একটা মেয়ের দিকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে আপনার লজ্জা করে না।"?
আমি পেছনে ফিরে তাকাতেই দেখি সোনম (আমার কাজিন) আমার পেছনে দাঁড়িয়ে আছে। ওকে কিছুটা হকচকিয়ে দেবার জন্য ঝাপটে ধরলাম।
সোনম: "কি করছো ভাল হবেনা কিন্তু.... মামীকে ডাক দিবো কিন্তু।"?
"তোর মামীকে কি আমি ভয় পাই?"?
"ভাইয়া ভাল হচ্ছে না ছেড়ে দাও বলছি।"?
"না ছাড়লে কি করবি?"?
বলার সাথে সাথে সোনম হাতে কামড়ে দিতেই আমি ব্যথায় ওকে ছেড়ে দিলাম।
সোনম বলে উঠলো: "দেখলেতো কি করতে পারি।"?
আমি ওর কান টান দিয়ে বললাম:: "এখন যে ইঞ্জেকশন দিতে হবে সেটা তোর শরীরে দিয়ে দিতে বলবো ডাক্তারকে।"?
সোনম বড় বড় চোখ করে আমার দিকে তাকিয়ে বললো: "ইঞ্জেকশন কেন? আমার দাতে কি বিষ আছে?"?
ওকে রাগানোর জন্য বললাম: "তোর সমস্ত শরীরেইতো বিষ, তুইতো একটা কাল নাগিন?।"??
বলতেই রাগে ফুসতে ফুসতে সোনম আমার বুকে কিল ঘুসি মারতে শুরু করলো।??
আমি ওর হাত চেঁপে ধরে বললাম: "হ্যাঁরে কাল নাগিন কখন আসলি?"?
সোনম এবার রাগ না করে হাসতে হাসতে? বললো:: "সাপুড়ে, কিছুক্ষণ আগেই এসেছি। তা পাশের বাড়িতে কি কোন রূপসী আছে নাকি।? যাকে এতো মনোযোগ দিয়ে দেখছিলে?"?
আমি হাসতে হাসতে বললাম: "হুম.... আকাশের নীল রঙা পরী দেখছিলাম, আর এখান থেকে কয়েক মাইলের ভিতর কোন বাড়ি নেই, যে বাড়িতে কোন রূপসীর দেখা মিলবে।"?
"হয়েছে হয়েছে আমি বুঝি এখন আর ছোট নেই।"?
"আচ্ছা তুই বড় হয়ে গেছিস কত বড় দেখি দেখি বিয়ে দেয়া যাবে কিনা"? বলেই ওর দিকে হাত বাড়ালাম।
"এই কি করছো.... চলো নিচে যাবো।"
বলেই সোনম সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে গেল। আমিও পিছু পিছু নিচে নেমে আসলাম।
নিচে নেমে আসতেই দেখি ফুপু বসে আছেন আমি সালাম জানালাম, ফুপু বলে উঠলো "আইমানতো অনেক বড় হয়ে গেছিস। ঢাকা যাস না কেন? কতদিন পর তোকে দেখলাম।"?
"কোথায় বড় হইছি ফুপু কি যে বলো না।? যাবো রেজাল্ট বের হোক তারপরেই যাবো। ফুপাকে সাথে নিয়ে আসলে না?"?
"নারে বাবা.... তোর ফুপার অফিসে অনেক কাজের চাপ, একলা মানুষ এতোবড় ব্যবসা সামলায়। আর আমিও চলে যাবো কাল সকালেই। সোনমের পরীক্ষা শেষ তাই ভাবলাম ওকে কিছু দিনের জন্য গ্রামে রেখে যাই।"?
"খুবি ভাল করেছো ফুপি, তুমি রেস্ট করো আমি একটু বের হই।"☺️
সোনম বলে উঠলো: "এই ভাইয়া কোথায় যাও, আমিও যাবো।"?
"তুই কই যাবি? আমি কোথায় যাবো নিজেইতো জানি না।"?
"তুমি যেখানে যাবে আমিও সেখানেই যাবো, কেন আমাকে নিতে কি কোন সমস্যা নাকি?"?
