অভিশপ্ত ভূতের সেই দুর্গ

বাড়ি কিংবা কবরস্থান যে ভূতুড়ে হয়, তা নয়। দুর্গও হতে পারে ভূতুড়ে।

ভারতে রয়েছে তেমন এক দুর্গ। আর এ দুর্গের ভূ?

শুধু বাড়ি কিংবা কবরস্থান যে ভূতুড়ে হয়, তা নয়। দুর্গও হতে পারে ভূতুড়ে। 

 

ভারতে রয়েছে তেমন এক দুর্গ। আর এ দুর্গের ভূতুড়ে হওয়ার পেছনে রয়েছে করুণ ইতিহাস। 

 

ভারতের রাজস্থানের বেনগার দুর্গকে রীতিমতো সরকারিভাবে ভূতুড়ে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। পৌরাণিক মতাদর্শানুযায়ী, রানী রত্নাবালী এবং রাজা সিংশ্রিয়ার মধ্যে এক তুমুল তান্ত্রিক যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল এখানে এবং রাজা সে যুদ্ধে পরাজয় বহনপূর্বক মৃত্যুবরণ করেন। কিন্তু তিনি মৃত্যুর আগে অভিশাপ দিয়ে যান, যে ব্যক্তি সূর্যোদয় হওয়ার আগে এবং সূর্য অস্ত যাওয়ার পরে এখানে অবস্থান করবে তার মৃত্যু হবে। আর এ অভিশাপে বহু মানুষেরই করুণ পরিণতি ভোগ করতে হয়েছে, যার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান নেই। 

 

জানা যায়, সম্প্রতি আর্কিওলোজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া স্থানটিকে ‘হন্টেড’ বা ভুতুড়ে ঘোষণা করেছে। 

 

দুর্গটির রহস্যময় এ বিষয়গুলো বহু মানুষেরই আতংকের কারণ হয়ে উঠেছে। ফলে পারতপক্ষে মানুষ এ দুর্গে যায় না বা গেলেও বেশিক্ষণ অবস্থান করে না। 

টুকরো টুকরো কিছু সত্যি ঘটনা যা ছোটবেলা থেকে আমার জীবনে ঘটে গিয়েছে আজ সেইগুলোয় আমি আপনাদের সাথে শেয়ায় করবো! আমার দাদুরা তিন ভাই! বড় দাদুর ছোট ছেলে যখন বিষ খেয়ে মারা যাই তখন আমি ক্লাস ফোরে পড়ি! দিনটা ছিল দূর্গাষ্টমীর দিন! বড় মামীর সাথে মতানৈক্যর ফলেই ছোট মামা বিষ খান! মামা মারা যাওয়ার পর ছোটমামি কর্মসূত্রে কোলকাতা চলে আসেন! তার পর থেকেই ছোট মামার বাড়িটি ফাকাই পড়ে থাকে! আমি ছোটথেকেই দাদুর বাড়ি থেকেই মানুষ! পড়াশুনা ওখানকার স্কুলেই করি! রোজ সন্ধ্যা বেলাই বাড়ি ফিরতে গেলে ছোট মামার বাড়ির সামনে দিয়েই আসতে হতো! আসার সময় শরীরটা কেমন ভারী ভারী লাগতো যাই হোক বাড়ির দিকে তাকাতাম না ! এর মধ্যে কেটে গেছে আরও পাঁচটা বছর তখন আমি ক্লাস নাইনে পড়ি আমার তখন হিন্দী সেকেন্ড পেপার এর পরীক্ষা আগামী দিন! তাই প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে ! পড়তে পড়তে রাত্রি প্রায় তিনট বেজে গেছে এমন সময় বই থেকে মুখ তুলে জানালার দিকে তাকাতেই দেখি ছোটমামা জানালার শিক ধরে দাঁড়িয়ে আছে! আমার তখন এমন অবস্থা যে আমি হাত পা নড়নোর ক্ষমতা টুকুও হরিয়ে ফেলেছি! দুই মিনিট এই ভাবে কাটার পর আম চোখ নিচে নামিয়ে নিই! পাশের রুমে দিদা শুয়ে রয়েছেন তবুও ডাকতে পারছিনা ! গলা দিয়ে আওয়াজ বেরুচ্ছেনা! কোনমতে গায়ত্রী জপ করতে করতে জানালাটা বন্ধ করে শুয়ে পড়ি চাদর মুড়ি দিয়ে রাম নাম জপতে জপতে শোবার খানিকটা পরে ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়ি ! খানিক ক্ষণ পরে কারোর পায়ের আওয়াজে ঘুম ভেঙে যায় চাদর টা একটু ফাক করে দেখি ছোটমামা একটা ফাঁসির দড়ি আমার মুখের সামনে ঝুলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ! জীবনে যত মন্ত্র জানতাম সব একে একে জপতে শুরু করি! ভয়ে সংগা হারিয়ে ফেলি! সকাল বেলায় চেতনা ফিরলে দিদা দাদুকে সব খুলে বলি ! দাদু আমাদের কুল গুরুকে ব্যাপার টা জানালে তিনি গয়ায় পিন্ড দানের কথা বলেন!,,,,, আমাকে মন্ত্র দিয়ে শুদ্ধিকরন করেদেন.... এর পর মামাকে আমি আর দেখিনি!

