অহংকারী চাচাতো বোন

অহংকারীদের কেউ পছন্দ করেনা। অহংকারীদের কেউ ভালোবাসে না সবাই ঘৃনা করে।

ঠাসসসস ঠাসসসস এত অপমানের পরও তুই আসছিস আমাকে প্রপোজ করতে । আসলেতো তোর বাবা মায়েরই ঠিক নেই না হলে এতো অপমানের পরও আমার সামনে আসিস (মাওয়া)

ঠাসসসস করে ৪ টা দিলাম, তুই আমাকে বলস ভালো কথা শেষ পযন্ত তুই আমার বাবা মাকে নিয়ে কথা বললি। ।যা আজকে থেকে আর তোকে বিরক্ত করবো না তুই থাক তোর মতো (আমি)

এই বলে চলে আসলাম বাসায় আর বাসার এসে কাউকে কোন কিছু না বলে রুমে এসে পুরোনো দিনের কথা ভাবতে লাগলাম

২ বছর আগের ফ্লাশব্যাক...

এই আতিক ওঠ (মা)

মা আরেকটু ঘুমাই এতো সকালে ডাকতেছো কেন (আমি)

কি এখন এতো সকাল ১১ বাজে আজকে না তোর HSC এর রেজাল্ট দিবে তাড়াতাড়ি ওঠ (মা)

কি আগে উঠাবা না আমাকে আসলে কালকে রেজাল্টের টেনসন করতে করতে দেরিতে ঘুমিয়ে ছিলাম তো তাই এতক্ষন ঘুমিয়েছি (আমি)

আমি বুঝেছি তো তাইতো তোকে এতোক্ষন ডাকি নাই আচ্ছা এখন তারাতারি ফ্রেশ হয়ে আয় (মা)

ওকে মা (আমি)

তারপর ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে কলেজের জন্য বের হলাম।যেতে পরিচয়টা দিয়ে নিই আমি কাব্য আহসান আতিক ।আমার বাবা একজন বড় বিজনেসম্যান। আমি বাবা মায়ের তিনমাত্র সন্তান।বড় দুভাই আছে।বড় জন বিবাহিত। আর বাবা মাকে নিয়েই আমার পরিবার। আমি এবার HSC দিছি। আর আজকেই রেজাল্ট দিবে। পরিচয় দিতে দিতে কলেজে চলে আসলাম। কলেজে আমার বন্ধুরা ( সিয়াম, সাকিব, হাবিব, দূজয়) একসাথে বসলাম।সবার মুখে চিন্তার ছাপ রেজাল্ট নিয়ে।

দোস্ত রেজাল্ট ভালো হবে তো (দূজয়)

ইনাশাআল্লাহ ভালো হবে (সিয়াম)

তাই যেন হয় ভাই (হাবিব)

এই আযান দিতেছে (সাকিব)

হুম চল নামায পড়ে আসি।রেজাল্ট তো দিবে ২ টায় (আমি)

হুম চল (সবাই)

তারপর সবাই মসজিদে গিয়ে নামাজ পরে কলেজে গেলাম রেজাল্ট আনতে । রেজাল্ট শুনে তো আমি খুশিতে লাফ দিলাম কারন আমি golden A+ পেয়েছি। আমার বন্ধুরাও সবাই ভালো রেজাল্ট করেছে। আর আমি বাবা মাকে ফোন করে সব জানিয়ে দিলাম।তারাও অনেক খুশি।তারপর আমি বাসায় চলে আসলাম। আমি বাসায় যেতেই বাবা মা আমাকে মিষ্টি খাইয়ে দিলো।আর আমি পা ছুয়ে ছালাম করলাম।তারপর বাবা বলল, অনেক বড় হ বাবা।

তোমাদের দোয়া থাকলে আমি অনেক বড় কিছূ করতে পারব (আমি)

আমাদের দোয়া সব সময় তোর সাথে থাকবে (মা)

হুম আমাদের দোয়া ও তোর সাথে আছে কিন্তূ (বড় ভাই-ভাবি একসাথে)

হুম ভাইয়া ভাবি আমি জানিতো ( দুজনের পায়ে সালাম করে আমি)

তারপর...

চলবে..

পর্বঃ ০১

 

#অহংকারী_চাচাতো_বোন#অহংকারী_চাচাতো_বোন?♀️

#আতিক_আহসান_লিমন

পর্বঃ ০২

______অনুমতি ছাড়া কপি নিষেধ_____

হুম আমাদের দোয়া ও তোর সাথে আছে কিন্তূ (বড় ভাই-ভাবি একসাথে)

হুম ভাইয়া ভাবি আমি জানিতো ( দুজনের পায়ে সালাম করে আমি)

আমার পক্ষ থেকে একটা সামান্য গিফ্ট তোর রেজাল্টের জন্য ( হাতে একটা চাবি দিয়ে ভাবি। আর ভাবি আমাকে ছোট ভাইয়ের মতো স্নেহ করে তাই তুই করেই বলে)

এটা কিসের চাবি (আমি)

এটা একটা বাইকের চাবি। তোর ভাইয়ের আমাকে দেওয়া জমানো টাকা দিয়ে এটা কিনেছি (ভাবি)

এটার কি দরকার ছিলো ভাবি আপনার ভালোবাসাই তো আমার কাছে সব (আমি)

