সুমাইয়াকে বাসায় দিয়ে আসিফ চলে যায়। সুমাইয়া বাসায় এসে কাঁদতে থাকে। আর বলতে থাকে। সুমাইয়া এটা তুই কি করলি। তুই এতটা বেখেয়ালি করলি আনাসের সাথে। সুমাইয়া তুই অনেক খারাপ। এটা বলে কাঁদতে থাকে আর ভাবতে থাকে এখন আমি কি করবো। আনাসের কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইবো। আমি এটা কি করলাম আনাসকে দুপুর থেকে বসিয়ে রেখে সন্ধ্যা সময় গেলাম আরেক ছেলের সাথে। এটা কারো পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব না। সে কি আর আমার সাথে দেখা করবে। সেতো মনে হয় কেঁদে শেষ আনাস অল্প একটু কিছু হলেই কেঁদে দেয়। এখনতো মনে হয় কেঁদে কেঁদে শেষ।
আমি এটা কি করলাম। আমি একটা এতিম ছেলের মন বুঝতে পারলাম না।
আমি সকালে ঘুম থেকে ওঠি কলিং বেলের টিপে। দরজা খুলে দেখি মিম আর জাকিয়া আর মিমের স্বামী মানে আমার ফ্রেন্ড হাসান।)
হাসানঃ দোস্ত তর কি হইছে। গতকাল রাতে তকে কতগুলো ফোন দিলাম। মোবাইল বন্ধ।
আমিঃ আর বলিস না। এক মেয়ে খালি ফোন করে ডিস্টার্ব করে। তাই মোবাইল বন্ধ করে রেখে দেই। জাকিয়া মামুনি আসো কোলে আসো।
জাকিয়াঃ না আমি তোমার কোলে যাবো না। তুমি গতকাল আমার বার্থডেতে যাও নাই।
আমিঃ মামুনি রাগ করে না। আমার একটু খেয়াল ছিলোনা।
মিমঃ তুই গেছতনা দেখে জাকিয়া কেক কাটে নায়। তকে ছাড়া কেক কাটবে না।
আমিঃ মামুনি এখন আমিতো আছি চলো কেক কাটি।
মিমঃ তাহলে তুই রেডি হ।
আমিঃ ওকে তরা ভিতরে এসে বস।
(আমি রেডি হয়ে মিমের বাড়ি যাই।সেখানে গিয়ে জাকিয়ার বার্থডে পালন করি। যাওয়ার সময় জাকিয়ার জন্য গিফট কিনে নিয়ে যাই। দুপুর হলে খাওয়া দাওয়া করে এক রুমে বসে রইছি। এমন সময় হাসান আসে।হাসান এসে বলল)
হাসানঃ তুই সত্যি করে বলতো তর গতকাল কি হইছে।
আমিঃ কই কিছু না।
হাসানঃ আমার সাথে গোপন রাখবি। মিমের কাছে বলবো না।তর রুমে আমি ঘুমের ঔষধ পাইছি।আর তর মোবাইল ভাঙা দেখছি।
(আমি হাসানকে সব বললাম।)
আমিঃ এ জন্য।
হাসানঃ থাক দোস্ত কষ্ট নিসনা। তর জীবনে আরো ভালো মেয়ে আসবে।
আমিঃ না দোস্ত আমি সুমাইয়াকে ভালোবাসতাম।
(আমি কেঁদে দেই।)
হাসানঃ দোস্ত কাদিস না। যা হওয়ার হয়ে গেছে। তুই বললে তর জন্য মেয়ে দেখবো।
আমিঃ নারে আমি দেখি কি করা যায়।
হাসানঃ ওকে তুই ঘুমা।
আমিঃ না দোস্ত চলে যাবো বিকালে।
হাসানঃ আজকের দিনটা থেকে যা।
আমিঃ আজকে অফিসে যাই নাই আগামীকাল যেতে হবে।
হাসানঃ ওকে।
(এমন সময় জাকিয়া আসে।আমি জাকিয়ার সাথে খেলতে শুরু করলাম।
জাকিয়াকে কিছুক্ষন পড়াইলাম। একটু তার সাথে খেললাম। শয়তানি করলাম।
কখন যে বিকাল হয়ে গেলো। মিম অনেক বলছে থাকার জন্য। জাকিয়া কাঁদতে কাঁদতে শেষ। আমি বললাম দুদিন পর আবার আসবো। আমি বাসা থেকে বের হয়ে সোজা গেলাম ডাক্তারের চেম্বারে। ডাক্তারকে আমার রোগ বললাম।কাশের সাথে রক্ত আসে।)
ডাক্তারঃ আপনি কি স্মোক করেন?
