গার্লফ্রেন্ড যখন ইংলিশ টিচার

গার্লফ্রেন্ড যখন ইংলিশ টিচার হয় তখন ক্লাস করার মজাই আলাদা হয়ে যায়।

সামিয়া তাদের সামনে যাতেই সাহিদের ভাইয়া সাইম আহম্মেদ তাকে দেখে গাড়ি থেকে নেমে এসে বললোঃ এই মেয়ে তুমি সামিয়া না ? আর এদিকে কোথায় যাচ্ছো?

 

সামিয়াঃ হ্যাঁ ভাইয়া আমি সামিয়া আর আপনাদের কাছেই এসেছিলাম। 

 

সাইম আহম্মেদঃ আমাদের কাছে এসেছো? আর এতো দিন কোথায় ছিলে?(অবাক হয়ে)

 

আসলে সাহিদ কে যখন বাসা থেকে বের করে দিয়েছিলেন তখন সাহিদের কথা ভাবতে ভাবতে সাহিদের মা অসুস্থ হয়ে পড়ে। ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করতো না, কথা বলতো না। একসময় গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। ডাক্তার সাহিদের মাকে দেখে বলেনঃ রোগির প্যরালাইসিস হয়েছে। বেশি চিন্তা করার জন্য এই রকম হয়েছে। তবে বাহিরে নিয়ে গেলে হয়তোবা ঠিক হয়ে যেতে পারে। তবে আল্লাহ ভরসা।

 

ডাক্তারের কথা শুনে সবাই ভেঙ্গে পড়ে।সাইম আহম্মেদ ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করলোঃ ডাক্তার কোন দেশে নিয়ে গেলে আমার আম্মু কে সুস্থ ভাবে ফিরে পাবো?

 

ডাক্তারঃ সিঙ্গাপুরে নিয়ে যান। সেখানে প্যরালাইজড রোগিদের জন্য অনেক ভালো ভালো ডাক্তার রয়েছে।আর সেখানে আমার একটা বন্ধুও আছে। আপনারা যদি নিয়ে যেতে চান তাহলে আমি আমার বন্ধুকে বলতেছি।

 

সাইম আহম্মেদ ও আমজাদ চৌধুরী হ্যাঁ সম্মতি দিয়ে বললেনঃ আপনি ব্যবস্থা করুন প্লিজ।

 

ডাক্তারঃ ঠিক আছে।

 

এরপরে সাহিদের মাকে নিয়ে সাহিদের সপরিবারে মানে সাহিদের ভাইয়া,ভাবি আর আব্বু তার মায়ের চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমান।

 

সেখানে প্রায় সাত মাস থাকার পরে সাহিদের আম্মু মোটামুটি সুস্থতা লাভ করে। তারপরে তাকে নিয়ে নিয়ে সপরিবারে সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশে চলে আসে।আর সিঙ্গাপুরে থাকা অবস্থায় সাইম আহম্মেদ অথবা তার আব্বু আমজাদ চৌধুরী মাঝে মাঝেই দেশে আসতেন নিজেদের বিজনেস দেখা শুনা করার জন্য। ফ্রি টাইমে আবার সিঙ্গাপুর যেতেন।

 

আর কলেজে সামিয়া যেদিন সাহিদকে ভুল বুঝে চরিত্রহীন উপাধি দিয়েছিলো সেদিন সাহিদ সামিয়ার কাছ থেকে চলে যায়।সাহিদ তার কাছ থেকে চলে যাওয়ার পরে সামিয়া বাসায় এসে কান্না শুরু করে। শুধু কান্নায় করে। একদিন কেটে যাওয়ার পরেও সামিয়া কিছুই খায়না। শুধু রুমে বসে থেকে সাহিদের একটা ছবি বুকে নিয়ে কান্না করতে থাকে। একমাত্র মেয়ের এমন বিহেব দেখে সামিয়ার মা- বাবা সিদ্ধান্ত নেয় যে, মেয়েকে নিয়ে তারা তার নানুর বাড়ী সিলেটে যায়। তারপরে তারা সিলেটে যায় আর সেখানেই বেশ কয়েক দিন থাকে।

 

সিলেটে সামিয়া স্বাভাবিক ভাবেই ছিলো। তাকে নিয়ে তার মা বাবা আবার রাজশাহী আসে। সামিয়া বাসায় এসে সাহিদের বাসার সামনে যায়ে দেখে তাদের বাসায় তালা দেওয়া। সামিয়া আর জানতো না সাহিদের পরিবার সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমিয়েছে।

 

এর কয়েক দিন পরে সামিয়ার বাবা ট্রান্সফার হয়ে চট্টগ্রামে আসেন। সামিয়ার বাবা একজন সরকারি ডাক্তার। চট্টগ্রামে তার পরিবারকে নিয়ে থাকতে শুরু করেন। যার ফলে সামিয়ার সঙ্গে আর সাহিদের পরিবারের কারোর দেখা হয়নি। সামিয়ার কলেজে চাকরি হওয়ার আগে সামিয়ার বাবা আবার রাজশাহীতে ট্রান্সফার হয়ে আসেন। রাজশাহীতে এসে সামিয়া জানতে পারে যে সাহিদের পরিবার এখানে থাকে কিন্তু সাহিদ থাকে না। 

 

তবে সামিয়া আর সাহিদের কোনো খোঁজখবর নেয়নি।কারণ,সাহিদের প্রতি সামিয়ার একটা ঘৃণা তৈরি হয়েছিলো।

 

যাইহোক এবার বর্তমানে আসি,,,

 

সামিয়াঃ আসলে ভাইয়া বাবার ট্রান্সফারের জন্য আমরা চট্টগ্রামে ছিলাম।

 

সাইম আহম্মেদঃ ওহহহ তো আমাদের কা,,

 

সাইম আহম্মেদের কথা শেষ না হতেই আমজাদ চৌধুরী বললঃ আরে সামিয়া মা যে কেমন আছো?