তা আমি জানিরে ভাই তবুও আমার ভাই এতো ভালো রেজাল্ট করবে আমি কিছু দিব না তা তো হয়না আর এটা আমি একা কিনিনি তোর ভাই ও টাকা দিছে (ভাবি,আমার মাথায় হাত বুলিয়ে)

আরে আরে আমার ভাই কোথায় (মেঝ ভাই, ঘরের মধ্যে ঢুকতে ঢুকতে)

আরে তোমার আসতে এতো দেরি হলো কেন (পায়ে সালাম করে আমি)

আর বলিস না আমার সব বন্ধুদের ট্রিট দিয়ে আসতে হয়েছে তোর রেজাল্টের জন্য (মেঝ ভাইয়া)

ওহ আচ্ছা (আমি)

তা এখন বল তুই আমার কাছে কি চাস (মেঝ ভাইয়া)

আরে আমার কিছু লাগবে না (আমি)

না না তা বললে তো হবে না তোর কিছু নিতেই হবে বল কি চাই (মেঝ)

যা চাইবো তা দিবে তো (আমি)

আমি বলছি তো দিব তোর যা চাই বল (মেঝ)

ওকে আমার আর একটা ভাবি চাই (আমি)

মা দেখো ও কি বলে (মেঝ)

ও তো ঠিকই বলছে এখন বিয়েটা কর বাবা (মা)

ভাইয়া এটা কিন্তু ঠিক না তুমি বলছো আমি যা চাইবো তুমি তাই দেবে (আমি)

ওকে মা যাও আমি বিয়ে করবো (মেঝ ভাইয়া,বলেই রুমে চলে গেলো)

ওকে ঠিক আছে তাহলে এখন বিয়ের ব্যবস্থা করতে হবে দেখছি (বড়)

হুম তাই করো (বাবা)

তারপর বিয়ের ব্যবস্থা করা হলো ১৫ দিন পর।বিয়ের অনুষ্ঠানের সবকিছুর ব্যবস্থা করতেছে বড় ভাই ও আব্বু । আমিও মাঝে করে সাহায্য করি।তবে বিয়ের ৭ দিন বাবা এসে বলল, বাবা আমরা সবাই তো এখন ব্যস্ত আছি।তুই একটু তোর চাচা চাচিকে নিয়ে আয় বাস স্টেশন থেকে

ওকে বাবা (আমি)

আচ্ছা তাহলে তাড়াতাড়ি যা তারা কাছাকাছি এসে পড়েছে (বাবা)

হুম যাচ্ছি (আমি)

তারপর আমি গাড়ি নিয়ে চলে গেলাম বাস স্টেশনে। গিয়ে বাস এখনো আসে নাই।তাই কতক্ষন বসে অপেক্ষা করে একটা দোকানে গিয়ে একটা স্প্রিট কিনে খেয়ে বোতলটাকে দিলাম পা দিয়া একটা লাথি।বোতল টা গিয়ে পরলো একটা মেয়ের গায়ে।মেয়েটির তাকিয়ে তো আমি অবাক। কারণ মেয়েটা মানুষ নাকি সবুজ ড্রেস পড়া এক পরি, টানা টানা চোখ তার ঊপর কাজল,সবুজ রঙের একটা হিজাব।আমিতো ক্রাস খেলাম তাই মেয়েটার দিকে এক ভাবে তাকিয়ে আছি।কিছুক্ষন পর মেয়েটি আমার সামনে এসে ঠাসসসসস আমাকে একটা দিয়ে দিলো তারপর বলতে শুরু করলো, তুই আমার গায়ে বোতল মারলি কেন?

সরি আসলে আমি আপনাকে দেখতে পাই নাই (আমি)

চুপ তোর মতো বখাটে ছেলেদের কাজই তো এইসব (মেয়েটি)

আরে আপনি ভুল ভাবছেন (আমি)

আমি এখন একজনকে খুজতে এসেছি নাহলে তোর খবর ছিলো যত্তসব ফালতূ পোলা (মেয়েটি এইবলেই হাটতে লাগলো)

আরে আরে (আমি)(কিছু না শুনেই চলে গেলো)

কি আজব মেয়েরে বাবা, দেখতে সুন্দর কিন্তু রাগী আর অহংকারি (আমি বলতে বলতে বাস কাউন্টারের দিকে যেতে লাগলাম)

গিয়ে দেখি কাকা কাকি দাড়িয়ে আছে ।আমি গিয়ে তাদের পায়ে সালাম করলাম।তার দুজনেই বলল,বেঁচে থাক বাবা আমাদের দোয়া সব সময় তোর সাথে থাকবে।

হুম চাচ্চু (আমি)

মাওয়া তোকে খুজতে গেছে ও তো এখনো আসছেনা (কাকি)

এই মাওয়া আবার কে? (আমি)

কে আবার আমাদের মেয়ে (কাকা)

ঐতো মেয়েটা এসে গেছে (কাকি)

কোথায় (আমি)

পিছনে ঘুরে তাকিয়ে তো আমি অবাক........

Waiting for next part.....

॥#অহংকারি_চাচাতো_বোন

#আতিক_আহসান_লিমন

 

পর্ব ০৩

/

/

!

