অজান্তার স্বামী মনিরুল ইসলাম বউকে নিয়ে আজ বইমেলা দেখতে বের হইছে,, অজান্তা লাল শাড়ী, লাল চুড়ি চোখে কাজল পড়ে স্বামীর কাধে হাত রেখে বাইকে চেপে বসে হাসছে অজান্তা..
অজান্তা আর তার স্বামি কিছুক্ষণের মধ্যেই বইমেলাই চলে এলো,, অজান্তা ঘুরাঘুরি করছে ওর স্বামীর সাথে.. হঠাৎই নজর গেছে নিলীমার উপর,, নিলীমাকে দেখে এগিয়ে গেলো,,
অজান্তাঃ- নিলীমা..
নিলীমাঃ- হ্যা কিন্তু কে আপনি..
অজান্তাঃ-আমি অজান্তা,, তন্ময় কেমন আছে?? তোমাদের কি বিয়ে হয়ে গেছে?.
নিলীমাঃ- তুমি সেই মেয়ে অজান্তা,, তন্ময় আর আমার বিয়ে হবে কেনো??
অজান্তাঃ- তোমরা একে অপরকে ভালোবাসো তার জন্য,, সেদিন আমি সব দেখেছি,,
নিলীমাঃ- একটু আলাদা ভাবে কথা বলতে পারবো কি তোমার সাথে,, তাহলে হইতো তোমার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবো,,
অজান্তাঃ- ঠিক আছে চলো,,
নিলীমা একটা বই হাতে নিয়ে অজান্তার সাথে গাছের নিচে বসে,, অজান্তার স্বামী তার বন্ধুদের সাথে কথা বলছে,,
অজান্তাঃ- হুমম বলো কি বলতে চাও!!
নিলীমাঃ- এই বইটা তোমার আর তন্ময়ের জিবনের উপর লেখা,, সেদিন তুমি যা দেখেছিলে সেটা ভুল ছিলো,, চোখে দেখলে সেটা সত্য হয় না,, আর সত্যটা চোখে দেখা যায় না,,
অজান্তাঃ- কি বলতে চাও ক্লিয়ার করে বলো৷ ( অস্থির হয়ে )
নিলীমাঃ- তুমি জানো তন্ময় এর অবস্থা!! তুমি ওরে ভুল বুজে চলে গেছিলে,, তুমি যেমনটা ভেবেছিলে সেটা ছিলো না,, তন্ময় শুধু আমার ভালো বন্ধু ছিলো,, আর তুমি আমাদের জিএফ বানাই দিছো,,
অজান্তাঃ- তন্ময় কেমন আছে??
নিলীমাঃ- তন্ময় বেচে থেকেও মরে গেছে,, তুমি চলে যাওয়ার পর ড্রাগ নেওয়া শুরু করে,, ৬ মাস বাসা থেকে বের হয় না,, অন্ধকারের ভিতরে নিজেকে মানিয়ে নিচে,,
অজান্তাঃ- আমার তন্ময় ড্রাগস নেয়,, আমি এটা কি করলাম আমার ভুলের জন্য ওর জিবন নস্ট করে দিলাম,, ( কান্না করে )
নিলীমাঃ- এখন আর কি করবে?? একটা ছেলের ভালোবাসা না বুজেই তাকে ভুল বুজে অন্যের বউ হয়ে গেছো,, এখন বলছো তোমার তন্ময়,, একবারও জানতে চাইছো কেমন আছে তন্ময়!! তোমাদের মতো কিছু মেয়ের জন্য এই মেয়ে জাতটার এত বদনাম... এই নাও বই এটা তন্ময়ের লেখা গল্প যেখানে ও ওর জিবনের সব কথা লিখেছে,, কত কস্ট পাইছে ছেলেটা দিনকে দিন নিজের জিবন নস্ট করে ফেলছে তোমার কথা ভাবতে ভাবতে...
নিলীমার স্বামীঃ- নিলীমা চলো আমাকে অফিস যেতে হবে.. ( ঘড়ির দিকে তাকিয়ে৷) এনি কে..
নিলীমাঃ- সেই ফালতু মেয়ে এটা যার জন্য তন্ময় ওর জিবন নস্ট করে ফেলছে,,
নিলীমার স্বামীঃ- ওহহ আপনি সেই অজান্তা,, তন্ময়ের সাথে এটা ঠিক করেন নাই আপনি?
নিলীমা আর ওর বর তাচ্ছিল্যের সাথে অজান্তাকে দেখে হাটতে হাটতে বাইরের দিকে চলে যাচ্ছে,, অজান্তার বুকের ভিতর পানি যেমন গরম করলে টগবগ করে তেমনই করছে,, অঝরে চোখের পানি পড়ছে চোখ বেয়ে,,
অজান্তাঃ- এটা আমি কি করলাম.. তার সুখী করতে গিয়ে আজ তাকে মরনের পথে ঠেলে দিলাম,, ( কাদতে কাদতে )
অজান্তার স্বামী মনিরুক অজান্তাকে কাদতে দেখে এগিয়ে এসে কাধে হাত রাখতে অজান্তা একটু চমকে উঠে কাধের দিকে তাকায়,,
মনিরুলঃ- কি হইছে?? কাদছো কেনো.. তোমার শরীর ঠিক আছে তো!
