কী কী নিয়ম মেনে চললে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক ভালো থাকে?

৮ বছরের প্রেম তারপর বিয়ে। আমরা বিয়ে করেছি ৩ বছর ২ মাস চলছে। ঝগড়া আগে ও করেছি এখনো করি। ঝগড়া করছি মানে আমাদের সম্

৮ বছরের প্রেম তারপর বিয়ে। আমরা বিয়ে করেছি ৩ বছর ২ মাস চলছে। ঝগড়া আগে ও করেছি এখনো করি। ঝগড়া করছি মানে আমাদের সম্পর্ক ভাল নয় তা কিন্তু নয়। ঝগড়া করতে কিন্তু একটা অধিকার লাগে, রাগ করতেও। সবার সাথে রাগ বা ঝগড়া করা যায় না। 

যাই হোক, কি করে এতদিনের সম্পর্কে এখনো ঘুন ধরে নি সেটাই শেয়ার করছিঃ 

 

✧ আগে ভাবতাম তার কাছে যা মনে আসে তাই বলা যায়। কিন্তু পরে দেখলাম, না। যায় না। সে কিছু বলে না, কিন্তু কষ্ট পায় কিংবা রাগ চেপে রাখে। কিছু কথা আছে একান্তই আপনার। আপনার এই একান্ত কথার চাবি তার কাছে দেবেন না। আপনার মনের কোনেই তালাবদ্ধ করে চাবি মুখে পুরে রাখুন। 

 

✧ তার প্রশংসা করুন। সব সময় খুঁতখুঁত করে দোষ ধরতে যাবেন না। সে আপনাকে ভুল বুঝবে। 

 

✧ তার সাথে মিথ্যে বলবেন না। যা বলতে চান না বলবেন না কিন্তু ছল চাতুরী করে মিথ্যের আশ্রয় নেবেন না। 

 

✧ সম্পর্কে সৎ থাকাটা অত্যন্ত জরুরী। আপনি তার বিশ্বাসের কেমন মূল্যায়ন করছেন তার উপরই আপনাদের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে । 

 

✧ বাইরে থেকে ফিরে হাসিমুখে কথা বলুন তার সাথে। অফিস কে অফিসেই রেখে আসুন। বাড়ির মানুষ গুলোকে বাকি সময়টুকু দিন যতটা পারেন। 

 

✧ মানুষ দুই জন, মন দুইটা চিন্তা ভিন্ন হতেই পারে। খুব স্বাভাবিকভাবে এটা মেনে নিতে শিখুন। তার মতামতকে শ্রদ্ধা করুন। যে কোন সিদ্ধান্ত আলোচনা করেই নিন। 

 

✧ দিন শেষে সেই আপনার আপন মানুষ। পাড়া-পড়শি বা অন্য লোকের কথায় কান না দিয়ে কোন সন্দেহ থাকলে সরাসরি তাকে একাকী জিজ্ঞেস করুন। 

 

✧ তার দোষগুলা তাকে ঠান্ডা মাথায় আস্তে আস্তে ধরিয়ে দেবেন কিন্তু লোক জনের কাছে ঢেকে রাখার চেষ্টা করুন। সেও আপনার জন্য তাই করবে এবং নিজেকে শুধরানোর চেষ্টা করবে। 

 

✧ দুজন দুজনের পরিবারকে সম্মান করুন। শাশুড়ীর কোন আচরণ খারাপ লাগলেও খারাপ ভাবে ভুলেও স্বামী বা স্ত্রীর কাছে বলবেন না। কারন, সে তার মা। 

 

✧ দু জন একসাথে রেগে যাবেন না। আর রাগ হলেও তর্কে জড়াবেন না। চেষ্টা করুন চুপ চাপ থাকার বা সে যা জানতে চায় ততটুকু বলার। পরবর্তীতে ঠান্ডা মাথায় তাকে বুঝিয়ে দিন আপনার ভুল ছিল কি না, সে ভুল করেছে কিনা। 

 

✧ আর নিজের উপর বিশ্বাস হারাবেন না। ভালবাসার আবদার টা যেন থাকে সময়। যেমন, সে বেরিয়ে যাচ্ছে । আপনি সামনে গিয়ে হাসিমুখে দাড়ালেন, সে একটা চুমু একে দিল আপনার কপালে। যখন ফিরছে সব ক্লান্তি ভুলে হাসি মুখে তাকে স্বাগত জানান। 

 

যা যা মনে পড়েছে, বললাম। আর ত পড়ছে না কিছু মনে। সব ঠেকে ঠেকে শেখা, ভাই। তবে প্রত্যেকের অভিজ্ঞতা আলাদা হতেই পারে। সবার ক্ষেত্রে সবগুলো কাজে নাও লাগতে পারে। আমি আমার প্রেক্ষিতে বলেছি। আরো কিছু মাথায় এলে এডিট করে দিবোনি। ভুলচুক কিছু মনে হলে জানাতে ভুলবেন না। 


Jwel Jwel

181 ब्लॉग पदों

टिप्पणियाँ