ঘটনাটি এক বন্ধুর কাছ থেকে শোনা। একদিন তাদের এলাকার এক জেলে শেকেরচর নামক স্থানে এক কবরস্থানের পাশের খালে মাছ ধরতে যায়। সেদিন তার স্ত্রীর সাথে একটু ঝগড়া হয় তাই ছোটা ছেলেটাকে সাথে নিয়ে যায়। সেদিন গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিলো চারপাশে পৈচাশিক নিরবতা। এক সময় তারা দেখলো খালের ঐ পাশে দুজন আলেম টাইপের লোক তাদের ডাকছে খাল পাড় করে দিতে। তো জেলে তাদের জিঞ্জাসা করে তারা কোথায় যাবে। তারা বলে কবরস্থানে তাদের কাজ আছে এবং কবরস্থানের পাশে মাছ ধরতে নিষেধ করে। কিন্তু জেলে তাদের কথা উপেক্ষা করেই মাছ ধরছিলো। এক পর্যায়ে তাদের চোখ যায় কবরস্থানে এবং তারে দেখে ঐ দুজন লোক কবরের এক লাশ ভিবত্‍স ভাবে খাচ্ছে আর লাশের পচা গন্ধে চারপাশ ভরে আছে। তাদের দেখে ঐ দুজন একটি মরা মানুষের অঙ্গ তদের নৌকায় ছুড়ে মারে এবং তাদের খেতে বলে। এ দৃশ্য দেখে ছোট ছেলেটি ঞ্জান হারায়। জেলেও অনেক ভয় পায় এবং বাড়িতে ফিরে আসে। তো রাতে আর কারো সাথে তারা এ ঘটনা শেয়ার করেনি। সকালে তাদেরকে বিছানায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। 

কালু আর আমি ছোটবেলা থেকেই খুব ভালো বন্ধু, বিপদে আপদে একে অপরের পাশে ছিলাম। এমন কোন দুষ্টুমি ছিলো না যা আমরা করি নি। তবে হ্যা, আমরা কারো ক্ষতি করতাম না। যে দুষ্টুমিটা আমরা সবচেয়ে বেশি করতাম তা হল ভুত সেজে লোকজনকে ভয় দেখানো। গ্রামে রটেই গিয়েছিল এলাকায় ভুতে বাসা বেঁধেছে। আমরা এসব শুনে চুপিচুপি হাসতাম। এভাবে খুব মজাতেই ছিলাম আমরা।। 

 