 

সামিয়াঃ আলহামদুলিল্লাহ। আপনি কেমন আছেন আংকেল?

 

আমজাদ চৌধুরীঃ আলহামদুলিল্লাহ। তো কোথায় যাচ্ছো?

 

সামিয়াঃ আপনাদের বাসায় এসেছিলাম।

 

আমজাদ চৌধুরীঃ কি প্রয়োজন মা বলো?

 

সামিয়াঃ আসলে আংকেল সাহিদ কোথায় আছে বলতে পারবেন কি?

 

আমজাদ চৌধুরীঃ না মা আমরা জানি না। সেদিন বাসা থেকে বের করে দিয়েছিলাম আর দেখা হয়নি।কেন কি হয়েছে তুমি ঐ পাপিষ্ঠার কথা জিজ্ঞাসা করতেছো কেন?

 

যে তোমার বিশ্বাস, তোমার পবিত্র ভালোবাসার মর্যাদা দেয়নি তার কথা বলতেছো কেন?

 

সামিয়াঃ না আংকেল এমনি (সত্যটা বলা যাবে না)। আপনারা কোথায় যাচ্ছেন?

 

আমজাদ চৌধুরীঃ আসলে মা আমার বন্ধুর মেয়ের ব্রেন টিউমার হয়েছে। ডাক্তার বলেছেন বাঁচার সম্ভাবনা কম। তবে আজ রাতে অপারেশন করবে।এতে যদি ভালো হয় তাহলে হবে নইলে মারা যাবে।তাই আমরা দেখা করতে যাচ্ছি।ওহহ তুমি চিনো মনে হয়, রিপা ছিলো যে। যাকে আমার ছেলে রেপ করার চেষ্টা করেছিলো সে। তুমি যাবে কী আমাদের সাথে?

 

রিপার কথা শুনে সামিয়া যাওয়ার জন্য রাজি হয়।কারণ, সামিয়া এখন বুঝতে পারতেছে সাহিদ কোনো ভাবেই এই কাজ করেছিলো না । এর মধ্যে নিশ্চয় কোনো রহস্য আছে।আর এই ব্যপারটা সে রিপার থেকে জানতে পারবে। যদিও রিপা অসুস্থ তারপরেও জিজ্ঞাসা করবে।

 

সামিয়া গাড়িতে উঠে বসতেই সাহিদের আম্মু তাকে নানান প্রশ্ন করে। এতো দিন কোথায় ছিল, এখন কী করে,আমার ছেলে অপরাধ করেছে কিন্তু আমরা তো অপরাধ করিনি তারপরেও কেন আমাদের বাসায় আসা হয়নি ইত্যাদি ইত্যাদি ?

 

সামিয়া মিসেস সাইম আহম্মেদকে জিজ্ঞাসা করলোঃ ভাবি এই বাচ্চাটা কে?

 

মিসেস সাইম আহম্মেদঃ এটা আমাদের কলিজার টুকরা ছেলে সন্তান।

 

সামিয়াঃ খুব মিষ্টি তো। নাম কি আর বয়স কত?

 

মিসেস সাইম আহম্মেদঃ নাম রেখেছি আব্দুল্লাহ আল রাফি চৌধুরী।আর বয়স দেড় বৎসর চলতেছে।

 

সামিয়াঃ খুব সুন্দর নাম।দেন আমার কোলে দেন আমি একটু নেই।

 

মিসেস সাইম আহম্মেদ তার ছেলে আব্দুল্লাহ আল রাফি চৌধুরীকে সামিয়ার কোলে দিলো। সামিয়া আবদুল্লাহ আল রাফি চৌধুরীকে কোলে নিয়ে আদর করতেছে আর ভাবতেছে, বাহ এক ভাইয়ের মেয়ে সন্তান আর অন্যজনের ছেলে সন্তান। একজন বিয়ে করে ছেলে সন্তানের বাবা হয়েছে আর অন্য জন বিয়ে না করেই মেয়ে সন্তানের জনক হয়েগেছে।বাহ কী লাকি লাইফ। যতসব আমার লাইফ না পেলাম স্বামী না পেলাম সন্তান ???।

 

সুখ এবং দুঃখের কথা বার্তা বলতে বলতে গাড়ি রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে গেল। গাড়ি থেকে নেমে ওরা সবাই রিপা কে দেখতে গেলো।

 

রিপা কে রাখা হয়েছে ১১৩ নাম্বার রুমে। যেটা আগে থেকেই আমজাদ চৌধুরী জানতেন। যার জন্য ওদের পৌঁছতে কোনো অসুবিধা হয়নি।

 

রিপার কেবিনের সামনে দেখে রিপার ভাই রিপন দাঁড়িয়ে আছে। সামিয়া কে দেখে সে কিছু টা অবাক হয়ে গেল। কিন্তু সেই বিষয়ে বেশি মাথা ঘামালো না।

 

আমজাদ চৌধুরীকে দেখে রিপার বাবা এসে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে লাগলো।কারণ, নিজের মেয়েকে মৃত্যু শয্যায় রেখে নিজের আবেগ আর ধরে রাখতে পারলো না।

 

একটু পরে আমজাদ চৌধুরী রিপার বাবাকে বললোঃ রিপা মার কি অবস্থা এখন?

