ইটের ভাটা

ইটের ভাটা বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্পক্ষেত্র, যা দেশের নির্মাণ খাতের অপরিহার্য অংশ।

ইটের ভাটা বাংলাদেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্পক্ষেত্র, যা দেশের নির্মাণ খাতের জন্য অপরিহার্য। ইট ভাটাগুলোতে মূলত কাঁচামাল হিসেবে মাটি, কয়লা, এবং পানি ব্যবহার করে ইট তৈরি করা হয়। মাটি থেকে ইট তৈরি করতে প্রথমে মাটি সংগ্রহ করা হয়, এরপর তা কেটে আকার দেওয়া হয়, এবং তারপর শুকানোর পর ভাটায় পোড়ানো হয়।

বাংলাদেশে ইটের ভাটাগুলো সাধারণত গ্রামীণ এলাকায় স্থাপন করা হয়, যেখানে জমি সহজলভ্য। ইটের ভাটার মালিকেরা সাধারণত মৌসুমী শ্রমিক নিয়োগ করেন, যারা ইট বানানো এবং পোড়ানোর কাজ করে। ইট পোড়ানোর প্রক্রিয়া বেশ কয়েকদিন ধরে চলে, এবং এই সময়ে প্রচুর পরিমাণে ধোঁয়া উৎপন্ন হয়, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ করে, কয়লা পোড়ানোর কারণে কার্বন ডাই অক্সাইড ও অন্যান্য দূষণকারী পদার্থ বায়ুতে মিশে যায়।

ইটের ভাটার ধোঁয়া এবং মাটি কাটার কারণে কৃষি জমির উর্বরতা কমে যায়, যা একটি বড় পরিবেশগত সমস্যা। বর্তমানে সরকার ও বিভিন্ন সংস্থা ইটের ভাটায় পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করার ওপর জোর দিচ্ছে, যেমন হাইব্রিড হফম্যান কিলন (HHK) এবং ভার্টিকাল শ্যাফট ব্রিক কিলন (VSBK)। 

সুতরাং, ইটের ভাটা শিল্পটি দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও, এর পরিবেশগত প্রভাব কমাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।


Mahabub Rony

803 Blog posts

Comments