একদিন আমার নানার বাড়িতে একটা বিয়ের দাওয়াত ঠিক হল। কালু আমার সবসময়কার দোস্ত, তাই কালুকেও বললাম আমার সাথে যেতে। প্রথমে অবশ্য কিছটা ইতস্তত করলেও পরে রাজি হয়ে গেল। নির্দিষ্ট দিনে বাসার সবাই রওনা দিল। পথে যেতে যেতে তেমন কিছু দুষ্টুমি করতে পারি নি। কারন আম্মু পাশেই ছিল। বিয়ে বাড়িতে অনেক লোকজন, খুব ভালোই লাগছিল। দুপুরে খাওয়ার ব্যবস্থা করা হল। বেশ খেলাম আমরা দুজনই। আম্মুরা নাকি কয়দিন নানু বাড়িতে বেড়াবে, তাই আমি আর কালু একাই গ্রামে ফিরে আসবো বলে ঠিক করলাম। কারন নানু বাড়িতে দুষ্টুমি করে সুবিধা করা যাবে না। আম্মুকে বলার সাথে সাথে আম্মু রাজি হয়ে গেলেন, বললেন, তবে বাড়িতেই ফিরে যা, যে বদমাইশি তোরা করস এখানে তা করতে পারবি না

 

আম্মু যে কিভাবে আমাদের মনের কথা এতো সুন্দরভাবে বুঝেন জানি না। আবার সাথে যাতায়াত ভাড়াও দিয়ে দিলেন। বিকালবেলাই বের হলাম নানু বাড়ি থেকে। পথে যেতে যেতে ঠিক করলাম বাসে অথবা সি এন জি তে গেলে আম্মু যে টাকা দিয়েছে সেটা প্রায় শেষ হয়ে যাবে। আর এগুলোতে না গিয়ে যদি টাকা বাঁচানো যায় তবে আমরা দুজন মিলে আরো মজা করতে পারব। ঠিক করলাম ট্রেনে করেই যাবো, টিকেট না কেটে যদি টাকা বাঁচানো যায় তবেই তো খেলা শেষ। স্টেশনে যেতে না যেতেই একটা ট্রেন ছেড়ে দিলো, দৌড়ে গিয়েও ধরতে পারলাম না। অফিসে গিয়ে পরের ট্রেন কয়টায় জানতে চাইলাম। লোকটি কিছুক্ষণ আমাদের দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে থেকে বলল, টিকিট ছাড়া যাইবা তাই না? সমস্যা নাই তোমাদের মতো থাকতে আমিও টিকিট ছাড়া অনেকবার আসা যাওয়া করেছি। একটু অপেক্ষা করো, সন্ধ্যার পর আরেকটা ট্রেন আসবো, অইটাতে কইরা যাইতে পারবা। আমি আর কালু লোকটার ব্যবহারে অবাক হয়ে গেলাম, ভাবলাম টিকিট ছাড়া যাব এই কথা শুনে তিনি হয়তো ঝামেলা করবেন। কিন্তু ঘটলো তার বিপরীত। মাগরিবের আযান যেই দিল অমনি একটা ট্রেন আসল। কাউন্টারের সেই লোকটা কাছে এসে বললএইযে ট্রেন আইসা গেছে উইটা পড়ো, এইটা এইখানে বেশিক্ষণ দাঁড়াইবে না। 

 