আমিঃ হুম।
ডাক্তারঃ অতিরিক্ত স্মোক করলে এই রোগ হয়।আপনাকে স্মোক করা বন্ধ করতে হবে।
(সরি এই রোগের ভিন্ন কোনো কারণ থাকতে পারে।)
আমিঃ সেটা সম্ভব না ডক্টর।
ডক্টরঃ আপনি ডেইলি কয়টা খান।
আমিঃ ১৫-২০টা হবে।
ডক্টরঃ আপনি ডেইলি ১টা খেতে পারবেন। দুদিন পর পর।
আমিঃ সেটা সম্ভব না।
ডক্টরঃ তাহলে আমার দ্বারা রোগ নিরাময় সম্ভব না।
আমিঃ ওকে ডেইলি একটা করে খাই।
ডক্টরঃ ওকে তবে হাফ।
আমিঃ ওকে।
(ডাক্তার আমাকে কিছু ঔষধ লেখে দেয়।
আমি সেগুলো কিনে।মার্কেট থেকে একটা মোবাইল কিনি। মোবাইল কিনে বাসায় আসলাম। সিম লাগিয়ে। সিগারেট ধরাইতেম যাবো। এমন সময় ডাক্তারের কথা মনে পড়লো। ঢিল দিয়ে সিগারেট ফেলে দেই। মাথায় একটা ভাবনা সব সময় আছে সেটা হলো সুমাইয়া। মাথায় খালি সুমাইয়ার কথা ঘুরতে থাকে। এখন যে ভাবেই হোক সুমাইয়াকে মাথা থেকে বের করতে হবে। কারণ সে বিবাহিত। বিবাহিত নাহলে কি। ৪০ ছুই ছুই একটা লোকের সাথে কি জন্য ঘুরবে। তার বাবা মা সবাইকে আমি চিনি। তার এমন কোনো আত্মীয় নাই। স্বামী না হলে মনে হয় বয়ফ্রেন্ড। কিন্তু একটা বুইড়া লোকের সাথে প্রেম করবে সুমাইয়া এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমার মাথায় কিছু ধরছে না। আমি সুমাইয়ার চিন্তা মাথা থেকে বের করতে মোবাইল টিপতে থাকি মোবাইল টিপতে টিপতে ঘুমিয়ে যাই।)
(সুমাইয়া সকালে ওঠে অফিসে যাওয়ার আগে।আনাসের এখানে আসে।এসে দেখে দরজা বন্ধ ফোন দেয় মোবাইল বন্ধ
কোথায় গেলো আনাস।কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে থেকে চলে যায় বাড়িতে। অফিসে যাবে না মন ভালো না। মাথায় শুধু আনাস। আনাসের চিন্তা মাথা থেকে যাচ্ছেয় না।
দুদিন ধরে অফিসে যায় না সুমাইয়া। তার কিছু ভালো লাগে না। আনাসের কারণে সুমাইয়ার এতোটা প্রভাব ফেলবে সুমাইয়া জানতো না। তার কারণ চিরকুট। কারণ চিরকুটের লেখাগুলো সুমাইয়ার বুকে লাগে। আজ ১০ দিন হয়ে গেছে সুমাইয়া আনাসকে ভুলতে পারে নাই। আসিফকে না করে দিছে। আর সে ব্যাংক থেকে চলে আসে। নতুন এক চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দেয়। সুমাইয়ার রেজাল্ট খুব ভালো তাই চাকরি পেয়ে যায়। এভাবে আরো ১০দিন চলে যায়। আনাসের সাথে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ। আনাসের চিন্তা মাথা ধুর হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কিছুতেই আনাসকে ভুলতে পারছে না। সুমাইয়া মাঝে মাঝে ভাবে আনাস কি করে আমাকে ছাড়া থাকছে। আনাস তুমি আমাকে মিস করোনা। আমি তোমাকে অনেক মিস করি।এই বিধবা সুমাইয়াকে তুমিই সুখ দিতে পারো। তুমি প্লিজ আবার ফিরে আসো। আচ্ছা একদিন আনাস তুমি আমার সামনে পড়তে পারো না।তুমি সামনে পড়লে আমি তোমাকে জড়িয়ে ধরে আমার মনের সব কথা এক শ্বাসে বলবো। সুমাইয়া সকাল বেলা ঘুম থেকে ওঠে আল্লাহর কাছে দোয়া করে।যাতে আনাসের সাথে দেখা হয়। আল্লাহ মনে হয় সে দোয়া কবুল করে। )
(আজ ২০ দিন হয়ে গেলো সুমাইয়ার সাথে কোনো যোগাযোগ নাই।কারণ সে অন্য একজনকে নিয়ে সুখেই আছে। আমি আমার মতো আছি।কিন্তু তাকে ভুলতে পারছি না। এই কিছুদিনের সম্পর্কে সুমাইয়া আমার উপর এতো প্রভাব ফেলবে আগে জানতাম না। আমি আমার মতো চলছি।প্রতিদিন অফিসে যাচ্ছি। মাঝে মাঝে সাফার সাথে দেখা হয়।তার চেহারাটা দেখলে মায়া লাগে। এভাবে একটা মাস চলে যায়। একদিন সন্ধার পর বাস দিয়ে বাসায় আসছি। জরুরি প্রয়োজনে আমাকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করতে হয়। বাসে ওঠে পুরো বাস কেনো জানি খুঁজি। কেনো হয়তো সুমাইয়া। বাসে বেশি মানুষ নেই।অধিকাংশ ছিট খালি।
আমি মাঝখানে একটা ছিটে বসি জানালার পাশে। বসে বাইরে তাকিয়ে আছি। কেনো জানি এখন আর বাসে ওঠলে ভালো লাগেনা মনটা খারাপ হয়ে যায়। সুমাইয়া তুমি কেনো জেনে শুনে আমাকে এতোটা কষ্ট দিলা। তুমি আমাকে বলতে পারতে আমি মেরিজ। আমার কেনো জানি মনে হচ্ছে না সুমাইয়া বিবাহিত না। এই যুগে এতো সুন্দরী একটা বিয়ে না হওয়া!। আমি বাইরে তাকিয়ে আছি।)
হেল্পারঃ বাড়া দেন।
আমিঃ এই নেন।
(ভুল ক্রটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আর পেজে একটা লাইক দিয়ে যাবেন।)
(আমার ঘুমে ধরছে। আমি ঘুমায় গেলাম। কারণ বাস আমি যেখানে গিয়ে নামবো ততটুকু পর্যন্ত বাস যাবে। তাই ভাবলাম ঘুমিয়ে গেলে অসুবিধা নাই। আমি ঘুমিয়ে গেলাম। কার জানি মায়া ভরা স্পর্শে আমার ঘুম ভেঙে যায়। আমি চোখ খুলি নাই। আমার হাতরা আমি নিজের উরুর উপর ছিলো।এই হাতের ভিতর একটা নরম হাত। মনে হচ্ছে ভিজা। আমার আঙ্গুলগুলোকে ধরে রাখে। আমি পরিচিত একজনের ঘ্রান পাচ্ছি। চোখ খুলে দেখি সুমাইয়া।)
চলবে.....
