এক্স গার্লফ্রেন্ড যখন পুলিশ অফিসার

এক্স গার্লফ্রেন্ড যখন পুলিশ অফিসার তখন আমার হাওয়া পামচার হয়ে যায়। ?

গল্পটা সম্পূর্ণ কাল্পনিক। বাস্তবে এর কোন মিল নেই। মিল থাকলেও লেখক তার জন্য দায়ী নয়।]

 

সকালবেলা মনের শান্তিতে ঘুমিয়ে ছিলাম।

তখনই বাসার কলিং বেলের আওয়াজে আমার শান্তির ঘুমটা ভেঙে গেল।

 

খানিকটা রাগী ভাবে চোখ খুললাম। কারন কাল রাতে অনেক দেড়িতে ঘুমিয়েছি আনুমানিক চারটায় বা তার থেকেও দেড়িতে। আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে সকালবেলা তো আমার বাসায় কারো আসার কথা নয়।

আমি বিছানা থেকে উঠে মোবাইল হাতে নিলাম।

সকাল ১১ টা ৩৫ বাজে!!!

 

কি ভাবছেন.? এত দেড়ি করে ঘুম থেকে উঠি কেন.?আপনাদের প্রশ্নের উত্তর একটু পরে দিচ্ছি। এদিকে বাসার কলিং বেল বাজিয়ে কেউ একজন আমার মাথা খারাপ করে ফেলতেছে।

আমি তাড়াতাড়ি করে চোখ-মুখে কোন মতে পানি দিয়ে নিলাম। দরজার কাছে গেলাম।

 

দরজা খুললাম!! ভেবেছিলাম একটা ধমক দিব,,কেন এত বিরক্ত করতেছে সকাল সকাল। কিন্তু সামনে তাকিয়ে দেখি একটা ছেলে। বয়সে আমার থেকেও ছোট হবে। আনুমানিক বয়স ১৯/২০ হবে। ছেলেটার গায়ের টি-শার্ট দেখে বুঝে ফেললাম কুরিয়ার বয়। তাই কিছু বললাম না। কারন সময় মতো জিনিস ডেলিভারি করতে না পারলে তো এদের আর চাকরি থাকবে না। তাই হয়তো এতবার বেল বাজাচ্ছিল। আমি এদের বিষয়টা বুঝি। তাই কিছু বললাম না। বোঝার চেষ্টা করলাম ছেলেটা কি বলতে চাচ্ছে।

 

--- আসসালামু আলাইকুম স্যার।

--- ওয়ালাইকুম আসসালাম!! (আমি)

--- স্যার, আপনার জন্য একটা কুরিয়ার আছে।

 

এরপর ছেলেটা তার ব্যাগ থেকে একটা বাক্স বের করে আমার হাতে দিল। আমি হাতে নিলাম বাক্সটা।

এরপর আমি ভিতরে যাব তখনই ছেলেটা আবার বলল,,

 

--- স্যার এক মিনিট,,, এইখানে একটা সাইন করে দিন প্লিজ!!

--- হুম,,,

 

আমি সাইন করে বললাম,,

--- কলিং বেল একটু কম বাজালেও পারতে!! (হালকা একটা হাসি দিয়ে)

--- সরি স্যার,,একটু তাড়া ছিল তাই আরকি....

--- It's ok..

 

এরপর আমি বাসার দরজা দিয়ে আমার রুমে চলে এলাম।

বাক্সটা টেবিলের উপরে রেখে দিলাম। পরে খুলে দেখা যাবে!!

 

এইবার আপনারাই বলুন আগে আমার পরিচয় দিব নাকি দেড়িতে ঘুম থেকে উঠি সেইটা বলব.??

 

আগে পরিচয় দেই তারপর না হয় এই সব ছোটখাটো বিষয় বলা যাবে!!!

 

হায়,,!! আমি শ্রাবন আহমেদ ইমন। অনেকে হয়তো চিনেন। আবার যারা চিনেন না তারা ইনবক্সে এসে পরিচিত হয়ে যান ওকে.?।

 

পরিবার বলতে আমি, আব্বু,আম্মু,বড় এক ভাই এবং আমাদের সকলের থেকে ছোট একটা বোন। এটাই পরিবার। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমি তাদের সাথে থাকি না আজ প্রায় ৮ বছর। আব্বু আম্মুর চেহারা এখনো ভুলি নাই কিন্তু ভাইয়া আর আপুর চেহারা প্রায় বিলুপ্ত। মনে নেই ঠিক!! এইসব বাদ দেই আস্তে আস্তে সব কিছু জানতে পারবেন। আমি বর্তমানে একা থাকি। হুম সম্পূর্ণ একা। ঢাকা নামের এই ব্যস্ত শহরে আমি একা বসবাস করি। পড়াশোনা শেষ করে একটা জব নিয়েছি। প্রায় দুই বছর এই চাকরিতে আছি। আপাতত ছুটিতে আছি।

 

আর কিছু বলব না। অনেক কিছু বলে ফেলেছি। বাকি সব রহস্য আস্তে আস্তে জানতে পেরে যাবেন।

 

রহস্য বলতে,,,পরিবার থাকা সত্ত্বেও একা থাকি কেন.? আর আর তাদের সাথে কোন যোগাযোগই বা রাখি নাই কেন.? ইত্যাদি....