"আচ্ছা আয়... তোর আর পরিবর্তন হবে না।"
সোনম হি হি হি হাসতে হাসতে? এসে আমার হাত চেঁপে ধরলো।?
দুজন বাসা থেকে বের হয়ে এলাম, বের হয়ে সোনমকে জিজ্ঞাসা করলাম: "কোথায় যাবি বল?"
"কোথায় যাবো মানে? তুমি যেখানে নিয়ে যাবে সেখানেই যাবো।"?
"ওরে কাল নাগিন তাই বুঝি?"?
"ভাল হচ্ছে না সাপুরে, কামড়ে দিবো কিন্তু।"?
"এই না না এই ভুল করিস না, শেষে কিন্তু তোর বিষ দাত ভেঙে দিবো।"?
সোনম মুখ ভেংচি কেটে: "বললেই হলো? তোমারে কামড়ে দিবো কিন্তু তুমি আমাকে ধরতেই পারবে না।"?বলেই হি হি হি করে হেসে দিলো।?
সোনম হাসলে ওর গালে টোল পরে, অপূর্ব সুন্দর লাগে।?আমি কারণে অকারণে সোনমকে হাসানোর চেষ্টা করি, ওর হাসি দেখার জন্য। কেন জানি ওর হাসিতে আমি মুগ্ধ হয়ে যাই।?
"এই সোনম বললি না কোথায় যাবি?"
"আজবতো!! তোমাকে বলছি না যেথায় তুমি নিবে সেথায় আমি যাবো।"?
আমার মনে ওকে একটু ভয় দেখানোর ইচ্ছে জাগলো তাই বললাম: "আচ্ছা তাই ঠিক আছে চল তোকে আমার বন্ধুর বাসায় নিয়ে যাই, শোনেছি ওর বাবা, মা ডাক্তার দেখাতে ঢাকা গেছে বাসায় ও একেলা। সময়টা ভালই কাটবে দুজনের।"?
"এই না না কি বলছো এগুলা তুমি, একটা খালি বাড়িতে তুমি আমাকে নিয়া যাবা? তুমি এতোটা খারাপ হয়ে গেছো কি করে? আগেতো তুমি এমন ছিলানা।"??
"শোন আগেতো ছোট ছিলাম আর তুইও ছোট ছিলি এখন বড় হয়ে গেছিস, আর তা ছাড়া এখনতো তুই সব বুঝিস।"?
"দেখ ভাল হবে না বলছি?"?
"ভাল খারাপ সে পরে বুঝবো নে এখন চল।"?
"না আমি যাবো না।"?
"চল বলছি", বলেই সোনমের হাত ধরে অর্পিদের (আমার মেয়ে বেস্ট ফ্রেন্ড) বাসায় চলে আসলাম। সোনম ভয়ে কাঁপছে পাশে দাঁড়িয়ে, আমি ওর মুখের কাছে আমার মুখটা নিয়ে বললাম: "দেখ এভাবে কাঁপাকাঁপি করিস না লোকে সন্ধেহ করবে।"☺️
সোনম কাঁপতে কাঁপতে..... "ভাইয়া তোমার পায়ে পরি আমার সাথে এমন কিছু করো না যাতে আমি কারো কাছে মুখ না দেখাতে পারি।"???
আমি ওর গাল টান দিয়ে বললাম: "আহা এতো সুন্দর মুখটা সবাইকে দেখাতে হবে কেন? আমাকে দেখালেই হবে।" বলতে বলতে কলিং বেল চাপ দিলাম।?
কিছু সময়ের ভিতরেই অর্পি এসে দরজা খুলে আমাকে দেখেই ইমন বলে গলা জড়িয়ে ধরলো।
(আমাকে আইমান বা ইমন উভয় নামে ডাকা হয়)
বেচারি সোনমের মুখটা তখন দেখার মত হয়েছিল।
অর্পি আমাকে ছেড়ে সোনমের দিকে চোখের ঈশারা করে বললো "কে?"?
"আমার কাজিন......ঢাকায় থাকে বেড়াতে এসেছে।"?
