মাতাল আর সাপের মধ্যে মিল!
বস: বল দেখি, মাতাল আর সাপের মধ্যে মিল কোথায়?
পিন্টু: স্যার, দিনভর দু’জনে যতই এঁকেবেঁকে চলুক না কেন- ঘরে ফেরার বেলায় নিজের বাড়ি ঠিকই চিনে নেয়।
>পিস্তলটা লুকাইয়া রাখছিলাম
এক ব্যাংকে ডাকাতি হয়েছে। এরপর ব্যাংক ম্যানেজার বললেন-
ম্যানেজার : টাকা-পয়সা ডাকাতে নিলো কিভাবে? তোমার কাছে পিস্তল ছিলো না।
গার্ড : স্যার, পিস্তলটা নিতে পারে নাই।
ম্যানেজার : কেন?
গার্ড : স্যার, আমি বুদ্ধি কইরা পিস্তলটা আমার মোজার ভেতরে লুকাইয়া রাখছিলাম।
>অফিসে এসেছ কেন?
বস : এই, তুমি আবার অফিসে এসেছ কেন? তোমার চাকরি তো গতকালই চলে গেছে!
চাকরিচ্যুত কর্মচারী : জানি স্যার। সে জন্যই আমি আজ ওই শূন্যপদে যোগ দিতে এসেছি!
>সপরিবারে দাওয়াত আছে
মালিক : আমাদের দোকানে যে পচা ডিমগুলো ছিলো, সেগুলো কে কিনলো?
কর্মচারী : লিয়াকত সাহেব।
মালিক : গত বছরের পাঁচ কেজি আটা?
কর্মচারী : লিয়াকত সাহেব।
মালিক : আর মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া সেমাইগুলো?
কর্মচারী : লিয়াকত সাহেবই সব নিয়ে গেছেন।
মালিক : বলিস কি? তার বাসায় আজ আমার সপরিবারে দাওয়াত আছে।
>চুল কাটাতে গিয়েছিলাম
বস : কি ব্যাপার! আপনি এতক্ষণ কোথায় ছিলেন ?
স্টাফ : চুল কাটাতে গিয়েছিলাম
বস : ( একটু রেগে ) কি! আপনি অফিস টাইমএ চুল কাটাতে গিয়েছিলেন?
স্টাফ : তাতে কি হয়েছে ... চুলটাও তো অফিস টাইমএ বড়ো হয়েছিলো
বস : সেটা তো বাড়ি থাকা কালীনও বড়ো হয়েছে
স্টাফ : তাই বলেই তো একেবারেই টাকলু হয়ে যাইনি .. যতোটুকু অফিসে বড়ো হয়েছিলো ততোটুকু কেটেছি!
>আমি গ্ল্যামারের দিকে নজর রেখেছিলাম
বস : কেমন টাইপিস্ট নিয়েছেন? সে সুন্দরী তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু প্রতিটি লাইনে এক গন্ডা ভুল। আপনাকে বলেছিলাম না, টাইপিস্ট নেবার সময় গ্রামারের দিকে নজর রাখবেন?
ম্যানেজার : শুনতে ভুল হয়েছিল স্যার। গ্রামার নয় আমি গ্ল্যামারের দিকে নজর রেখেছিলাম!
ওহ! স্যার আপনি?
অফিসে কাজে গাফিলতির কারণে বড় কর্তা বেশ রেগে আছেন মোকলেসের ওপর।
বড়কর্তা মোকলেসকে ডেকে বললেন সব কাজই নষ্ট করে ফেলেছেন আপনি। এই অফিসে একটা গাধা আছে, আপনি জানেন?
মোকলেস বড় কর্তার অগ্নিমূর্তি দেখে মাথা নিচু করে জবাব দিল জ্বি না, স্যার।
বড়কর্তা : নিচে কী দেখছেন? আমার দিকে তাকান।
মোকলেস : ওহ! স্যার, আপনি? আপনাকে তো রোজ দেখি।
>মাতাল আর সাপের মধ্যে মিল
বস: বল দেখি মাতাল আর সাপের মধ্যে মিল কোথায়?
মন্টুর বাপ: স্যার, দিনভর দুইজনে যতই এঁকেবেঁকে চলুক না কেন- ঘরে ফেরার বেলায় নিজের বাড়ি ঠিকই চিনে নেয়।
>স্ত্রীরা খুব সুখী
বস: অফিসে যেসব পুরুষ অধিক সময় কাটায়, হামেশা ওভারটাইম করে তারা আসলে খুব পরিশ্রমী। এদের স্ত্রীরা খুব সুখী...
মন্টুর বাপ: না স্যার! আসল কারণ হইলো- হয় বাড়িতে এরা সারাক্ষণ বউয়ের নির্যাতনের শিকার নয়তো অফিসে অন্য কারো আকর্ষণের শিকার...
>খালি অটো পেলাম না
মালিক আর চাকরের মধ্যে কথা হচ্ছে-
মালিক : যাও, রাস্তা থেকে একটা খালি অটো নিয়ে এসো।
চাকর অটো আনতে গিয়ে তিন ঘণ্টা পরে ফিরে এলো-
মালিক : একটা খালি অটো আনতে গিয়ে তিন ঘণ্টা লাগালে?
চাকর : কী করব? তিন ঘণ্টায়ও একটা খালি অটো পেলাম না।
মালিক : কী, তিন ঘ্ণ্টায়ও একটা খালি অটো পেলে না। কারণ কী?
চাকর : কারণ প্রতিটি অটোতে একজন করে ড্রাইভার ছিল!
>অফিসের বড়কর্তার কাণ্ড
অফিসের নতুন বড়কর্তা কাজের ব্যাপারে খুব কড়া। কাউকে একবিন্দু ছাড় দেন না। চাকরির প্রথম সপ্তাহেই একদিন ক্ষেপে গেলেন তিনি। রেগেমেগে রুম থেকে বের হয়েই এক লোককে পাকড়াও করলেন। অফিসের সবার সামনে চিৎকার করে বললেন-
বড়কর্তা : তুমি সপ্তাহে কত টাকা মাইনে পাও, শুনি?
লোক : ৩ হাজার টাকা।
বড়কর্তা তার মুখের ওপর ৩ হাজার টাকা ছুড়ে দিয়ে বললেন-
বড়কর্তা : এই নাও তোমার এ সপ্তাহের মাইনে, আর বেরিয়ে যাও।
লোকটি বের হয়ে যাওয়ার পর বড়কর্তা বললেন-
বড়কর্তা : প্রয়োজন হলে এভাবেই অফিসের প্রত্যেককে বের করে দেব আমি। যা হোক, ওই লোকটা আমাদের অফিসে কী কাজ করে?
কর্মচারী : স্যার, ও আমাদের এখানে পিৎজা ডেলিভারি দেয়।
>আপনার স্ত্রী সন্দেহের চোখে দেখে
এক মহিলা সেক্রেটারি অফিসে গিয়ে তার বসকে বলছে-
সেক্রেটারি : স্যার, আপনার স্ত্রী সবসময় আমাকে সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখে। কারণ কী?
বস : কারণ তোমার আগে সে আমার সেক্রেটারি ছিলো, তাই।
>দু’টো চাবিই দিয়েছিলাম
ম্যানেজার : তুমি নাকি আলমারির চাবি আবারও হারিয়েছ?
কেরানি : জ্বি স্যার।