 

এইবার হয়তো বুঝতে পারতেছেন রাতে আমি দেড়ি করে ঘুমাই কেন.?? আর ঘুম থেকে বেলা করে উঠিই বা কেন.??

এক কথায় আম্মু কাছে নেই যে ঘুম থেকে ডেকে দিবে আর দুই বউ ও তো নাই??।

 

আমার জীবনে কোন প্যারা নাই। যখন ইচ্ছা ঘুমাবো যখন ইচ্ছা যা খুশি তাই করব। আমার একা থাকতে খুব ভালো লাগে তাই তো একা থাকি। পরিবারের জন্য মন খারাপ হতো। অনেক আগে। এখন না। কারন আমাকে এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যে এখন আর কষ্ট হয় না।

 

আপনারা হয়তো অনেক বিরক্ত হচ্ছেন!! কারন আমার প্রতিটি কথায়ই এত রহস্য কেন.? তৈরি করা হয়েছে.? এর মানে কি.? কে তৈরি করেছে.?

 

গল্পের সাথে থাকুন সব জেনে যাবেন আশা করি!!!

 

আপনাদের সাথে কথা বলতে বলতে অনেক দেড়ি হয়ে গেছে। এদিকে পেটের ভিতরে ইঁদুর দৌড়াচ্ছে। তাই আর দেড়ি না করে কিচেনে গিয়ে ৫ মিনিটের মধ্যে নুডুলস রান্না করলাম।

 

আপাতত আগে খেয়ে নেই তারপরে বাকি কথা বলতেছি।

ওকে বায়!!!!!

 

------------------------------------

 

টেলিভিশনে আজকের নিউজ দেখতেছিলাম তখনই আমার মোবাইলে একটা কল আসল। আমি নাম্বারটা চেইক করে রিসিভ করলাম,,,

 

--- হুম জাকির সাহেব বলুন!!!(আমি)

--- স্যার অনেক দিন তো হলো,, এইবার তো অফিসে জয়েন করুন।।(জাকির)

--- হুম,,জাকির সাহেব, করবো!! খুব তাড়াতাড়ি জয়েন করবো!!(আমি)

--- হুম,,স্যার যে কারনে আপনাকে ফোন দিয়েছিলাম,,

স্যার কোন জেলায় আপনার ট্রান্সফার করবো.??

 

--- সেইটা আমি আপনাকে একটু পরে ফোন দিয়ে বলতেছি।

--- ওকে স্যার। রাখি তাহলে!!

--- হুম

 

এরপর ফোন রেখে ভাবতে লাগলাম দেশের কোন জায়গা আমার ভালো লাগে!!

হুম পেয়েছি,,সিলেট। সিলেট শহরটা আমার খুব ভালো লাগে। বিকালে জাকির সাহেবকে ফোন করে জানিয়ে দিলেই হবে।

 

এরপর আমি ড্রয়িং রুম থেকে আমার রুমে চলে এলাম।

রুমে ঢুকে রেডি হতে লাগলাম। রেডি বলতে,, একটা ত্রি-কোয়াটার প্যান্ট। আর একটা টি-শার্ট পরে নিলাম। উদ্দেশ্য বাসার পাশের পার্ক। সেখানে গিয়ে একটু চিল করা যাবে।

 

রুম থেকে বের হতে যাব। তখনই চোখ গেল টেবিলের উপরে রাখা সেই বাক্সটির উপরে। আর দেড়ি বা করে তাড়াতাড়ি খুলে ফেললাম।

 

ভিতরে একটা ফাইল রাখা আছে। ফাইলটা খুলে দেখতে লাগলাম। বিশ্বাস করুন আমি ভাবতেও পারি নাই যে কেউ সকাল সকাল আমাকে এমন একটা সারপ্রাইজ দিবে।

 

এরপরে আমি নিচে একটা চিঠি দেখতে পেলাম। সেইটা হাতে নিয়ে একটু অবাক হলাম। তবে ভয় পাই নি৷ কারন ভয় আমি পাই না। আমাকে সেই ভাবে তৈরি করা হয়েছে!!

[এটা গল্প। সো সিরিয়াস ভাবে নিবেন না।]

 

সেখানের লেখা গুলো ছিল এমন,,,

 

" শ্রাবন আমার হাতে বেশি সময় নেই। আমি জানি আমি একটু পরে না ফেরার দেশে চলে যাব। তুই হয়তো এতক্ষণ জেনে গেছিস আমি তোর হাতে কি দিয়েছি!! আমার জীবনের সব সুখ চলে গেছে এই গুলো কালেকশন করতে। আমি চেয়েছিলাম এই খেলাটা সম্পূর্ণ শেষ করতে। কিন্তু আফসোস ও জেনে গেলো!!