 

পিছনে ঘুরে তো আমি অবাক কারণ মেয়েটি হলো একটু আগে যে মেয়েটার সাথে কথা কাটাকাটি হলে সে। তাহলে কি আমার ক্রাসই হলো আমার চাচাতো বোন মাওয়া। যাক ভালোই হলো (মনে মনে এসব ভাবছি) তখনই মাওয়া বললো , ঐ তুই এখানে কেন বখাটে ছেলে কোথাকার এখন আবার আমার পিছু নিয়েছিস

আরে আপনি (আমি)

কি যাতা বলছিস তুই কি চিনোস ওকে ( আমাকে থামিয়ে দিয়ে কাকি)

হুম একটু আগে ও আমার সাথে ঝগড়া করেছে (মাওয়া)

যাক বাবা ঝগড়া করলো সে দোষ দিলো আমার (মনে মনে আমি)

কি বলছিস এসব ও এরকম করতে পারে না তোর মনে হয় ভুল হচ্ছে (কাকা)

কি আমি বলছি তোমাদের তাও বিশ্বাস হয় না ও কে যে ওর জন্য তোমরা আমাকে বিশ্বাশ করছো না (মাওয়া)

কারণ ও হচ্ছে তোর চাচাতো ভাই আতিক (কাকা)

আচ্ছা বাবা তুই বলতো কি হয়েছিলো একটু আগে (আমাকে ঈশারা করে কাকি)

আসলে কাকি তারপর কাকিকে সব খুলে বললাম

দেখছিস বলছি না কিছু mistake হয়েছে ( মাওয়াকে ইশারা করে কাকা)

ওহ আচ্ছা (মাওয়া)

ওকে এখন চল তাহলে আতিক বাসায় যাই (কাকি)

তারপর গাড়ি নিয়ে বাসায় চলে আসলাম।বাসায় এসে ফ্রেস হয়ে লান্চ করে বাসার বাহিরে আসলাম ফ্রেন্ডদের ও আসতে বললাম কারন বাসায় এতো মানুষের মাঝে ভালো লাগছিলো না। সবাই চলে আসলো আমাদের ক্লাবে যেখানে সবাই আড্ডা দেই।তারপর সবাই সেখানে আড্ডা দিতাছি কিন্তু আমার আড্ডায় মন বসতেছে না শুধু মাওয়ার মুখটা ভেসে উঠছে।আর ভাবতেছি কি করে মানুষ এতো সুন্দর হতে পারে ।ওকে তো আমার ১ম দেখায় ভালোলেগে ছিলো এখন কি তাহলে ভালোবেসে ফেলেছি। না এ হয় না সে তো আমার ১ বছরের সিনিয়র।(ও আপনাদের তো বলাই হয়নি মাওয়া এইবার অনাস ২য় বষে উঠেছে আর আমি উঠবো)

এগুলা ভাবতেছি তখনই সিয়াম একটা ধাক্কা দিলো

ওহ হ্যা কি বল কিছু বলবি (আমি)

কোন জগতে আছোস তুই (সিয়াম)

কেন এই জগতে (আমি)

সত্যি করে বল কি ভাবছিলি আর মিটি মিটি হাসছিলি (হাবিব)

কি হয়েছে বলতো (দূজয়)

আমার মনে হয় শালায় কারো প্রেমে পড়েছে (সাকিব)

না মানে আসলে সাকিব তুমি ভুলে যেও না আমি তোমার শালা না তুমি আমার সালা কারণ তোমার বড় বোন আছে (আমি)

শালা এখন যতই কথা ঘুরানোর চেষ্টা করো কোন কাজ হবে না (সিয়াম)

হুম সত্যিটা বল এখন (হাবিব)

তাহলে শোন আমার একজনকে ভালো লেগেছে (আমি)

কাকে (দুজয়)

আমার চাচাতো বোন মাওয়া কিন্তু সমস্যা হলো আমার ১ বছরের সিনিয়র (আমি)

আরে ভাই এটা কোন কথা হলো সিনিয়র হয়েছে তাতে কি তাই বলে প্রেম করা যাবে না (সিয়াম)

যাবে কিন্তু তবুও ভয় করে (আমি)

তোর মতো ফাযিল যদি বলে ভয় লাগে তাহলে আমরা করবো কি (সাকিব)

তা দেখতে কেমনআমাদের ভাবি (দুজয়)

[আমার কিছু পাঠক-পাঠিকা লাগবে যারা গল্প পড়তে পছন্দ করেন তারা রিকয়েষ্ট দিয়ে একটা মেসেজ দিবেন আর গল্পের মধ্যে ডিস্টাব করার জন্য দুঃখীত]

দেখতে পরির মতো কিন্তু অনেক অহংকারী ও রাগী (আমি)

ওদের সাথে এভাবে আড্ডা দিতে দিতে ৫ টা বেজে গেল সেই সময় ভাইয়ার ফোন। একবার তাকিয়ে রিসিভ করলাম।

কোথায় তুমি (ভাইয়া)

এই বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতাছি (আমি)

এখনই একটু বাসায় আসো তো (ভাইয়া)

কেন কোন সমস্যা ভাইয়া (আমি)

না এই একটু মাকেটে যাবা মাওয়ার কি কি যেন কেনা লাগবে (ভাইয়া)

ওহ আচ্ছা আসতেছি বলেই ফোন কাটলাম (আমি)

