সম্প্রতি গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পোরেশন নামক একটি পোর্টালের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, রাশিয়ার সহযোগিতায় নির্মিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মোট খরচ ১০০০ হাজার ২৬৫ কোটি ডলার হলেও প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকের মাধ্যমে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের ব্যবস্থা করা হয়।
এই রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে যুক্ত সংস্থা রোছা ট্রোমের সহায়তায় শেখ হাসিনা এই অর্থ আত্মসাতের সুযোগ পান। তার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকী এই প্রক্রিয়ায় মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করেন বলে দাবি করা হয়। এর বিনিময়ে পাচারকৃত অর্থের ৩০ শতাংশ ভাগ পেয়েছেন শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহেনা, টিউলিপ সিদ্দিকী এবং তাদের পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্য।
গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পোরেশনের দাবি অনুযায়ী, ২০১৩ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাতের সময় টিউলিপ সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন এবং তিনি ঢাকা-মস্কোর মধ্যে একটি বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তির মধ্যস্থতা করেছিলেন। ২০০৯ সালে টিউলিপ সিদ্দিক প্রথছায়া নামে একটি ভুয়া কোম্পানি চালু করেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, যার সাথে যুক্ত ছিলেন শেখ রেহেনা এবং তাদের চাচা, শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক। এছাড়াও, জুমানা ইনভেস্ট নামে যুক্তরাষ্ট্রে একটি কোম্পানি রয়েছে যার মাধ্যমে তারা এসব অর্থ পাচার করেছেন বলে গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পোরেশনের অভিযোগ।
এ বিষয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা তার পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এ ধরনের অভিযোগের ভিত্তিতে ভবিষ্যতে আরও অনুসন্ধান এবং তদন্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।