কাজ করতে পারে তার জন্য আমার কাউকে খুন কেনো না করতে হয় তুমি শুধু আমার নীরা তুমি শুধু আমার তুমি শুধু আমায় ভালোবাসবে just me আর আমার কথা না শুনলে যে কি করতে পারি তা তুমি ভালোভাবেই জানো

 

নীরা :কি চাইছেন টা কি আপনি বলেন তো??? কিসের জন্য আমার পিছে পড়ে আছেন সত্যিই আমায় ভালোবেসে নাকি আমার এই শরীর টার জন্য???

 

নিলয়: জান কি বলছো তুমি এইসব

 

নীরা :আমি ঠিক বুঝতে পারছি আপনাদের মতো ছেলেদের দেরি করছেন কেনো নিন আপনার ভালোবাসার পূর্নতা করে নিন মিটিয়ে নিন আপনের মনের ইচ্ছা

 

নিলয় নীরার হাত টা পিছে দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ালের সাথে চেপে ধরে এক হাত দিয়ে মুখটা হাত দিয়ে শক্ত করে চেপে ধরে

 

নিলয় :: আর একটা কথা বললে এখানেই মেরে পুতে ফেলবে তোমায়

 

নীরা নিলয় এর চোখ এর দিকে দিকে তাকিয়ে রীতিমতো ভয় পেয়ে যায় নিলয় এর মধ্যে মনে হচ্ছে কোনে হিংস্র দানব ঢুকে গেছে ও নীরার গালটা এমন করে ধরছে যে নীরার ঠোট কেটে গাল বেয়ে রক্ত বেয়ে পরছে

 

নিলয় তারাতারি করে নীরাকে ছেরে দিয়ে ওকে নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পরলো নীরা ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাদতে থাকে

 

নিলয়: মাইনক্যা মাইনক্যা কই গেলি জলদি আয়

 

মানিক :জি স্যার

 

নিলয় : তারাতারি ওষুধের বাক্স টা নিয়ে আয়

 

নিলয় ওষুধের বক্স টা নিয়ে নীরার কাছে দিয়ে ফ্লোরে বসে পরলো নিলয়ের হাতটা কাপছিলো নীরার ঠোটে ওষুধ লাগাতে লেগেনীরা নিলয়ের কাজ কর্ম দেখে অবাক হয়ে যায় মাত্রই যে ব্যবহার করলো আর এখন কি করছে

 

নিলয়:: জান তুমি এখন এখানে বিশ্রাম করো

 

নীরা: আমি বাসায় যাবো

 

নিলয় : ঠিক আছে এখানে একটা সই দাও তোমায় বাসায় রেখে আসি নাও তারাতারা

 

নীরা : আমি একাই যেতে পারবো আপনার যেতে হবে না

 

নিলয়:তোমার কাছ আমি শুনতে চাইছি আমায় কি করতে হবে???? কর্কশ কন্ঠে

 

নীরা নিলয়ের চিল্লানি শুনে তারাতারি সই করে দেয় আজ নিলয়কে নীরা খুব ভয় পাচ্ছে কারন এতদিন নিলয়ের এই রুপ নীরার কাছে অচেনা ছিলো

 

নিলয় : চলো আর হ্যা কাল থেকে আমার কথা মতো চলবা কিছু করার চেষ্টা করলে আমার থেকে কেউ খারাপ হবে না আর এই সব টাইট ফিটিং জামাকাপড় একদম পড়বা না আর হ্যা ঠিক মতো খাবে বাসা থেকে কোনে কাজ ছাড়া বের হবা না কোনো ছেলের সাথে কথা বলবা না আমার রাগ উঠবে এমন কেনো কাজ করবা না আমার রাগের সামনে যে আসবে সে কিন্তুু শেষ হয়ে যাবে কি মনে থাকবে???

