ছেলে ও মা কৌতুক

সুন্নতে খাৎনার দাওয়াত
পল্টুর সুন্নতে খাৎনা করানো হবে। পল্টুর মা তাকে বুঝিয়ে বলছে-
মা : বাবু তোমার এখান থে?

সুন্নতে খাৎনার দাওয়াত

পল্টুর সুন্নতে খাৎনা করানো হবে। পল্টুর মা তাকে বুঝিয়ে বলছে-

মা : বাবু তোমার এখান থেকে সামনের একটু মাংস কেটে ফেলা হবে। তারপর চাচ্চু, খালামনি, দাদু, নানু সবাইকে দাওয়াত দিয়ে পোলাও-মাংস খাওয়ানো হবে। অনেক মজা হবে, তাই না?

পল্টু : ওইটুকু মাংস এতোগুলা মানুষ খাবে কীভাবে?

 

>পাশের বাড়ির আপুর সঙ্গে

 

ছেলে : মা মা, আজকে কি ঈদ?

মা : না তো, কেনো কী হইছে?

ছেলে : না মানে।

মা : আরে বল, কী হইছে?

ছেলে : ভাইয়াকে দেখলাম পাশের বাড়ির আপুর সঙ্গে কোলাকুলি করছে।

মা : কী বললি?

 

>তুই যে আমার পোলা

 

বাচ্চা তার মাকে জিজ্ঞেস করলো- 

বাচ্চা : আম্মা আমি কিভাবে হইছিলাম?

মা : আমি একটা পাতিলে মাটি ভরে রেখে দিছিলাম। কিছুদিন পর ওইখানে তোমারে পাইছি!

এ কথা শুনে বাচ্চাটিও একটি পাতিলে মাটি ভরে রেখে বাড়ির পেছনে রেখে এলো। কিছুদিন পর গিয়ে দেখলো তার রাখা মাটির পাতিলে একটা ব্যাঙ বসে আছে।

বাচ্চা : মনে তো চাইতাছে তোরে গুলি কইরা দেই। কিন্তু কী করমু? তুই যে আমার পোলা।

 

>বসে বসে খাচ্ছিস

 

মা : কি রে, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভাত খাচ্ছিস কেন?

পল্টু : এখন থেকে এভাবেই খাবো!

মা : কেন রে?

পল্টু : আর কত অপমান সহ্য করবো? বাবা রোজই বলে বসে বসে খাচ্ছিস।

 

>ঘর-সংসার নেই

 

মা তার বান্ধবীদের সঙ্গে বসে গল্প করছিল। ড্রইং রুমে ঢুকে ছেলে কানে কানে কী যেন বলতে চাইল। মা খুব বিরক্তি নিয়ে বললেন. . .

মা : বাবু তোকে না বলেছি, কানে কানে কোন কথা বলবি না। যা বলার এমনি বল।

ছেলে : বাবা জানতে চেয়েছেন তোমার বান্ধবীগুলোর কি ঘর-সংসার নেই? সেই সকাল থেকে আড্ডা মারছে, ওঠার নামই নিচ্ছে না।

 

>এতটুকু ব্যথায় কিছু হয়?

 

মা দেখলো ছেলে গাল চেপে ধরে কাঁদছে– 

মা : কিরে কাঁদছিস কেন?

ছেলে : বাবা দেয়ালে পেরেক মারতে গিয়ে আঙুলে ব্যথা পেয়েছে।

মা : তো এতে কাঁদার কী আছে? বাবা বড় মানুষ না, এতটুকু ব্যথায় তার কিছু হয়?

ছেলে : আমি তো প্রথমে হেসেছিলাম, সে জন্যই তো বাবা আমাকে…

 

>বউয়ের জীবনে সবচেয়ে সুখের দিন

 

মায়ের সঙ্গে বিয়ে দেখতে গেছে বল্টু। বিয়ে দেখতে দেখতে বউয়ের দিকে তাকিয়ে বল্টু তার মাকে জিজ্ঞেস করলো-

বল্টু : আচ্ছা মা, বউ সাদা পোশাক পরে বসে আছে কেন?

মা : সাদা পোশাক হচ্ছে সুখের প্রতীক। আজ বউয়ের জীবনে সবচেয়ে সুখের দিন, তাই সে সাদা পোশাক পরেছে।

বল্টু : হুমম বুঝলাম। কিন্তু বর কেন কালো পোশাক পরেছে?

 

>খারাপ ছেলেদের সঙ্গে চলাফেরা

 

একদিন এক ছেলে তার পড়ার কক্ষে বসে জোরে জোরে কবিতা আবৃত্তি করছে. . .