 

রিপার বাবাঃ এখন বেশি সিরিয়াস তবে রিপা শুধু একটা কথাই বারবার বলতেছে।( ভাঙ্গা ভাঙ্গা কন্ঠে)

 

আমজাদ চৌধুরীঃ কী কথা?(অবাক হয়ে)

 

রিপার বাবাঃ সব সময় বলতেছে "আমি আমার পাপের শাস্তি ভোগ করতেছি"

 

এতক্ষনে সাহিদের পরিবারের সবাই কেবিনের বাইরে দাঁড়িয়ে রিপার বাবার কথা গুলো শুনতেছিলো।কি রিপার বলা কথা শুনে সবাই অবাক হয়ে ভাবতেছে কী এমন পাপ।মির কথা রিপা এমন অবস্থায় বলতেছে।

 

সবাই মনে মনে একই প্রশ্ন ভাবতেছে কিন্তু সামিয়ার মনে ভিন্ন ভাবনা চলতেছে।

 

একটু পরে সবাই রিপার কেবিনে ঢুকলো। রিপার সাথে দেখা করে কয়েক জন ছাড়া সবাই বাইরে গেল। কারণ রুগির কাছে ভিড় জমানো ঠিক নয়।

 

রিপার কাছে আছে শুধু সামিয়া আর সাহিদের আম্মু। মিসেস সাইম আহম্মেদ তার ছেলেকে নিয়ে বাইরে গেছে। কারণ তার ছেলে কান্না করতেছে।আর রিপার মা সেন্সলেস অবস্থায় বেডে শুয়ে আছে।মেয়ের এই অবস্থা দেখে আর কয়জন ঠিক থাকতে পারে।

 

রিপা একটু একটু করে কথা বলতেছে। সামিয়া তাকে বললোঃ রিপা আমি তোমাকে যা প্রশ্ন করবো তার সঠিক উত্তর আমাকে দিবে কী?

 

রিপাঃ কী প্রশ্ন আপু?

 

সামিয়াঃ আগে প্রমিস করো বলবে?

 

রিপাঃ ঠিক আছে আপু প্রমিস করলাম।

 

সামিয়াঃ সাহিদ কী তোমার সাথে সত্যিই রেপ করতে চেয়েছিল?

 

সামিয়ার প্রশ্ন শুনে সাহিদের আম্মু অবাক হয়ে সামিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। কিন্তু রিপা কি বলবে তা ভেবে পাচ্ছে না।(লেখকঃ সাহিদ হাসান সাহি)

 

রিপাকে চুপ করে থাকতে দেখে সামিয়া বললোঃ কী হলো বলো?

 

রিপা মুচকি হেঁসে সামিয়া কে বললঃ বলবো, তার আগে আপনি সবাইকে এই রুমে আসতে বলেন?

 

সামিয়া আর দেরি না করে কেবিনের বাইরে যায়ে আমজাদ চৌধুরী, রিপার বাবা, রিপার ভাই রিপন,সাইম আহম্মেদ, মিসেস সাইম আহম্মেদ এদের সবাইকে ডেকে রিপার কেবিনে নিয়ে আসলো।আর এদিকে সাহিদের আম্মু চিন্তাই পড়ে গেছে।

 

সবাইকে রুমে ঢুকতে দেখে রিপা উঠার চেষ্টা করতেছে। কিন্তু পারতেছে না। অবশেষে শুয়ে থেকেই বলতে 

 

লাগলোঃ আব্বু তুমি আমাকে বারবার জিজ্ঞাসা করতে না যে, আমি কিসের পাপের কথা বলতেছি। তাহলে শুনে, তবে শোনার পরে আমাকে ভুল বুঝলে চলবে না।

 

এরপরে রিপা সাহিদের সাথে কলেজ থেকে শুরু করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া পর্যন্ত যা কিছু হয়েছে সব কিছু বললো।

 

রিপার সব কথা শুনে সাহিদের আম্মু সেন্সলেস হয়ে পড়লো।আর আমজাদ চৌধুরী আর সাইম আহম্মেদ কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল। রিপার বাবা রিপার কথা শুনে মারতে যাবে তখনি সাইম আহম্মেদ এসে বাঁধা দিয়ে বললোঃ আংকেল কি করতে চাচ্ছেন রিপা অসুস্থ?

