ক্রেতা-বিক্রেতা কৌতুক

>প্যান্টের দাম কত?

প্যান্টের দাম কত?

বল্টু গেল ঈদের শপিং করতে অথচ পকেটে কোনো পয়সাকড়ি নেই। তবু বল্টু শপিঙ মলে হাটছে আর কাপড়, ?

বল্টু গেল ঈদের শপিং করতে অথচ পকেটে কোনো পয়সাকড়ি নেই। তবু বল্টু শপিঙ মলে হাটছে আর কাপড়, জুটো, প্যান্ট দেখছে

হঠাৎ একটা জিন্সের প্যান্ট দেখে বল্টুর খুব ভালো লাগলো। লোভ সামলাতে পারলনা সে।

বল্টু: এই জিন্স প্যান্টের দাম কত?

দোকানদার: ১,০০০ টাকা।

বল্টু: ৩০০ টাকা হবে ভাই?

দোকানদার: কি যে বলেন, না এতে হবে না।

বল্টু: তাহলে ৩২০ টাকা রাখবেন?

দোকানদার: না

একদাম ৭০০ টাকা নিবেন?

বল্টু: না, আমি ৪২০ দিবো

দোকানদার: শেষ দাম ৫০০ হলে নিয়ে যান।

বল্টু: না ভাই, শেষ দাম ৪৫০ হলে বলেন, নাহলে আমি যাই।

দোকানদার: আচ্ছা নিয়া যান।

বল্টু শার্ট হাতে নিয়ে দিল এক দৌড়

দোকানদার: (চিৎকার করে) কিরে, শার্ট যখন চুরিই করবি তাহলে এতক্ষণ দামাদামি করলি কেন?

বল্টু: (দৌড়াতে দৌড়াতে) আরে, দামাদামি না করলে তোমার ১,০০০ টাকা লস হত, এখন ৪৫০ টাকা লস হইছে।

 

>পচা আম দুই কেজি

 

মাতাল : দোকানে যতো পচা আম আছে, সব প্যাক করুন।

দোকানদার : সে কী! এতো পচা আম নিয়ে করবেনটা কি!

মাতাল : আপনি সব পচা আম প্যাক করবেন, নাকি অন্য দোকানে যাব?

দোকানদার : সরি, এখনি রেডি করছি। এই নিন, সব পচা আম মিলিয়ে দুই কেজি হয়েছে।

মাতাল : এবার ওই আমগুলো সাইডে রেখে আমাকে বাকি আমগুলো থেকে এক কেজি আম প্যাক করে দিন।

 

>ওদের কি জ্ঞান ফিরেছে?

 

লালু সবজি কিনতে বাজারে গেছে। গিয়ে দেখে সবজিওয়ালা সবজির ওপর পানি ছিটাচ্ছে। তা দেখে লালু কিছুক্ষণ চুপ করে দাঁড়িয়ে রইল। একটু পরে বলল. . .

লালু : ওদের কি জ্ঞান ফিরেছে?

দোকানদার : কেন?

লালু : জ্ঞান ফিরলে ওখান থেকে এক কেজি দিয়েন তো।

 

>আলাদা আলাদা প্যাকেটে দেন

 

আবুল মিয়া ফলের দোকানদার। একদিন তার দোকানে এলেন এক অদ্ভুত ক্রেতা. . .

ক্রেতা : আমাকে এক কেজি আপেল দিন তো। প্রতিটা আপেল আলাদা আলাদা প্যাকেটে দেন।

আবুল : এই নিন।

ক্রেতা : হুম, এবার আমাকে এক কেজি আম দিন। এ ক্ষেত্রেও প্রতিটা আম ভিন্ন ভিন্ন ঠোঙায় দেবেন।

আবুল : দিলাম। আর কিছু?

ক্রেতা তখন দেখছিলেন আবুল মিয়ার দোকানে আর কী কী আছে। আবুল দ্রুত দুই হাতে আঙুরগুলো আড়াল করে বললেন. . .

আবুল : ভাই, আমি আঙুর বিক্রি করি না!

 

>তলে তলে এই কাজ

 

মাছ বিক্রেতা ও ক্রেতার মধ্যে কথোপকথন-

ক্রেতা : ভাই, মাছটার পেটে ডিম নাই তো?

বিক্রেতা : না ভাই, নাই।

ক্রেতা : একটু পেটটা কেটে দেখান তো।

মাছ কাটার পর দেখা গেল পেটে ডিম আছে-

ক্রেতা : কী ভাই, ডিম তো আছে!

বিক্রেতা : তুমি তাইলে তলে তলে এই কাজ করছো?

 

>এটা কিছুই পারে না

 

এক লোক দোকানে দেখল তিনটি তোতা পাখি রাখা আছে বিক্রির জন্য। সে দাম জানতে গিয়ে অবাক হল যে, তিনটির দামই চড়া! তখন তোতা পাখির মালিক বলল. . .