ভালো লাগলে কমেন্ট করবেন।
আর প্লিজ হ্যাপি রেটিং দিবেন। ❤❤
#সিনিয়র_বিধবা_মেয়ে
#writer_Osman
#part_8
#collected Sahibi Shah Saif
(আমার ঘুমে ধরছে। আমি ঘুমায় গেলাম। কারণ বাস আমি যেখানে গিয়ে নামবো ততটুকু পর্যন্ত বাস যাবে। তাই ভাবলাম ঘুমিয়ে গেলে অসুবিধা নাই। আমি ঘুমিয়ে গেলাম। কার জানি মায়া ভরা স্পর্শে আমার ঘুম ভেঙে যায়। আমি চোখ খুলি নাই। আমার হাতরা আমি নিজের উরুর উপর ছিলো।এই হাতের ভিতর একটা নরম হাত। মনে হচ্ছে ভিজা। আমার আঙ্গুলগুলোকে ধরে রাখে। আমি পরিচিত একজনের ঘ্রান পাচ্ছি। চোখ খুলে দেখি সুমাইয়া। আমি অবাক হয়ে যাই। সুমাইয়ার চোখে পানি।আমি বললাম)
আমিঃ সুমাইয়া! আপনি এখানে?
সুমাইয়াঃ হুম। আমি আপনাকে কত খুঁজছি। অবশেষে আপনাকে পেলাম।
আমিঃ আপনি না বিবাহিত।
(এই কথা বলাতে সুমাইয়া আমার হাত থেকে নিজের হাত নিয়ে নেয়।)
সুমাইয়াঃ হুম। আমি বিবাহিত
আমিঃ তাহলে।
সুমাইয়াঃ তাহলে কি আমার সাথে সম্পর্ক রাখবেন না।
আমিঃ ন.....
সুমাইয়াঃ চুপ কোনো কথা নাই।
(আমি চুপ হয়ে গেলাম। বাস এসে লাস্ট স্টেশনে থামলো। আমি বললাম)
আমিঃ নামেন।
সুমাইয়াঃ না নামবো না।
আমিঃ বাস আর যাবেনা। এখানেই নামতে হবে।
(সুমাইয়া তাড়াতাড়ি বাস থেকে নেমে যায়। আমি নেমে সুমাইয়াকে আর পাচ্ছি না।আমি ভাবলাম সুমাইয়া এতো তাড়াতাড়ি কোথায় চলে গেলো। আশেপাশে শুধু বাস।আমি সুমাইয়া বলে ডাক দিলাম।)
আমিঃ সুমাইয়া..... সুমাইয়া....... কোথায় তুমি.... সুমাইয়া......
(আমি ভাবলাম মনে হয় চলে গেছে।
আমি আমার পথে হাঁটা ধরলাম। এমন সময় কোথা থেকে জানি বের হয়ে বলল)
সুমাইয়াঃ আমি এখানে।
(আমি সুমাইয়ার কাছে যাই।)
আমিঃ কোথায় হারিয়ে গেলা।
সুমাইয়াঃ হারিয়ে যাই নাই।তোমার মুখ থেকে তুমি শোনার জন্য আমি লুকিয়ে ছিলাম।
আমিঃ সত্যি।
সুমাইয়াঃ হুম।
আমিঃ চলো সামনের রেষ্টুরেন্টে গিয়ে বসি।
সুমাইয়াঃ হুম চলো।
(আমি আর সুমাইয়া সামনের রেষ্টুরেন্টে গিয়ে দুজন দুপাশে বসি। আমি দুইটা কফি অর্ডার দিলাম। আমি বললাম)
আমিঃ তুমি বিবাহিত বলার কারনে তুমি রাগ করেছো। তাহলে ঐদিনের ৪০ ছুই ছুই লোকটা কে ছিলো?
সুমাইয়াঃ সেটা আমার বস। আমাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিছিলো। কিন্তু আমি না করে সে ব্যাংক থেকে চলে আসি।
আমিঃ কী! আর আমি কিনা ভাবছি এটা তোমার স্বামী অথবা বয়ফ্রেন্ড। কি ভুলটাই না হলো?