 

নীরা মাথা নারিয়ে হ্যা বললো মেয়েটা অনেক ভয় পেয়েছে আজ নিলয় বুঝতে পারলো যে নীরা ভয় পেয়েছে

 

নিলয়: নীর পাখি একদম ভয় পেয়ো না আমি তো তোমার জন্যই এইসব করছি তুমি যদি সকালে আমায় অধিকারের কথা না বলতে তো আজ এতকিছু হতো না আর একদিকে ভালোই হইছে তোমার ওপর আমার অধিকারটা পারমানেন্টলি হয়ে গেলো খুব জলদি তোমায় আমার কাছে নিয়ে আসবো জান

 

বলে নিলয় নীরাকে হালকা করে জরিয়ে ধরে নীরা কিছুই বলেনা কারন ও ভালোভাবেই বুঝতে পারে নিলয় নামের প্যারা ওর জীবন থেকে সহজে যাবে না ওর এই অদ্ভুত ভালোবাসা নীরার জীবনকে উল্টিয়ে দিবে

 

নিলয় নীরাকে তার বাসার সামনে নামিয়ে দিয়ে চলে আসে নিরা বাসায় আসলে ওর মা এর হাজার প্রশ্নে মধ্যে দিয়ে ওর রুম এ ঢুকে বিছানার ওপর টান হয়ে শুয়ে পরে

 

নীরা:কি স্বপ্ন নিয়ে আমি কলেজে গেলাম আর আমার সাথে এসব কি হচ্ছে কোন কুক্ষনে যে ওই কলেজে ভর্তি হতে গেলাম আল্লাহ্ জানে সেই প্রথম দিন থেকে বদমাইশ আমার পিছে পরে আছে ওর জন্য কলেজে কোথাও শান্তিতে বসতে শুধু পারি না একটা ছেলে এত্তটা খারাপ কি করে হতে পারে.... আমার জীবনটা নষ্ট করে দিলো ও কত্ত বরো বেয়াদব ছেলে আমি কি করে আজকের কথাটা বাসায় বলবো ও যদি আমার বাবামা এর ক্ষতি করার চেষ্টা করে??? ওর মতো জানোয়ার কে কোনো বিশ্বাস নাই আমাকেই কিছু একটা করতে হবে যাতে ও আমায় নিজে থেকে ছেড়ে দেয়

 

পরদিন কলেজে সবাই নীরাকে দেখে রীতিমতো তামাশা শুরু করে দেয় কারন নীরা আজ পর্দার মতো ঢিলা সালোয়ার পরে কলেজ গেছে যে মেয়েটার স্টাইল দেখে যে কোনো ছেলে হুমড়ি খেয়ে পরে আজ সেই মেয়ে সবার কাছে হাসির পাত্রী হয়ে গেলো নীরা কান্না করতে থাকে আর নিলয় এসে নীরার সামনে দারালো

 

নিলয়: আমার নীহু টা কাদছে কেনো????

 

নীরা ': এবার আপনার শান্তি হয়েছে তো সবার সামনে আমি জোকার হয়ে গেলাম

 

নিলয়: কে বলেছে তোমায় এই কথা আমায় একবার বলো কার এত্তবড় সাহস আমার নীরু কে কাদায় চিল্লিয়ে

 

ভয়ে আসেপাশের সবাই দৌড়ে চলে যায় নীরা ভালোভাবেই জানে নিলয় রাগলে আর কারো নিস্তার নাই তাই প্রসঙ্গ পাল্টে বললো আমার আপনার সাথে একটা কথা ছিলো

 

নিলয় : বলো না জান আমি তো তোমার কথা শোনার জন্যই আছি বলো

 

নীরা: আমার একটা ছেলের সাথে ৩ বছরের সম্পর্ক আছে ৩ বছরের সম্পর্কে কি কি হতে পারে নিশ্চয় আপনার ধারনা আছে তো প্লিজ আমায়

 

কথাটি শেষ করতে পারে না তার আগেই নিলয় সজোরে নীরার গালে থাপ্পর মেরে দেয় নীরা টাল সামলাতে না পেরে মাটিতে পরে যায় নীলয় নীরার দুবাহু শক্ত করে ধরে টেনে তুলে নীরা নিলয়কে দেখে চমকে ওঠে কারন নিলয়কে কাল নীরা যেমন দেখে ভয় পাইছিলো আজ তেমন ই দেখাচ্ছে

 

নিলয়: তোর একজন কেন একশ জনের সাথে রিলেশন থাকলেও আমি তোকে ছাড়বো না কিন্তুু তোর সবাইকে ছাড়তে হবে না পারলে আমি বাধ্য করবো দ্বিতীয় বার এমন কথা মুখে আনার আগে ২ বার ভাববি

 

পর্ব ৩

 

নিলয়ের কথা শুনে নীরা চুপ মেরে যায়

 