 

আমার সাথে আমার একটা ফ্রেন্ড ছিল। আমি আর ও গাড়ি করে তোর কাছেই আসতেছিলাম। কিন্তু মাঝ রাস্তায় কোন একটা গাড়ি এসে আমাদেরকে ধাক্কা দেয়ম আমরা রাস্তার এক পাশে থাকা ল্যাম্পপোস্টে আঘাত খাই। এরপর আমি আর আমার বন্ধু এই কাগজ গুলো নিয়ে দৌড়ে চলে যেতে চাই। কিন্তু পারি না। অনেক কষ্টে তোকে এই চিঠিটা লিখলাম। হাতে কাটা ছিল। তাই হয়তো রক্ত লেগে আছে। আমি আমার বন্ধুকে বাচিয়ে দেই। ও পালিয়ে চলে গেছিল। আর যাওয়ার আগে আমার কাছ থেকে এই চিঠি আর ফাইলটা নিয়ে যায়। আশা করি তোর কাছে এইটা পৌছাবে। আমি জানি তুই তোর আন্টি আর রুহির খুনিকে কোন দিন ছাড়বি না। এই ফাইলে সব কিছুর প্রমান আছে। আমি তোর আর থাকব না। তুই কাউকে ছেড়ে দিস না। মনে রাখিস এদের কারো কোন ক্ষমা হয় না। বাবা,,নিজের খেয়াল রাখিস। আর এখন তো আর আমি থাকব না। আমাকে কথা দে তুই তোর পরিবারের কাছে ফিরে যাবি।

তাহলেই আমি মরে শান্তি পাব।""

 

ব্যাস আর কিছু লেখা নেই। চিঠিটা শেষ। মনটা হালকা খারাপ হয়ে গেল।

আমি সব কিছু গুছিয়ে আবার রেখে দিলাম।

 

আজকে এক মাস হলো আংকেল মারা গেছেন। তিনি একজন সৎ দায়িত্ববান পুলিশ অফিসার ছিলেন। আংকেলের কেউ ছিল না। আরা আমারও কেউ ছিল না। তাই আমি আর আংকেল এক সাথে থাকতাম। এই গল্প অন্য একদিন বলব।।

 

জানি আপনাদের মাথায় অনেক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। প্রথমত এই আংকেলটা আবার কে.?? তার সাথে আমার কিসের সম্পর্ক.? আর এই চিঠির মানেই বা কি..? আর আমিই বা কেন এদেরকে শাস্তি দিব যারা আংকেল,আন্টি আর রুহিকে খুন করেছে.? [আংকেলের স্ত্রী এবং তার মেয়ে রুহি]

 

আর সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হচ্ছে গল্পের নাম অনুযায়ী এক্স গার্লফ্রেন্ড কই.?? আরে ভাই একটু ধৈর্য ধরেন সব পেয়ে যাবেন!!☺️ চলুন গল্পে ফিরে যাই!!

 

আমি আল-আমিনকে ফোন দিলাম। [আমার আন্ডারে কাজ করে।]

কিছু সময় রিং হওয়ার পরে ধরল,,

 

--- আসসালামু আলাইকুম স্যার। (আল-আমিন)

--- ওয়ালাইকুম আসসালাম। (আমি)

--- স্যার অনেক দিন পরে কল করলেন। নিশ্চয়ই কোন বড় কাজ আছে!!

 

--- হুম,,,তুই ঠিক ধরেছিস আল-আমিন। তুই কোথায় আছিস এখন..?(আমি)

 

--- স্যার,,আমি তো অফিসে বসে আছি।

--- শোন আমি তোকে একটা ছবি Whatsapp করতেছি। ওই ব্যক্তির সব তথ্য আমার চাই। কোথায় আছে..? কি করে.?? ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড ইত্যাদি.. (আমি)

 

--- ওকে স্যার। আপনি পিক সেন্ড করুন!!!

--- আচ্ছা,,,

 

এরপর আমি ফোন রেখে দিলাম। চলে এলাম আংকেলের রুমে। যে রুমে আংকেল থাকতেন। আমি তার ড্রয়ার খুলে আংকেলের মোবাইলটা বের করলাম। এরপর সেখান থেকে একটা ছবি আমার মোবাইলে নিয়ে নিলাম৷ সেই ছবিটি আবার আল-আমিনকে দিয়ে দিলাম।

ব্যাস আওব কাজ ক্লিয়ার। এখন শুধু কিছু সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

 

আমি আবার আমার রুমে গেলাম। বিছানা থেকে নিজের পার্সোনাল ল্যাপটপটা নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে গেলাম।

 

------------------------------------

 

পার্কের এক কোনে একটা বেঞ্চে বসে আছি। চারিদিকে শুধু কাপল আর কাপল। আমি শুধু চেয়ে চেয়ে তাদের কান্ড দেখতেছি। আমার বেশ ভালোই লাগে এগুলো দেখতে। আমি যে বেঞ্চে বসে আছি এখানে কেউ বসে না। কারন আমি রোজ এই সময়ে এসে এখানে বসি। আর এই পার্কে প্রায়ই আমার চেনা পরিচিত লোক আসে। আমি তাদের সকলকেই চিনি। কিন্তু তারা আমাকে চিনে না।

 

এখানে এমন অনেক মেয়ে আছে যাদের বাবা অনেক বড় বড় ব্যবসায়ী। কিন্তু তাদের মেয়ে বা ছেলে,, যাক এই সব কথা বাদ দেই,,আসল কথায় আসি।