অজান্তাঃ- আমার শরীর ভালো লাগছে না পেট ব্যাথা করছে,, বাসায় চলো.. ( চোখের পানি মুছে কান্না ভেজা কন্ঠে )
মনিরুলঃ- ঠিক আছে চলো..
অজান্তা আর মনিরুল বাসার দিকে চলে যায়,, ঘুম থেকে উড়ামুড়া দিয়ে উঠে তন্ময়,, ঘুম থেকে উঠে পাশে থাকা মদের বোতল থেকে এক গ্লাস বানিয়ে গলায় ঢেলে নিলো,,
পাশে থাকা সিগারেটের প্যাকেট থেকে একটা সিগারেট বের করে জ্বালিয়ে টানতে রইলো...
তন্ময়ের ঘরটা ধোয়ায় সাদা হয়ে গেছে,, তন্ময়ের ফোনটা বেজে উঠলো,, বেজে উঠে প্রিয় মানুষের দেওয়া সেই প্রিয় গিটারের সুরটা,, সিগারেট হাতে মোবাইলের দিকে তাকিয়ে দেখে ওর মা কল করেছে..
তন্ময় কল রিসিভ করে কানে ধরে,,
তন্ময়ের মাঃ- কেমন আছিস বাবা??
তন্ময়ঃ- ভালো,,
তন্ময়ের মাঃ- খেয়েছিস,,
তন্ময়ঃ- হ্যা তুমি,,
মাঃ- হুম খেয়েছি.. কতদিন তোকে দেখি না একবার বাসায় আসবি বাবা,, ( কান্নাভেজা কন্ঠে )
তন্ময়ঃ- হুম আসবো..
মাঃ- বাবা ৬ মাস হলো অজান্তা চলে গেছে এখনও ওর কথা মনে করে নিজেকে কেনো কাদাচ্ছিস!!
তন্ময় কল কেটে দিলো,, সিগারেট টানতে টানতে বিছানায় বসে রইলো,, দু দিন পর....
অজান্তাঃ- রাব্বী তন্ময়ের সাথে একটু দেখা করাবা প্লিজ??
রাব্বীঃ- কেনো?? আবার কি ওর জিবন নিয়ে খেলতে চান,, আপনার ছলনার জন্য আমি শুধু আমার বন্ধুকে না আমি আমার ভালো ভাইকেও আজ মৃত্যুর মুখে দেখছি,, কি দোষ করছিলো তন্ময়,, শুধু তো একটু ভালোবাসা চাইছিলো,, আর আজ আপনি ওর জিবনটাকে নস্ট করে দিছেন,, ( কান্নাভেজা কন্ঠে )
অজান্তাঃ- প্লিজ আমি তোমার পায়ে ধরি তন্ময়ের সাথে একবার দেখা করাই দাও.. ( রাব্বীর পা ধরে কান্না করে ৷)
রাব্বীঃ- এসব কি করছেন?? প্লিজ উঠুন,,
অজান্তাঃ- প্লিজ তন্ময়কে একবার দেখার সুযোগ দাও,, অনেক কস্টে জানছি তুমি ওর সাথে মাজে মধ্যে দেখা করো,, ( অজান্তা৷)
রাব্বীঃ- ওকে!! একটু পর দুপুরের খাবার নিয়ে যাবো ওর জন্য,, তখন আপনি যাইয়েন,, টুম্পা টুম্পা...
টুম্পাঃ- হ্যা বলো... এই মেয়ে এখানে কেনো?? ( রাগী কন্ঠে অজান্তাকে দেখে৷)
রাব্বীঃ- তন্ময়কে দেখতো আইছে,, তুমি ওনার জনয চা নিয়ে আসো,,
টুম্পাঃ- একবার তন্ময়ের জন্য জিবনে এসে জিবন নস্ট করে ওর মন ভরে নাই,, এখন কি নতুন করে ওর জিবন নস্ট করতে আইছে,,
আজ অজান্তা কিছু বলছে না আর বলবেই বা কি অজান্তার কিছু বলার নেই চোখ বেয়ে অশ্রু বেয়ে পড়ছে,, হইতো অজান্তার এটাই পাওয়ার ভাগ্য ছিলো,, এক বুক লাঞ্চনা আর কস্ট অপমান,,
অজান্তা মাথা নিচু করে বসে আছে,, কান্না ভেজা কন্ঠে রাব্বীকে বললো অজান্তা..
অজান্তাঃ- তোমরা বিয়ে কবে করলে??
রাব্বীঃ- আপনার বিয়ে হওয়ার ৬ দিন পর,, তন্ময়ই আমাদের পরিবারকে মানিয়ে বিয়ে দিছে,, তারপর থেকে বাসা থেকে বের হয় না,,
অজান্তাঃ- ওরে নেশা করতে না করো নাই,, আঙ্কেল আন্টি কোথায়??
রাব্বীঃ- ওনারা মাগুরা চলে গেছে,, তন্ময় এখানেই আছে আন্টি বার বার ওরে যাইতে বলে কিন্তু ও যাবে না,, আন্টি অনেক কান্না করে,,
অজান্তা,,রাব্বী এভাবে গল্প করছে,, কিছুক্ষণের মধ্যে ওরা বাসা থেকে বেরিয়ে গেলো তন্ময়ের কাছে যাওয়ার উদ্দেশ্যে,, তন্ময়দের বাসার সামনে গিয়ে রাব্বী তন্ময়কে কল দেয়,,
তন্ময়ঃ- হ্যালো,, ( ঘুমের ঘুরে)
রাব্বীঃ- দরজা খোল,, আমি দরজা বাইরে বসে আছি,,
তন্ময়ঃ- ওখানেই চাবি আছে,, খুলে ভিতরে আয়,, জেনেও না জানার কি আছে!!
