৫ মে ২০১৩ তারিখে ঢাকার মতিঝিলে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় , যারা একটি ইসলামপন্থী অ্যাডভোকেসি গ্রুপ। ব্লাসফেমি আইন প্রণয়ন এবং অন্যান্য ধর্মীয় সংস্কারের দাবিতে এই সমাবেশের উদ্দেশ্য ছিল। একপর্যায়ে সমাবেশটি হিংসাত্মক হয়ে ওঠে, যার ফলে মতিঝিল এলাকায় ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ও ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হয়। ৫ মে সমাবেশে হেফাজতে ইসলাম ১৩ দফা দাবি তালিকা পেশ করে। মূল দাবি অন্তর্ভুক্ত:
- ইসলাম অবমাননাকারীদের মৃত্যুদন্ড সহ একটি ব্লাসফেমি বিরোধী আইন প্রণয়ন।
- ব্লগার এবং অন্যদের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি যারা "ইসলামকে অবমাননা করে।"
- জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি বাতিল করা, যা তারা বিশ্বাস করেছিল যে ইসলামী নীতির পরিপন্থী।
- প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের মিলন নিষিদ্ধ।
- পাবলিক প্লেসে ভাস্কর্য নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা।
- আহমদীদের অমুসলিম ঘোষণা।
- শিক্ষামূলক পাঠ্যক্রম থেকে ধর্মনিরপেক্ষ বিষয়বস্তু অপসারণ।
- ইসলামিক স্কলার ও মাদ্রাসা ছাত্রদের উপর অত্যাচারের অবসান হোক।
- আটক ইসলামী নেতাকর্মীদের মুক্তি।
- সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠা।
- তারা অনৈসলামিক মনে করে এমন সব ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা।
- জীবনের সর্বক্ষেত্রে ইসলামী আইনের প্রয়োগ।
- কেউ যাতে ইসলাম বা এর অনুসারীদের সমালোচনা করতে না পারে তা নিশ্চিত করে ধর্মীয় অনুভূতির সুরক্ষা।
এই দাবিগুলো বাংলাদেশে আরও রক্ষণশীল ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য হেফাজতে ইসলামের বৃহত্তর লক্ষ্যকে প্রতিফলিত করে।