নিলয়: তুমি ভুলে যাচ্ছো যে তুমি এখন শুধু আমার পছন্দের মানুষ নেই আমার বউ তুমি আমার জীবনের সাথে তোমার জীবনটা জরিয়ে গেছে প্লিজ নীরু তুমি ভালোভাবেই জানো আমি মরে গেলেও তোমায় ছাড়বো না তাই বাধ্য করো না আমায় কারো ক্ষতি করতে তোমার মনে কেউ যদি থেকেও থাকে তাকে ভুলে যাও এতে তোমার আর তার দুজনেরই মঙ্গল যাও ক্লাসে যাও

 

নীরা চুপচাপ ক্লাসে চলে যায় কিন্তুু ক্লাসে আর কেউ ওর সাথে ভালোভাবে কথা বলে না নিলয়ের জন্য এখন নীরার সাথে কেউ ভালোভাবে মিশেনা এমনকি স্যার ও কিছু বলে না নীরা ক্লাস থেকে বেরিয়ে আসে ক্যাম্পাসে বসে পরে ভাবতে থাকে

 

নীরা:আমি কি করে এর থেকে মুক্তি পাবো আল্লাহ্ বলে দাও তুমি কেনো আমার সাথেই এমন হচ্ছে এভাবে আর আমি এখানে থাকতে পারবো না

 

এর মধ্যে নীরার মা ফোন দেয়

 

নীরা; হ্যা মাদার ইন্ডিয়া বলো

 

নীরার মা: কিরে কই তুই তারাতারি বাসায় আয়

 

নীরা : কেনো কি হয়েছে

 

নীরার মা': আরে কাল বলালাম না মিসেস মুনমুন এর মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান এ যেতে হবে

 

নীরা: মা আমি কোথাও যেতে পারবো না তুমি আর বাবা চলে যাও

 

নীরার মা : আমি তোর কথা শুনতে চাই না তারাতারি বাসায় আয় তোর বাবা তোর জন্য বসে আছে ভদ্রতা বলতে কিছু আছে বুঝলি জলদি আয়

 

নীরা : ঠিক আছে আসতেছি উড়ে যাবো নাকি হ্যা টাইম লাগবে রাখছি

 

নীরা চলে গেলো বাড়ির উদ্দেশ্যে আর এদিকে নিলয় চলে যায় ওর বাসায় বাসায় ঢুকতেই নিলয়ের বোন দৌড়ে এসে নিলয়ের গলা জড়িয়ে ধরে

 

তিশা: ভাই কই ছিলা তুমি এত্তক্ষন আমি সেই কখন থেকে রেডি হয়ে বসে আছি আমার সব সাজ নষ্ট হয়ে গেলো

 

নিলয়: আমার তিশা মনিটা দুনিয়ার সব চাইতে best petty sweet beautyqueen girl তোমার সাজার কি দরকার আমি এখনই চট করে তৈরি হয়ে আসি তুমি ৫ মিনিট টাইম দাও

 

নিলয়ের মা : বোনকে এত্ত লাই দিও না মাথায় চড়ে যাবে

 

নিলয়: সেটা আমি বুঝবো আপনার ভাবতে হবে না

 

নিলয়েরর মা: কোথায় যাবে তোমরা???

 

নিলয়: সেটা আপনার না জানলেও চলবে নিজের গন্ডির মধ্যে থাকেন মা হবার চেষ্টা করবেন না

 

নিলয়ের মা এর সব কিছু অভ্যাস হয়ে গেছে নিলয়ের অনেক কঠিন ভাষাও নিলয়ের মা সহ্য করে নিছেকিন্তুু কনোদিন কিছু বলে নি তার একটাই আশা নিলয় একদিন তাকে ঠিকই মা বলে মেনে নিবে

 

নীরাকে এদিকে ওর মা শুধু বিয়ে বারিতে ভদ্রতা বজায় রাখতে যায় নি উনার বান্ধবি মিসেস মুনমুনের ছেলে পিয়াস এর সাথে দেখা করিয়ে দেবার জন্য নীরার মা এর পিয়াস কে অনেক পছন্দ কিন্তুু নীরাকে বললে রাজি হবে না তাই নীরার মা এই প্ল্যান টা করে নীরাকে নিয়ে যায়

 

নীরা : ধুর ধুর সবাই মিলে আমার কলিজা টা টানাটানি করতে শুরু করেছে আল্লাহ্ বাচাও আমায় এই শাড়ি পরে আমি কেমনে যাবো

 

নীরার মা : কিরে তোর হলো জলদি আয় গাড়ি দারিয়ে আছে

 

নীরা: আসতেছি

 