রাব্বীঃ- ওকে!!
টুম্পাঃ- কি বলছে!!
রাব্বীঃ- ঘুমাচ্চে এখানেই চাবি রাখা আছে,, ওই টবের ভিতর দেখো ওখানে আছে,,
টুম্পা রাব্বীর কথা মতো চাবি নিয়ে রাব্বীর কাছে এলে,, দরজা খুলে সকলে ভিতরে ডুকলো,, বাড়িটা কেমন নোংরা নোংরা লাগছে,, ৬ মাস হলো কেও ঝাড়ু দেয় না,,
অজান্তা লক্ষ করে ওর পছন্দের ফুল দানিতে ময়লা পরে গেছে,, ধীরে ধীরে সকলে সিড়ি দিয়ে উপরে উঠে,, রাব্বী তন্ময়ের রুমে ডুকে গেলো সাথে টুম্পা আর অজান্তা,,
ঘরটা পুরা অন্ধকার,, রাব্বী লাইট জ্বালাতে অজান্তা এদিক ওদিক লক্ষ করে,, রুমের চার পাশে মদের বোতল,, সোফার সামনের টেবিলে পাউডার,, এখানে সেখানে সিগারেট পরে আছে,, খাটের পাশের টেবিলে ট্যাবেলেটের পাতা পড়ে আছে,, এসব দেখে অজান্তা কান্নায় ভেঙে পড়েছে,, শব্দবিহীন কান্না করছে মুখ আটকে,,
টুম্পাঃ- ভাইয়া উঠ,, সারা ঘর এসব কি করে রেখেছিস!!
তন্ময়ঃ- হুমম!!
রাব্বী গিয়ে জানালা থেকে পর্দা সরিয়ে দিলো,, সূর্যের কিরন তন্ময়ের চোখে পড়তে,, চোখের উপর হাত দিয়ে বিছানায় বসে রইলো,,
মদের বোতল খুলে এক প্যাক বানিয়ে খাইতে গেলে টুম্পা রাগী কন্ঠে বলে,,
টুম্পাঃ- ভাইয়া এসব কি হচ্ছে?? আবার কেনো এসব করছো!!.. তোমাকে না বলেছি অজান্তাকে ভুলে যাও আর এসব চাইপাশ খাবে না,,
তন্ময়ঃ- কি করবো ভুলতেই পারি না,, ওর স্মৃতিগুলো ভুলতেই মন চাই না,,আর তোদের না বলেছি আমার জন্য খাবার আনতে হবে না,,
টুম্পাঃ- নিজের বোন হলে আমার কথা রাখতে,, তোমার বোন না বলে আমার কথা রাখছো না,,
তন্ময়ঃ- ওকে ওকে,, আমি এসব রেখে দিচ্ছি,, ( পাশে তাকাতে অজান্তার কান্না মাখা মুখটা দেখতে পায় )
অজান্তা দেয়ালে পিঠ ঠেকে কান্না করছে, নিচের দিকে তাকিয়ে,, তন্ময় একবার অজান্তার দিকে তাকায় আরেকবার রাব্বী,, একবার টুম্পার দিকে একবার অজান্তার দিকে,,
তন্ময়ের চোখ বেয়ে পানি পড়ছে কিন্তু কথা বের হচ্ছে না,,
অজান্তাঃ- কেমন আছো তন্ময়,,
তন্ময়ঃ- আমি,, আ আ আমি বিন্দাস আছি,, ( কান্না ভেজা কন্ঠে)
অজান্তাঃ- আমার উপর রাগ করে নিজের জিবন কেনো নস্ট করছো,,আমাকে ক্ষমা করে দাও প্লিজ..
তন্ময়ঃ-......
অজান্তাঃ- তন্ময় আমার দিকে তাকাও প্লিজ,,
তন্ময়ঃ- কিছু বলবেন,, না বললে আসতে পারেন আমার ভালো লাগছে না,,
অজান্তাঃ- ক্ষমা করে দাও প্লিজ... ( কান্না করে )
তন্ময় রাব্বীর দিকে তাকাতে রাব্বী অজান্তাকে নিয়ে বাইরে চলে এলো,,
,,
,,
,,
চলবে নাকি..
,,
ভুলত্রুটি মার্জনীয়..
#সিজন-০২
গল্পঃ- পিচ্ছি শয়তানের সিনিয়র ক্রাস
লেখকঃ- অর্ক ইসলাম তন্ময়
পর্বঃ-০২..!!
,,
,,
তন্ময় রাব্বীর দিকে তাকাতে রাব্বী অজান্তাকে নিয়ে বাইরে চলে এলো,, তন্ময় টুম্পার উদ্দেশ্য করে বলে,,
তন্ময়ঃ- ওনাকে এখানে কে নিয়ে এলো??
টুম্পাঃ- কেও নিয়ে আসে নাই,, রাব্বীর হাত পা ধরে এখানে আইছে,, তুমি ফ্রেশ হয়ে আসো তোমার জন্য খাবার দিতেছি,,
তন্ময়ঃ- ঠিক আছে,, আব্বুরে কল দাও তো,, আমার ফোনে টাকা নাই..
