ছাত্র আন্দোলনের বিজয় এবং কৃতিত্ব দাবির রাজনীতি

ছাত্র আন্দোলনের সফলতা এবং পরবর্তী বিতর্ক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলা এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে। এই আন্দোলনে সরকারি কে.বি.এ কলেজ,হাজী কেয়াম উদ্দিন মেমোরিয়াল মহিলা কলেজ,দেবহাটা কলেজ,নলতা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ,সকল হাইস্কুলের হাজার হাজার শিক্ষার্থী স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে অসহযোগ আন্দোলনকে পূর্ণতা দেয়।এই আন্দোলনে সামনে থেকে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বজ্র কণ্ঠস্বর আবিদ হাসান তানভীর।এবং আরো অনেকের মধ্যে মোজাহিদ বিন ফিরোজ,আরিয়ান রবি,রাকিব হোসেন, নাজমুল হোসেন, রুহুল আমিন, আব্দুল্লাহ, তানভীর হোসেন,আমান উল্লাহ আমান, তাসনুভা আফরিন মিলি, জান্নাতুল ফেরদৌস দীপ্তি, ইমরান হোসেন এবং আরো অনেকে।

 

চার তারিখে একদিকে পুলিশের গুলির ভয়,অপরদিকে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের ভীতি উপেক্ষা করে আমরা অসীম সাহস নিয়ে মিছিল বের করি। এখানে কোনো সিনিয়র বা কারোর হেল্প আমরা পাইনি। শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে দেবহাটার রাজপথ। পাঁচ তারিখে যা জনসমুদ্রে পরিণত হয়।

 

এরপর কাঙ্ক্ষিত বিজয় আসার পর একটি গোষ্ঠী সেই বিজয়ের কতৃত্ব ফলাতে চায়‌,দেবহাটার রাজপথে যাদের পাওয়া যাইনি তারা বিভিন্ন জায়গায় ফটোসেশন করে রাতারাতি রাজপথের লড়াকু সৈনিক বনে যেতে চায়।তারা আমাদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে তথ্য উপাত্ত নিয়ে নিজেদের করে চালাতে চায় এবং এই আন্দোলনের সব ক্রেডিট তাদের নামে নিতে চায়। আলাদা গ্রুপ খুলে সেখানে পোস্ট করতে বলে অথচ আন্দোলনের শুরু থেকেই আমাদের ফেসবুক এবং মেসেঞ্জার গ্রুপ সক্রিয় ছিল। ভুল পথে পরিচালনা করে তারা রীতিমতো আমাদের হুকুমের গোলাম বানাতে চায় এবং বিভিন্ন ভুল দেখিয়ে অপদস্থ করতে থাকে ।তাদের এসবে অস্বীকৃতি জানালে তারা পরিণতি খারাপ হ‌ওয়ার হুমকি দেয়।তারা আমাদের বন্ধু আবিদ হাসান তানভীরকে ১৫ জন মিলে ডেকে নিয়ে মানসিকভাবে অত্যাচার করে,জান্নাতুল ফেরদৌস দীপ্তিকে মেসেঞ্জারে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখায়,ইমরানকে হুমকি ধামকি দেয় যার সবকিছুর এভিডিয়েন্স আমাদের কাছে রয়েছে।

 

কোনোভাবেই আমাদের একতা নষ্ট করতে না পেরে এক রাতে আবিদ হাসান তানভীরকে মেসেঞ্জারে ফোন করে ব্লাকমেইল করা হয়।আমাদের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজকে তারা বিতর্কিত করতে জঘন্য মিথ্যার আশ্রয় নেয়। আমাদের বাজার মনিটরিং, বিভিন্ন অফিসে প্রদর্শনকালে আমরা কোথাও কোনো খারাপ ব্যবহার করিনি তার স্বাক্ষী আমরা সবাই এবং সেখানকার কর্মকর্তাগণ।এভাবে তারা বিভিন্ন রকম প্রোপাগান্ডা চালাতে থাকে অনলাইনে। আমাদের ভুয়া, কিশোর গ্যাং ইত্যাদি বলে সম্মানহানি করতে থাকে। এবং অনলাইনে মিথ্যা খবর প্রচার করে আমাদের প্রতিপক্ষ হিশেবে দ্বার করায় যেখানে বড় ভাই হয়ে আমাদের সামনে এগিয়ে নিবে তার বিপরীতে আমাদের সাইটে সরাতে এই জঘন্য পথ বেছে নেয়।যা দেবহাটাবাসীর জন্য লজ্জাজনক।

 

এরকম নীতিভ্রষ্ট,মানহানিকর ধৃষ্টতা দেখিয়েছে দরদির প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল্লাহ আল মামুন,বর্তমান সভাপতি সাকিব হোসেন,দপ্তর সম্পাদক আল আমিন এবং অন্যান্য কতিপয় দুষ্কৃতকারী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছত্রছায়ায় গিরগিটির মতো রং বদলে এখন এলাকায় দালালি করে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে চায়। যেহেতু এরা নেতৃত্বে রয়েছে তাই লাইভে দরদি বলতে এদেরকেই মেনশন করা হয়েছিল গোটা সংগঠনকে নয়। এই ধৃষ্টতার আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি অতিব দ্রুত এদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করছি।


Adeel Hossain

242 Blog posts

Comments