‘থাকব নাকো বদ্ধ ঘরে দেখবো এবার জগতটাকে।’

কবিতা শুনে রান্নাঘর থেকে তার মা এসে বললো. . .

মা : কিরে ছনেট, এসব কি আবোল-তাবোল বলছিস?

ছেলে : না মা, এসব আমার কথা নয়; নজরুলের কথা। 

মা : তোকে কতদিন বলেছি, ওইসব খারাপ ছেলেদের সঙ্গে চলাফেরা করবি না।

 

>লোভ সামলাতে পারে না

 

রবিউলের ছেলে রাতে ঘরে বসে স্কুলের পড়া তৈরি করছে. . 

ছেলে : অ-তে অজগরটি আসছে তেড়ে। আ-তে আমটি আমি খাবো পেড়ে। 

মা : ছেলেটা পুরো তার বাপের মতো হইছে। দেখছে অজগর আসছে। তারপরও আম খাওয়ার লোভ সামলাতে পারে না।

 

>বউ তো মরে গেছে

 

ছেলে বিদেশ থেকে এসে তার মাকে জিজ্ঞেস করল. . .

ছেলে : মা, আমার বউ কোথায়?

মা : তোর বউ তো মরে গেছে!

ছেলে : আমাকে এতোদিন বলনি কেন?

মা : ভাবছি তোমাকে ‘সারপ্রাইজ’ দেব!

 

>পিটানোর জন্য না

 

পল্টুর বদ স্বভাব সোফায় শুয়ে থাকা। ওদিকে পল্টুর ক্যাটক্যাটে স্বভাবের মা বিষয়টি সহ্যই করতে পারে না। আজ আবারও সোফায় শুয়ে ছিল সে। মা আর পারলো না, হাতে স্যান্ডেল নিয়ে ছুটে গেল ছেলের দিকে। 

মা: বজ্জাত ছেলে কোথাকার! এতবার বলি, তারপরেও সোফায় শুয়ে থাকিস। আজ জুতিয়ে তোকে সিধা করবো...

পল্টু: মা! মা! আর হবে না এমন... এবারের মতো...

মা: আর হবে না কেন? তুই আবার করবি এই কাজ! সোফা হচ্ছে বসার জন্য, এটা তো শোয়ার জন্য না....

পল্টু: মা, স্যান্ডেলও তো পায়ে দেওয়ার জন্য, ছেলেকে পিটানোর জন্য না...

 

>বাবাও তাই করেছিল...

 

ছেলেটা খুব লাজুক হয়েছে। নতুন লোকজনের সামনে জড়তা কাটে না তার। এমন অবস্থা দূর করতে মা নানান চেষ্টা করেন। সেদিন বাসায় নতুন টিউটর যোগ দিয়েছেন।

ছেলে গুঁটিসুটি হয়ে রয়েছে। পরদিন মা বিশেষ একটা কৌশল খাটালেন। ছেলেকে আদুরে গলায় বললেন: বাবা আমার, যাও তো দেখি এক দৌড়ে তোমার নতুন মিসকে একটা চুমু দিয়ে আস। 

ছেলে গম্ভীর চেহারায় উত্তর দিল, হুঁ! অমন করি আর বাবার মতো চড় খাই আর কি! 

মা: মানে?

ছেলে: গতকাল বাবাও তাই করেছিল! আর সঙ্গে সঙ্গে মিস...

 

>এখন মনে পড়ছে না

 

স্কুলের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান থেকে ফিরে ছেলে মাকে বলছে-

ছেলে : মা, এবার আমি স্কুলে দুটা পুরস্কার পেয়েছি।

মা : কী কী বাবা?

ছেলে : একটা পেয়েছি স্মরণশক্তির জন্য, আরেকটা… এখন মনে পড়ছে না।

 

>মেয়ের চক্করে পড়েছিস

 

ছেলে : মা, লাভ ম্যারেজ করলে বাড়ির লোকেরা অমত করে কেন?

মা : মানে? তুই নিশ্চয়ই কোনো মেয়ের চক্করে পড়েছিস। আর এই কথাগুলো ওই ডাইনিটাই তোকে বলেছে তাই না?ডাইনিগুলো তো সবসময় ছেলে ফাঁসানোর জন্যে লেগে থাকে। একটা ভালো ছেলে দেখলেই হয়েছে। বাবা, তুই এদের থেকে সাবধানে থাকিস। এই মেয়েগুলো খুব বাজে আর বেহায়া হয়।

ছেলে : ওফ... তুমি থামো মা। এরকম কোনো ব্যাপার নেই। বাবা বলছিল যে তোমাদের দু’জনের না কি লাভ ম্যারেজ হয়েছিল।


Bablu islam

204 Blog posts

Comments