টুম্পাঃ- রাব্বী আসলে কল দিও,, এখন খেয়ে নাও..
টুম্পা খাবার বেরে দিলো,, তন্ময়ের মুখে ভাত ডুকছে না তবুও খেতে হচ্ছে,, এভাবে আর কতদিন?? আমাকে পাল্টাতে হবে কার জন্য এভাবে থাকবে এগুলো খেতে খেতে ভাবছে,,
খাবার শেষ হতে রাব্বী ফিরে আসতে টুম্পা তন্ময়ের আব্বুর কাছে কল দিতে বলে,, রাব্বী পকেট থেকে মোবাইল বের করে কল করে,,
তন্ময়ের কাছে ফোন দিতে দুজনেই নিস্তব্ধ কেও কোন কথা বলছে না,, তন্ময় নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে চাপা সুরে বলে,,
তন্ময়ঃ- কেমন আছো আব্বু??( চাপা সুরে৷)
তন্ময়ের মুখে আব্বু ডাক শুনতে তন্ময়ের বাবার চোখে পানি চলে এলো,,
আব্বুঃ- হ্যা বাবা বল,, কেমন আছিস তুই??
তন্ময়ঃ- বাবা আমি আবারও কলেজ এ ভর্তি হতে চাই,, তোমার ওখানে না অন্য কোথাও!!.
আব্বুঃ- ঠিক আছে তুই যেমন চাস তেমনই হবে,,
তন্ময়ঃ- তোমরা বাসায় চলে এসো,, আমি তোমাদের জন্য অপেক্ষা করবো,,
আব্বুঃ- ঠিক আছে,, আসছি..
কল কেটে দেওয়ার পর তন্ময়ের বাসা পরিষ্কারের কাজে লেগে পড়লো,, সন্ধ্যা অবধি তন্ময় একা একা পরিষ্কার করে নিজের রুমে বসলো,,
ক্লান্ত শরীর নিয়ে বসে আছে,, কিছুক্ষণ পর তন্ময়ের মা ঘরের ভিতর চলে আসে,, পারিসা সন্ধ্যায় ঘুম থেকে উঠতে ওর আম্মু কফি দিয়ে যায়,,
পারিসার আম্মুঃ- পারিসা মা উঠে পর,, সন্ধ্যা লেগে গেছে,,
পারিসাঃ- হুমম,,
পারিসার আম্মু চলে যেতেই পারিসা বিছানা থেকে কফি হাতে নিয়ে বেলকুনিতে গেলো,, কফি খেতে খেতে বাইরের শহরে আনাগোনা চেনা জানা মানুষ গুলোকে দেখছে,,
এমন সময় পারিসার ফোন বেজে উঠলো,, মোবাইলের দিকে তাকিয়ে দেখে,, সুমাইয়া কল দিছে,,
পারিসাঃ- হ্যাঁ সুমাইয়া বল,,
সুমাইয়াঃ- বাসায় আয় একটা পিস পাইছি আজ,, সালা মাইয়া দেখলে ইভটিজিং করে,, আজ তুলে আনছি ওইডারে,,
পারিসাঃ- খাড়া আমি আসতেছি,,
পারিসা কফি খাওয়া বাদ দিয়ে বেরিয়ে পড়লো সুমাইয়া দের বাসার উদ্দেশ্য করে,, সুমাইয়া বাসার ছাদে উঠে দেখে ছেলেটাকে বেদে রেখেছে চেয়ারের সাথে,,
পারিসাঃ- লাঠিটা দে!!
সুমাইয়াঃ- এই নে,, শালার সাহস কত..
পারিসা লাঠি নিয়ে ৪-৫ টা লাঠি দিয়ে মারে,, ছেলেটা আহহ কান্না করে উঠে মুখ বাধা আছে বার উহু উহু করছে,,
পারিসাঃ- ওর মুখের বাধন খুলে দে,,
পারিসার কথা শুনে সুমাইয়া মুখের বাধন খুলে দিছে,, মুখের বাধন খুলে দিতে কান্না করে ছেলেটা বলে,,
ছেলেঃ- পারিসা আপু আমারে মাফ কইরা দাও,, আমি আর কোন দিন এমন করবো না,,
পারিসাঃ- লাথোকা ভুত বাতোছে মানে নেহি,, কি যেনো বলিস?? কি যেনো বলে তোদের..!"
সুমাইয়াঃ- আমাদের ফিগার নাকি আগুনের মতো,,
পারিসাঃ- ফিগার কি বে?? ( মাথার চুল ধরে )
লাঠি দিয়ে মারতে থাকে,, পারিসা কয়েকবার মেরে সুমাইয়াকে উদ্দেশ্য করে বলে,,
পারিসাঃ- এইডারে নেড়া করে পাড়ায় ছেড়ে দে,, আর শুনো মেয়েদের সম্মান করতে শেখ,, নইতো পুতে ফেলবো,,
পারিসা পরিবারের একমাত্র মেয়ে,, এবং বাড়ি বড় মেয়ে লেখা পড়া এবার ইন্টার ১ম বর্ষে,, কলেজের কোন সিনিয়র ছেলে পারিসা কলেজে যাওয়ার পর ইভটিজিং করতে পারে না,, কাওকে বাজে ভাষায় কথা বলতে পারে না,, এটাই পারিসা...