সুমাইয়াঃ সরি তোমাকে অপেক্ষায় রেখে আমি আরেক লোকের সাথে রেস্টুরেন্টে আসলাম।এটাযে কতো কষ্টকর আমি তোমাকে দেখি বুঝছি। সরি সরি আমাকে মাফ করে দেও।
আমিঃ হুম অনেক কষ্ট পাইছি। জানো ঐদিন আমি কাঁদতে কাঁদতে বালিশ ভিজিয়ে ফেলেছি।
সুমাইয়াঃ তুমি বোধহয় বেশি কষ্ট সয্য করতে পারোনা।
আমিঃ মা বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে।
সুমাইয়াঃ সরি।তোমার চিরকুট পেয়ে আমিও কান্না করি।
(সুমাইয়া আমার হাতের ভিতর তার রাখে।
তার হাত কেমন জানি ঘর্মাক্ত। আমি বললাম)
আমিঃ তোমার হাত এমন ভিজা কেনো?
সুমাইয়াঃ তোমার কারণে।
আমিঃ আমার কারণে কেনো?
সুমাইয়াঃ তোমার কারণে এই একমাস আমার মন তোমাকে মনে মনে অনেক খুঁজছে আর ভিতরে এক বিশাল টেনশন কাজ করছে তার জন্য বোধহয়।
আমিঃ কিন্তু এখনতো আমি আছি।
সুমাইয়াঃ যতদিন পর্যন্ত না আমাকে বিয়ে করে ঘরে তুলবা ততদিন পর্যন্ত আমার হাত এরকম ভিজা থাকবে।
আমিঃ বুঝছি। আর যদি বিয়ে না করি তাহলে কী সারাজীবন?
সুমাইয়াঃ হুম।
আমিঃ তোমার মুখটা অনেকদিন ধরে দেখিনা প্লিজ একটু দেখাও।
সুমাইয়াঃ এখন রেষ্টুরেন্টে।
আমিঃ রেষ্টুরেন্টে মানুষ নাই। প্লিজ প্লিজ
সুমাইয়াঃ ওকে।
(সুমাইয়া নেকাব খুলে। নেকাব দিয়ে তার মাথা ডেকে ফেলে। তার মুখটা আমার দিকে।আমি তার মুখের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি।চোখের পাতিও ফেলছিনা। চোখ মুখ শুকিয়ে গেছে। মনে হয় টেনশন করতে করতে। তারপরও অনেক সুন্দরী। আমি পাক্কা ৫ মিনিট তার মুখের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকি।আর তার হাত আমার হাতের সাথে শক্ত করে ধরে রাখে। আমার চোখে কেনো জানি পানি চলে আসে।)
সুমাইয়াঃ তুমি কাঁদছো কেনো?
আমিঃ এটা সুখের কান্না। আমার মন এতদিন ধরে এই জিনিসটা খুঁজ ছিলো। আজ আমার মন সেই জিনিসটা পেলো।তাই সুখে কাঁদছি।
সুমাইয়া তার হাত দিয়ে আমার চোখের পানি মুছে দেয়।
আমিঃ তোমার চেহারার মধ্যে কি। মন চায় শুধু তাকিয়ে থাকি।
সুমাইয়াঃ সত্যি।
আমিঃ হুম।
(ওয়েটার আসলে সুমাইয়া ওলটু দিকে ঘুরে নেকাব ঠিক করে ফেলে।)
সুমাইয়াঃ আমার সম্পর্কে তোমার আরো অনেক কিছু জানার আছে।
আমিঃ কি? তোমার কোনো স্বামী নাই। নাই কোনো বয়ফ্রেন্ড। আছে?
সুমাইয়াঃ না।
আমিঃ তাহলে আজ এতটুকু থাক পরে আস্তে আস্তে জানবো।
সুমাইয়াঃ ওকে। তুমি বোধহয় সিগারেট খাও না।
আমিঃ তুমি কি করে এতো সিউর হলা।
সুমাইয়াঃ অনুমানে বললাম।
আমিঃ হুম খাই। ডেইলি একটা আগে খেতাম ১৫ টা।
সুমাইয়াঃ হঠাৎ এই পরিবর্তন।
আমিঃ আমার কাশের সাথে রক্ত আসে। তাই ডক্টর বলল সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিতে।
সুমাইয়াঃ কি সত্যি।
আমিঃ হুম।
সুমাইয়াঃ এখন আশে।
আমিঃ না।
সুমাইয়াঃ ভালো।আমাকে ছেড়ে চলে যাবে
আমিঃ না। চলো তোমাকে বাড়ি পৌঁছে দেই।
সুমাইয়াঃ হুম চলো।
(আমি সুমাইয়াকে বাড়ি পৌঁছে দেই। দিয়ে বাড়ি আসি। এসে সুমাইয়াকে ফোন দেই।
ফোন দিয়ে কথা শুরু করলাম।)
সুমাইয়াঃ খাওয়া দাওয়া করছো।
আমিঃ হুম খাচ্ছি।
সুমাইয়াঃ কি দিয়ে খাচ্ছো?
আমিঃ লাউ আর ডাল।
সুমাইয়াঃ লাউ আমার ফেবারিট।
আমিঃ ওহ তাই।
সুমাইয়াঃ হুম তোমাকে ভিডিও কল দেই।
আমিঃ না আমার শরীরে কাপড় নাই।
সুমাইয়াঃ ধুর এখন কি হইছে?
