খরা এক নীরব প্রাকৃতিক দুর্যোগ যা ধীরে ধীরে মানুষের জীবনযাত্রা কৃষি এবং অর্থনীতিতে ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে। খরা সাধারণত বৃষ্টিপাতের অভাব বা পানির অভাবেই ঘটে থাকে এবং এর প্রভাব অনেক সময় দীর্ঘমেয়াদি হয়। এটি সরাসরি ক্ষতির কারণ না হলেও এর প্রভাবে খাদ্য সংকট প্রাণিসংকট জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি এবং অর্থনৈতিক ক্ষতির মত অনেক সমস্যা দেখা দেয়।
খরার কারণ:
খরার মূল কারণ হলো দীর্ঘ সময় ধরে কোনরকম বৃষ্টিপাত না হওয়া। এর বাইরে আরো কিছু কারণ রয়েছে যা করা সৃষ্টি বা তীব্রতা কে বাড়িয়ে তুলতে পারে। যেমন:
১. জলবায়ু পরিবর্তন: জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের ধরন পরিবর্তিত হয়। কিছু এলাকায় অতিরিক্ত বৃষ্টি হচ্ছে আবার কিছু এলাকায় বৃষ্টির পরিমাণ কমে যাচ্ছে ফলে খরাত দেখা দিচ্ছে।
২. বন নিধন: বনভূমি ধ্বংসের ফলে ভুমি শুকিয়ে যাচ্ছে এবং মাটির আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারছে না এতে করার আশঙ্কা বাড়ছে।
খরার প্রভাব:
খরার প্রভাব শুধু পরিবেশগত নয় বরং এটা সামাজিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও গভীর।
১. কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা: খরার কারণে কৃষি জমি শুকিয়ে যাচ্ছে এবং ফসল উৎপাদনে ব্যাহত হচ্ছে। এর ফলে খাদ্য সংকট দেখা দিচ্ছে এবং খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে যা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ওপর বিশেষ একটি প্রভাব ফেলছে।
২. পানিশংকট: খরার ফলে নদী পুকুর এবং ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। এর ফলে মানুষের পানীয় জল এবং শেষের জন্য পানি প্রাপ্তির সমস্যা দেখা দিচ্ছে।