তন্ময়ের বাবাঃ- তাহলে তুমি কাল চট্রগ্রামে চলে যাও,, ওখানে আমার কলেজের বন্ধু এনায়েতের কলেজে ভর্তি হয়ে যেও,, আমি ওর সাথে সব কথা বলে নিয়েছি,,
তন্ময়ঃ- আমি কাল মা আজই রওনা হতে চাই,, যাওয়ার আগে আম্মুর হাতের রান্না খেয়ে যেতে চায়..
রাব্বীঃ- তাহলে কি আমরা ফাকি তো পড়বো!! তন্ময়ের কথা মতো সকল জিনিস নিয়ে হাজির,, আন্টি তাড়াতাড়ি রান্না ঘরে যাও তোমার হাতে রান্না খেতে পারি না,, তোমার বউমার হাতের রান্না এখন আর ভালোই লাগে না,, ( টুম্পাকে রাগানোর জন্য )
টুম্পাঃ- তাহলে ভালোই হলো আজ থেকে আর রান্না করতে হবে না,, আন্টি আসো,,
তন্ময়ের মা আর টুম্পা রান্না করতে চলে গেলো,, তন্ময় আর রাব্বী উপরে আর তন্ময়ের বাবা নিচে বসে,,
..........
পরেরদিন বিকালে তন্ময় চট্রগ্রামে পৌঁছে যায়,, চট্রগ্রাম বাস স্ট্যান্ড নামতে নিজেকে হালকা মনে করছে তন্ময়,,
তন্ময় ওখান থেকে আব্বুর বন্ধুর দেওয়া ঠিকানা অনুসারে চলে গেলো,,
রিকশাওয়ালাঃ- ওম্নে হোজা গিয়া,, বামে যাইয়া প্রথম বাড়িডাই প্রিন্সিপালের বাসা,,
তন্ময়ঃ- আমি তো নতুন আপনি একটু দিয়ে আসলে ভালো হতো,,
রিকশাওয়ালাঃ- আমাগো ভিতরে যাওন মানা আছে,, আমি তো আপনারে দেহাইয়া দিতে আছি,, আম্নে কারো ধরে হুন্না লইয়েন,, আমার ভাড়াডা দেন আমি চাইলা যায়,,
তন্ময়ঃ- আপনাকে কত টাকা দিতে হবে??
রিকশাওয়ালাঃ- ১৫০ টাহা,,
তন্ময়ঃ- ঠিক আছে,,
ওয়ালেট থেকে টাকা বের দিয়ে লোকটার দেখানো রাস্তায় চলে এলাম,, কিছুদূর আসতে কয়েকটা মেয়েকে লক্ষ করলাম,, মেয়েগুলো ছেলেদের কান ধরিয়ে রেখেছে,,
এসব দেখে নিজের অজান্তেই মুচকি হাসি চলে এলো,,
পারিসা এটা লক্ষ করে বসে,,
পারিসাঃ- পোলাটা এলাকায় নতুন মনে হচ্ছে?? সুমাইয়া ওরে ডাক দে,,
সুমাইয়া আর দুটো মেয়ে তন্ময়ের সামনে গেলো,, সামনে গিয়ে বলে,
সুমাইয়াঃ- হায় আমি সুমাইয়া,,
তন্ময়ঃ- বলেন কি বলবেন??
সুমাইয়াঃ- আপনি এলাকায় নতুন নাকি??
তন্ময়ঃ- জ্বি হ্যা,, একটা কথা জিজ্ঞাসা করবো যদি কিছু মনে না করেন,,
সুমাইয়াঃ- পারিসা আপনাকে ডাকছে,, যেতে যে যেটা বলার বলবেন,,
তন্ময়ঃ- ওকে!!
তন্ময় খুব সহজেই মেনে নিলো এটার কারন ওই ছেলে গুলো,, এখানকার ছেলেদের থেকে মেয়েরা বেশী ডেঞ্জারাস সেটা তন্ময় ওই দৃশ্য গুলো দেখেই বুজেছে,,
তন্ময়ঃ- আমি যেটা বলতে চাইছিলাম আসলে ওখানে ওই ছেলেগুলোকে কান ধরে দাড় করানো হয়েছে,, এটার কারন বুজলাম না,,
সুমাইয়াঃ- ওখানে গেলে জানতে পারবেন,, এখন কথা না বলে চলেন,,
তন্ময় চুপ করে ওই মেয়েটার সাথে হেটে গেলো,, তন্ময় পারিসার সামনে যেতে পারিসা বলে,,
পারিসাঃ- আপনার নাম কি??
তন্ময়ঃ- জ্বি আমি অর্ক ইসলাম তন্ময়,, আমাকে এখানে ডাকার কারন,,
পারিসাঃ- আপনি এলাকায় নতুন??