 

আমি বসে আছি চোখ দুটি বন্ধ করে।

 

প্রায় ৫ টা বছর ধরে আমি এখানে এসে বসে থাকি। আর যখনই চোখের সামনে এমন জোড়া দেখতে পাই তখনই আমার শিমলার কথা মনে পরে যায়। কেন জানি না ওকে ভুলতে পারি না। সেই কবে ৮ বছর আগে দেখেছিলাম ওকে। তবে ওর যে চোখ দুটি ছিল তা আমি কোন দিন ভুলতে পারব না। আর ঠোঁটের কথা নাই বললাম। তাছাড়া গলার কন্ঠ তো মাশাল্লাহ। সব ঠিক ছিল শুধু মেয়েটাই খারাপ ছিল। তাইতো ওকে আজও আমি ভুলতে পারি নাই। আমার জীবনে শিমলার চাপ্টারটা অনেক অদ্ভুত। আমি জানি না এই মেয়েটাকে আমি কোন দিন পাবো কি না.?? আর কোন দিন ভুলতেই বা পারব কি না.? সব একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না।

 

আচ্ছা আমি এতক্ষণ ধরে শিমলা শিমলা করতেছি। এই শিমলাটা কে ভাই.?? হুম আপনি ঠিক ভাবতেছেন এই শিমলাই হচ্ছে আমার এক্স গার্লফ্রেন্ড। আজ থেকে প্রায় ৮ বছর আগে আমাদের সম্পর্কের ইতি ঘটেছিল। ২ বছরের সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটিয়ে সেইদিন শিমলা চলে গিয়েছিল আমাকে একা করে।

 

হটাৎ একটা শব্দে আমার ঘোর কেটে গেল। আমি ল্যাপটপে তাকিয়ে দেখি আল-আমিনের মেইল। আমি মেইলটা চেক করতে লাগলাম।

 

আমি বুঝতে পারতেছি না।আমার সাথে হচ্ছেটা কি.? একদিনেই আমি দুইটা ভিষণ বড় শক খেলাম। প্রথমত আংকেল আমার হাতে সব কিছু তুলে দিল। আমি তো ভেবেছিলাম অনেক কষ্ট করে আমাকে ফাইল গুলো জোগাড় করতে হবে। কিন্তু না অনেক সহজে সব কিছু হয়ে গেল। আর এখন জানতে পারি আমাকে নাকি খুলনা যেতে হবে। হুম এটা সেই শহর। যেখান থেকে আমি পালিয়ে এসেছিলাম ৮ বছর আগে। মনের ভিতরে একটা অজানা ভয় কাজ করতেছে। মনে অনেক প্রশ্ন এসে জমা হচ্ছে।

 

সেখানে গিয়ে কি আমি আমার পরিবারের দেখা পাব.?? আমাদের সেই বাসাটা কি এখনো সেখানে আছে নাকি অন্য কোথাও চলে গেছে সবাই.?? এখনো কি আমাকে কেউ মনে রেখেছে...? আর শিমলাই বা কোথায়..? ওর দেখা কি আবার পাব..? আমি জানি এই সব প্রশ্নের উত্তর আমি খুলনা গেলেই পাব।

 

আর হ্যাঁ আপনাদেরকে তো বলাই হয় নি। আমি যাকে খুজতেছি। মানে যে আমার আংকেলকে মেরেছে সে নাকি খুলনা থাকে। তার বাসা নাকি খুলনা শহরে। তাই তাকে শেষ করতে হলে তো আমাকে খুলনা যেতেই হবে। আর আমার অতীতর সব কিছু এই খুলনা শহরেই।

 

আমি পকেট থেকে ফোন বের করে জাকির সাহেবকে ফোন দিলাম,,

 

--- জো,,স্যার বলুন!!(জাকির)

--- খুলনা শহরে আমাকে ট্রান্সফার করুন। জলদি ফাস্ট। (আমি)

--- ওকে স্যার,,

 

এরপর ফোন রেখে দিলাম।।

মোবাইলে তাকিয়ে দেখি, তখন বিকাল ৪ টা বেজে গেছে। আমি

ভালো করে আল-আমিনের দেওয়া ফাইলটা দেখতে লাগলাম। লোকটার নাম...............

 

.

.

.

.

.

#চলবে...........??????

 

[গল্পটাতে অনেক রহস্য আছে। আর যাদের ভালো লাগে নাই আজকের প্রথম পর্ব তারা দয়া করে আমার গল্প এরিয়ে যান। অথবা আমাকে ব্লক করে দিন। শুধু শুধু কমেন্ট বক্সে নিজেকে বলদ প্রমান করবেন না।

আর প্রথম পর্ব কেমন হয়েছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানান। আপনাদের উপরেই ডিপেন্ড করবে পরের পর্ব লিখব কি লিখব না...?]

