স্বামী এবং স্ত্রীর সম্পর্ক হলো ভালোবাসার,কর্তব্যের,এবং দায়িত্বের।স্বামীর যেমন স্ত্রীর প্রতি বিভিন্ন দায়িত্ব কর্তব্য থাকা উচিত তেমনি স্ত্রীর ও স্বামীর প্রতি কিছু কর্তব্য থাকে।আর একে অপরের প্রতি এসকল দায়িত্ব কর্তব্য পালন করার মাধ্যমেই একটি সংসার সুখী এবং সমৃদ্ধশালী হয়ে ওঠে।আসুন আমরা জানি স্বামীর প্রতি স্ত্রীর কোন ধরনের বা কি কর্তব্য আছে সে সকল বিষয় গুলো –
স্বামী স্ত্রী এর মধুর সম্পর্ক সংসারকে সুখি করে তোলে।প্রতিটি স্ত্রীর তার স্বামীর প্রতি প্রথম কর্তব্য হলো তার সকল সমস্যা বা দুঃসময়ে পাশে থাকা সাহস যোগান দেওয়া।কারন স্ত্রীকে বলা হয় অর্ধাঙ্গিনী এর অর্থ হলো স্বামীর সকল কিছুর প্রতি প্রতিটি স্ত্রীর অর্ধেক অধিকার রয়েছে।এটি যেমন ভালোর বেলায় ঠিক তেমনি খারাপ সময়েও।আর একজন প্রকৃত স্ত্রী তার স্বামীর দুঃসময়ে কখনোই তার থেকে দুরে সরে না থেকে তার সমস্যা গুলো ভাগ করে নেয়!
সর্বদা স্বামী নিকট সত্যিকে তুলে ধরা স্ত্রীর অন্যতম আরেকটি গুণাবলি।কারন একজন আদর্শ স্ত্রী এর দায়িত্ব কখনো মিথ্যার আশ্রয় না নেওয়া।যদি কোন স্ত্রী স্বামীর নিকট মিথ্যাকে উপস্থাপন করে সত্যি বলে তাহলে সেটি একদিকে সাংসারিক অশান্তির কারন হয়ে দাড়াতে পারে।এবং যদিও কোন ভাবে স্বামীর কাছ থেকে সে সত্যি কে লুকিয়ে যেতেও পারে তবেও তার জন্য রয়েছে পরকালের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা।আর এটি সকল ধর্মেই একই।তাই একজন আদর্শ স্ত্রী তার স্বামীর নিকট কোন মিথ্যার আশ্রয় গ্রহণ করে না।
স্বামীর অর্থিক,মানসিক,পারিবারিক ও পারিপার্শ্বিক অবস্থার সাথে তাল মিলিয়ে চলা স্ত্রীর একটি অবশ্য কর্তব্য।কারন প্রতিটি পুরুষই ধনবান হবে তার কোন কথা নেই।বা ধন ধাকলেও সংসার জীবনে অনেক সময়ই আর্থিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।আর এ সময় প্রতিটি স্ত্রীর দায়িত্ব সমস্যা সাথে নিজেকেও খাপ খাইয়ে নেওয়া।এবং তার অার্থিক সমস্যার জন্য তাকে মানসিক শক্তি প্রদান করা এবং সামনের দিকে এগিয়ে যেতে মনোবল প্রদান করা।
বিভিন্ন কারনে মানুষের মন বিভিন্ন পরিবর্তন তৈরি হতে পারে।মানুষের অনেক কারনে অনেক সময় মানষিক অবস্থা খারাপ থাকতে পারে তাই স্ত্রীর অবশ্য কর্তব্য অবশ্যই মানষিক সমস্যার সময় কোন বিরূপ আচারন না করা।বরং উচিত স্বামীর মন ভালো হবে এমন কাজগুলো করার।খোজ নিন মন খারাপের কারন গুলো।এবং সমস্যা গুলো ভাগ করে নেওয়ার চেষ্টা করুন।
তাহলেই দেখবেন সংসার জীবন হয়ে উঠেব সুখি সুন্দর এবং সমৃদ্ধ!