আমিঃ কি হইছে মানে। অনেক কিছু হইছে।
সুমাইয়াঃ ওহ আচ্ছা আনাস তুমি কি আমাকে মন থেকে ভালোবাসো।
আমিঃ সত্যি আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।
সুমাইয়াঃ আমার সম্পর্কে যদি খারাপ কিছু শুনো তাহলে কি আমাকে ছেড়ে চলে যাবে।
আমিঃ না।
সুমাইয়াঃ এখন আমি তোমাকে অনেক মিস করছি। আমাকে কবে বিয়ে করবে।
আমিঃ সেই কথাটা সামনা সামনি বলবো নে।
সুমাইয়াঃ ওকে। এই দেখোনা বাইরে অনেক বৃষ্টি হচ্ছে।
আমিঃ তাই মনে হচ্ছে। তোমার কি বৃষ্টিতে ভিজতে ভালো লাগে?
সুমাইয়াঃ হুম অনেক। এখন মন চাচ্ছে বৃষ্টিতে ভিজতে।
আমিঃ এতো রাতে বৃষ্টিতে ভিজার কোনো দরকার নাই। ঠান্ডা লাগবে
সুমাইয়াঃ ঠিকাছে। আচ্ছা আনাস তুমি আমাকে কতটুকু বিশ্বাস করো।
আমিঃ ১০০ পার্সেন্ট। আর তুমি
সুমাইয়াঃ আমি হান্ড্রেড পার্সেন্ট।আনাস মনে হয় বাবা আসছে। তোমাকে সকালে ফোন দিবো।
আমিঃ ওকে।
(এভাবে এক সপ্তাহ চলে যায়। রাতের বেলা ফোনে কথা বলা।আর দিনের বেলা মাঝে মাঝে দেখা করা। এই এক সপ্তাহে আমাদের সম্পর্ক অনেক গভীর হয়ে যায়।
একদিন রাত্রে বেলা বাইরে অনেক বৃষ্টি হচ্ছে। আমি সুমাইয়ার সাথে কথা বলতাছি। কথা বলা শেষ হলে ঘুমাতে যাবো। এমন সময় দরজায় টুকা দিলো। কে জানি। আমি দরজা খুলে দেখি সাফা।
আমি অবাক হয়ে)
আমিঃ সাফা তুই এখানে আমার বাসায় কেনো?
সাফাঃ জান রাগ করোনা।আমি সামনের এক ফ্রেন্ডদের বাসায় গেছিলাম। তখন আসার সময় দেখছত কি বৃষ্টি নামছে। একটু বসি বৃষ্টি থামলে চলে যাবো।
আমিঃ তকে দারোয়ান ঢুকতে দেছে।
সাফাঃ দারোয়ানকে বলছি তুই আমার ফ্রেন্ড লাগছ।আর অনেক দিন আগে আমাদের একটা ছবি ছিলো সেটা দেখাইছি পরে আমাকে ছেড়ে দেয়।
আমিঃ ভালো।আর তুই আমাকে জান বললি কেনো?
সাফাঃ আমি যদি তর প্রোপোজ একসেপ্ট করতাম তাহলে তুই আমার জান থাকতি না।
আমিঃ তুই একসেপ্ট করছত না ভালো করছত।আর তুই আমাকে জান বলবি না।
সাফাঃ তাহলে কি বলবো জান?
(সে আমার শরীরে হাত দিতে আসে।)
আমিঃ হাত নে হাত নে।শরীরে টাচ করবি না।
সাফাঃ ওকে
আমিঃ তুইতো ভিজে গেছত?
সাফাঃ হুম।
আমিঃ ভিতরে আয়। এখানে দাড়া কাপড় নিয়ে আসি।
(আমি মার একটা কাপড় এনে সাফাকে দিলাম। আর বাথরুম দেখিয়ে দিলাম।
আমি আমার রুমে চলে গেলাম।
মনে মনে এই মেয়ের মতি গতি ভালো না সাবধানে থাকতে হবে। নারী ফেতনা বড় ফেতনা। আমি আমার রুমে বসে রইছি। বৃষ্টি থামার কোনো নাম নাই। মনে মনে নিয়ত করলাম এই মেয়ের দিকে তাকাবই না। তাকালেই কুচিন্তা চলে আসবে। আর তাকে ভোগ করতে মন চাইবে। যে ভাবেই হোক তার থেকে সাবধান থাকতে হবে।
একটু পর সাফা এসে বলল।)
সাফাঃ আনাস বৃষ্টিতো থামছেই না।আজ রাতরা এখানে থেকে যাই।
আমিঃ আমি জানি তুই একথা বলবি।
এদিকে আসবি না দরজার কাছে দাড়া।
সাফাঃ ওকে।
আমিঃ বামে দেখ একটা রুম আছে।
সেটার ভিতর গিয়ে চুপচাপ শুয়ে পড় কোনো কিছু স্পর্শ করবি না।
সাফাঃ এতো তাড়াতাড়ি হুড়ো কিসের। কাছে আয় একটু কথা বলি।
আমিঃ না কোনো কথা নাই। চুপচাপ গিয়ে শুয়ে পর।
সাফাঃ আমি বুঝিনা।তর ২৪ বছর বোধহয় তুই কি করে এখনো সিংগেল আছত। এই পর্যন্ত কোনো মেয়ের শরীরে স্পর্শ করছত। ২৪ বছরে কোনো মেয়ের শরীরে স্পর্শ করছ নাই তুইতো ছিলে হওয়ার যোগ্যতা রাখছ না। তর মতো ছেলেদের দেখ ৫-১০ টা গার্লফ্রেন্ড। প্রতিদিন এক জনের সাথে রাত কাটায়।
আর তুই। হা হা।তুইতো ছেলে হিসেবে কলংক। দেখ তর সামনে কে দাঁড়িয়ে আছে। আমি সাফা তকে আর কষ্ট করতে হবে না। আমি এসে গেছি। তর আর সিংগল থাকতে হবে।
(এই বলে সাফা এগুতে থাকে।)
চলবে......