 

রিপার বাবাঃ তুমি আমাকে ছেড়ে দাও, ওকে আমি মেরেই ফেলবো। ওর একটা মিথ্যা অপবাদের জন্য একটা নিষ্পাপ ছেলে তার পরিবারকে হারিয়ে চলে গেল। (রেগে)

 

আমজাদ চৌধুরীঃ বন্ধু শান্ত হ,, বাচ্চা মানুষ ভুল করতেই পারে। আচ্ছা দোস তুই থাক আমরা বাসায় গেলাম।আর রাতে আসবো।

 

রিপার বাবাঃ বন্ধু তুই আমাকে ক্ষমা করে দিস্।(হাত জোড় করে)

 

আমজাদ চৌধুরীঃ দেখ দোস্ত এসব ভুলে যা আমি তোকে ক্ষমা করে দিয়েছি।যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। এখন এসব চিন্তা করে লাভ নেই। তুই থাক আমি বাসায় গেলাম। রাতে আসবো।

 

রিপার বাবাঃ আচ্ছা ভালোভাবে যাস।

 

এরপরে সাহিদের পরিবারের সবাই বাসায় আসে। গাড়িতে কেউ কোনো কথা বলেনি। সবাই নিজের কাজের জন্য নিজেকে অনুতপ্ত মনে করতেছে।

 

সামিয়া সাহিদের বাসায় যায়ে গাড়ি থেকে নেমে কোনো কথা না বলে রিকশা করে নিজের বাসায় চলে আসলো।

 

বাসায় এসে নিজের রুমে যায়ে দরজা বন্ধ করে দিয়ে কান্না করতে লাগলো। আবার আগের মতো খাওয়া দাওয়া বাদ দিয়ে দিয়েছে। শুধু একটাই চিন্তা সাহিদ আমাকে মাফ করে দিবেন তো।

 

এভাবে কেটে গেল বিকেলবেলাটা।এখনো সামিয়া রুমে আছে। তার মা বাবা দুজনেই চিন্তা ই পড়ে গেল। কেননা মেয়ের সেই তিন বছর আগের মতো বিহেব এখন করতেছে।

 

সামিয়ার বাবা সামিয়ার রুমে ঢুকে বললঃ কী হয়েছে আমার আম্মুর?

 

সামিয়া তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে সাহিদের সম্পর্কে রিপা যা যা বলেছে সব কিছু তার বাবাকে বললো।

 

সামিয়ার বাবাঃ এখন সাহিদ কোথায় আছে জানো?

 

সামিয়াঃ হুমম এখন ঢাকায় আছে আর আমার কলেজে পড়ে।

 

সামিয়ার বাবাঃ তাহলে তো সহজ কাজ।সহজ বলতেও কিন্তু সহজ নয় তোমার প্রতি তার একটা অভিমান আছে সেটা আগে ভাঙাতে হবে।

 

সামিয়াঃ হুমম,, কিন্তু কীভাবে?

 

সামিয়া বাবাঃ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, (কিছু বুদ্ধি দিয়ে)। এইভাবে কাজ করবার তাহলে হবে।

 

সামিয়াঃ ওকে আমার বেস্ট বাবা। আর তুমি এসব কথা কাউকে বলবে না।

 

সামিয়ার বাবাঃ আচ্ছা থাকো। আর একটু পরে ডিনার করতে এসো।

 

সামিয়ার বাবা চলে রাতেই সামিয়া ফোন বের করে নেহাকে ফোন দিয়ে সাহিদের কথা জিজ্ঞাসা করলো। পরের দিন সকালে সামিয়া ঢাকাতে রওনা দিবে।

 

সাহিদের পরিবারের সবাই বিষন্ন মন নিয়ে যে যার রুমে বসে আছে।সবার একই চিন্তা সাহিদ কে কোথায় পাওয়া যাবে।আর সাহিদের আম্মুর অবস্থাও খারাপের দিকে যাচ্ছে। শুধু সাহিদের কথা বলতেছে।

 

_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-__-_-_-

 

আমি আমার মেয়ে আর নেহা এই তিন জন আজকে একটা পার্কে গিয়েছিলাম। সন্ধ্যায় এসে বাসায় পৌঁছলাম। রুমে এসে আমার মেয়েকে ফ্রেশ করে দিয়ে আমিও ফ্রেশ হলাম।

 

ফ্রেশ হয়ে ফোনটা পকেট থেকে বের করে দেখি রাফি পাঁচবার ফোন দিয়েছে। সাইলেন্ট মোডে রাখার জন্য বুঝতে পারিনি।

 

আর আপনারা হয়তোবা জানেন না বা বলাই হয়নি যে, রাফি আর সিফাতের সাথে আমার মাঝে মাঝেই ফোনে কথা হতো। তবে ওদের আমি এই কথা অন্য কাউকে বলতে নিষেধ করেছি।

 

যাইহোক, আমি ফোন রাফি কে ফোন দিলাম। একবার টোঁ করে শব্দ হতেই ফোন রিসিভ করলো,,,,

 

আমিঃ আসসালামুয়ালাইকুম,দোস্ত কেমন আছিস?

 

রাফিঃ ওয়ালাইকুমুস সালাম। আলহামদুলিল্লাহ। তুই কেমন আছিস?

 

আমিঃ ভালো নারে??।

 

রাফিঃ কেন?