তন্ময়ঃ- জ্বি হ্যা,,
পারিসাঃ- এই এলাকায় থাকতে হলে কিছু রুলস মেনে চলতে হবে,, যদি পারেন তাহলে এলাকায় থাকবেন নইতো এদের মতো হাফ প্যান্ট পড়িয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি দাড় করে রাখবো,,
তন্ময়ঃ- তার মানে এগুলো বড় মাথা এই মেয়ে৷ ( মনে মনে )
পারিসাঃ- রুলস নাম্বার ০১.কোন মেয়েকে ইভটিজিং করা যাবে না,, রুলস নাম্বার ০২. মেয়েদেরকে মায়ের চোখে দেখতে হবে,,
তন্ময়ঃ- একটা কথা বলবো যদি কিছু মনে না করেন তাহলে?? সব মেয়েকে যদি মায়ের চোখে দেখি তাহলে আমার বাবার চরিত্রের উপর দাগ লেগে যাবে,, ২য় সব মেয়েকে মায়ের চোখে দেখলে বউ ডাকবো কারে,,
পারিসা তন্ময়ের দিকে রাগী দৃষ্টিতে তাকায় আছে,, তন্ময় লক্ষ্মণ বুজে বলে উঠলো,,
তন্ময়ঃ- এখানে প্রিন্সিপাল ইকরাম ফরিদের বাসাটা কোথায় বলতে পারেন,,
সুমাইয়াঃ- আপনি... ( পুরোটা বলতে না দিয়ে পারিস বললো )
পারিসাঃ- সোজা গিয়ে বামের প্রথম বাড়িটা,,
তন্ময়ঃ- ধন্যবাদ,,
এতক্ষণ দাড়িয়ে দাঁড়িয়ে কথা হচ্ছে দুজনের,, পারিসা তন্ময় চলে যাওয়ার পর বলে,,
পারিসাঃ- তোদের বলছিলাম না,, আমার রুম কোন এক ঢাকাইয়ার জন্য উপর থেকে নিচে শিপ্ট করছে,, এই সেই ঢাকাইয়া..
সুমাইয়াঃ- তাহলে ওরে টাইট দিয়ে দি..
পারিসাঃ- না না ওরে আমি টাইট দিবো,, ১ম আমার রুম কেড়ে নেওয়ার জন্য,, ২য় এখানে আমার সামনে বেয়াদবি করার জন্য,, আমার স্টাইলে ওর থেকে বদলা নিবো,,
সুমাইয়াঃ- এই সামনের গুলার কি করবি??
পারিসাঃ- কান ছাড় সব গুলো,, একটু আগে যে ছেলেটা গেলো ও কখন কি করে সব খবর আমারে তোরা ৩জন জানাবি,,
সকলেঃ- ওকে আপু..
পারিসাঃ- এখন এখান থেকে যা,,
পারিসার কথা মতো ছেলেগুলো চলে গেলো,, তন্ময় হাটতে পারিসার দেখানো বাসার সামনে এসে কলিং বেল চাপ দিলো,,
,,
,,
,,
চলবে নাকি..
,,
ভুলত্রুটি মার্জনীয়..#সিজন-০২
গল্পঃ- পিচ্ছি শয়তানের সিনিয়র ক্রাস
লেখকঃ- অর্ক ইসলাম তন্ময়
পর্বঃ-০৩..!!
,,
,,
পারিসার কথা মতো ছেলেগুলো চলে গেলো,, তন্ময় হাটতে পারিসার দেখানো বাসার সামনে এসে কলিং বেল চাপ দিলো,,
কলিংবেল চাপ দিতে একজন মহিলা এসে দরজা খুলে দেয়,, সহেন্দ বসে বললাম,,
তন্ময়ঃ- আসসালামু আলাইকুম আন্টি,,
মহিলাঃ- ওয়ালাইকুম আসসালাম,, কে তুমি?? কাকে চাও??
তন্ময়ঃ- আন্টি আমি রবিউল ইসলামের ছেলে,, ঢাকা থেকে আসছি,, এখানে ইকরাম আঙ্কেলের বাসায় আসছি,,
মহিলাঃ- ওহহ তুমি তন্ময়,, আসো ভিতরে আসো!! তোমার বাবা-মা কেমন আছে??
তন্ময়ঃ- আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছে সবাই,,
মহিলাঃ- ভিতরে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নাও,, আমি তোমার জন্য খাবার বাড়ছি,,
তন্ময়ঃ- আঙ্কেল কোথায়?? তাকে দেখছি না তো...
মহিলাঃ- সে তো একটু আগেই বাইরে গেছে চলে আসবে,, মর্জিনা ওর রুমটা দেখিয়ে দিয়ে আয়,,
মর্জিনাঃ- ঠিক আছে,, আফা.. বাবু আমার সাথে আসেন,,
মর্জিনার সাথে হাটতে হাটতে উপরে চলে গেলাম,,উপরে গিয়ে আমাকে একটা রুম দেখিয়ে চলে এলো,, রুমে ডুকতে রুমটা অনেক সুন্দর লাগছে, , বিশেষ করে রুম টা অনেক সুন্দর সাজানো আছে,,,
তন্ময়ঃ- খালা এই রুম টা এত সুন্দর করে সাজানো হয়েছে?? এর কি কোন বিশেষ কারণ আছে..
মর্জিনা খালাঃ- না এখানে সাহেবের মেয়ে থাকতো আপনি আসছেন বলে ওনাকে নিচে জায়গা দিছে,,
তন্ময়ঃ- ওহ!!