ভালো লাগলে কমেন্ট করবেন।
আর প্লিজ হ্যাপি রেটিং দিবেন। ❤❤
#সিনিয়র_বিধবা_মেয়ে
#writer_Osman
#part_9
#collected Sahibi Shah Saif
সাফাঃ আমি বুঝিনা।তর ২৪ বছর বোধহয় তুই কি করে এখনো সিংগেল আছত। এই পর্যন্ত কোনো মেয়ের শরীরে স্পর্শ করছত। ২৪ বছরে কোনো মেয়ের শরীরে স্পর্শ করচ নাই তুইতো ছেলে হওয়ার যোগ্যতা রাখছ না। তর মতো ছেলেদের দেখ ৫-১০ টা গার্লফ্রেন্ড। প্রতিদিন এক জনের সাথে রাত কাটায়।
আর তুই। হা হা।তুইতো ছেলে হিসেবে কলংক। দেখ তর সামনে কে দাঁড়িয়ে আছে। আমি সাফা তকে আর কষ্ট করতে হবে না। আমি এসে গেছি। তর আর সিংগল থাকতে হবে।
(এই বলে সাফা এগুতে থাকে।)
(আমি জানি সাফা আমাকে এসব কথা বলে। আমাকে উত্তেজিতো করতে চাচ্ছে। কিন্তু আমি না আমি তার ফাঁদে পা দিবো না।না! না! কোনোভাবেই না।আমি নিচে তাকিয়ে আছি।না না।এসব কি হচ্ছে আমার সাথে। না!না!। সাফা আমার শরীরে হাত দিছে। আল্লাহ তুমি আমাকে সেই শক্তি দেও। আমি যাতে শয়তানকে প্রতিহত করতে পারি। সাফা আমার শরীরে হাত দিয়ে আমার গাড় টিপতে থাকে।প্রথম টিপ দেয়াতে আমি তার হাত ধরে ফেলি। ধরে দাড় করিয়ে কসিয়ে একটা চড় দেই। দিয়ে গাড়ে ধরে আমার রুম থেকে বের করে বললাম।
আমিঃ তুইতো একটা বেশ্যা মাগী। তুই আমাকে কি সুখ দিবি। আর তর থেকে ভালো মেয়ে আমার জন্য অপেক্ষা করছে। তুই তার কাছে আশার যোগ্যতাই রাখিস না। আমি একটু আগে সত্যিকারের শয়তানকে দেখতে পাইছি তর মাঝে। কিন্তু সে আল্লাহ আমাকে রক্ষা করছে।শুন আরেকবার যদি আমাকে ডিস্টার্ব করস।তাহলে আমি দারোয়ানকে ডাক দিয়ে। গাড় ধাক্কা দিয়ে বৃষ্টির ভিতর বাসা থেকে বের করে দিবো। তাই চুপচাপ বামের পাশের ঘরে গিয়ে ঘুমা।
(সাফা চুপচাপ পাশের রুমে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দেয়। আমি আমার রুমের দরজা লাগিয়ে দেই। বিছানায় শুয়ে আল্লাহকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। এখন যদি আমার সাথে সাফা যা করার করে ফেলতো।আর কোনো ভাবে যদি এটা লোক জানাজানি হতো।তাহলে আমাকে এই বেশ্যার সাথে বাকি জীবন কাটাতে হতো। না পেতাম সুমাইয়াকে না পেতাম জীবনে কোনো শান্তি। সুমাইয়া বলেছিলো যেকোনো বিপদে আল্লাহকে শরণ করতে।আজ বিপদের সময় আল্লাহকে শরণ করছি।
থ্যান্ক গড। আমি সুমাইয়ার কথা চিন্তা করতে করতে ঘুমিয়ে গেলাম।)
( সুমাইয়া আনাসের সাথে দেখা হওয়ার পর থেকে সব সময় মন ভালো থাকে। রাতের বেলা ভালো ঘুম হয়। সকাল বেলা ওঠে আনাসের সাথে প্রথম কথা বলে। সুমাইয়া আনাসকে বিধবা হওয়ার কথা বলতে চাই। কিন্তু সেরকম কোনো সুযোগই পাচ্ছে না। বিয়ের কথা বললে আনাস বলে। বিয়েতো তোমাকে আমি অবশ্যই করবো কিন্তু আর কিছুদিন পর। সুমাইয়া জিজ্ঞেস করে কেনো? তখন আনাস বলে কারণ বিয়ে করলে ডেট করার মজা চলে যাবে।বিয়ের আগে ইচ্ছে মতো ডেট করে নিই আনাসের এরকম পাগল মার্কা কথা শুনে সুমাইয়া মনে মনে হাসে। এই এক সপ্তাহ সুমাইয়া ভিতর থেকে বুঝতে পারে সুমাইয়া আনাসকে মন থেকে ভালোবাসে। আনাসকে ছাড়া সুমাইয়া বাঁচতে পারবে না। প্রতিদিন রাতে সুমাইয়া আনাসের সাথে কথা বলে। কথা বলার পর প্রতিদিন বলে "আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি আনাস। অনেক অনেক।আমি তোমাকে ছাড়া বাচবো না।" আর কোল বালিসকে আনাস ভেবে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে যায়।
একদিন রাত্রে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। আর আনাসের সাথা কথা বলে। কথা বলা শেষ হলে ঠিক করে সকালে আনাসের এখানে গিয়ে তার বিধবা কথাটা শুনাবে। যেই ভাবা সেই কাজ। পরদিন সকালে সুমাইয়া আনাসের এখানে যায়। দিনটা ছিলো শুক্রবার। তাই অফিসের কোনো টেনশন নাই। আনাসের বাসার দরজার সামনে গিয়ে কলিং বেল টিপ দিলো। একজন মেয়ে এসে দরজা খুলল। সুমাইয়া চোখে বিশ্বাস করতে পারছে না। আনাসের রুমে মেয়ে আসবে কোথা থেকে। আর কাউকেতো দেখছি না। শুধু একজন মেয়ে)
সুমাইয়াঃ কে আপনি? আর এখানে কি?
