কার্বন কর ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য

কার্বন কর হলো একটি পরিবেশগত কর, যা কার্বন ডাই-অক্সাইড এবং অন্যান্য গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে আরো??

কার্বন কর ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য

কার্বন কর হলো একটি পরিবেশগত কর, যা কার্বন ডাই-অক্সাইড এবং অন্যান্য গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে আরোপিত হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক হাতিয়ার। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কার্বন কর একটি বিতর্কিত বিষয়, কারণ এটি বাণিজ্য প্রবাহ এবং প্রতিযোগিতার ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।

যেসব দেশ কার্বন কর আরোপ করেছে, তাদের লক্ষ্য হলো উচ্চ কার্বন নিঃসরণকারী শিল্পগুলোকে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি গ্রহণে উৎসাহিত করা। তবে, এটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে "কার্বন লিকেজ" সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। কার্বন লিকেজ তখন ঘটে যখন উচ্চ করের কারণে শিল্পগুলো কম নিঃসরণ নীতিমালা অনুসরণ না করা দেশগুলোতে স্থানান্তরিত হয়। এতে বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্য ব্যাহত হয়।

এই সমস্যার সমাধানে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) একটি কার্বন বর্ডার অ্যাডজাস্টমেন্ট মেকানিজম (CBAM) প্রস্তাব করেছে। এর মাধ্যমে, ইইউতে আমদানি করা পণ্যের ওপর কার্বন নিঃসরণ অনুযায়ী শুল্ক আরোপ করা হবে। এটি বিশ্ববাজারে সমান প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে, যাদের কার্বনমুক্ত প্রযুক্তিতে বিনিয়োগের সামর্থ্য কম।

সুতরাং, কার্বন কর এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা জরুরি। উন্নয়নশীল দেশগুলোকে কার্বনমুক্ত প্রযুক্তি গ্রহণে সহায়তা এবং ন্যায্য বাণিজ্য নীতি প্রণয়ন এই সমস্যার কার্যকর সমাধান হতে পারে।

 


Mahabub Rony

803 Blog posts

Comments