ফুড সিকিউরিটি বলতে জনগণের জন্য পর্যাপ্ত, সাশ্রয়ী এবং পুষ্টিকর খাদ্যের নিরবচ্ছিন্ন প্রাপ্যতাকে বোঝায়। এটি একটি রাষ্ট্রের আর্থ-সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাণিজ্য নীতি ফুড সিকিউরিটিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, কারণ এটি খাদ্য সরবরাহের বৈশ্বিক শৃঙ্খলকে প্রভাবিত করে।
বাণিজ্য নীতি খাদ্য উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে খাদ্য রপ্তানি ও আমদানির নিয়মকানুন নির্ধারণ করে। একটি উদার বাণিজ্য নীতি খাদ্যের সরবরাহ বাড়াতে পারে এবং খাদ্য সংকট মোকাবিলায় সহায়তা করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, একটি দেশ অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদনে পিছিয়ে থাকলেও আন্তর্জাতিক বাজার থেকে খাদ্য আমদানি করে চাহিদা পূরণ করতে পারে।
তবে, বাণিজ্য নীতির অপব্যবহার খাদ্য নিরাপত্তার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। অনেক দেশ রপ্তানিতে শুল্ক আরোপ করে বা খাদ্য পণ্যের রপ্তানি সীমিত করে, যা বৈশ্বিক খাদ্য সরবরাহ ব্যাহত করে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে শস্য রপ্তানি সীমাবদ্ধ হওয়ায় বৈশ্বিক খাদ্য সংকট তীব্রতর হয়েছে।
অন্যদিকে, স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে স্থানীয় কৃষকদের সুরক্ষার জন্য রপ্তানি নীতির সাথে ভারসাম্যপূর্ণ আমদানি নীতিও প্রয়োজন। সস্তা আমদানিকৃত খাদ্য পণ্য স্থানীয় কৃষকদের প্রতিযোগিতার বাইরে ঠেলে দিতে পারে, যা তাদের জীবিকা হুমকির মুখে ফেলে।
ফুড সিকিউরিটি নিশ্চিত করার জন্য বাণিজ্য নীতিকে সুষম ও টেকসই হতে হবে। আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, খাদ্য বিতরণ নেটওয়ার্কের উন্নয়ন এবং বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য সুসংগঠিত বাণিজ্য নীতির গুরুত্ব অপরিসীম।