কি হলো কোথায় যাবি (সিয়াম)

এই একটু তোদের ভাবি কে নিয়ে মাকেটে যাব (আমি)

কেন (সাকিব)

তার কি যেন কেনা লাগবে (আমি)

ওহ যা তাহলে দেখ পটানোর চেষ্টা করিস (হাবিব)

আচ্ছা বলেই বাইক নিয়ে বাসা চলে আসলাম।বাসায় এসে দেখি মাওয়া আপু বসে আছে। আমি গিয়ে বললাম চলো আপু

দাড়া তোকে কিছু বলে নেই আগে (মা)

হুম বলো (আমি)

ওর সাথে কোন ফাজলামো করবিনা (মা)

মা আমি কি কখনো কারো সাথে ফাজলামো করেছি (আমি)

না তুমি তো ফাজলামো শুধু সবাইকে জ্বালিয়ে মারো (মা)

মাআআ (আমি)

হয়েছে আর ন্যাকামো করতে হবে না এখন যা (মা)

ওকে চলো (আমি)

আচ্ছা চল কাকি কি বলছে ওটা যেনমনে থাকে (মাওয়া)

সেটা দেখা যাবে (মনে মনে) হুম (আমি)

এই বাসার বাহিরে চলে আসলাম।তারপর বললাম কিসে যাবো

কেন তোর বাইকে যাবো কিন্তু ব্রেক মারবি না (মাওয়া)

আমি ঐ রকমের ছেলে না (আমি)

তারপর বাইক চালিয়ে মাকেটে আসলাম। তারপর আপুর প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে যেই বের হবো তখনি দেখি আমার বান্ধবিগুলা দাড়িয়ে আছে( এরা হলো আমার ক্লাসমেট তিথি, অধরা , জান্নাত) ওরা আমাকে দেখেই আমার কাছে আসলো।

কে রে এটা আতিক (তিথি)

এটা তোদের ভাবি (আমি)এটা বলেই আপুর দিকে তাকলাম দেখি আপু চোখ দিয়েই আমাকে পুড়িয়ে ফেলবে।

তারপর.......

Waiting for next part....

[বিঃদ্রঃ-এটা আমার ১ম লেখা গল্প।তাই সবাই লাইক কমেন্ট করে উৎসাহ দিবেন।ভূল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন]

 

#অহংকারি_চাচাতো_বোন

#আতিক_আহসান_লিমন

পর্বঃ ০৪

কিরে আতিক কে এটা (তিথি)

এটা তোদের ভাবি (আমি)

এটা বলেই যেই ওর দিকে তাকালাম দেখি কিছু বলতে না পেরে রাগে চোখ নাক মুখ লাল হয়ে গেছে

আমাদের ভাবি তো দেখতে অনেক সুন্দর (নিলা)

হুম অনেক সুন্দর মানিয়েছে তোদের (অধরা)

তা কবে থেকে শুরু করলি তোদের রিলেশন আমাদের না জানিয়ে (জান্নাত)

তোদের সাথে তো অনেক দিন দেখা হয় নি তাই বলতে পারনি (আমি)

কুত্তা একদম মিথ্যা বলবিনা তুই ১ সপ্তাহ আগেও আমার হাবিবের নামে মিথ্যা বলে টাকা নিয়েছিস (নিলা)

তোর কাছ থেকে অনেকদিন টাকা নেয় নি তাই তোর সাথে দেখা হওয়ার পর টাকা না নিলে হয় (আমি)

কুত্তা তোকে আমি (কলার ধরে নিলা)

মাওয়া আপু চুপচাপ আমাদের কাহিনি দেখতেছে আর হাসতেছে

আস্তে আস্তে তোমার রিলেশনের এমন বারোটা বাজাবো না আর কখোনো জোড়া লাগবেনা (আমি)

না না দোস্ত তুই আমার কলিজার দোস্ত না (একদম ভদ্র সেজে আদূরে গলায় নিলা)

এতে হবে না কিছু লাগবে (আমি)

কত লাগবে বল (নিলা)

এইতো সোনা লাইনে এসেছো ৫০০০ টাকা দিলেই হবে (আমি)

একটু কম করা যায় না (নিলা)

আমি এসব বিষয়ে বেশি কথা বলি না (আমি)

তোকে আমি দেখে নেব (টাকাটা হাতেদিয়ে নিলা)

আচ্ছা দেখে নিস (আমি)

আচ্ছা ভাবি আপনি ওকে একটু শায়েস্তা করবেন প্লিজ (মাওয়াকে ইশারা করে নিলা)

আচ্ছা ও কি করেছে সেটাই আমি এবং পাঠকরা কেউ জানি না (মাওয়া)

আচ্ছা শোনেন তাহলে নিলা বলতে শুরু করলো ১ সপ্তাহ আগের ফ্লাস ব্যাক.....