কিছুটা অবাক হলেও আমরা দ্রুত ট্রেনে উঠে পড়লাম। অমনি সাথে সাথে ট্রেন ছেড়ে দিল। বগিটা বেশ খালি, যে কয়জন লোক আছে তার বেশিভাগই ঝিমাচ্ছিলো। সন্ধ্যাবেলাতেই তাদেরকে এইভাবে ঝিমাতে দেখে বেশ অবাক হলাম দুজনই। পাত্তা না দিয়ে আমি আর কালু খালি একটা সিটে গিয়ে বসলাম। পাশেই যে লোকটা ছিল সে আমাদের দেখেই চমকে উঠলো, কিন্তু কিছুই বললো না। আবার ঝিমাতে শুরু করলো। ট্রেন বেশ জোড়েই চলছিল, জানালাগুলো খোলা ছিলো তাই বাতাস লাগছিল খুব। এমন সময় হঠাৎ করে পুরো ট্রেনটা ভীষন জোড়ে একটা ঝাকুনি খেলো। কি হচ্ছে বুঝে উঠার আগেই আমাদের বগিটাসহ আরো কয়েকটা বগি ব্রিজ ভেংগে পানিতে পরে গেল। আমি কালু দুজনই বাচার আশা ছেড়ে দিলাম। ট্রেনের বগিটা পানির নিচে পুরোপুরিভাবে ডুবে গেছে। বের হওয়ার কোন রাস্তা খুজে পাচ্ছিলাম না, কালু কোথায় আছে তাও জানি না। নাকে মুখে পানি ঢুকে বেশ কষ্ট হচ্ছিলো, নিশ্বাস নিতে পারছিলাম না। মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে দেখলাম। এমন সময় আমার চারপাশে অপরিচিত অনেকগুলো মানুষ এসে আমাকে ঘিরে ধরলো। কারো গাল ফুলে চোখ দুটো যেন বেড়িয়ে আসতে চাইছে, কারো গলা ফুলে গেছে। এককথায় সবার চেহারা এতো ভয়াবহ যে বলে বুঝানো যাবেনা। সবাই যেন একসাথে আমার কানে কানে বলছে, আমরা পানিতে ডুবে ঠিক এইভাবেই মরেছিলাম, তারপর থেকেই আমাদের এই অবস্থা। তোমারও একই পরিনতি হবে, মরার জন্য তৈরি হও। 

 

কিছুটা অবাক হলেও আমরা দ্রুত ট্রেনে উঠে পড়লাম। অমনি সাথে সাথে ট্রেন ছেড়ে দিল। বগিটা বেশ খালি, যে কয়জন লোক আছে তার বেশিভাগই ঝিমাচ্ছিলো। সন্ধ্যাবেলাতেই তাদেরকে এইভাবে ঝিমাতে দেখে বেশ অবাক হলাম দুজনই। পাত্তা না দিয়ে আমি আর কালু খালি একটা সিটে গিয়ে বসলাম। পাশেই যে লোকটা ছিল সে আমাদের দেখেই চমকে উঠলো, কিন্তু কিছুই বললো না। আবার ঝিমাতে শুরু করলো। ট্রেন বেশ জোড়েই চলছিল, জানালাগুলো খোলা ছিলো তাই বাতাস লাগছিল খুব। এমন সময় হঠাৎ করে পুরো ট্রেনটা ভীষন জোড়ে একটা ঝাকুনি খেলো। কি হচ্ছে বুঝে উঠার আগেই আমাদের বগিটাসহ আরো কয়েকটা বগি ব্রিজ ভেংগে পানিতে পরে গেল। আমি কালু দুজনই বাচার আশা ছেড়ে দিলাম। ট্রেনের বগিটা পানির নিচে পুরোপুরিভাবে ডুবে গেছে। বের হওয়ার কোন রাস্তা খুজে পাচ্ছিলাম না, কালু কোথায় আছে তাও জানি না। নাকে মুখে পানি ঢুকে বেশ কষ্ট হচ্ছিলো, নিশ্বাস নিতে পারছিলাম না। মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে দেখলাম। এমন সময় আমার চারপাশে অপরিচিত অনেকগুলো মানুষ এসে আমাকে ঘিরে ধরলো। কারো গাল ফুলে চোখ দুটো যেন বেড়িয়ে আসতে চাইছে, কারো গলা ফুলে গেছে। এককথায় সবার চেহারা এতো ভয়াবহ যে বলে বুঝানো যাবেনা। সবাই যেন একসাথে আমার কানে কানে বলছে, আমরা পানিতে ডুবে ঠিক এইভাবেই মরেছিলাম, তারপর থেকেই আমাদের এই অবস্থা। তোমারও একই পরিনতি হবে, মরার জন্য তৈরি হও। 

 

আমার চারপাশে অন্ধকার হয়ে এল। জ্ঞান ফিরে দেখি আমি আর কালু একটা বাসের সিটে পাশাপাশি বসে আছি। পুরো শরীর ভেজা, কালুর দিকে তাকিয়ে দেখি একই অবস্থা। কিভাবে যে কি হল কিছুই বুঝে উঠতে পারলাম না, আমরা ছিলাম ট্রেনে। তারপর ট্রেন পানিতে পড়ে গেলো অথচ আমরা বাসে এলাম কি করে!!