মর্জিনা খালা চলে যেতে রুমের বেলকুনিতে দাড়িয়ে সন্ধ্যার পূবালী বাতাস অনুভব করছি,, আহ কি শান্তি,,
কিছুক্ষন ওভাবে থেকে বেলকুনি থেকে ফ্রেশ রুমে চলে এলাম,,
রুমে এসে ব্যাগ থেকে কাপড় বের করে,, বিছানায় মাথা রাখতে অজান্তার চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খেতে লাগছে,,
তন্ময়ঃ- আমাদের গল্পটা যদি বিচ্ছিন্ন না হয়ে মিলিত হতো,, তাহলে আজ আমাকে এভাবে কাদতে হয় না,, ( মনে মনে৷)
হঠাৎ দরজার ঠকঠক শব্দ পেতে দরজার দিকে তাকাতে দেখে সন্ধ্যার ওই মেয়েটা,,
তন্ময়ঃ- আপনি এখানে??
পারিসাঃ- আমার বাড়িতে আমি থাকবো না তো কে থাকবে শুনি?? ( বিরক্তিকর কন্ঠে )
তন্ময়ঃ- আপনার বাড়ি তে আমি কেনো থাকবো??
পারিসাঃ- আপনি এটা ভালো করেন নি,, এসে আমার বিছানায় শুয়ে পড়েছেন,, এর ফল আপনাকে ভোগ করতে হবে,,
তন্ময়ঃ- ছরি আমি জানতাম এটা আপনার রুম,, আপনি আপনার রুমে চলে আসেন,, আর আমি আপনার রুমে চলে যাচ্ছি,, ( মন খারাপ করে)
পারিসাঃ- না থাক লাগবে না,, জুতা মেরে গরু দান করে লাভ কি শুনি!! আপনাকে তো মন চাই পেট ফুটা করে দি,, ( রাগী কন্ঠে)
তন্ময়ঃ-.. ( মাথা নিচু করে আছে )
পারিসাঃ- নিচে আসেন আব্বু আপনাকে ডাকছে,, খেয়ে সকলকে উদ্ধার করেন,, ( অপমান করে )
তন্ময় কিছু না বলে পারিসার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে রইলো,, পারিসা এমন একটা ভাব করছে জেনো কিছুই জানে না,,
এদিক ওদিক তাকিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো পারিসা,, পারিসা বেরিয়ে যাওয়ার কিচ্ছুক্ষণ পর তন্ময় নিচে যাওয়ার জন্য বের হলো তখনই শুনতে পাই,,
পারিসার আব্বুঃ- কি ব্যাপার তন্ময় আসলো না,,
পারিসাঃ- ওনি বললো ওনার শরীর ক্লান্ত লাগছে,, এখন খাবে না সেটাই তো বললো,,
পারিসার কথা শুনে তন্ময় থমকে গেলো,, পারিসার কথা শুনে আর খাওয়ার ইচ্ছা করছে না,, কিন্তু পেটে তো ইদুর ছানারা ডন বৈঠক মারছে,,
তন্ময় রুমে গিয়ে বেলকনিতে এসে দাড়ালো,, বাইরে প্রকৃতি দেখছে,, হঠাৎ পিছন থেকে কারো আসার শব্দ পেয়ে পিছনে ঘুরে তাকিয়ে দেখি মর্জি না খালা আর সাথে আঙ্কেল..
তন্ময়ঃ- আঙ্কেল..
আঙ্কেলঃ- কেমন আছো??
তন্ময়ঃ- আমি ভালো আছি,, আপনি কেমন আছেন??
আঙ্কেলঃ- ভালো,, খাবার খেয়ে নাও নইতো শরীর খারাপ লাগবে,, আর হ্যা কাল সকালে তৈরী থেকো,,
তন্ময়ঃ- ঠিক আচে আঙ্কেল..
মর্জিনা খালা আর আঙ্কেল খাবার দিয়ে চলে গেলো,, তন্ময় খাবার খেয়ে শুয়ে পড়েছে,, পারিসা বিছানায় শুয়ে ডিসকাসটিং লাগছে,,
পরেরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে পারিসা ফ্রেশ হয়ে নাস্তা না করেই কলেজের উদ্দেশ্য করে চলে গেলো,, ব্যাগ থেকে মোবাইল বের করে কল দিলো সুমাইয়াকে,,
সুমাইয়াঃ- এত সকাল সকাল?? কি ব্যাপার??
পারিসাঃ- বাসা থেকে বের হ,, আমিও বের হইছি তোদের বাসার সামনে আছি,,
সুমাইয়াঃ- ৫ মিনিট সময় দে আমি আসছি,,
পারিসাঃ- ওকে!!
পারিসা ফোন কেটে সুমাইয়াদের বাসার সামনে ওয়েট করছে,, আর পায় ছারি করছে,, এমন সময় একটা ছেলে এসে বলে..
ছেলেঃ- হায়!!
পারিসা একবার তাকিয়ে মুখ ঘুরিয়ে নিলো,, ছেলেটা আবারও বলে..
ছেলেঃ- হায় আমি জুম্মন..
পারিসা ছেলেটার দিকে তাকিয়ে বিরক্তকর ভাবে তাকিয়ে হাসলো,,
ছেলেঃ- একটা কথা বলবো?? আপনি কি বোবা কথা বলতে পারেন না,,
পারিসা কানে এবং মুখে হাত দিয়ে বলে ইশারায় বলে আমি কথা বলতে পারি না,, ছেলেটা একটু মন খারাপ করে চলে গেলো,, এমন সময় সুমাইয়া চলে আসে..
সুমাইয়াঃ- চল..
পারিসাঃ- আগে কোন রেস্টুরেন্টে চল,, আর ওই ছেলেটা কে রে??