 

আমিঃ# EX গার্লফ্রেন্ড যখন ইংলিশ ম্যাম--- হয় তখন কেমন করে ভালো থাকিস।(মন খারাপ করে)

 

রাফিঃ কিহহ, তারমানে সামিয়া তোর হাহা হা,,,,,

 

আমিঃ এই একদম হাসি না।

 

রাফিঃ আচ্ছা শোন তোকে যে কারণে ফোন দিয়েছিলাম।

 

আমিঃ হুম্মাম বল।

 

রাফিঃ আজকে সামিয়া কে তোদের বাসায় দেখলাম।

 

আমিঃ কিহহ।

 

রাফিঃ হুমম। শুধু তাই নয়, তোর বাবার সাথে গাড়িতে মুখে কোথায় যেন গেল।

 

আমিঃ ওহহহ কোথাও মনে হয় যাবে,,

 

রাফির সাথে কথা বলে ফোন রেখে দিলাম।

 

পরেরদিন কলেজের গেলাম।আজকেও সামিয়া আসেনি।আহহ কী যে ভালো লাগতেছে। ক্লাস করে নেহাকে নিয়ে এতিমখানায় গেলাম। সেখান থেকে মিমকে নিয়ে বাসায় আসলাম।

 

পরেরদিন একটু দেরি যে ঘুম ভাঙলো তাও আমার মেয়ের ডাকে। ঘুম থেকে উঠে কলেজে যাওয়ার জন্য বের হলাম। আমার মেয়েও বায়না ধরেছে আমার সাথে কলেজে যায়ে তকলেত খাবে। আসলে আমার সাথে কলেজে গেলে সবাই আদর করে, চকলেট দেয় ।ছোট বাচ্চা তো এগুলোর জন্য যাওয়ার জন্য চাহিদা করে।

 

তিন জন মিলে কলেজে গেলাম।আমরাই কলেজের টপার স্টুডেন্ট।কারণ, আমরা এক পরিবার থেকে তিনজন একসাথে কলেজে যায়????।

 

কলেজে যায়ে প্রথম ক্লাস করলাম। দ্বিতীয় ক্লাস আমার EX এর। আজকে মনে হয় এসেছে।কারণ, দুই দিন ছুটি নিয়েছিল।আর আজকে শেষ।

 

একটু পরে প্রিন্সিপাল স্যার আর ম্যাম আসলেন ক্লাসে। এরপরে প্রিন্সিপাল স্যার যা বললো তার শুনে তো আমার,,,,,,,,

 

 

 

# পর্বঃ ১৯ 

 

                 ^^^ ^^

 

 প্রথম ক্লাস শেষ করে রুমে বসে আছি।একটু পরে প্রিন্সিপাল স্যার আর ম্যাম ক্লাসে আসলেন। প্রিন্সিপাল স্যার যেন রুমে ঢুকে যা বললো তা শুনে তো আমার মাথায় রক্ত উঠে গেল।

 

প্রিন্সিপাল স্যারঃ প্রিয় শিক্ষার্থীরা তোমরা জানো মিস সামিয়া তোমাদের নতুন টিচার। দুই দিন হলো জয়েন করেছেন। নতুন হওয়ায় তাঁর বেশ কিছু সমস্যা হচ্ছে। এজন্য তিনি আমার কাছে এসে বলেছেন, তাঁর একটি এসিস্ট্যান্ট প্রয়োজন। আর সেটা তিনি তোমাদের ক্লাস থেকেই নিতে চাচ্ছেন। 

 

 তাই আমি ঠিক করেছি সাহিদ হাসানকে তাঁর এসিস্ট্যান্ট করে দিবো।সাহিদ তোমার কোনো আপত্তি আছে কী?

 

প্রিন্সিপাল স্যারের কথা শুনে তো মন চাচ্ছে কলেজ ছেড়ে চলে যায়।ঠান্ডা মাথায় নরম কন্ঠে বললামঃ স্যার আপনি বারবার আমাকে কেন এসব কাজে জড়াচ্ছেন? আর আপনি তো জানেন আমি সবসময় ব্যস্ত থাকি। তারপরেও এসব কীভাবে করবো? আপনি অন্য কাউকে বলেন।

 

প্রিন্সিপাল স্যারঃ দেখো সাহিদ তোমাকে আমি পছন্দ করি। আর তোমার প্রতি আমার যেই পরিমান বিশ্বাস আছে তা অন্য কারোর প্রতি নেই। তাছাড়া তোমার ম্যাম নিজে তোমাকে সিলেক্ট করেছেন।

 

আমিঃ স্যার তবু----

 

আমাকে আর বলতে না দিয়ে প্রিন্সিপাল স্যার বললেনঃ আর কোনো কথা নয়।আজ থেকে তুমি মিস সামিয়ার এসিস্ট্যান্ট। তুমি তার কাজে তাকে সহযোগিতা করবে।

 

এই কথা বলে প্রিন্সিপাল স্যার ক্লাস থেকে বের হয়ে গেলেন। আমি আমার সিটে বসে ভাবতে লাগলাম, যার থেকে দুরে থাকার জন্য আজ এতো দূর, আজ তারই আবার এসিস্ট্যান্ট। সামিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখি মুচকি হাসতেছে। তারমানে এটা তার টোপ।

 

হা হা হা সামিয়া তুমি যতই টোপ ব্যবহার করো না কেন, এই মাছ তোমার ছিপে ( বরশি) ধরা দিবে না (মনে মনে)। যাজ্ঞে ক্লাস নিতে লাগলো, আমিও পড়ায় মনোনিবেশ করলাম। হঠাৎ, শাকিব আমার পিছনে বসে থেকে আমার পিটে ঘুতাচ্ছে আর বলতেছেঃ মামা ট্রিট কখন দিবি?