আমি সেদিন একটু ছোট বোনকে দোকানে নিয়ে গিয়েছিলাম। তার মধ্যপথে ওর সাথে দেখা। তারপর ও বলতে শুরু করলো , কিরে তুই এখানে আর অন্যজন কে তো দেখলাম না থাক তোকে বলবো না

আরে বল (আমি)

বললে আমি কি পাব (আতিক)

তুই কি হয়েছে তাই বল হাবিব কে তুই কি করতে দেখেছিস (আমি)

আমি কাউকে শুধু শুধু কিছু বলি না (আতিক)

আচ্ছা কি লাগবে বল তবুও বল ও কি করেছে (আমি)

যদি ৫০০০ টাকা দিস তাহলে বলতে পারি (আতিক)

আচ্ছা দিবো এখন তো টাকা আনি নাই কালো সকালে দিবো আনে এখন বল (আমি)

আমি বাকি কাজ করি না (আতিক)

এখন তো আনি নাই এতো টাকা দিবে কি করে (আমি)

কেন তোর বিকাশে টাকা আছে না সেখান থেকে দে (আতিক)

ওকে দিতাছি দাড়া (আমি)

হুম দে (আতিক)

তারপর আতিক দেখে ওর নাম্বারে বিকাশ থেকে মেসেজ এসেছে

টাকা তো দিয়েছি এখন বল (আমি)

হুম শোন আমাকে হাবিব ফোন দিয়ে বলেছে ও এখন এখানে আসতেছে (আতিক)

কিইইই কুত্তা তুই আমাকে আবার বোকা বানিয়ে নিলি (আমি)

ঐ দেখ হাবিব আসতেছে (আতিক)

আমি পিছনে তাকিয়ে দেখি সত্যিই হাবি আসতেছে তারপর আতিকের দিকে ঘুরেই দেখি ও নেই।আর হাবিব আমার কাছে চলে এসেছে।

কি হয়েছে তোমার এভাবে দাড়িয়ে আছো কেন (হাবিব)

আরে বলো না আতিক আমাকে আজকেও বোকা বানিয়ে টাকা নিল (আমি)

কেন কি হয়েছে (হাবিব)

তারপর ওকে সব খুলে বললাম

হা হা ও পারেও বটে (হাবিব)

এই ছিলো সেদিনের ঘটনা ফ্লাশব্যাক শেষ।

হা হা ও তোমাকে এতো বোকা বানিয়েছে (মাওয়া)

ও শুধু আমার থেকে নয় ওদের সবাই থেকেই নিয়েছে (নিলা)

হুম আমাদের কাছ থেকেও নিয়েছে (সবাই একসাথে)

কুত্তী গুলাআআ (আমি)

ঐ তুই চুপ থাক তুই ওদের সাথে এতো ফাজলামো করিস ক্যান (মাওয়া রেগে)

আমি ভয়ে চুপ (আমি)

এখন এসব বাদ আমাদের রিলেশনের জন্য অনেক ট্রিট নিয়েছো (তিথি)

এখন আমাদের ট্রিট দিয়ে একটু ধন্য কর (জান্নাত)

তোর কাছ থেকে আজকে কিছু হলেও খরচ তো করতে পারবো (অধরা)

আমার কাছে খূচরা থাকলে ২ বা ১ টাকা দিয়ে তোদের মতো ফকিরদের বিদায় করতাম কিন্তূ তাও নাই মাফ কর প্লিজ (আমি)

কুত্তা তুই আজকে যাই বলোস না কেন তোর আজকে ট্রিট দিতেই হবে (সবাই একসাথে)

তোরা তোদের ভাবির কাছ থেকে ট্রিট নিয়ে নে। জানিস তোদের ভাবি কতো ভালো সে নিজেই বলছে তোদের ট্রিট দেবে (আমি)

কূত্তা আমি তোকে কখন বললাম (আমার কানে কানে মাওয়া)

এটা আমাকে সকালে থাপ্পর দেওয়ার জন্য একটা সামান্য বাশ (আমি)

সত্যি আমাদের ভাবি এতো ভালো যে আমাদের ট্রিট দিতে চায় (অধরা)

ভাবি চলেন ওর টাকায় কিছু খেতে পারবোনা আপনারটা খেতে পারলেই হবে (তিথি)

মাওয়া পরে গেছে মাইনকা চিপায় মনে মনে ভাবতেছে( কুত্তাটা আমাকে এভাবে বাজাবে বুঝতে পারি নাই এখন মনে হয় আমার টাকা গুলো গেলো কুত্তা তোর ব্যবস্থা পরে করতেছি এখন ওদের ট্রিট টা দিয়ে নিই)

আচ্ছা চলো (মাওয়া)

আরে আরে আমার বন্ধুরা আছে না ওদেরও আসতে বলি যতই হোক ওর বন্ধুর গফ ট্রিট দিবে (আমি)

কুত্তাটা আমার টাকার আজকে বারোটা বাজাবে (মনে মনে) আচ্ছা আসতে বল (মাওয়া)

তারপর আমি সাইডে গিয়ে আমি সিয়ামকে কল দিলাম

কোথায় তুই (আমি)

এইতো এখনো আড্ডাখানায় আছি (সিয়াম)

সবাই আছে (আমি)

ওদের নিয়ে **** রেস্টুরেন্ট এ চলে আয় কোন প্রশ্ন করবিনা যেভাবে বলবো সেভাবে কাজ করবি (আমি)

ওকে (সিয়াম)

শোন তাহলে রাস্তায় কিছু পথ শিশু থাকলে তাদের নিয়ে আসবি আর ওদের এমন জায়গায় বসাবি যেন মাওয়া আপু না দেখে (আমি)

কিন্তু করছিস টা কি বলবি তো (সিয়াম)

