ফ্রেঞ্চাইজিং এবং বৈশ্বিক বাজার

ফ্রেঞ্চাইজিং হলো একটি ব্যবসায়িক মডেল যেখানে একটি প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি পণ্য, পরিষেবা বা ব্র্যান্ডের অধিকার ?

 

ফ্রেঞ্চাইজিং হলো একটি ব্যবসায়িক মডেল যেখানে একটি প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি (ফ্রেঞ্চাইজার) তার পণ্য, পরিষেবা বা ব্র্যান্ডের অধিকার অন্য ব্যবসায়ী (ফ্রেঞ্চাইজি) কে নির্দিষ্ট শর্তে ব্যবহারের অনুমতি দেয়। এই মডেল বৈশ্বিক বাজারে ব্যবসা সম্প্রসারণের একটি কার্যকর উপায় হয়ে উঠেছে।

বৈশ্বিক বাজারে ফ্রেঞ্চাইজিং ব্যবসাকে দ্রুত প্রসারিত করতে সহায়তা করে। উদাহরণস্বরূপ, ম্যাকডোনাল্ডস, কেএফসি বা ডোমিনোজের মতো ব্র্যান্ডগুলো তাদের ফ্রেঞ্চাইজি মডেলের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছে। এটি স্থানীয় বাজারে একটি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডকে সহজে গ্রহণযোগ্য করে তোলে।

ফ্রেঞ্চাইজিংয়ের মাধ্যমে ফ্রেঞ্চাইজার তার ব্র্যান্ডের পরিচিতি বাড়াতে পারে এবং স্থানীয় ফ্রেঞ্চাইজি প্রতিষ্ঠানটির বাজার-সংক্রান্ত জ্ঞান ব্যবহার করে। এতে ব্যবসার ঝুঁকি কমে এবং নতুন বাজারে প্রবেশ সহজ হয়।

তবে, ফ্রেঞ্চাইজিং মডেলে চ্যালেঞ্জও রয়েছে। বিভিন্ন দেশের নিয়ম-কানুন, সংস্কৃতি এবং ভোক্তাদের পছন্দের পার্থক্য ব্র্যান্ডের সামঞ্জস্য ধরে রাখতে সমস্যা তৈরি করতে পারে। এছাড়া মুদ্রার ওঠানামা এবং আমদানি শুল্ক ফ্রেঞ্চাইজিংয়ের খরচ বাড়িয়ে দিতে পারে।

ফ্রেঞ্চাইজিং বৈশ্বিক অর্থনীতিকে একীভূত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি স্থানীয় অর্থনীতিতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে এবং ভোক্তাদের জন্য বৈচিত্র্যময় পণ্য ও সেবা নিয়ে আসে। তাই সঠিক কৌশল ও গবেষণার মাধ্যমে ফ্রেঞ্চাইজিং বৈশ্বিক বাজারে একটি শক্তিশালী ব্যবসায়িক মডেল হিসেবে টিকে আছে।

 


Mahabub Rony

884 Blog posts

Comments