তারপর ভিতরে ঢুকে বসলাম, আন্টি আসতেই আন্টিকে সালাম করলাম সোনমকে বললাম "অর্পির মা, মানে আমারও মা।"? সোনম কি বুঝলো বুঝলাম না, কিন্তু মুখটা বাংলার পাঁচ বানিয়ে আমার পাশে বসে মনে মনে কি যেন বলছিল।
আন্টি বললো: "তোমরা বসো আমি চা নাস্তা বানাচ্ছি।" আমি আর অর্পি দুষ্টমি করছি বসে বসে এদিকে সোনম কেমন যেন ফুলেই চলছে।?
অর্পি নাস্তা আনতে যেতেই আমি সোনমকে বললাম: "কিরে ভয় পেয়েছিলি নাকি বন্ধুর বাসার কথা শোনে?"?
সোনম আমার বুকের উপর কিল ঘুসি মারতে মারতে বলতে শুরু করলো "এই অর্পিকে সত্যি করে বলো আগেতো কোন দিন তুমি তোমার মেয়ে বন্ধু আসে বলোনি।"?
"আরে তুই সেই তিন বছর আগে এসেছিস, আর এটা বলার না বলার কি হলো।" বলতে বলতে অর্পি নাস্তা নিয়ে ঘরে ঢুকলো। সোনম চুপ করে লক্ষী মেয়ের মত নাস্তা করলো, কোন কথা না বলে।
কিছু সময়ের ভিতর আন্টি আসলো বলতে শুরু করলো: "আর কিছু দিন পরেই তো তোমার রেজাল্ট দিবে। আমি তোমার আংকেলকে বলে রেখেছি রেজাল্ট দিলেই তোমার চাকরির ব্যবস্থা করতে।"
সোনম হা করে আছে আন্টির কথা শোনে, আন্টি বললো: "তোমরা কিন্তু রাতের খাবার খেয়ে যাবে আমি রান্না বসাচ্ছি।"
"না আন্টি আজ না অন্য আরেক দিন আসবো"...
আন্টি বললো: "সে কি করে হয় নতুন মেহমান নিয়ে এসেছো আজতো খেয়ে যেতেই হবে।" বলেই আন্টি রান্না ঘরের দিকে চলে গেলেন।
আমাকে আর সোনমকে ছাদ এ যেতে বলে অর্পি রান্না ঘরের দিকে গেল। কফি বানিয়ে নিয়ে আসতে।
ছাদ উঠে রেলিং ধরে দাঁড়াতেই সোনম বলে উঠলো "তোমাকে অর্পির বাবার দেয়া চাকরি করতে হবে না।"?
"কেন! করলে কি সমস্যা?"?
"আছে অনেক সমস্যা আছে!" আমি ঢাকা যেয়ে বাবাকে বলবো: "তোমাকে ব্যবসা বুঝিয়ে দিতে।"
"তোর বাবার ব্যবসা আমি বুঝে নিবো কেন?"?
"আহা ব্যবসা বাবার হলেও সেটাতো আমার কারণ আমি একমাত্র মেয়ে। আর আমিতো মেয়ে মানুষ ব্যবসা করতে পারবো না। ঐটা না হয় তুমিই করো।"
"কেন আমি করবো! তোর চাচাতো ভাইয়েরা আছে তোদের ব্যবসা ওরা দেখবে।"
"এই বেশী বুঝনাতো, যা বলছি তা করবা ওরা ছোট মানুষ আর বাবা মা তোমাকে নিজের ছেলের মতই দেখে সো ব্যবসা তোমাকেই বুঝে নিতে হবে।"?