আল্লাহ আর যাই হোক ওই গুন্ডার সাথে যেনো দেখা না হয়

 

বিয়ে বাড়িতে এসে নীরার ভালই লাগছে কারন সবাই নীরার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে আর থাকবেই না কেনো আজ নীরা হলুদ শাড়ি পরছে সাথে ম্যাচিং কানের দুল গলার মালাঠোঁটে লাল লিপস্টিক কপালে টিপ হাত ভর্তি হলুদ কাচের চুড়ি একদম হলুদ পরীর মতো লাগছে নীরা সবাইকে আর চেখে দেখছে আর মনে মনে ভাবছে

 

------- বাহ্ নীরা তোকে তো মনে হচ্ছে অনেক সুন্দর লাগছে সবাই তো হা করে তাকিয়ে আছে তার জন্যই তো ওই গুন্ডা টা তোর পিছে পড়ে আছে হ আরো সুন্দরী হ

 

নীরা বুঝতেই পারলো না এতো মানুষের মধ্যে এক জোড়া চোখ ওর দিকে ভয়ানক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সে আর কেউ না নিলয়

 

নিলয়: ওর সাহস কি করে হয় এত্ত সেজে কোথাও আসার কত্ত ছেলে ওর দিকে তাকিয়ে বাজে চিন্তা ভাবনা করছে ওর জানা আছে পাখা গজিয়েছে তোমার দাড়াও পাখা কেটে দেবার ব্যবস্থা করছি

 

এর মধ্যে একটা ছেলে নীরাকে ডাকে

 

ছেলেটি : excuse me miss হলুদ পরি

 

নীরা : জি আমাকে বলছেন???

 

ছেলেটি : জি হ্যা আপনাকেই বলছি আপনি ছাড়া এই পুরো বিয়ে বাড়িতে হলুদ পরী কে আছে???

 

.

 

নীরা : আপনি একটু বেশিই বলছেন

 

ছেলেটি : আমার কিন্তুু বেশ অহংকার আর হিংসে হচ্ছে জানেন

 

নীরা : হিংসা কেনো???

 

আর অহংকারই বা কেনো

 

ছেলেটি : দুদিন পর যার সাথে আমার বিয়ে তাকে যে সবাই এই ভাবে দেখছে তাই আমার হিংসে হচ্ছে আর তুমি যে এতই সুন্দরী তাই আমার অহংকার হচ্ছে

 

নীরা : মানে কি বলছেন আপনি

 

ছেলেটি : আসেন আমরা ওইখানটায় বসে কথা বলি

 

নীরা : না যা বলার এখানে বলেন না হলে না বলেন

 

ছেলেটি : আচ্ছা আচ্ছা কুল এখানেই বলছি হায় আমি পিয়াস যার বিয়েতে আসছেন আমি তার ভাই

 

( হাত এগিয়ে দিয়ে)

 

নীরা হাত মেলাতে যাবে তখনই দেখে নিলয় রাগি চোখে ওর দিকে এগিয়ে আসছে নীরা নিলয়কে দেখেই উল্টোদিকে দেয় দৌড় আর পিয়াস হা হয়ে থাকে নীরার যাবার দিকে

 

নিরা : আল্লাহ্ এইটা কি হলো যেটা না চাই তুমি সেটাই দু হাত ভরে দেও আমি এখন কই যাই

 

কিনতু সামনে থেকে নিলয় এসে নীরার হাত ধরে টানতে টানতে একটা ফাকা রুম এ নিয়ে এসে রুম লক করে দেয়

 

নীরা : প্লিজ আমায় মারবেন না আমি আর কোনো দিন ও

 

পুরা কথা বলতেই পারে না তার আগেই নিলয় নীরার দুহাত শক্ত করে ধরে নিজের বুকের সাথে চেপে ধরে নীরার ঠোঁটে নিজের ঠোট ডুবিয়ে দেয় নিলয় যেভাবে নীরাকে ধরে রেখেছে নীরা নড়তেও পারছে না নীরা অজানা এক অনুভুতিতে হারিয়ে গেছে এর মধ্যে নিলয় নীরাকে ছেরে দেয়

 

এদিকে নিলয় নিরাকে ছারার পর নীরা চোখ বন্ধ করে চুপটি মেরে দাঁড়িয়ে কান্না করতে থাকে

 

নিলয় কান্না বন্ধ করো নীর

 

নীরা :

 

নীলয় : কি থামবা নাকি আবার কিস করবো????