আপনাকেতো চিনা মনে হচ্ছে না।
সাফাঃ আমাকে চিনেন না। আমি আনাসের ভালোবাসা।
সুমাইয়াঃ মানে।
সাফাঃ আনাসের EX আমি ।
সুমাইয়াঃ আপনি আনাসের বয়ফ্রেন্ড ইমপসিবল।
সাফাঃ পসিবল। আর কাল রাতে আমরা খুব এনজয় করি। একজন আরেকজনের সাথে।
সুমাইয়াঃ কিসের এনজয়?
সাফা ভিতরের ভিজা কাপড় গুলো দেখিয়ে বলল।
সাফাঃ এইবার বুঝতে পারছেন।
সুমাইয়াঃ তাহলে এতদিন আনাস আমাকে ধোকা দিলো।
সাফাঃ আপনি কে?
সুমাইয়াঃ আমি তার কেউ না।
সাফাঃ ও বুঝতে পারছি। আপনিও আনাসের প্রতারকের শিকার। আর কতজনকে জানি এরকম ভোগ করছে।
অবশেষে আমার সাথে। আমি তাকে মন থেকে ভালোবাসতাম আপু। মন থেকে।
সুমাইয়াঃ সে আপনার সতিত্ব লোট করছে।
সাফাঃ হুম আপু। আপনি তার ফাঁদে পা দিয়েন না।
সুমাইয়াঃ কোথায় সে?
সাফাঃ রুমে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে।
সুমাইয়াঃ আপনার গালে কিসের দাগ?
সাফাঃ গতকাল সে আমার গালে এমন কিস করছে।একেবারে দাগ বানিয়ে ফেলছে।
সুমাইয়া এসব কথা কানে বিশ্বাস করতে পারছে না।
(সুমাইয়া কাঁদতে কাঁদতে সেখান থেকে চলে আসে। নিজের বাসায় এসে দরজা বন্ধ করে। জুড়ে জুড়ে কাঁদতে থাকে।আর বলতে থাকে।আমি এটা কি শুনলাম। আনাস এতো নিচো মনের মানুষ। সে একটা প্রতারক। সে কিভাবে আমার সাথে এরকম করতে পারলো। তার বাসায় একজন মেয়ে এটা মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। সে কেনো মেয়ে আনবে?। সে যে সময় আমার সাথে কথা বলে তখনতো মনে হয় মন থেকে কথা বলে। তার মানে আনাস একটা প্রতারক আমি কাকে এতদিন ভালোবেসে ছিলাম। আজ থেকে তার সাথে কোনো যোগাযোগ নাই। সিম ব্লক লিস্টে ফালায়ছে আনাসের নাম্বার। ফেলে কাঁদতে লাগলো। দুপুর বেলা সুমাইয়া নানা বাড়ি চলে যায়। ঢাকার বাইরে।)
(আমি ঘুম থেকে ওঠে দেখি সাফা নাই। সাফার কাপড় গুলো নাই। তারমানে সে চলে গেছে। ভালোই হইছে।আরেকটা জিনিস আমি অবাক হলাম।প্রতিদিন সুমাইয়া আমাকে ফোন দেয় আজকে ফোন দেলো না।আমিই ফোন দেই। ফোন দিয়ে দেখি বেস্ত । ভাবলাম মনে হয় ঘুমাচ্ছে মোবাইল বেস্ত আছে। দুপুর গড়িয়ে আসছে। এখনো ফোন দিলো না। ব্যাপার কি আমি ফোন দেই বেস্ত। বিকাল হয়ে গেলো ফোন দেওয়ার কোনো খুজ খবর নাই। আমি রেডি হয়ে গেলাম তাদের বাড়ির দিকে। দেখি বেলকনিতে আসে কিনা। না তাদের বাড়িতেতো কাউকে দেখা যাচ্ছে না। তাদের বাসায় যাবো। না আগামীকাল পর্যন্ত দেখা যাক। রাত হয়ে গেলো এখনো সুমাইয়ার কোনো খুঁজ নাই।আমি পুরো টেনশনে পড়ে গেলাম। কোথায় হাওয়া হয়ে গেলো। ফোনের নাই কোনো খুঁজে। আমি পরদিন অফিস করে গেলাম সুমাইয়ার বাড়ির এখানে। এবার সোজা তার বাসায় এসে নক করলাম।দরজা খুলল একজন মহিলা সেটা সুমাইয়ার মা।)
আমিঃ আন্টি আসসালামু আলাইকুম।
মাঃ আলাইকুম আসসালাম।
আমিঃ আন্টি কেমন আছেন?