মালিক : প্রথম পাখিটি ‘এমএস ওয়ার্ড’ পারে, তাই দাম দশ হাজার টাকা। দ্বিতীয়টি বিশ হাজার টাকা, কারণ সে ‘প্রোগ্রামার’!

লোক : তা বুঝলাম! কিন্তু তৃতীয়টির দাম পঞ্চাম হাজার কেন?

মালিক : স্যার, সত্যিকারে এটা কিছুই পারে না, কিন্তু বাকি দুইটি এটাকে বস ডাকে তাই!

 

>কয় টাকার বিষ লাগবে

 

পল্টু গেছে দোকানে বিষ কিনতে।

দোকানদার : ভাই, বিষ দিয়া কী করবেন?

পল্টু : আত্মহত্যা করব।

দোকানদার : ক্যান ভাই?

পল্টু : কিছু কিছু জিনিস আছে, যা কাউকে বোঝানো যায় না।

দোকানদার : মানে?

পল্টু : আজ সকালে আমি গরুর দুধ দোহাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে গরুটা বাম পা দিয়ে লাথি মারতে লাগল। আমি বাধ্য হয়ে বাঁশের সাথে বাম পা বেঁধে রাখলাম। এরপর গরুটা ডান পা দিয়ে লাথি মারা শুরু করল। আমি এবার গরুর ডান পা ও বাঁশের সাথে শক্ত করে বাঁধলাম। অবশেষে লেজ দিয়ে বাড়ি মারতে লাগল। ভাবলাম লেজটাও বেঁধে রাখি। কিন্তু লেজ বাঁধার জন্য কিছু পেলাম না। শেষমেষ নিজের বেল্ট খুলে বাঁধতে লাগলাম। বেল্ট খোলার কারণে আমার প্যান্ট হঠাৎ করে খুলে গেল। এমন সময় আমার বউ গোয়ালে এসে আমাকে ওই অবস্থায় দেখলো। এখন আপনিই বলেন, আমি আমার বউকে কী করে তা বোঝাব? বউ আমাকে ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে গেছে। এ জীবন আমি আর রাখতে চাই না।

দোকানদার : ভাই, কয় টাকার বিষ লাগবে?

 

>চুষে আবার রেখে দেই

 

এক দোকানদার বাড়িতে খেতে গেছে। তার ছোট্ট মেয়েটি দোকান পাহারা দিচ্ছে। এমন সময় এক খদ্দের এলো-

খদ্দের : এই যে খুকি, এখানে যে এতো লজেন্স আছে- তোমার খেতে ইচ্ছা করে না?

মেয়ে : খেতে তো ইচ্ছা করে, কিন্তু গুনতিতে কম হলে বাবা বকবে।

খদ্দের : তার মানে তুমি চুরি করে লজেন্স খাওনা তাই তো?

মেয়ে : না খাই, তবে গুনতিতে যাতে কম না হয়, তাই চুষে আবার রেখে দেই।

 

>ফর্সা করার ক্রিম আছে

 

একটি বাচ্চা এসে দোকানদারকে বলল-

বাচ্চা : ফর্সা করার ক্রিম আছে?

দোকানদার : হ্যাঁ, আছে!

বাচ্চা : তাইলে ব্যবহার করিস না কেন, শালা? প্রতিদিন তোরে দেইখা ভয় পাইয়া যাই!

 

>দামাদামি করে চুরি

 

বল্টু : এই শার্টটার দাম কত?

দোকানদার : ৭০০ টাকা।

বল্টু : ২০০ টাকায় হবে ভাই?

দোকানদার: কী যে বলেন, না এতে হবে না।

বল্টু : তাহলে ২২০ টাকা রাখবেন?

দোকানদার : না, একদাম ৫০০ টাকায় নিবেন?

বল্টু : না, আমি ৩০০ টাকা দেব।

দোকানদার : শেষ দাম ৪০০ হলে নিয়ে যান।

বল্টু : না ভাই, শেষ দাম ৩৫০ হলে বলেন, নাইলে আমি যাই।

দোকানদার : আচ্ছা নিয়া যান।

বল্টু শার্ট হাতে নিয়ে দিল এক দৌড়। দোকানদার ডেকে বললো-

দোকানদার : কিরে, শার্ট যখন চুরিই করবি তাহলে এতক্ষণ দামাদামি করলি কেন?

বল্টু : আরে, দামাদামি না করলে তোমার ৭০০ টাকা লস হতো, এখন ৩৫০ টাকা লস হইছে।

 

>মূর্খদের কাছে বিক্রি করি না

 

মদন : এই টিভিটার দাম কত?

দোকানদার : সরি, আমরা মূর্খদের কাছে কিছু বিক্রি করি না।

মদন একমাস পর ক্লিন শেভ আর চুলের স্টাইল করে এলো. . .

মদন : এই টিভিটার দাম কত?

দোকানদার : সরি, আমরা মূর্খদের কাছে কিছু বিক্রি করি না।

তারপর মদন একমাস পর এসে বলল. . .


Bablu islam

204 Blog posts

Comments