সুমাইয়াঃ- কেনো তোকে আবার কি করলো?? আমাদের এলাকার সব থেকে বাজে একটা ছেলে মেয়ে দেখলে লাইন মারার চেস্টা করে,,
পারিসাঃ- ওহহ!! আগে রেস্টুরেন্টে চল.. নাস্তা করবো পেটে ইদুর ডন বৈঠক মারছে,,।
সুমাইয়াঃ- তাহলে বাসায় চল..
পারিসাঃ- আরে না না,, বাসায় যাবো না,, রেস্টুরেন্ট থেকে সোজা কলেজে যাবো,,
সুমাইয়াঃ- ওকে!!
পারিসারা রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার খেয়ে কলেজে চলে গেলো,, তন্ময় নাস্তা শেষ করে আন্টিকে সালাম করলো,,
আন্টিঃ- আরে উঠো কি করছো??
তন্ময়ঃ- আজ কলেজের প্রথম দিন,,শুনেছি ভালো কোন কাজ করতে গেলে মুরুব্বিদের আশীর্বাদ নিতে হয়,, বাসায় থাকলে আম্মুকে সালাম করতাম,, আপনিও আমার আম্মুর মতোই তার জন্য আপনাকে সালাম করলাম,,
আন্টিঃ- দোয়া করি ভালো ভাবে লেখা পড়া করো,, আর একটু দাড়াও আমি আসছি,,
তন্ময়ঃ- ওকে!!
আন্টি ভিতরে গিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে ফিরে এলো,, ফিরে এসে তন্ময়ের হাতে ২০০ টাকা তুলে দিলো,,
তন্ময়ঃ- আন্টি আমার টাকা লাগবে না,, আমার কাছে আছে,,
আন্টিঃ- রেখে দাও কাজে লাগবে,, আর হ্যা মুরব্বিদের কথা শুনতে হয়,, এখন আল্লাহর নাম নিয়ে কলেজের দিকে যাও,,
তন্ময়ঃ- ওকে!!
তন্ময় কলেজের উদ্দেশ্য করে বের হলো,, কলেজে একদল ছেলে ইভটিজিং করছে,,
ছেলেঃ- হায় সুইটহার্ট,, কি খাসা জিনিস মাইরি??
২য় ছেলেঃ- ফিগারটা পুরাই মাখন!!
৫ম ছেলেঃ- আরে তোদের লজ্জা করে না,, পারিসা আপুর কাছে প্রতিদিন পিঠানি খেতে,,
২য় ছেলেঃ- পারিসা আপু না পুরা আগুন,,
পারিসাঃ- তাহলে আজ তোদের পুরিয়ে দি সেই আগুনে,,
কথাটা পিছন থেকে বললো পারিসা,, পারিসার কন্ঠ শুনে সকলে হকচকিয়ে উঠে পিছনে তাকালো,,
পারিসাঃ- ফিগার মানে কি?? ( ২য় ছেলেকে উদ্দেশ্য করে)
২য় ছেলেঃ- কিছু না আপু,, ওই এমনি দুষ্টামি করছিলাম,,
পারিসাঃ- কান ধর সব গুলা,,
সুমাইয়াঃ- কালকের ওই ছেলেটা,, ( কানে কানে)
পারিসা তাকিয়ে দেখে তন্ময় হাসতে হাসতে ভিতরে আসছে,,
পারিসাঃ- তোরা এদের হ্যান্ডেল কর আমি আসছি,,
কথাটা বলে কিছুদূর গিয়ে তন্ময়কে ডাক দিলো পারিসা,, পারিসার কন্ঠ শুনে তন্ময় আশেপাশে তাকিয়ে কাওকে না পেয়ে আবারও ডাকলো,
,,
,,
,,
চলবে নাকি..
,,
ভুলত্রুটি মার্জনীয়..#সিজন-০২
গল্পঃ- পিচ্ছি শয়তানের সিনিয়র ক্রাস
লেখকঃ- অর্ক ইসলাম তন্ময়
পর্বঃ-০৪..!!
,,
,,
কথাটা বলে কিছুদূর গিয়ে তন্ময়কে ডাক দিলো পারিসা,, পারিসার কন্ঠ শুনে তন্ময় আশেপাশে তাকিয়ে কাওকে না পেয়ে আবারও ডাকলো,,
তন্ময় দাড়িয়ে গেলো,, কিছুক্ষণ পর তন্ময়ের সামনে পারিসা চলে এলো,, পারিসা আসতেই তন্ময়ের চোখের দিকে তাকিয়ে আছে,,
পারিসা বার বার যেনো মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছে তন্ময়কে দেখে,, একটা ছেলে এতটা মায়াবী কি করে হতে পারে!!
তন্ময়ঃ- হ্যালো আপু!! কিছু বলবেন,, বললে বলেন না হলে রাস্তা ছাড়েন আমি ক্লাসে যায়,,
পারিসা নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে বলে পারিসার দিকে তাকিয়ে বলে,,
পারিসাঃ- আপনি কোন ইয়ারে!!
তন্ময়ঃ- ফাইনাল ইয়ার,,
পারিসাঃ- তার মানে আমার সিনিয়র,, যাইহোক আপনি অন্যায় ভাবে আমার রুম দখল করে নিছেন,, যার জন্য আপনাকে শাস্তি পেতে হবে,, ( একটু রেগে )
তন্ময়ঃ- আমি তো আপনাকে বললাম আমরা রুম পাল্