মাঃ ভালো বাবা তুমি কেমন আছো?
আমিঃ ভালো আন্টি সুমাইয়া আছে।
মাঃ তোমাকে চেনা মনে হচ্ছে।
আমিঃ আমি আপনাদের বাসা দেখতে আসছিলাম। পরে আর আসা হয় নাই।
মাঃ ও মনে পড়ছে। তুমি আনাস।
আমিঃ হুম।
মাঃ কিন্তু সুমাইয়াতো নাই।
আমিঃ নাই মানে কোথায়?
মাঃ তার নানীর বাসায়।
আমিঃ কখন গেছে।
মাঃ গতকাল সকালে কোথা থেকে জানি এসে রেডি হয়ে চলে যায় নানির বাসায়।
আমিঃ আচ্ছা তার নানীর বাসার ঠিকানা দেয়া যাবে।
মাঃ না বাবা সে যাওয়ার আগে বলে গেছে অপরিচিত কাউকে ঠিকানা না দিতে।
আমিঃ আমি সুমাইয়াকে ভালো করে চিনি আর সেও আমাকে ভালো করে চিনি।
মাঃ তার অনুমতি ছাড়া ঠিকানা দিতে পারবো না।
আমিঃ আচ্ছা সে কোন অফিসে চাকরি করে সেটা বলা যাবে।
মাঃ না।
আমিঃ দেখেন আন্টি আপনি আমার মায়ের মতো। আমারতো মা নাই। প্লিজ আমাকে একটু ঠিকানাটা দিয়ে হেল্প করেন।
মাঃ সরি বাবা আমি পারবো না।
আমিঃ ওকে তাহলে যাই।দোয়া করবেন আসসালামু আলাইকুম।
(এই বলে চলে আসলাম। আমার সামনে সব অন্ধকার লাগছে। আমি কোনো চিন্তা না করেই। সিগেরেট খাওয়া শুরু করলাম। আমি বাসায় আসলাম। এসে বিছানায় শুয়ে ভাবতে লাগলাম সুমাইয়া কি আমাকে ধোকা দিলো। না না সে এরকম করতে পারে না। আমার কিছু ভালো লাগছে না। আচ্ছা সুমাইয়া কি তাহলে গতকাল সকালে আমার এখানে আসছিলো আর সাফাকে দেখে চলে যায়। কিছু বুঝে আসছেনা। সে মনে হয় আমার নাম্বার ব্লক লিস্ট ফালায়ছে।
অন্য কারো মোবাইল দিয়ে ফোন দেয়া যেতে পারে।তার আগে আমি ফোন দিয়ে নেই। ফোন দিলাম একই কথা বেস্ত আছে। আমি পাশের ফ্ল্যাটের একজনের কাছ থেকে মোবাইল নেই।নিয়ে নাম্বার টাইপ করে ফোন দিলাম। ফোন ঢুকলো।
দুতিন বার দেওয়ার পর রিসিভ হলো।)
সুমাইয়াঃ আসসালামু আলাইকুম হ্যালো কে?
(আমি কোনো কথা বলছি না। সুমাইয়ার কন্ঠ শুনে আমার কিজে ভালো লাগছে।)
সুমাইয়াঃ হ্যালো কে?
আমিঃ সুমাইয়া আমি আনাস।
সুমাইয়াঃ তুই কেনো ফোন দিছত?
ফোন কেটে দিলো। আমি আবার ডায়াল করলাম।
আমিঃ প্লিজ প্লিজ সুমাইয়া ফোনটা কেটো না প্লিজ আমার কথা শুনো।প্লিজ
সুমাইয়াঃ তর কি কথা শুনবো। তুইতো একটা প্রতারক একটা ধোকা বাজ।শেষ মেশ আমার মতো একজনকে তুই ধোকা দিলি।আল্লাহ তর উপর গজন ফেলবে
বলে দিলাম।
আমিঃ তুমি এসব কি বলছো। আমি কিছু বুঝতাছি না। হ্যালো সুমাইয়া। সুমাইয়া হ্যালো হ্যালো প্লিজ ফোনটা কাটিস না।
(আবার ফোন কেটে দিলো।)
চলবে......
ভালো লাগলে কমেন্ট করবেন।
আর প্লিজ হ্যাপি রেটিং দিবেন। ❤❤
#সিনিয়র_বিধবা_মেয়ে
#writer_Osman
#part_10
#collected Sahibi Shah Saif
আমিঃ তুমি এসব কি বলছো। আমি কিছু বুঝতাছি না। হ্যালো সুমাইয়া। সুমাইয়া হ্যালো হ্যালো প্লিজ ফোনটা কাটিস না।
(আবার ফোন কেটে দিলো।)
(আমি আবার ডায়াল করলাম।বেস্ত আছে। আমার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। আমি মোবাইলটা দিয়ে দেই। বাসায় এসে ভাবতে লাগলাম। সুমাইয়ার হঠাৎ করে কি হয়ে গেলো। আমি বলে প্রতারক আমি তাকে ধোঁকা দিছি।কী ধোকা দিছি সুমাইয়া তোমারে আমি?। আমি চিন্তা করতে লাগলাম কখন থেকে সুমাইয়া এরকম হয়ে গেলো। সুমাইয়ার মা বলল সকাল বেলা কোথা থেকে জানি এসে নানির বাড়ি চলে যাই। তারমানে সকালে ক