 

নীরা : আপনি আমার সাথে কেনো এমন করছেন??? কি করছি আমি

 

নিলয় : তুমি ওই ছেলের সাথে কথা বলছিলে কেনো

 

নীরা : আমি তো কথা বলিনি উনিই তো

 

নিলয় :: উনি তো কি???? যে তোমার সাথে কথা বলতে আসবে তুমি তার সাথেই কথা বলবা কি ভেবেছিলা আমি জানতে পারবো না

 

নীরা : আমি তো জাস্ট

 

নিলয় : নীর পাখি আমি তোমাকে বলেছিনা এমন কোনো কাজ করোনা যাতে আমার রাগ উঠে যায় এত্ত সেজে আসছো কেনো হ্যা সবাই কেমন করে তাকিয়ে আছে তুমি জানো?? ঠোটে কখনও লিপস্টিক দিবা না আমি নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারি না ? আমি চাইনা আমি ছাড়া তোমায় এভাবে কেউ দেখুক

 

বলেই নিলয় নীরার কপাল থেকে টিপ তুলে নেয় টিসু দিয়ে ঠোট মুছে দেয় চোখের কাজল তুলে দেয় চুড়ি গুলা খুলে নেয় আর চুলটা নীরাকে বেধে নিতে বলে

 

নীরা জানে ওর কথা না শুনলে কপালে দুঃখ আছে তাই চুল নিয়ে হাত খোপা করে নেয়

 

নিলয়: এখন গিয়ে মা এর কাছে গিয়ে থাকবে একা কোথাও যাবে না কোনো ছেলের সাথে কথা বলবানা আমি কিন্তু এখানেই আছি বুঝলা???

 

নীরা: হুম

 

নীরা যেতে লাগলে নিলয় আবার নীরাকে জড়িয়ে ধরে কপালে কিস করে

 

নিলয়: এবার যাও

 

নীরার মা : কিরে একা একা কই ঘুরছিস? আর সাজ গোজ সব মুছে ফেলছিস কেনে???

 

নীরা : ভারি ভারি লাগছিলো তাই

 

নীরা বিয়ে বাড়িতে আর কারো সাথেই কথা বলে নি জানেই নিলয় যখন তখন ওর ঘাড় মটকে দিবে

 

তিশা : ভইয়া মেয়েটা কে ছিলো রে

 

নিলয়: কই কোন মেয়ে????

 

তিশা;: আমার ভাবি???

 

নিলয় :হুম

 

তিশা : আমার কিন্তু অনেক পছন্দ হইছে কিউট এর ডিব্বা কিন্তুু যাবার সময় দেখলাম রঙিন আর আসার সময় সাদা কালো কাহিনি কি ভাই???

 

নিলয়;:; তোর এত্ত কাহিনি জানতে হবে না

 

তিশা: তাহলে কিন্তুু সবাইকে বলে দিবো

 

নিলয় নারে বোন আমার তোর কষ্ট করতে হবে না আমিই বলবো

 

তিশ:: : যাই হোক ভাই ভাবি কিন্তুু খুব মিষ্টি

 

নিলয়: হইছে আর বলতে হবে না চলো বাসায় যাই

 

নীরা বাসায় ঢোকার সাথে সাথেই

 

------- আম্মুুু

 

নীরার আম্মু.... কিরে চিল্লাস কেন???

 

নীরা : তুমি সত্তি করে বলো আজ আমায় ওই বিয়েতে কেনো নিয়ে গেছিলা

 

নীরার মা: এইটা কেমন কথা বিয়েতে মানুষ কেনো যায়

 

নীরা :: একদম মিথা বলবানা পিয়াস নামের ছেলেটা কেনো বললো যে ওর সাথে নাকি আমার বিয়ে হবে

 

নীরার মা : হুম ঠিকই তো বলছে ছেলেটা খুব ভালো বিদেশ থেকে পড়া কমপ্লিট করছে এখন বাবার কোম্পানিতে বসবে তোকে ওদের পরিবারের খুব পছন্দ ছিলো আজ ছেলেও হ্যা করে দিছে সামনের বুধবারে তোদের এন্গেইজমেন্ট তোর বাবা সব ঠিক করে দিছে

 

নীরা: মানে কি এসবের আমি যদি জানতাম তোমাদের মনে এসব আছে আমি জীবনেও যাইতাম না আমি ওরে বিয়ে করতে পারবো না