"শোন আমি ব্যবসা বুঝি না, তার চেয়ে চাকরিই আমার জন্য ভাল।"
"আচ্ছা ঠিক আছে না হয় চাকরিই করবা। ব্যবসা দেখবা মাস শেষে বেতন নিবে কিন্তু অর্পির বাবার দেয়া চাকরি করা যাবে না।"
কথা বলতে বলতেই অর্পি চলে আসলো, আমরা তিন জন ছাদের এক কোনায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কফি খাচ্ছি।
সোনম বলে উঠলো: "আয়মান ভাইয়া..... একটা গান শোনাও না।"
ওর সঙ্গে অর্পিও বললো: "হুম হুম....অায়মান... একটা গান শোনাও। তুমিতো খুব ভাল গান পার।"
"এই নারে আজ না আজ গলাটা ভাল না"
সোনম বলে উঠলো "বললেই হলো গান শোনাতে হবেই হবে।"?
"আমি না না না ওকে একটা কবিতা শোনাতে পারি।
তবে গান শোনাতে পারবো না।"
দুজনেই বলে উঠলো: "ওকে তাই বলো।"
আমি বললাম হাসবে না কিন্তু।?
দুজনেই বললো: "আচ্ছা হাসবো না।"
আমি শুরু করলাম।
?????????????
"যে দিন দেখা হবে দুজনার আবারও
কোন এক নির্জন রাস্তায় তুমি কি ছুটে আসবে
আমার বুকের মাঝে?
নাকি মুখ ফিরিয়ে হেঁটে যাবে অন্য কারো সাথে?
তুমি কি মনে রাখবে আজকের এই দিনটির কথা নাকি ভুলে যাবে ভালবাসার সব কথা?
গভীর রাতে যখন ঘুম ভেঙে যাবে আমার কথা কি তোমার মনে পড়বে?
নাকি পাশ ফিরে অন্য কাউকে খুঁজবে?"
?????????????
কবিতা শেষ হতেই কিছু বুঝার আগেই দুই পাশ থেকে দুজন কিল ঘুসি মারতে শুরু করলো।??✊??
আমি: "কি হলো তোরা মারছিস কেন?"??
"মারছি কেন!! এই কবিতা কার জন্য লেখা শুনি? এতো বিরহ কার জন্য?"??
"আরে কি যে বলিস কিসের বিরহ আমিতো মাত্রই কবিতাটা বানিয়ে ফেললাম। তা তোদের দুজনের এতো জ্বলছে কেন?"?
বলতে বলতেই আন্টি চলে আসলো।
"কিরে তোদের আড্ডা শেষ হলো?"?
অর্পি বললো: "মাত্রইতো শুরু করলাম তুমি এসেছো আমাদের সাথে বসো আড্ডাটা আরও জমবে।"
আন্টি বললো: "এই বুড়ো বয়সে তোদের সাথে আড্ডা!!" বলেই হেসে দিল।?????
To be continued...............
(গল্পটা হয়েছে তা কিন্তু জানাবেন? আপনাদের feedback পেয়ে গল্প লিখতে impressed হব।?ভুল- ক্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন ? ধন্যবাদ।☺️)
??আমার_ক্রাশ_যখন_কাজিন??
??writer Umar Faruque??
?পার্ট২?
.
.
.
কবিতা শেষ হতেই কিছু বুঝার আগেই দুই পাশ থেকে দুজন কিল ঘুসি মারতে শুরু করলো।✊??
আমি: "কি হলো তোরা মারছিস কেন?"?
"মারছি কেন!! এই কবিতা কার জন্য লেখা শুনি? এতো বিরহ কার জন্য?"??
"আরে কি যে বলিস কিসের বিরহ আমিতো মাত্রই কবিতাটা লেখলাম।"
বলতে বলতেই আন্টি চলে আসলো।
"কিরে তোদের আড্ডা শেষ হলো?"
অর্পি বললো: "মাত্রইতো শুরু করলাম .....তুমি এসেছো আমাদের সাথে বসো আড্ডাটা আরও জমবে।"??
আন্টি বললো: "এই বুড়ো বয়সে তোদের সাথে আড্ডা!" বলেই হেসে দিল।??
"কি যে বলেন আন্টি! বয়স কোন ব্যাপার না মানুষের মনটাই আসল। আচ্ছা আন্টি আপনি আর আংকেল নাকি প্রেম করে বিয়ে করেছেন? অর্পি বলেছে।"???
আন্টি: "ওতো একটা ফাজিল মেয়ে, ওর পেটে কিছুই থাকে না।"?