 

আমিঃ কিসের ট্রিট দিবো?(অবাক হয়ে)

 

রিয়াদঃ বোঝনা তুমি কচি খোকা তাই না? সুন্দরী ম্যাডামের এসিস্ট্যান্ট হচ্ছো তাহলে তো আমাদের ট্রিট দিতেই হবে।

 

আমিঃ আমি দিতে পারবো না ???।

 

শাকিবঃ পারবি না মানে?(একটু জোরে)

 

 শাকিব একটু জোরে বলাই ম্যাম শাকিবের কথা শুনতে পেয়েছে। টেবিলের উপর বই রেখে আমাদের কাছে এসে বললোঃ এই কি হয়েছে এখানে এতো কথা হচ্ছে কেন?

 

রিয়াদঃ কিছু না ম্যাম। ,(ভয়ে ভয়ে)

 

ম্যামঃ কিছু না মানে? কি বলতেছিলে বলো???

 

রিয়াদঃ আসলে ম্যাম সাহিদ তো আপনার এসিস্ট্যান্ট হয়েছে তাই ওর থেকে ট্রিট চাচ্ছিলাম। কিন্তু সে দিতে চাচ্ছে না ??(মন খারাপ করে)

 

 সামিয়া মুচকি হেঁসে বললঃ ওওও এই ব্যাপার। তাহলে তোমরা ক্যান্টিনে এসো আমি তোমাদের ট্রিট দিবো।

 

সামিয়ার কথা শুনে ওরা সহ ক্লাসের কিছুটা অবাক হয়ে পড়লো।

 

সাহিদের বদলে ম্যাম ট্রিট দিবে? কেউ ভাবতেই পারতেছে না।

 

যাইহোক, কোনো রকম ক্লাস টা শেষ হয়ে গেল। সামিয়া রুম থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় আমার কাছে এসে বললোঃ এইযে মিস্টার সাহিদ হাসান ছুটির সময় আমার অফিস রুমে আসবে।

 

আমি আর কিছু বললাম না।কারণ, ওর সাথে কথা বলার ইচ্ছা আমার নেই। কলেজ শেষে আমি আমার মেয়েকে চকলেট দিয়ে গেলাম। আমার মেয়ে ওর আন্নির কাছে ছিলো। চকলেট দিয়ে এসে দেখি আমার বন্ধুরা একজনও আগের জায়গায় নেই। আমি বসে থেকে ফোন টিপাটিপি করতেছি।দশ মিনিট হওয়ার পরেও ওদের আসার কোনো নাম গন্ধ নেই।

 

একটু পরে ওরা তিনজন আসলো।

 

আমিঃ কীরে তোরা কোথায় গিয়েছিলি?

 

ইকবালঃ ভাবি ট্রিট দিতে চেয়েছিলো,সেটা খাইতে গিয়েছিলাম।

 

(ঢেঁকুর তুলতে তুলতে)

 

ইকবালের কথা শুনে চমকে উঠলাম।ভাবি মানে ? সব জেনে গেছে নাকি আর সামিয়া কী এদের সব বলেছে,,? এদের কে আগে জিজ্ঞাসা করি।

 

আমিঃ ভাবি মানে কার কথা বলতেছিস?

 

রিয়াদঃ আরে ভাই, ম্যাম যদি তোকে ভালোবাসে আর বিয়ে করে তাহলে তো আমাদের ভাবি হবেই।(পাশে বসতে বসতে)

 

আমিঃ ওও তাই বল,,,,, ( বাঁচলাম,নইলে এরা যদি জানে তাহলে আমাকে প্যঁচাবে)। ম্যাম আমাকে ভালোবাসতে যাবে কেন? আমিই ভালোবাসো কেন? আর কোনো দিন ভাবি বলবি না,,???(রেগে)

 

ইকবালঃ আরে শালা ভালো না বাসলে তোর জন্য সে অন্য কাউকে খাওয়ানো? আবার সেটা তারই এসিস্ট্যান্টের ট্রিট হিসেবে,, হা হা হা।

 

আমি মনে মনে ভাবলাম, ইকবাল ও তো ঠিক বলেছে, তাহলে সামিয়া আমাকে ভালোবাসে কি?? না না কোনো মতেই আমি গলে যাবো না।

 

শাকিবঃ কিরে কী ভাবতেছিস?

 

আমিঃ কিছু না।

 

ইকবালঃ দোস তোকে ভাবি সরি ম্যাম যেতে বলেছিলো যে।

 

আমিঃ হুমম তোরা বাসায় যা আমি গেলাম ম্যামের রুমে।

 

অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও গেলাম। দরজার কাছে যায়ে না করে বললামঃ মে আই কাম ইন,,,

 

সামিয়াঃ হুমম এসো। আর আমার রুমে আসতে তোমার অনুমতি লাগবে না বুঝেছো,,।

 

আমিঃ হা হা হা চরিত্রহীন ছেলে আমি আমার তো অনুমতি নিতেই হবে।

 

সাহিদের কথাটা যেন সামিয়ার বুকে বাঁধলো। তবুও নিরবে সহ্য করলো।কারণ, এর থেকে বেশি কষ্ট সাহিদ কে সে দিয়েছে।

 