 

নীরার মা : কেনো পারবিনা শুনি পিয়াস কোন দিক দিয়ে খারাপ শুনি

 

নীরা: ওকে আমার পছন্দ হয় নি

 

নীরার মা : একদম মিথ্যা বলবিনা কত্ত মেয়ে পিয়াস কে বিয়ে করার জন্য লাইন লগগিয়ে আছে জানিস

 

নীরা : (তুমি জানো না মা ওই গুন্ডা টা এই কথা জানলে আমায় কুচিকুচি করে খাবে) তাই বলে তুমি ও আমায় সেই লাইন এ দাড় করিয়ে দিতে পারো না আমার ও একটা মতামত আছে

 

নীরার মা: তোর কি ধারনা আমি তোর বাবা তোর খারাপ চাইবো আর তুই এতো বড় হসনি আমাদের মুখের ওপর কথা বলবি

 

নীরা : কিন্তুু মা

 

নীরার মা: আর একটা কথা বললে থাপ্পর খাবি পিয়াস এর সাথেই তোর বিয়ে হবে এইটাই ফাইনাল

 

নীরা আর কিছু বললোনা জানে এর থেকে বেশি বলতে গেলে সত্তি থাপ্পর খেতে হবে

 

নীরা : কিন্তুু আমি কেনো বিয়েতে রাজি হচ্ছি না যা শুনলাম পিয়াস ঠিকঠাক ছেলে আর দেখতেও খুব একটা খারাপ না শুধু কি নিলয় এর ভয়ে মা বাবা এত্ত তারাতারি আমার বিয়ে দিয়ে চাইছে???? শালা নিলয় ইচ্ছা করছে তোরে ডাস্টবিন এর মধ্যে আটকে রাখি হাত পা ভেঙে ফ্রিজে রেখে দিবো তোর সাইকো তোর জন্য আমার জীবনটা পুরাই তেজপাতা হয়ে গেলো

 

পরদিন কলেজ এগিয়ে দেখে পিয়াস আর নিলয় একসাথে দারিয়ে আছে

 

পর্ব ৪

 

নীরা কলেজ এ ঢুকে দেখে নিলয় আর পিয়াস এক সাথে দাড়িয়ে আছে

 

নীরা : oh my goodness এই পিয়াস এর বাচ্চা এখানে কেনো না জানি এই পিয়াস নিলয় কে কি বলছে আজ তো নিলয় আমাকে ঝাল মসলা ছাড়াই চিবিয়ে চিবিয়ে খাবে আল্লাহ্ বাচাঁও আমায়

 

নীরা ভয়ে ভয়ে এগিয়ে যায় এর মধ্যে পিয়াস নীরাকে ডাকে

 

পিয়াস: নীরা তুমি এখানে????

 

নীরা :;:; জি ভাইয়া আমি এই কলেজ এই পরিতা আপনি এখানে??

 

পিয়াস : আর বলোনা এ হচ্ছে নিলয় আমার ছোটোবেলার বন্ধু আজ সকাল এ হঠাৎই দেখাওই এখানে নিয়ে আসলো।

 

নিলয়: তোরা আগে থেকে একে অপরকে চিনো???

 

পিয়াস: আরে তুই তো ওকে চিনিস না ও হলো

 

নীরা: কাজিন ও হলো আমার কাজিন ব্রাদার

 

পিয়াস : কিন্তুু নীরা তুমি তো আমার

 

নীরা ': ( আরে ব্যাটা চুপ কর নইলে নিলয় তোর মাথাটা উরিয়ে দিবে নিজের বিপদ নিজে আনিস না)

 

হ্যা ভাইয়া আমি তো আপনার নিজের বোনের মতোই

 

নিলয়: নীরা ও মনে হচ্ছে অন্য কিছু বলতে চাচ্ছে তুমি ওকে বলতে দিচ্ছো না

 

নীরা: এমা কেআমি কি লুকাবো আপনাকে আপনার বোন ডাকছে কলেজ এর বাহিরে দাড়িয়ে আছে

 

নিলয়:: : কি তিশা এখানে???

