২০১১ সাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ। এক মেধাবী শিক্ষার্থী, আবিদুর রহমান আবিদ, নিজের ক্যাম্পাসেই নির্মমভাবে নিহত হন। ছাত্রলীগের পেটোয়া বাহিনীর নৃশংস নির্যাতনের শিকার হয়ে তিনি জীবন দিতে বাধ্য হন। বুয়েটের আবরার ফাহাদের হত্যাকাণ্ডের মতোই এটি ছিল এক নৃশংস ঘটনা। কিন্তু আবরারের মতো আবিদের হত্যাকারীরা এখনও বিচারের আওতায় আসেনি।
আবিদ ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এই কারণেই ছাত্রলীগের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন। তাকে ক্যাম্পাসেই ধরে নিয়ে গিয়ে রাতভর নির্যাতন চালানো হয়। অর্ধমৃত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেয়ার পরিবর্তে তার বোনের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলেও সেখানেও বাধা দেয় ছাত্রলীগ। দুই দিনের অসহনীয় যন্ত্রণা সহ্য করে আবিদ মারা যান।
এই ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হত্যাকাণ্ডের পরও বিনা বাধায় ঘুরে বেড়াতে থাকে। আবিদের পরিবার হত্যাকাণ্ডের মামলা দায়ের করলেও সাক্ষীদের ভয় দেখিয়ে এবং সরকারী মদদে সকল আসামীকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
আবিদের মৃত্যু একটি মেধাবী শিক্ষার্থীর হার নয়, বরং একটি সমাজ ব্যবস্থার ব্যর্থতার প্রমাণ। এই ঘটনা আমাদের সকলকেই ভাবিয়ে তোলে, আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কি আর নিরাপদ?
আবিদের পরিবার এখনও ন্যায় বিচারের জন্য আন্দোলনরত। তারা দাবি করছেন, হত্যাকারীদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। আমরা সকলকেই মিলে ন্যায় বিচারের দাবিতে কণ্ঠ উঠাতে হবে।