আমিঃ বাই দ্যা ওয়ে ম্যাম আমাকে কি কাজ করতে হবে বলুন।

 

সামিয়াঃ তোমাকে কোনো কাজ করতে হবে না তুমি চেয়ারে বসো।

 

আমিঃ না না ম্যাম, আমি চরিত্রহীন ছেলে আপনার সাথে বসে থেকে আপনার কি ক্ষতি করি না করি তা বলা যাবে না।

 

সামিয়া অশ্রু ভেজা নয়নে আমার দিকে তাকিয়ে থেকে বললোঃ প্লিজ সাহিদ আমাকে ক্ষমা করে দাও।

 

আমিঃ ছি ছি ম্যাম আপনি কেন আমার কাছে ক্ষমা চাচ্ছেন? সবাইকে আমি ক্ষমা করে দিয়েছি।

 

সামিয়াঃ তাহলে আমার সা,,,

 

হঠাৎ আমার মেয়ে সামিয়ার রুমে ঢুকে দৌড়ে সামিয়ার কাছে যায়ে বললোঃ মামনি মামনি থুমি তি কলতেথো?

 

আমার মেয়ের কথা শুনে আমি তো আকাশ থেকে পড়লাম।বলে কি এই বাচ্চা মেয়ে ???।

 

এতোক্ষণে মিমকে আমাকে লক্ষ্য করেনি। সামিয়ার কোলে ওঠে বসে সামনে তাকাতেই আমাকে দেখতে পেলো। আমাকে দেখতে পেয়ে সামিয়ার কোলে থেকে নেমে আমার কাছে আসলো।

 

আমি মিমকে কোলে তুলে নিতেই মিম বললোঃ দানো বাবাই আমাল মামনি আমালে এতো (হাত দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে) দুলো তকলেত দিয়েতে।

 

আমি আমার মেয়ের কথা শুনে কিছুটা খুশি হলাম সামিয়ার প্রতি আর বেশি রেগে গেলাম আমার নেহার প্রতি। কেনো সে আমার মেয়েকে অপরিচিত ব্যক্তির কাছে পাঠিয়েছে? 

 

যদিও সামিয়া অপরিচিত নয় তবুও,,,।

 

আমি আমার মেয়ে ধমক দিয়ে বললামঃ কে বলেছে ইনি তোমার মামনি?

 

মিমঃ আন্নি বলেতে।

 

আমিঃ আন্নি বলেছে তাই তুমি বলবে? আর চকলেট নিয়েছো কেন?( ধমকের সুরে, জোরে)

 

আমার ধমক শুনে আমার মেয়ে কান্না করতে লাগলো।আমি তাকে বুকে জড়িয়ে নিলাম।

 

সামিয়াঃ প্লিজ মিমকে তুমি কিছু বলো না। সে তো ছোট বাচ্চা যা বলার আমাকে বলো।

 

আমি আর কিছু না বলে মিমকে নিয়ে সামিয়ার রুম থেকে বের হয়ে নেহার কাছে গেলাম।

 

নেহার কাছে যায়ে নেহাকে জিজ্ঞাসা করলামঃ নেহা তুই মিমকে কি বলেছিস?(রেগে)

 

নেহাঃ কি ভাইয়া আমি তো কিছু বলিনি,,।(ভয়ে ভয়ে)

 

আমিঃ কিছু বলিসনি তাহলে ইংলিশ ম্যাম কে মামনি বলে ডাকলো কেন?(প্রচন্ড রেগে)

 

আমার এমন আচরণ নেহা কোনো দিন দেখেনি। যারফলে আজকে নেহার চোখের কোণায় পানি এসে গেছে।

 

নেহাঃ আসলে ভাইয়া,,

 

আমি আর কিছু বলতে না দিয়ে চোখের পানি মুছে দিয়ে কপালে একটা চুমু দিয়ে ওদের দুজনকে নিয়ে ক্যান্টিনে আসলাম।কী করবো বর্তমানে ওরা দুজনেই আমার পৃথিবী। ওদের চোখের পানি আমার সহ্য হয়না।

 

যাইহোক, ক্যান্টিনে কিছু খাওয়ার পরে ওদেরকে নিয়ে বাসায় আসলাম। বাসায় এসে গোসল করে নামাজ পড়লাম। তিন জন একসাথে লাঞ্চ করতে বসলাম। বসতেই অফিসের এমডি সাহেব ফোন দিলো। আমি রিসিভ করতে এমডি সাহেব বললেন,,,

 

এমডিঃ আসসালামুয়ালাইকুম। স্যার আজকে একটু আপনাকে অফিসে আসতে হতো।

 

আমিঃ ওয়ালাইকুমুস সালাম। কেন কিছু হয়েছে নাকি?

 

এমডিঃ একটু সমস্যা হয়েছে আপনি আসলে ভালো হতো।

 

আমিঃ ঠিক আছে। কয়টায় যাবো?

 

এমডিঃ বিকেল চারটায়।

 

আমিঃ ঠিক আছে।

 

এমডিঃ ওকে স্যার। আসসালামুয়ালাইকুম।

 

আমিঃ ওয়ালাইকুমুস সালাম।

 

ফোন রাখতেই আমার মেয়ে বললোঃ বাবাই কাল চাথে তথা বললে আমাল মামনিল চাথে?