 

নীরা: না আমি তো মিথ্যা বলছি মেয়েটা একা দাঁড়িয়ে আছে আর আমাদের কলেজের সব ছেলে যা বাজে

 

নিলয় আর এক মুহুর্ত দাড়িয়ে না থেকে কলেজ এর বাহিরে চলে যায় তখন নীরা পিয়াস কে বলে

 

নীরা : দেখুন ভাইয়া আমি আপনাকে বিয়ে করতে পারবো না আর আমি চাইনা আপনার আমার কথা কেউ জানুক বাসায় অনেক বলছি বিয়ে টা ভাঙার জন্য কিন্তুু বাসায় রাজি হচ্ছে না দয়া করে আপনি না করে দিন তাইলেই সব পসিবল

 

পিয়াস: তুমি কি কাউকে ভালোবাসো???

 

নীরা : না বাসিনা ( কিন্তুু মনে মনে নিলয় এর কথা মনে হয়) যদি বাসতাম তাইলে আর আপনাকে বলতাম না আমার সমস্যা আছে আমি বিয়ে টা করতে পারবো না

 

পিয়াস : আমি তোমার কথা টা রাখতে পারবো না আমি বিয়ে করলে তোমাকেই করবো বিয়ের জন্য তৈরি হও বাই

 

নীরা :: শোনেন আমার কিন্তুু বিয়ে হয়ে গেছে ( কথাটা পিয়াস এর কানে যায় নি ও তার আগেই চলে গেছেকিন্তুু নীরা ভাবে সে কি বললো নিলয় এর সাথে ওর বিয়ে নিলয় এর সাথে বিয়ে টা ও মানে না কিন্তুু সে কেনো এ কথা বললো)

 

নিলয়: এই নীরু তুমি আমাকে মিথ্যে কেনো বললে আর পিয়াস কই গেলো???

 

নীরা :; আপনার কী ধারনা আমি মিথ্যুক???

 

নিলয়: আচ্ছা বাদ দাও ও কই গেলো

 

নীরা: ওতো বাসায় চলে গেলোকি জরুরি কাজ আছে তাই

 

নিলয় : নীর পাখি

 

নীরা: ( উফ্ ছেলেটা আমায় এই নামে কেনো ডাকে আমার যে এই নামটা শুলেই বুকের মধ্যে ধক করে উঠে) কি???

 

নিলয়: তুমি কি আমার কাছে কিছু লুকাচ্ছো???

 

নীরা কই না তো আমার ক্লাস আছে গেলাম

 

বলেই দৌড়

 

নিলয়: নীর পাখি তুমি যে কিছু লুকাচ্ছো তা তো আমি ১০০% সিওরকিনতু কি সেটা একবার যদি জানতে পারি তুমি উল্টা পাল্টা কিছু প্যাচ করছো তো তোমার অবস্থা খারাপ আছে

 

নীরা কলেজ করে বাসায় চলে আসে নিলয় ওকে ড্রপ করে দেয় সন্ধ্যায় নীরার মা নিরার ঘরে আসে

 

নীরার মা: এগুলো নে

 

নীরা : কি এগুলো মা

 

নীরার মা: শাড়ি আর কিছু জুয়েলারি

 

নীরা: এগুলো আমি কি করবো

 

নীরার মা: পিয়াস ফোন দিছিলো কালকেই ও কোর্ট ম্যারেজ টা করতে চাচ্ছে অফিসের কাজে ও একমাসের ট্যুরে যাবে তাই বিয়ে টা করে রেখে যাবে আর ওখান থেকে আসার পর অনুষ্ঠান করে তোকে ওদের বাড়ি নিয়ে যাবে

 

নীরা:: : মা তোমরা বুঝতে চাইছোনা কেনো বলো তো আমি এখন বিয়ে করতে চাই না

 

নীরার মা: এখানো বোঝাবুঝির তো কিছু নেই দেখ নীরা তোর সাথে অঝথা তর্ক করার ইচ্ছে আমার নাই বিয়ে টা তোকে করতেই হবে

 

নীরা : মা তোমাকে আমার কিছু বলার আছে নিলয়

 

নীরার মা: নিলয়??? ওর কথা যেনো তোর মুখে আমি আর দ্বিতীয় বার না শুনি কত্ত বড় বাজে ছেলেও মনে নাই ও তোর বাবাকে কি ভাবে অপমান করছিলো ওর জন্যই তো তোর বিয়ে দিয়ে এই টেনশন থেকে মুক্তি পেতে চাই

 

নীরা: কিন্তুু মা

 

নীরার মা: বিয়ে না করলে আমাদের মরা মুখ দেখবি তোর যা ইচ্ছে কর

 

.