 

 

#এক্স_গার্লফ্রেন্ড_যখন_পুলিশ_অফিসার

#Part_02

#Writer_srabon

 

[গল্প কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ]

 

মোবাইলে তাকিয়ে দেখি, তখন বিকাল ৪ টা বেজে গেছে। আমি,

ভালো করে আল-আমিনের দেওয়া ফাইলটা দেখতে লাগলাম। লোকটার নাম এনামুল হক।

বর্তমানে খুলনার এমপি। (ভুল হলে মাপ করবেন। এই বিষয়ে আমার কোন অভিজ্ঞতা নেই।)

 

এটা হচ্ছে তার উপরের পরিচয়। আর যদি গভীরে যাওয়া হয় তাহলে হয়তো এর কোন শেষ হবে না। অনেক কালো ব্যাবসার সাথে জড়িত। আর তার সাথে মার্ডারের মতো অনেক ভয়ংকর কিছু আছে। কিন্তু এই বিষয়ে কেউ কিছু জানে না। শুধু কয়েকজন ছাড়া।

 

ফাইলে আর কিছু লেখা নেই। এখানে এনামুল এর মোবাইল নাম্বার দেওয়া আছে। সাথে তার কিছু পার্সোনাল তথ্য।

 

আমি ল্যাপটপ অফ করে নিলাম। মুখের কোনায় কেন জানি একটা হাসি চলে আসতেছে। কারণটা না জানাই থাক।

 

আর কিছু সময় পার্কে বসে ছিলাম। এরপর খুদা অনুভব করলাম তাই চলে গেলাম সোজা রেস্টুরেন্টে। সেখানে গিয়ে কিছু খেয়ে নিলাম।

 

হাতে কোন কাজ নেই। তাই রেস্টুরেন্টেই বসে আছি। আর ল্যাপটপে ফেসবুকিং করতেছি। তখনই আমার সামনে এলো আবেদ।

আবেদ হচ্ছে আমার ভার্সিটি ফ্রেন্ড। আবেদ আমার সামনে বসে বলল,,,

 

--- কিরে বন্ধু কি অবস্থা.?? (আবেদ)

--- এইতো বন্ধু চলে যাচ্ছে। তোর কি খবর তাই বল...? (আমি)

--- আরে বন্ধু আর বলিস না,,গার্লফ্রেন্ড এর প্যারা বড়ই ভয়ংকর!! (মন খারাপ করে)

 

--- কেন.? তোর আর অনুর কি হল আবার.??(অনু আবেদের গফ)

 

--- ধুর বা*ল সারা দিন শুধু প্যারা দেয়। (আবেদ)

--- যেমন......??(আমি একটু হেসে)

--- আরে ভাই তুই তো জানিস যে আমি পাবজি গেম কতটা পছন্দ করি। কিন্তু ওই মেয়ে আমাকে পাবজি খেলতে দেয় না। সেই ভার্সিটি লাইফ থেকে গেমটা খেলে আসছি। আর এখন শালা সব শেষ। (আবেদ)

 

--- বাহ,,চুদির ভাই বাহ!! (হাসতে হাসতে আমি শেষ)

--- বন্ধু মজা নিস না"!!

--- তা আজকে হটাৎ এখানে কেন.??(আমি)

--- এখানে কি আর সাধে এসেছি। ওইদিকে দেখ,,,

 

এরপর ওর কথা মতো বাম পাশে তাকিয়ে দেখি অনু বসে আছে। হায় আল্লাহ,,

 

--- ভাই তুই যা তাহলে,,দেখ আমাদের দিকে কেমন করে তাকিয়ে আছে।(আমি)

--- হুম,,

--- বন্ধু কালকে আমি খুলনা যাচ্ছি। (আমি)

--- হটাৎ খুলনা কেন..??(আবেদ)

--- ট্রান্সফার হয়েছে ওখানে।

--- ধুর,,, সবাই যার যার মতো ব্যস্ত হয়ে যাচ্ছে। আমাদের ফ্রেন্ড সার্কেলটা একদম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে আস্তে আস্তে!!!(আবেদ মন খারাপ করে)

 

--- দোস্ত মন খারাপ করলে হবে.? এটাই জীবন!!

 

এরপর আবেদ আমাকে জরিয়ে ধরল,,আর বলল,,,

 

--- অনেক মিস করব তোকে দোস্ত!! (আবেদ)

--- হুম দোস্ত,, আজকে আসি তাহলে,,

 

এরপর আমি রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে গেলাম। সন্ধ্যা হয়ে গেছে। আমি বাসার কাছে এসে একটা দোকান থেকে সিগারেট কিনে নিয়ে বাসায় ঢুকলাম।।

 

ও আপনাদেরকে তো বাড়ির কথা বলাই হয় নি। চলুন বাসার সম্পর্কে কিছু বলি,,,,

 

আমি যে বাসায় থাকি, সেই বাসাটা আমার না আবার আমার। মানে হচ্ছে এই বাসার মালিক ছিলেন রফিক আংকেল। মানে যে মারা গেছে। যেহেতু তার কোন ছেলে বা মেয়ে নেই তাই এই বাসা আমারও বলা যায়। বাড়িটা দুই তালার। এই এর বড় বাসায় শুধু আমি একা থাকি। একটু অদ্ভুত হলেও আমার তো ভালোই লাগে।

থাক আর কিছু বলব না,,

 

আমি বাসায় ঢুকে সোজা ছাদে চলে এলাম।

ছাদের এক পাশে দোলনা আছে। আমি সেখানে গিয়ে বসে পরলাম। আর পকেট থেকে সিগারেটের প্যাকেট বের করলাম।

 

হাতে সিগারেট, আর মনে অনেক প্রশ্ন নিয়ে বসে আছি।

 

জীবন বদলাতে আসলে সময় লাগে না। আগে আমি কি ছিলাম আর এখন আংকেলের কারনে কি হয়ে গিয়েছি। ভাবতেই অবাক লাগে।

 

এরপর ছাদে বসে কয়েকজন বন্ধুর সাথে ফোনে কথা বলে নিলাম। কারন কালকে তো খুলনা চলে যাচ্ছি। জানি না আবার কবে আসব!!

