একজন বেদুইন এসে রাসূল (সাঃ)-এর কাছে বলল, হে রাসূল! আমরা আল্লামা হতে চাই।
রাসূল (সাঃ) বললেন—যদি তাই চাও তবে তাকওয়া অবলম্বন কর। আল্লাহকে ভয় কর সবচেয়ে বড় আলেম হতে পারবে। বেদুইন এর পর বলল, হে রাসূল! আমি সবচেয়ে ধনী হতে চাই সম্পদশালী হতে চাই। এরকম প্রশ্ন হলে আমরা বলে থাকি যে ব্যবসা করো, মজুদদারী করো। কিন্তু আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বেদুইনকে বললেন, মিতব্যয়িতা গ্রহণ কর এতেই তুমি সবচেয়ে বড় ধনী হয়ে যাবে।
বেদুইন বলল, হে রাসূল! আমি মানুষের মধ্যে বিশেষ মর্যাদা সম্পন্ন হতে চাই।
রাসূল (সাঃ) বললেন—তুমি বেশী বেশী আল্লাহর জিকির কর আল্লাহ তোমাকে বিশেষ মর্যাদা দান করবেন।
বেদুইন রাসূল (সাঃ)-কে বলেছিলেন আমি মানুষদের মধ্যে বিশিষ্ট হতে চাই। রাস্তার পাশে যে মুচি জুতা সেলাই করে অতিমাত্রায় সম্মানিত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা তারও থাকে। সম্মানিত হওয়ার ইচ্ছা এবং আকাঙ্ক্ষা মানুষের মনের আভ্যন্তরীণ তাকিদ। রাসূল (সাঃ) যে পদ্ধতি শিখিয়ে দিয়েছেন সে পদ্ধতি ধনী-গরীব সবাই অনুসরণ করতে পারবে।
তিনি বলেছেন, আল্লাহকে বেশী বেশী স্মরণ কর নিজের প্রয়োজনের কথা আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো কাছে প্রকাশ করবে না। আল্লাহ তোমাকে সম্মানিত করবেন। সম্মানিত কতো সহজ তরীকা রাসূল (সাঃ) জানিয়ে দিয়েছেন। শিখিয়ে দিয়েছেন।
বেদুইন বলল, হে রাসূল! আমি চাই আমার রিযিক বৃদ্ধি পাক। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, সর্বদা অজু অবস্থায় থাকো তোমার রিযিক বৃদ্ধি পাবে।
বেদুইন বলল, হে রাসূল! আমি চাই আমার আল্লাহ আমাকে যেন অসম্মানিত না করেন।
রাসূল (সাঃ) বললেন—তুমি ব্যভিচার করবে না এতে আল্লাহ তোমাকে অসম্মানিত হওয়া থেকে রক্ষা করবেন।
বেদুইন বলল, হে রাসূল! আমি চাই আমার ঈমান যেন পূর্ণতা লাভ করে।
রাসূল (সাঃ) বললেন—ঈমানের পূর্ণতা পেতে চাইলে নিজের চরিত্র উন্নত কর। সুন্দর চরিত্র ব্যতীত ঈমান পূর্ণতা পেতে পারে না। ঈমান শিক্ষা করা ফরজ, ইবাদত ফরজ, চরিত্র গঠন করা ফরজ, সুন্দর চরিত্র গড়ে তোলা ফরজ, ইখলাস তৈরী করা ফরজ। আর এগুলোই হল মানব জীবনে মুক্তি ও উন্নতির সোপান।