 

নীরার মা চলে গেলো

 

নীরা: তুমি বুঝতেছো না মা নিলয় যদি জানতে পারে আমাদের সবার অবস্থা খারাপ করবে আর আমাকে তো মেরেই ফেলবে সেদিন আমাকে দিয়ে বিয়ের পেপার এ সই করিয়ে নিছে এত্ত সহজে ছাড়বে না ওর সব পাগলামো দেখতে দেখতে আমি ওর ওর একটু একটু করে দুর্বল হয়ে পরছি কিন্তুু আমার জন্য তোমাদের মান সম্মান এর কোনো ক্ষতি হতে দিবো না বিয়ে টা করবো আমি

 

পরের দিন বিকাল এ নীরা আর পিয়াস এর কোর্ট ম্যারেজ নীরাকে কলেজে না দেখে নিলয় নীরার খোজ নিতে বের হয় কিন্তুু নীরার বাড়িতে খোজ নিয়ে জানে ওরা সকাল এ নাকি কোথাও বেরাতে গেছে নিলয় এর ব্যাপারটা মোটেও ভালো লাগেনা

 

আর এদিকে নীরার মা বাবা সকালে নীরাকে নিয়ে নীরার ফুপুর বাসায় চলে আসে কারন ওরা জানে নিলয় ঘুনাক্ষরে জানতে পারলে বিয়ে টা হতে দিবে না আগের বার যেমন করছিলো

 

নীরাকে আজ লালপরি সাজানো হয়েছে নীরা আয়নার সামনে দারিয়ে নিজেকে দেখছে লাল বেনারসিলাল চুরিলালটিপ লাল লিপস্টিক লিপস্টিক এর কথা মনে করেই নীরার সেদিনের কথা মনে পরে যায় সাথে সাথে নীরা চোখ বন্ধ করে নিলয়ের ঠোটে কিস করা অনুভুতি করতে থাকে

 

নীরার মা: বাহ্ আমার মেয়েটাকে বেশ লাগছে ( নীরার হাত এর কানিআঙুল কামরে দিয়ে বলে)) কারো নজর জেনো না লাগে কিন্তুু নজর তো লেগেই গেছে নিলয় নামের কুনজর দেখবি মা তুই অনেক সুখি হবি পিয়াস তোরে অনেক সুখি রাখবে

 

কোর্টে নীরা আর পিয়াস পাশাপাশি চেয়ার এ বসে আছে পিয়াস অপলক চোখে সুপ্তিকে দেখছে নীরা বেশ বুঝতে পারে পিয়াস ওর দিকে না খেয়ে তাকিয়ে আছে আর থাকবে নাই কেনো এত সুন্দরী মেয়ে যার পাশে বসে আছে সে না তাকিয়ে থাকতে পাপারে কিন্তুু নিলয় নীরাকে এভাবে সাজতে বারন করছিলো নিলয় এর কথা ভাবতেই নীরার বুকের মধ্যে মোচর দিয়ে ওঠে যেভাবেই হোক বিয়ে তো হইছে ওদের নীরা বার বার দরজার দিকে তাকাচ্ছে কিন্তুু নিলয় আসছে না দেখে মন খারাপ করছে

 

:

 

নীরা:: আচ্ছা আমার কেনো মন খারাপ লাগছে ওর জন্য আমি তো চাইছিলাম ও যেনো আমার জীবন থেকে চলে যায় আর যা হয় ভালোর জন্যই হয় আমি আর নিলয় এর কথা ভাববো না

 

কোর্টের সব ফর্মালিটি শেষ এখন শুধু পিয়াস আর নীরার সই বাকি নীরার হার্টবিট যেনো বেরেই চলেছে মনে হয় হার্ট টা এখনই বের হয়ে যাবে ওর মধ্যে পিয়াস ও সই করে দেয় এখন নীরার পালা নীরা কে অনেক বার সই করার পরেও যখন সই করে না তখন নীরার মা নীরার কাছে গিয়ে মাথায় হাত দেয়

 

নীরার মা : সই টা করে দে মা এতে তোরই ভালো হবে

 

নীরা কান্না করে দেয় কাপা কাপা হাতে কলম টা তুলে পেপার এ সই করতে লাগে

 

পর্ব ৫

 

নীরা সাইনটা করতে শুরু করে ঠিক তখনই কেউ পেপারটা টান দিয়ে নিয়ে নেয় নীরা তাকিয়ে দেখে নিলয় ভয়ংকর দৃষ্টিতে নীর


Shohag333

79 Blog posts

Comments