 

নিচে এসে কিচেনে গিয়ে রান্না করতে লাগলাম। আমি নিজেই রান্না করতে পারি। তাই কাউকে লাগে না।

 

রাতে খাবার খেয়ে নিজের রুমে চলে এলাম।

রুমে এসে মোবাইলে গেম খেলতে লাগলাম। তখনই মোবাইলে একটা কল আসল..!! বলুন তো কেমনডা লাগে.? তারপরে গেম থেকে বেরিয়ে ফোন রিসিভ করি। জাকির সাহেব ফোন করেছে।

 

--- আপনি ফোন দেওয়ার আর সময় পেলেন না..!!(আমি)

 

--- সরি স্যার। কিন্তু একটা নিউজ জানানোর জন্য ফোন করেছিলাম। (জাকির)

 

--- হুম বলেন৷৷

 

--- স্যার আপনার ট্রান্সফার হয়ে গেছে খুলনায়। প্রথমে তো রাজি হচ্ছিল না। পরে আপনার কথা বলায় রাজি হয়েছে। (জাকির)

 

--- হুম,,গুড জব..!!!(আমি)

 

--- স্যার,, সবচেয়ে মজার বিষয় কি জানেন.??

 

--- কি..???(প্রশ্ন সূচক ভাবে)

 

--- স্যার খুলনা বিভাগে মাত্র কয়েক দিন আগে এক অফিসারকে নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু আপনি তার সব কিছু ভেস্তে দিলেন। এখন সে নওগাঁ ট্রান্সফার হয়েছে..!!??(হাসতে হাসতে)

 

--- আপনি মিয়া অনেক বেয়াদব হয়েছেন। (আমি হেসে)

 

--- জ্বী,,,স্যার,,মানে..

--- আচ্ছা সব কিছু বুজলাম,,কিন্তু সেখানে তো আমি কিছু চিনি না। একটা থাকার ব্যবস্থা করতে হবে তো নাকি..?(আমি)

 

--- স্যার,,,আপনি আমাকে এই দুই বছরে এই টুকু চিনলেন.?? আমি সব কিছু ব্যবস্থা করে রেখেছি...(জাকির)

 

--- তাই নাকি?? তা কি ব্যবস্থা করেছেন শুনি....(আমি)

 

--- স্যার সবকিছুর ব্যবস্থা করে রেখেছি,,,একটা এসি বাসের টিকিট কেটে রেখেছি আপনার জন্য। এরপর সেই বাসে উঠে সোজা খুলনা..!! সেখানে আপনার জন্য অপেক্ষা করবে মি. আরিফ। সেখানে আমার মতো আপনার সাথে সব সময় থাকবে মি. আরিফ। সে খুলনার ছেলে৷ তবে এখনো চাকরিতে জয়েন করে নাই। আপনার সাথেই জয়েন হবে৷ এবং সেই ছেলে আপনাকে একটা বাসায় নিয়ে যাবে। বাসাটা সম্ভবত দোতালা.. আমি ভালো জানি না। তবে এইটুকু বলতে পারি আপনার সেখানে কোন অসুবিধা হবে না। আর কোন অসুবিধা হলে তো আমি আছি..!!(জাকির সাহেব)

 

আমি তো জাকির সাহেবের কথা শুনে পুরাই হট..!! এই কি সেই জাকির সাহেব.? যে কিনা দুই বছর আগে একটা বোকার ডিব্বা ছিল। কিছুই বুঝত না সব আমি বুঝিয়ে দিতাম। আর এখন আমার সাথে থাকতে থাকতে অনেক ফাস্ট হয়ে গেছে। ভালোই!!

 

--- হয়েছে আর বলার দরকার নেই..!!আমি বুঝে গেছি আপনি সব কিছু ঠিক করে রেখেছেন... গুড জব//(আমি)

 

--- ধন্যবাদ স্যার..!!(জাকির)

--- আচ্ছা ঠিক আছে মি. জাকির সাহেব,,,ভাগ্যে থাওলে আবার দেখা হবে। (আমি)

 

--- মানে বুজলাম না স্যার.. আপনি কি চিরকালের জন্য খুলনা চলে যাচ্ছেন নাকি..?(অবাক হয়ে)

 

--- অনেকটা সেইরকম। পরিস্থিতি ভালো হলে আর আসবো না হয়তো এই ব্যস্ত শহরে..!!(আমি)

 

--- স্যার তাহলে আমার কি হবে..?(জাকির)

 

--- আপনি এখন অনেক বুদ্ধিমান হয়ে গেছেন। এখন আর আমার প্রয়োজন হবে না। (আমি)

 

--- স্যার আপনি প্লিজ যাবেন না,,!!!(মন খারাপ করে)

--- আপনি জানেন,,আমি যেটা একবার বলে ফেলি,, সেইটা থেকে আর ফিরি না,!!..