বললাম না কালকে তোদের সব বলবো (আমি)

তারপর মাওয়া আপুদের কাছে এসে বললাম চলো সবাই।তারপর সবাই মিলে রেস্টুরেন্টে গেলাম কিছুক্ষন পর সিয়াম রাও চলে আসলো তারপর শুরু হলো খাওয়া আমরা ছেলেরা এমন খাওয়া খাচ্ছে মনে হয় ২ দিন কেউ কিছু খাই নাই।

সিয়াম তো বলেই ফেলল, ভাবি আপনি দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি মনটাও অনেক ভালো

মাওয়া ওর কথা শুনে শুধু মুচকি হাসছে মানবার খাতিরে। আর মনে মনে বলছে , এই গুলা ফাজিলটার ফ্রেন্ড নাকি রাক্ষস আজকে টাকাগুলো গেলো। এর পর খাওয়া শেষে বিল দেওয়ার সময় মাওয়া আপুতো আবাক। কারন বিল.......

TO BE CONTINUE...........

 

[বিঃদ্রঃ-গল্পটা কি এখানে থামাবো নাকি চালিয়ে যাবো? যদি গল্প ভালো লেগে থাকে তাহলে লাইক কমেন্ট করে উৎসাহ দিবেন। আপনাদের উৎসাহ পেলে গল্প ভালো করে লিখতে পারবো। তাই আপনাদের ভালোবাসা ও উৎসাহ চাই

 

]#অহংকারী_চাচাতো_বোন

লেখক: #আতিক_আহসান_লিমন

পর্ব ০৫

____<অনুমতি ছাড়া কপি নিষেধ>____

খাওয়া শেষে ওয়েটার যখন বিলের কাগজ হাতে দেয় তখন মাওয়া আপু অবাক। কারন বিল হয়েছে ১২৫৫০ । তখন মাওয়া আপু ওয়েটারকে ডেকে জিজ্ঞেস করলো, এত বিল হলো কি করে

আসলে ম্যাম ঐ যে দেখেন বাইরে দাড়িয়ে আছে (ওয়েটার)

আপু দেখে ৫০ টার মতো পথশিশু দাড়িয়ে আছে। তো আমার কি (মাওয়া)

আরকি ম্যাম ওরা ঐ স্যারদের সাথে এসেছে ( আমাদের দিকে ইশারা করে ওয়েটার)

আমি তাকিয়ে দেখি মাওয়া আমার দিকে রাগি চোখে তাকিয়ে আছে। তার উপর আমি দিলাম আবার চোখ টিপ দিলাম। এতে তো ও আরো তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো।

(ফাজিল তোর জন্য আমার এতগুলো টাকা গেল তার উপর আবার চোখটিপ মারিস তোর একটা ব্যবস্থা করতে আমার সাথে ফাজলামো করার মজা হারে হারে টের পাবি)মনে মনে মাওয়া

আচ্ছা এই নিন টাকা (ওয়েটারের হাতে টাকা দিয়ে মাওয়া)

তারপর সবাই রেস্টুরেন্ট থেকে বের হলাম।তারপর পর সবাই মাওয়া আপু ও আমার কাছ থেকে বিদায় নিলো।

এখন চলেন (আমি)

হারামি তোর জন্য আমার কতো গুলো টাকা গেল (মাওয়া)

হা হা এটা আমাকে থাপ্পর দেওয়ার জন্য (আমি)

তা দেখবি আনে এখন বাসায় চল (মাওয়া)

ওকে চলো (আমি)

তারপর বাইক চালাতে শুরু করলাম। বাইক একটা দোকান এর সামনে থামালাম।তারপর জিজ্ঞেস করলামা

আইসক্রিম খাবা (আমি)

ফ্লট করছিস (মাওয়া)

থাক তোমার খাওয়া লাগবে না আমি একাই খাইতেছি বলে চলে গেলাম দোকানে (আমি)

কুত্তা আমাকে ফেলে এখন আইসক্রিম খাবে এর একটা শাস্তি দিতেই হবে আর আমিও বা ওটা কেন বলতে গেলাম (মনে মনে মাওয়া)

আমি দোকানে দুটো আইসক্রিম কিনে চলে আসলাম।

আমি আপুর সামনে দাড়িয়ে আইসক্রিম খাইতেছি আর আড়চোখে আপুর দিকে তাকাইতেছি।দেখি আপু আমার দিকে তাকিয়ে আছে ।

কুত্তাটা দুটো এনে আমাকে একটা দিচ্ছে না কেন (মনে মনে মাওয়া)

তারপর আমি বললাম এই নিন (আইসক্রিম সামনে এগিয়ে)

দে (একটু জোর করেই নিল)

আপনাকে না দিলে আমার পেট খারাপ হতো তাই দিলাম (আমি)

আইসক্রিম নিয়ে খোটা দিচ্ছিস দাড়া আজকে বাসায় যেয়ে নিই (মাওয়া)

তারপর আইসক্রিম খেয়ে দুজনে বাসায় আসলাম। আমি রুমে ফ্রেশ হয়ে ফেইসবুকিং করতেছি এমন সময় মাওয়া আপু এলো।

একি তুমি আমার রুমে (আমি)

তোর বান্ধুবিদের সামনে কি যেন পরিচয় করিয়ে দিলি (মাওয়া রেগে হাতে লাঠি নিয়ে )