 

তবুও মরনের হাত থেকে নিশ্চিত বাচতে পেরে দুজনই সস্তির নিশ্বাস ছাড়লাম। পানির নিচে আমার সাথে যা যা হয়েছে কালুর মুখেও একই ঘটনা শুনলাম। এটা কিভাবে সম্ভব? 

 

এই দুনিয়ায় সবই সম্ভব। 

 

পাশে তাকিয়ে দেখি সেই লোকটা যাকে আমরা ট্রেন স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে দেখেছিলাম। লোকটা আমাদের দিকে তাকিয়ে হাসতে হাসতে বললসবই সম্ভব, বাবারা। সবই সম্ভব। দেখো আরো অসম্ভব কিছু হয় কিনা? !!

 

আমি আর কালু একে অন্যের দিকে তাকালাম। হঠাৎ ধুম করে একটা শব্দ। আমরা যে বাসে করে যাচ্ছিলাম সেটা আরেকটা বাসের সাথে মুখোমুখি ধাক্কা খেলো। আমাদের বাসটা তিন থেকে চারবার উল্টে গিয়ে খাদে পড়ল। আমার মাথা ফেটে প্রচুর রক্ত বেরুতে লাগলো। পাশে তাকাতেই কালুকে দেখতে পেলাম মারাত্মক ভয় পেয়ে দেখলাম কালুর একটা হাত পুরো কেটে গেছে, তাছাড়া তার মাথাও খুব মারাত্মকভাবে ফেটে গেছে। কালু শুধু মৃত্যু যন্ত্রনায় কাতড়াচ্ছিলো। আমার পায়ের দিক থেকে বেশ কয়েক টুকরো মাংস উঠে গিয়েছে। অনবরত রক্ত বেরিয়েই যাচ্ছিল। অসহ্য যন্ত্রনা হচ্ছিলো পুরো শরীরে, মনে হচ্ছিলো এরি থেকে মরে যাওয়াও ভালো।। আবার চারপাশ থেকে কারা যেন গড়িয়ে গড়িয়ে এসে আমাকে ঘিরে ধরলো। কারো মাথা ফেটে মগজ বেড়িয়ে আছে, আবার কারো চোখ বোধহয় বেড়িয়ে গেছে। কারো বা হাত পা নেই। অইরকম অবস্থায় এসব দেখে মাথার মধ্যে আরো ভয়ানক ব্যথা শুরু হল। অসহনীয় কষ্টে চোখ খোলা অবস্থায় চারপাশ অন্ধকার হয়ে এল। আবার আমি শুনতে পেলাম, কারা যেন আমার কানে কানে বলছে, ভয় কি জিনিস এবার নিশ্চয় বুঝতে পেরেছ। .........

 

আরো কি যেন বলেছিল শুনতে পাই নি। চোখ খুলে দেখি আমি আর কালু পাশাপাশি আমাদের বাসায় খাটে শুয়ে আছি। আমাকে চোখ খুলতে দেখে আম্মু রাগি রাগি মুখ করে বললেন, এমন ঘুম জীবনে কখনো দেকি নি। কতক্ষণ ধরে দরজা ধাক্কালাম, দুজন এমনভাবে ঘুমাচ্ছিলেন যে শুনতেই পাননি। বাধ্য হয়ে দরজা ভাংতে হলো। তা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কোন নরকের ভিতরে হারিয়েছিলেন? ? 

 

আমি আর কালু একে অন্যের দিকে তাকিয়ে বললাম, অনেক ভয়ানক নরক, অনেক ভয়ানক।। 

 


Tanvir Arafat

93 Blog posts

Comments