 

--- আচ্ছা স্যার,,,আবার দেখা হবে আশা করি..!!

 

--- হুম,,আচ্ছা জাকির সাহেব বাস কয়টায় ছাড়বে..??(আমি)

 

--- জি,,স্যার সকাল ১০ টায়।।

 

--- আচ্ছা,,,বায়,,

 

এরপর ফোন রেখে৷ দিলাম।।।

 

আসলে এই শহরে প্রায় ৮ বছর ধরে আছি। তাই অনেকটা মায়া জমে গেছে। ইচ্চা করতেছে না চলে যেতে। কিন্তু আংকেলের কথা আমাকে রাখতে হবে। আর তাছাড়াও নিজের একটা পরিবার আছে। আমার তাদের কথাও চিন্তা করতে হবে। পরিবারের কাছ থেকে আমি অনেক দিন দূরে থেকেছি আর নয়।

 

আমি যখন আমার বাসা,,আমার প্রিয় শহর ছেড়ে এসেছিলাম তখন আমার বয়স সম্ভবত ১৬/১৭ ছিল। ঠিক মনে নেই। তখন এত কিছু বুজতাম না। তখন আবেগ দ্বারা জীবন চালিত করতাম। আমি ঠিক হলে এই বয়সের প্রায় ৮০ ভাগ ছেলে-মেয়ে আবেগ দিয়ে জীবন চালায়। আমিও তাদের একজন ছিলাম।

 

আবেগের বসে বাসা থেকে পালিয়ে আসি। আর এসে পরি যান্ত্রিক শহর ঢাকাতে। আর এখানেই আংকেলের সাথে কেটে যায় দীর্ঘ ৮ বছর।

ওহ সরি,,এত আংকেল আংকেল করতেছি আপনাদের তো আংকেলের নামই বলা হয় নি। আংকেলের নাম হচ্ছে রফিক চৌধুরী। তিনি পেশায় একজন পুলিশ অফিসার ছিলেন। আর বাকি সব কিছু গল্পে আস্তে আস্তে জানতে পেরে যাবেন।

 

আর একটা বিষয় আমি বাসা কেন ছেড়ে চলে এসেছিলাম.? আর এতে কি আমার পরিবারের কোন দোষ ছিল.? নাকি আমারই কোন দোষ ছিল.? এই সব কিছু পরে কোন এক সময় বলব।

আর আমি বর্তমানে কিসের চাকরি করি এটা অজানাই থাক। পরে সারপ্রাইজ দিব আপনাদেরকে। এখন গল্পে ফেরা যাক চলুন......!!!!!!

 

জাকির সাহেবের ফোন রেখে মোবাইলের স্কিনে তাকিয়ে দেখি রাত ১১ টা বাজে। অনেক রাত হয়ে গেছে।

 

এরপর ঘুমাতে যাব তখনই একটা কথা মনে পরল।

তাই মোবাইলে থেকে নিজের পার্সোনাল সিমটা খুলে ফেলে। একটা অবৈধ সিম প্রবেশ করাই আমার মোবাইলে। এরপর মোবাইল অন করে ল্যাপটপ থেকে একটা নাম্বার উঠিয়ে কল করি সেই নাম্বারে।

 

কিছু সময় রিং হওয়ার পরে কল রিসিভ করল..

 

কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে ফোন রিসিভ করে কোন কথা বলতেছে না। একদম চুপ করে আছে। অনেক চালাক আছে। তাই আমি বললাম,,,

 

--- মি. এনামুল আপনি তো দেখছি অনেক চালাক। কিন্তু এত চালাক হয়েও আপনি ফেসে গেলন..!!খুব খারাপ লাগতেছে আপনার জন্য। (আমি রহস্য ভরা কন্ঠে)

 

--- কে..? কে বলছেন আপনি.? আর আমার নামই বা জানলেন কিভাবে.? নাম্বার পেয়েছেন কই.??(উত্তেজিত হয়ে)

 

--- কুল... কুল... এত ব্যস্ত হলে চলবে। আপনার বিপি হাই হয়ে যাচ্ছে যে..!!(আমি)

 

এইবার এনামুল অনেক ভয় পেয়ে যায়। কারন সে ভাবতে লাগল যে আমি কি করে তার এই সব পার্সোনাল বিষয় জানলাম। তার কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমা হয়। আর তার এত ভয় পাওয়ার কারন হচ্চে,,সে অনেক খারাপ কাজ করে থাকে। যেগুলো সে সব গোপনে করে যায়। এই তো তিন দিন আগে একটা মেয়েকে জোর করে রেপ করে মেরে ফেলেন তিনি। আর এইটা করতে তাকে কেউ দেখে ফেলে। কিন্তু কে দেখে ফেলে সেইটা সে জানে না। তাই একটু ভয়ে আছে।

 

এনামুল হক কাপা কাপ কন্ঠে বললেন,,

 

--- কে ত..তুমি..???(এনামুল)

 

--- হাহাহাহাহাহাহা....(খুব জোরে জোরে হাসলাম)

 

এই হাসি শুনে যেন এনামুলের প্রান যায় যায় অবস্থা।

এইবার তিনি একটু জোর গলায় বললেন,,

 

--- কে তুমি.?? আর কি চাও.??