 

হায় হায় আমার মেয়ে তো আমাকে পাগল বানিয়ে দেবে। অফিসের এমডির সাথে কথা বললাম।আর তিনি বলতেছেন তাঁর মামনির কথা। আল্লাহ আমার মেয়ের মাথায় মামনির ভূত ঢুকলো কোথা থেকে ??!

 

আমিঃ না,, আম্মু অফিসের এমডির সঙ্গে।

 

মিমঃ ওওওও,,,(মন খারাপ করে)

 

নেহাঃ আচ্ছা আম্মু তোমার কী মামনি লাগবে?

 

মিমঃ হুমম আন্নি,,।

 

নেহাঃ তাহলে তোমার বাবাইকে বলো।

 

মিমঃ বাবাই আমাল একতা মামনি আনে তিবে।(করুন সুরে)

 

আমিঃ ঠিক আছে মামনি তোমার জন্য একটা মামনি আনবো। এখন আমার ভালো আম্মুর মতো খাও।

 

মিমঃ আততা। তিন্তু বাবাই আমাল মামনি যে আমি নিয়ে আনবো।

 

 এটুকু মেয়ে বলে কি???।আমিঃ তুমি কোথায় পাবে ।(অবাক হয়ে)

 

মিমঃ আদকে আমালে দে তকলেত দিয়েতে তোলে নিয়ে আদল তলেতে সেতাই আমাল মামনি।

 

মেয়ের কথা শুনে আমার গলায় ভাত আটকে গেল।নেহা আমাকে পানি এগিয়ে দিয়ে বললোঃ আহহ ভাইয়া এখন খাও। পরে নাহয় ভাবির কথা ভেবো।

 

আমিঃ তোর ভাবিকে কোথায় পাইলি?

 

নেহাঃ কে আবার, মিমের মামনি ???।

 

আমিঃ পেকে গেছিস???।

 

নেহাঃ দেখো ভাইয়া তোমার বয়স হয়ে যাচ্ছে, আবার মিমের তো একটা মামনির প্রয়োজন প্লাস আমার তো ভাবি তো লাগবেই। তাহলে। তুমি এমন করতেছো কেন। নিয়ে আসো না,,(করুন সুরে)

 

আমিঃ আমার কথা তোকে ভাবতে হবে না, তুই খা তাড়াতাড়ি।

 

নেহাঃ হুঁ,,(মন খারাপ করে)

 

খাওয়া দাওয়া শেষ করে রুমে এসে শুয়ে পড়লাম।মিম নেহার রুমে গেছে।

 

চারটায় অফিসে গেলাম। অফিসে যেই বিষয়ে সমস্যা হয়েছে সেটা সলভ করে দিয়ে সকল স্টাফের সাথে দেখা করে চলে আসলাম।

 

অপরদিকে সামিয়া ভাবতেছে, আজকে আমার কলিজাটা অনেক রেগে গিয়েছে।না জানি নেহাকে কী বললো।নেহাকে একটু ফোন দিয়ে দেখি। নেহাকে ফোন দিতেই নেহা রিসিভ করলো,,,,

 

নেহাঃ আসসালামুয়ালাইকুম। ম্যাম কেমন আছেন?

 

সামিয়াঃ ওয়ালাইকুমুস সালাম। ভালো আছি। তুমি কেমন আছো?

 

নেহাঃ আলহামদুলিল্লাহ।

 

সামিয়াঃ তোমাকে কত বার বলবো তুমি আমাকে আপু বলে ডাকবে?

 

নেহাঃ ঠিক আছে আপু।

 

সামিয়াঃ আচ্ছা। তোমার ভাইয়া তোমাকে কিছু বলেছিলো কি?

 

নেহাঃ না কিছু বলেনি।

 

সামিয়াঃ ওহহ।তো আমার মেয়ে কি করতেছে?

 

নেহাঃ তোমার মেয়ে আমার সঙ্গে শুয়ে আছে। কথা বলবে কি?

 

সামিয়াঃ হুমম দাও,,,

 

মিমঃ আততালামুআলাইতুম,, মামনি তেমন আতো?

 

সামিয়াঃ ওয়ালাইকুমুস সালাম। আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমার আম্মু টা কেমন আছে?

 

মিমঃ আমিও বালো আতি।

 

সামিয়াঃ আম্মু বাসায় যায়ে তোমার বাবাই তোমাকে বলেছিলো কী?

 

মিমঃ না মামনি। বাবাই তে তোমালে আনাল তথা বলেতি।

 

সামিয়াঃ কী বললে আম্মু বুঝতে পারিনি।

 

নেহাঃ তোমার কথা তোমার আম্মু তার বাবাই কে বলেছে সেটা বললো।

 

সামিয়াঃ কিহহ আমার আম্মু তো দেখছি বড় হয়ে গেছে।

 

মিমঃ হুমম মামনি,,

 

সামিয়াঃ আচ্ছা আম্মু পরে কথা হবে।

 

মিমঃ আততা মামনি।

 

সামিয়াঃ হুমম নেহা তোমার ভাইয়া তোমাকে কিছু বললে আমাকে বলবে।

 

নেহাঃ আচ্ছা।

 

সামিয়াঃ হুমম বাই,,,

 

সামিয়া নেহার সাথে কথা বলে স্বস্তির


Tanvir Arafat

93 Blog posts

Comments