ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী একজন রেপিস্ট কে ধরে নিয়ে থানায় যায়। ওখানে তাদের সাথে সেই রেপ এর ভিক্টমও ছিল। তারা তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তার নামে মামলা এবং এফআইআর করে। তারপর তারা দাবি করে তারা দশ জন শিক্ষার্থী মিলে ওই রেপিস্ট কে গণধোলাই দেবে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ তাদের এই দাবি মেনে নেয় এবং তাদেরকে এই কাজ করার অনুমতি দেয়।
কিন্তু দেশের চলমান পরিস্থিতিতে থানায় পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। ওই থানার দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনী অফিসার কিছুক্ষণ পরে থানায় এসে পৌঁছায়। শিক্ষার্থীরা ওই থানার সামনেই ছিল এবং তাদের সাথে পুলিশের কথা হচ্ছিল। সেনাবাহিনীর অফিসারের নাম ছিল ক্যাপ্টেন আশিক। তিনি পুলিশের কাছ থেকে সবকিছু শুনে শিক্ষার্থীদের কে বলেন, ওই রেপিস্টের অবশ্যই শাস্তি হবে। নিয়ম মেনে তার বিচার করা হবে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তাকে গণধোলাই দিতে চায়। পাশাপাশি তারা বলে একটি ভিডিও স্টেটমেন্ট দিতে। এরপর ক্যাপ্টেন আশিক এর বিরোধিতা করেন। তিনি চাইছিলেন, তারা যেন গণধোলাই না দেয় বরং আইনগতভাবে তার যেন বিচার হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তার বিরোধী ছিল। পরে এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে একজন খুব উচ্চবাচ্য করে এবং সেনাবাহিনীর ঐ অফিসারের সাথে রাগারাগি করে। জানা গেছে তার নাম ফারজানা সিথি। ক্যাপ্টেন আশিক তখন ধৈর্য্য সহকারে পরিস্থিতি সামাল দেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কথা বলা সেই মেয়েটি এত উগ্রভাবে কথা বলছিল যে তার সামনে ধৈর্য্য ধরে রাখা খুবই মুশকিল। কিন্তু ক্যাপ্টেন আশিক খুব ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। পরে এই ঘটনায় সেনাবাহিনীর প্রধান তার প্রশংসা করে। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে এখন তোলপাড় হচ্ছে। মেয়েটির অনেক সমালোচনা এবং ক্যাপ্টেন আশিকের প্রশংসা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এরকম ভূমিকার জন্য দেশের মানুষের সেনাবাহিনীতে আস্থা বাড়ছে। ভবিষ্যতের দেশ আরো এগিয়ে যাবে এই আশা সবার।