বাণিজ্য দারিদ্র্য বিমোচনের একটি শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। এটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে। বিশ্বব্যাপী উদাহরণ থেকে দেখা যায়, বাণিজ্যের প্রসার দরিদ্র দেশগুলোতে জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
বাণিজ্যের মাধ্যমে দেশগুলো তাদের পণ্য ও সেবার জন্য বৈশ্বিক বাজারে প্রবেশাধিকার পায়। এতে উৎপাদন বাড়ে, যার ফলে কর্মসংস্থান ও আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের কারণে লক্ষাধিক মানুষের জীবিকা নির্বাহের সুযোগ করে দিয়েছে এবং দারিদ্র্য হ্রাসে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে।
এছাড়া, বাণিজ্য প্রযুক্তি ও জ্ঞান স্থানান্তরকে ত্বরান্বিত করে। উন্নত প্রযুক্তি ও উৎপাদন পদ্ধতি গ্রহণের মাধ্যমে দরিদ্র দেশগুলো উৎপাদনশীলতা বাড়াতে পারে, যা তাদের আয়ের স্তর উন্নত করে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ফলে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পায়, যা স্থানীয় শিল্পগুলোর দক্ষতা বৃদ্ধি করে এবং নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য সস্তা পণ্যের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করে।
তবে, দারিদ্র্য বিমোচনে বাণিজ্যের সুফল নিশ্চিত করতে ন্যায্য বাণিজ্য নীতি প্রয়োজন। উন্নয়নশীল দেশগুলোর বাজারে প্রবেশাধিকার বাড়ানো এবং তাদের অর্থনীতিকে বৈচিত্র্যময় করতে সহায়তা করা জরুরি। সঠিক নীতি গ্রহণের মাধ্যমে বাণিজ্য দারিদ্র্য হ্রাসের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হতে পারে।