কোন পাখি উড়তে পারে না?
শিক্ষক: লাল্টু, বল কোন পাখি উড়তে পারে না?
লাল্টু: মরা পাখি স্যার?
শিক্ষক: এটা কোনো পাখির নাম হলো?
লাল্টু: মানে মৃত, স্যার। মারা যাওয়ার পর কোনো পাখিই উড়তে পারে না, জানেন তো!
>ভবিষ্যত কাল কী হবে?
শিক্ষক: আমি তোমাকে থাপ্পর মারলাম- এর ভবিষ্যত কাল কী হবে? মন্টু বল?
মন্টু: স্যার, বিকালে বাড়ি ফেরার সময়ে আপনার মোটরসাইকেলের চাকা পাংচার পাবেন...
>দুনিয়ায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত
শিক্ষক: দুনিয়ায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত কোথায় হয়?
ছাত্র: খুবই সহজ উত্তর, স্যার!
শিক্ষক: জানলে বল তাড়াতাড়ি!
ছাত্র: মাটিতে, স্যার!
শিক্ষক: অ্যাঁ...
>পতিদেব মানে কী?
শিক্ষক : বলো তো, পতিদেব মানে কী?
ছাত্র : যিনি অমৃত পান করেন তিনি হলেন দেব। যিনি বিষ খেয়ে হজম করেন তিনি মহাদেব। আর যে প্রাণি বিষ গিলেও অমৃতপানের মুখভঙ্গি করে রাখে সে হচ্ছে পতিদেব!
>আমি তো ইতালি
স্যার :এবার বিশ্বকাপে কে কোন টিম সাপোর্ট করছিস রে?
পল্টু :আমি আর্জেন্টিনা।
কেল্টু :আমি ব্রাজিল।
স্যার :কীরে বিল্টু ক্লাসে ঘুমাচ্ছিস কেন?
বিল্টু (চোখ ডলতে ডলতে) :আমি তো ইতালি। তাই রেস্টে আছি।
>কে করলো এই কাণ্ড?
শিক্ষক: যে আমার এবারকার প্রশ্নের জবাব দিতে পারবে তার ছুটি- সে এক্ষুনি বাসায় চলে যাবে...
শিক্ষকের কথা শেষে হওয়ার আগেই এক ছাত্র তার পানির বোতল জানালা দিয়ে বাইরে ছুঁড়ে মারলো। পুরো ক্লাস স্তব্ধ ঘটনার আকস্মিকতায়।
শিক্ষক: কে! কে করলো এই কাণ্ড?!
মন্টু: আমি, স্যার। ধন্যবাদ আপনাকে- আমি এখনই বাসায় যাচ্ছি।
কথা শেষ করে স্কুলব্যাগ নিয়ে স্মার্টলি ক্লাস থেকে বের হয়ে গেল মন্টু। ছাত্র-শিক্ষক সবাই মুখ হাঁ হয়ে তাকিয়ে রইলো তার গমন পথে।
>লাল শাড়ি পরে কেন?
শিক্ষক : বলো তো, মেয়েরা বিয়ের সময় লাল শাড়ি পরে কেন?
পল্টু : নির্ভয়ে বলবো স্যার?
শিক্ষক : হুম, বলতে পারো।
পল্টু : সংসারে ঢোকার আগে এক নম্বর বিপদ সংকেত জানিয়ে দেওয়ার জন্য।
>অলসদের জন্য বিশাল অফার
শিক্ষক ছাত্রদের উদ্দেশে বললেন...
শিক্ষক : আমি ঠিক করেছি, তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে অলস যে, তাকে পড়া দিতে হবে না।
ছাত্র : আমাদের এখন কী করতে হবে স্যার?
শিক্ষক : যারা অলস তাদের হাত তুলতে হবে।
এ কথা বলার পর ৪৯ জন ছাত্র হাত তুললো। কিন্তু একজন হাত তুললো না। স্যার হাত না তোলা ছাত্রকে জিজ্ঞেস করলেন...
শিক্ষক : তুমি হাত তুলছো না কেন?
ছাত্র : স্যার, হাত তুলতেও কষ্ট হয়।
>পলিকে মা হতে সাহায্য করবো
শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে কথোপকথন-
শিক্ষক : তোমরা বড় হয়ে কে কী হবে?
মিঠু : আমি ডাক্তার হতে চাই।
তপু : আমি পাইলট হতে চাই।
পলি : আমি আদর্শবান মা হতে চাই।
বল্টু : আমি পলিকে মা হতে সাহায্য করতে চাই
>করলেও বিপদ না করলেও বিপদ
শিক্ষক : কিরে মকবুল, ইদানিং নাকি তুই জ্ঞানী লোকদের মতো কথাবার্তা বলিস। তা আমার একটা প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবি?
মকবুল : বলেন স্যার, চেষ্টা করে দেখি!
শিক্ষক : এমন একটা সমস্যার কথা বল তো, যা করলেও বিপদ না করলেও বিপদ?
মকবুল : লুঙ্গিতে আগুন লাগলে!
শিক্ষক : মানে?
বল্টু : স্যার, লুঙ্গিতে আগুন লাগলে লুঙ্গি খুললেও বিপদ না খুললেও বিপদ।
শিক্ষক : ফাইজলামি করোস?
মকবুল : বিশ্বাস না করলে আপনার লুঙ্গিতে আগুন লাগাইয়া দেখেন।
>শিক্ষক বেশি বুদ্ধিমান না ছাত্র?
একবার লাভলুর ক্লাসে এক নতুন শিক্ষক এলো-
শিক্ষক : বল তো, শিক্ষক বেশি বুদ্ধিমান না ছাত্র?
লাভলু : ছাত্র, স্যার।
শিক্ষক : কিভাবে?
লাভলু : একেক জন শিক্ষক একেকটা বিষয় পড়ায়। আর একজন ছাত্র সব বিষয় পড়ে।
>তোর আবার গার্লফ্রেন্ডটা কে?
দুই ছাত্র শ্রেণিকক্ষে মারামারি করছে-
শিক্ষক : এই তোরা মারামারি করছিস কেন?
১ম ছাত্র : স্যার, আপনাকে বলবো না।
শিক্ষক : কেন বলবি না? না বললে দু’জনকেই শাস্তি দেবো।
১ম ছাত্র : ও আমার গার্লফ্রেন্ডকে আই লাভ ইউ বলেছে।
শিক্ষক : তোর আবার গার্লফ্রেন্ডটা কে?
১ম ছাত্র : আপনার মেয়ে।
শিক্ষক : থামলি কেন? আরও মার।
>প্রশ্নপত্র আমার বাবার প্রেসে ছাপাবেন
মন্টু পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার পর প্রধান শিক্ষক খুশি হয়ে বললেন-
শিক্ষক : খুব ভালো। আশা করি তুমি ভবিষ্যতেও এমন রেজাল্ট করবে।
মন্টু : ধন্যবাদ স্যার, আমিও আশা করি আপনি ভবিষ্যতেও প্রশ্নপত্র আমার বাবার প্রিন্টিং প্রেসে ছাপাবেন।
>পায়ে হেঁটে পড়াতে আসেন কেন
গৃহশিক্ষক : আমার সঙ্গে সঙ্গে বলো, ‘লেখাপড়া করে যে গাড়ি-ঘোড়া চড়ে সে’।
ছাত্র : স্যার, এই কথাটা ঠিক না।