 

--- তোর মৃত্যু.... (আমি)

 

--- তুই জানিস আমি কে..?আর তুই কারে সাথে কথা বলতেছিস জানিস...?(এনামুল বুকে সাহস নিয়ে।)

 

--- সকলের সামনে তোকে খুন করব..!!! মনে রাখির আমাকে,,, খুব তাড়াতাড়ি দেখা হচ্ছে..!! তোর টিকিট তো আমি ৮ বছর আগেই কেটে রেখেছিলাম। শুধু সময়ের অপেক্ষা ছিল। এখন সব কিছু ঠিক আছে। দেখা হবে এনাম ভাই। আলবিদা..!!! (আমি এরপর ফোন কেটে দিলাম।)

 

ফোন কেটে দেওয়ার পরেই অনেক কল আসতে লাগল এনামুল এর। কিন্তু আমি সিমটা খুলে ভেঙে ফেলে দিলাম।

কারন আমি জানি এনামুল এখন এই সিম ট্রাক করে আমার কাছে আসার চেষ্টা করবে। কিন্তু অত সহজ নারে ভাই।..!!!??

 

[হুম আপনি ঠিকই ধরেছেন। এই সেই এনামুল। যে আমার আংকেলকে খুন করেছে। শুধু আংকেলকে নয়,,আংকেলের মেয়ে এবং তার স্ত্রীকেও।]

 

এনামুলকে ফোন দেওয়ার কারন হচ্ছে,,ওকে একটু আতংকে রাখা। আমি অপরাধীকে আতংকে রাখতে ভালোবাসি। তাই একটু মজা নিলাম এনাম ভাইয়ের সাথে?

 

এরপর ফোন রেখে সোজা ঘুমের দেশে হারিয়ে গেলাম।...........

 

.

.

.

.

.

#চলবে.......?????

 

#এক্স_গার্লফ্রেন্ড_যখন_পুলিশ_অফিসার

#Part_03

#Writer_srabon

 

[গল্প কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ]

 

আজকে একটু সকাল সকালই ঘুম থেকে উঠে গেলাম। কারন আজকে তো আমাকে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হবে।

 

ঘুম থেকে উঠে সোজা ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।

এরপর রোজকার মতো সকালের খাবার বানাতে গেলাম।

নাস্তা বানিয়ে খাবার খেয়ে নিলাম।

এরপর ঘড়িতে চেয়ে দেখি ৯ টা বেজে গেছে। আমি তাড়াতাড়ি করে আমার সব কিছু একটা ব্যাগে গুছিয়ে নিলাম। এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে জিনিসটা মানে আংকেলের দেওয়া ফাইলটা খুব ভালো করে ব্যাগে রেখে দিলাম। এরপর বাসার দিকে একবার তাকিয়ে বেরিয়ে গেলাম। মনটা একটু খারাপ। কারন অনেক দিন হলো এই বাসাতে আছি। আর আজকে সব কিছু ছেড়ে চলে যাচ্ছি। আবার এক দিক দিয়ে একটু এক্সাইটেডও লাগতেছে। কারন নিজের শহরে যাচ্ছি।

 

বাসা থেকে বেরিয়ে হেটেই যাচ্ছি বাসস্ট্যান্ডে। কারন আমার বাসার একটু দূরেই বাসস্ট্যান্ড। তাই আর রিক্সা নিলাম না।

 

বাসস্ট্যান্ডে আসতে আসতে প্রায় ১০ টা বেজে গেছে। আমি বাইরের একটা দোকান থেকে কিছু চিপস আর জুস নিয়ে বাসের সিটে গিয়ে বসলাম।

বাসে করে কোথাও গেলে আমার এইগুলো খেতে খুব ভালো লাগে। অনেকে আবার আমাকে বাচ্চা বলতে পারেন। আসলে আমি কিন্তু বাচ্চা না..!!?

 

বাস ছাড়তে এখনো ১০ মিনিট বাকি। আমি একটু আগেভাগেই গিয়ে বসে উঠে পরলাম। কিন্তু বাসে ঢুকে সিটের কাছে গিয়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল। কারন আমি মনে মনে ভেবেছিলাম আমার সিট হয়তো জানালার কাছে পরবে। কিন্তু না,,আমার পোরা কপাল। আমি মন খারাপ করে আমার সিটে বসে পরলাম। আমার পাশের সিট ফাকা। হয়তো একটু পরে এসে বসে পরবে। আমি এইসব কিছু না ভেবে পকেট থেকে হেডফোন বের করে মোবাইলে ঢুকিয়ে গান শুনতে লাগলাম।

 

বাসের সিটে হেলান দিয়ে চোখ


Tanvir Arafat

93 Blog Postagens

Comentários