ওও টাটা তো আমি এএমনি ববলছিলাম (আমি)

হারামি তোর ফাজলামো ছুটাচ্ছি দাড়া বলেই দিলো একটা বারি (মাওয়া)

আরে ব্যাথা পাচ্ছি তো (আমি)

কুত্তা তোর জন্য আমার এতগুলা টাকা গেলো আবার আইসক্রিম নিয়ে খোটা দিছস এই বলে এলোপাথারি মারতে শুরু করলো (মাওয়া)

আমাকে এমন ভাবে মারছে পুরো শরীর ব্যথা করছে ।অনেক্ষন মারার পর থামলো।

আর কখোনো আমার সাথে ফাজলামো করতে আসলে আবার এমন মারা মারবো এই বলেই চলে গেল (মাওয়া)

হু বা* মারবা বড় বলে কিছু বললাম না। যতই হোক তুমি আমার ক্রাস। আর আমার ফাজলামো তুমি আটকাতে পারবেনা। আমাকে মারার শাস্তি তোমাকে ফাজলামো করেই দেবো (আমি রুমে বসে একা একা)

তারপর বন্ধু হাবিবকে কল দিলাম

হ্যালো বল (হাবিব)

দোস্ত কাউকে লাঠি দিয়ে পিঠালে তার শরীরে যে ব্যাথা হয় তার ঔষধ নিয়ে বাসায় আয় (আমি)

কেন তোকে আবার কে মারছে (হাবিব)

তুই বাসায় আয় তোকে সব বলতেছি আর হে ঔষধ যেন কেউ না দেখে (আমি)

আচ্ছা আসতেছি (হাবিব)

হুম আয় বলেই টুট টুট ফোন কাটলাম (আমি)

তারপর হাবিব বাসায় আসলো ঔষধ নিয়ে। আমি খেয়ে নিলাম।তারপর

এখন বল কি হয়েছিল (হাবিব)

তারপর হাবিবকে সব খুলে বললাম।

হা হা সালা তুই আজকে ভাবির হাতে মার খেলি (হাবির)

হু রে তোদের ভাবি অনেক রাগি (আমি)

ভাই আমার নিলা যেন এমন না হয়(হাবিব)

সালা বেশি রাগি হয় ভালোবাসতেও সে বেশি জানে (আমি)

হুম তা ঠিক (হাবিব)

এর মধ্যে ভাবি আমাদের ডিনারের জন্য ডাকলো। আমরা না করে দিলাম কারন টা তো আপনারা জানেনই আপু ট্রিট দিছিলো।আর হাবিবকে আজ বাসায় যেতে দেয়নি তাই দুজনে গল্প করতে ঘুমিয়ে গেলাম।সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি শরীরে কোনো প্রকার ব্যাথা নেই।তারপর আমি হাবিব দুজনে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে রুমে এসে ভাবতে লাগলাম কীভাবে মাওয়া আপুকে জ্বালানো যায়।

তারপর মাওয়া আপুর রুমে গেলাম।

কি করো তুমি (আমি)

এই শোন আমি তোর বড়ো সো আমাকে আপনি করে বলবি (মাওয়া)

পারবোনা আমি তোমাকে আমি বিয়ে করবো বউকে কি কেউ আপনি করে বলে (আমি)

দাড়া ছুটাচ্ছি তোর বিয়ে করা (রেগে কলার ধরে মাওয়া)

এতো কাছে এসো না আপু কিছু একটা করে ফেলবো (আমি)

কি করবি তুই আমাকে (মাওয়া আরও রেগে)

দেখবে কি করেতে পারি পারি এই বলেই চুল ধরে কাছে টেনে এনে দিলাম চার ঠোট এক করে দিলাম (আমি)

30 সেকেন্ডের মতো বেশি রাখতে পারিনি মাওয়া জোর করে ছাড়িয়ে "কুত্তা তোর এত বড় সাহস তুই আমাকে কিস করলি।দাড়া আজকে তোর খবর আছে এই বলে মাওয়া ঝাড়ু হাতে নিল

যেই আমার কাছে এসে মারতে যাবে তখনি আমি "আরে কাকি

এটা বলার পরই ভয়ে মাওয়া ঝাড়ু ফেলে পিছনে তাকায় আর আমি এই সুযোগে তার গালে একটা কিস করে দিলাম দৌড়।

কুত্তা তুই আমাকে আবার কিস করলি এই বলে আমার পিছনে ছুটলো (মাওয়া)

আমি কি কাকির পিছনে দাড়ালাম।

কি হয়েছে আমার ছেলেটার (কাকি)

কাকি দেখোনা তোমার মেয়ে আমাকে মারতেছে (আমি)

কেন কি হয়েছে। তুই ওকে মারছিস কেন (মাওয়াকে ইশারা করে কাকি)

মা তুমি জানো না ও কি করছে (মাওয়া)

কি করেছে ও তাই বল (কাকি)

আমি বলছি আমি কি করেছি আমি ২ টা উমমম উমমম উমমম (আমাকে বলতে না দিয়ে মুখ চেপে ধরেছে মাওয়া)

থাক বলতে হবে ও কিছু করে নাই (মাওয়া)

