গ্রীষ্ম শুরু হতে এক মাসের মতো বাকি। হোমির মান ভ্রমণের প্রস্তুতি নিতে শুরু করল। চূড়ান্ত আর্থিক বিবরণী তৈরি করে রাখল, সরকার থেকে নিয়োগ দেওয়া নতুন লাইব্রেরিয়ানকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিল ভালোভাবে গত বছর যে এসেছিল সেই লোকটা তেমন দক্ষ ছিল না এবং তার ছোট ক্রুজার গুছিয়ে নিল। তার ক্রুজারের নাম ইউনিমেরা নামটা নেওয়া হয়েছে বিশবছর আগের এক রহস্যময় ঘটনা থেকে।
সে টার্মিনাস ত্যাগ করল বিষণ্ণ মন নিয়ে। তাকে বিদায় জানাতে কেউ স্পেস পোর্টে আসেনি। আগেও কেউ আসত না। খুব ভালো করেই জানে এইবারের যাত্রা আগের যাত্রাগুলোর থেকে ভিন্নভাবে না দেখানোই প্রয়োজন, তবুও একটা আবছা বিরূপভাব তাকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে। সে একটা বিপজ্জনক কাজে জঘন্যভাবে মাথা খোয়ানোর জন্য যাচ্ছে, কিন্তু তাকে যেতে হচ্ছে একা।
অন্তত সে তাই ভাবল।
তার ভাবনা ভুল ছিল, কারণ পরবর্তী দিনটা ইউনিমেরা এবং ড. ডেরিলের শহরতলির বাড়ি–দুই জায়গার জন্যই ছিল বিভ্রান্তিকর।
ঘটনাটা প্রথম ধরা পড়ে ড. ডেরিলের বাড়িতে, পলি, তাদের মেইড যার এক মাসের ছুটি এখন অতীতের ব্যাপার তার কাছে। সিঁড়ি দিয়ে সে দমকা হাওয়ার মতো নেমে আসল।
উত্তেজনায় কিছুই বলতে না-পেরে শেষপর্যন্ত একটা কাগজ আর একটা ঘনাকার বস্তু ডেরিলের দিকে এগিয়ে দিল।
তিনি অনিচ্ছার সাথে জিনিসগুলো নিলেন এবং বললেন, ‘কী হয়েছে, পলি?’
‘সে চলে গেছে ডক্টর।’
‘কে চলে গেছে?’
‘আর্কেডিয়া!’
‘চলে গেছে মানে? কোথায় গেছে? এসব কী বলছ তুমি?’
পলি মেঝেতে পা ঠুকল, ‘আমি জানি না। সে নেই এবং সেই সাথে একটা স্যুটকেস আর কিছু কাপড়ও নেই, শুধু এই চিঠিটা ছিল। দাঁড়িয়ে না থেকে আপনি চিঠিটা পড়ছেন না কেন?’
ড, ডেরিল কাঁধ ঝাঁকিয়ে খাম খুললেন। চিঠিটা খুব বেশি বড় নয়। আর্কেডিয়ার ট্রান্সক্রাইবারে লেখা, কোনাকুনি সুন্দরভাবে সই করা রয়েছে, ‘আর্কেডি।’
.
প্রিয় বাবা,