তোদের মধ্যে কি তা আমি বুঝি না বাপু শুধু এইটুকু জেনে রাখ আমার ছেলের গায়ে হাত পড়লে তোর হাত কেটে ফেলব (মাওয়াকে উদ্দেশ্য করে কাকি)

মা তুমি বলোতো তুমি আমার মা নাকি এই কুত্তাটার (মাওয়া)

কাকি দেখো তোমার সামনে আমাকে কুত্তা বলছে (আদূরে গলায় আমি)

বলে আপুর দিকে তাকিয়ে চোখ মারলাম।এটা দেখে আপু তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো।শুধু কাকি সামনে দেখে কিছু বলতে পারছে না

ঠাটিয়ে একটা চর মারলে ওর আমার সামনে বেয়াদপি করার সখ মিটে যাবে (কাকি)

মাআআ (মাওয়া)

যদি শুনি তুই আতিক কে কিছু বলছিস তোর খবর আছে (কাকি)

মাওয়া একেবারে ভয়ে চুপসে গেছে । আর অন্য দিকে ঘরে ঢুকতে ঢুকতে বলল, ছোটু ওকে নিয়ে বেশি লাফাস না একদম মাথায় উঠে

উহু ও আমার অনেক ভদ্র একটা ছেলে (আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে কাকি)

হুম কাকি এটা মা বোঝেনা (আমি আদূরে গলায়)

ঐ ফাজিল একদম ন্যাকামো করবিনা তুই কি কিরকম তা আমি জানি (মা আমাকে ধমক দিয়ে)

মাওয়া মায়ের কথা শুনে মিটিমিটি হাসছে,বড় আম্মু একবারে ঠিক কথা বলেছে (মাওয়া)

ঐ তোকে চুপ থাকতে বলছিনা (মাওয়াকে ধমক দিয়ে) মাওয়া আবার চুপ হয়ে গেল। আর ভাবি আমার ছেলেটাকে নিয়ে কোনো বাজে কথা বলবা না তাইলে আমি ওকে আমার সাথে নিয়ে যাব (রেগে গিয়ে মাকে বলল কাকি)

থাক তুই তোর ছেলেকে নিয়ে আমি আমার মেয়েকে নিয়ে চললাম এই বলেই মাওয়াকে নিয়ে চলো গেলো (মা)

বাবা তুই বস আমি আর তুই আড্ডা দিবো (কাকি)

তারপর আমি আর কাকি কিছুক্ষন আড্ডা দিয়ে রুমে গেলাম। রুমে বসে মোবাইল টিপতেছি কিছুক্ষন পরই মাওয়া আপু আমার রুমে আসলো। রুমে এসেই..............

Waiting for next part......

 

#অহংকারি_চাচাতো_বোন

লেখকঃ #আতিক_আহসান_লিমন

পর্ব ০৬

_____অনুমতি ছাড়া কপি নিষেধ_____

আমি রুমে বসে ফ্রি ফায়ার খেলতেছিলাম তখনি আপু আসলো।এসে আমার থেকে ফোন নিয়েই মারলো এক আছাড়। যাক বাবা আমার ফোনটা ভেঙে একেবারে শেষ।তারপর আমি আপুর দিকে তাকিয়ে দেখি প্রচুর রেগে আছে।

এএকি আআপু কি হহয়েছে তুমি এরকম করছো কেন আর ফোন ভাঙলে কেন (ভয়ে ভয়ে আমি)

তোর ফোনের গুষ্টি পিন্ডি আগে বল তুই আমাকে কিস করার সাহস কই পেলি (মাওয়া আরো রেগে)

আমি তো ভয়ে শেষ আরে কাকি তুমি (আমি)

এইবার আর মিথ্যা বলে পালাতে পারবিনা (মাওয়া এখনো কলার ধরে)

আরে আরে তুই আমার ছেলেটার কলার ধরেছিস কেন (কাকি)

কাকি দেখোনা আমাকে মারতে এসেছে (আমি)

কিইইই (কাকির আর কিছু বলার আগেই মাওয়া দৌড়

দিয়ে পালালো)

থাক বাবা ওকে আমি পরে দেখতছি এখন তুই খেতে আয় (কাকি)

আচ্ছা তুমি যাও আমি আসতেছি (আমি)

হুম তাড়াতাড়ি আয় এই বলেই চলে গেল (কাকি)

তারপর আমি আমার ফোনের কাছে গেলাম।গিয়ে দেখি ফোনের অবস্থা একেবারে বাজে দেখে খুব কষ্ট হচ্ছে।অনেক কষ্টে নিজের টাকা জমিয়ে ফোনটা কিনেছিলাম তারপরও সব রাগ চাপা রেখে ফোন থেকে সিম আর মেমোরী খুলে রেখে ফোন টা ফেলে দিলাম আর মনে বললাম "তুমি আমার কষ্টের ফোন ভাঙলে আমি আমিও তোমার টাকা দিয়ে ফোন কিনব"। তারপর নিচে গিয়ে মন খারাপ করে খাবার টেবিলে বসলাম। আর ভাবতেছি" কিভাবে ফোনটা কিনাব" আর চুপচাপ খাইতেছি।হঠাৎ কাকি বলল, কিরে বাবা চুপ করে আছিস কেন? কোন কারনে কি মন খারাপ


Tanvir Arafat

93 Blog postovi

Komentari