অর্পি: "আমি ফাজিল না?"??
সোনম: "আচ্ছা আন্টি আপনার আর আংকেলের গল্প বলুন, না মানে কিভাবে প্রেমটা শুরু হলো।"??
আমি: "এই পিচ্চি তুই এতো কিছু যেনে কি করবি।"?
আন্টি: "আচ্ছা থামো তোমরা......আমি বলছি..........
তখন আমি মাত্র ক্লাস নাইনে উঠছি, অর্পির বাবা কলেজে পরে আমার স্কুৃর সকালে থাকায়, আর উনাদের এলাকায় হবার কারণে, প্রতিদিন উনাদের বাড়ির সামনে দিয়ে যেতে হতো।
আমি যখন স্কুলে যেতাম তখন ওর বাবা বারান্দায় এসে দাঁড়িয়ে থাকতো যতক্ষণ আমাকে দেখা যেত। আমিও আড় চোখে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতাম।
দেখতে দেখতে এভাবে প্রায় দেড় বছর এভাবেই কেটে গেল। আমার সামনেই এস এস সি পরীক্ষা চলে আসলো। তখন উনি ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছেন। হঠাৎ একদিন বাসার সমানে দিয়ে যাবার সময় উপর থেকে একটা কাগজের টুকরো ছুড়েড়ে মারলো।
আমি কাগজটা কুড়িয়ে নিয়ে সোজা স্কুলে চলে গেলাম, খুব ভয়ে ভয়ে স্কুলের ওয়াশ রুমে যেয়ে কাগজটা খুলে পড়তে শুরু করলাম। আমার সমস্ত শরীর কাঁপছিল। কাগজটা খুলে পড়তে শুরু করলাম সেখানে লেখা ছিল:
?????????????
এভাবেই কি একজন আরেক জনকে দেখবো শুধু? কখনো কি কথা হবে না? তুমি কি জানো তোমাকে প্রতিদিন দেখতে দেখতে কখন যে ভালবেসে ফেলেছি নিজেই জানি না.....
?????????????
আমি কি বলবো কি করবো বুঝতে পারিনি। সেদিন সারা রাত ঘুমাতে পাড়িনি। ভোর রাতের দিকে আমিও দু'লাইন লেখলাম।
?????????????
স্কুলের সামনে আসবেন আমি টিফিন টাইমে ছুটি নিবো।
?????????????
স্কুলে যাবার সময় আমি চিরকুটটা তাকে দেখিয়ে ফেলে গেলাম।?
সেদিনই প্রথম আমাদের সামনা সামনি দেখা আর কথা হয়, লজ্জায় সেদিন আমি ঠিক মত উনার দিকে তাকাতে পারছিলাম না।?
❤️এভাবেই আমাদের মাঝে মাঝে দেখা হতো কথা হতো।?
এস এস সি পরীক্ষা শেষ হতেই বাসা থেকে বিয়ে দেবার জন্য চাঁপ দিতে শুরু করে আমি অনেক কষ্টে বাড়ি সামলাই যে আমি আরও লেখাপড়া করতে চাই।
শেষে রেজাল্ট দেয়ার পর বাবা মা রেজাল্ট ভাল দেখে আমাকে কলেজে ভর্তি করিয়ে দেয়।
যখন আমার ইন্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলছে তখন একদিন ছোট মামা আমাদের দেখে ফেলে। সে দিন বাসায় প্রচণ্ড ঝগড়া হয়, আমার পরীক্ষা দেয়া পর্যন্ত নিষেধ করে দেয়। আমি অনেক কষ্টে হাতে পায়ে ধরে কোন রকমে পরীক্ষা দেই।
এদিকে দুজনের কোন কথা হতো না, বাবা সাথে করে নিয়ে যেতেন নিয়ে আসতেন। তখনো ওর বাবার লেখাপড়া শেষ হয়নি।
ওর বাবা একদিন সাহস করে আমাদের বাড়িতেই চলে আসলেন। বাবা প্রথমে অনেক রাগ হলেও পরে উনার বাবা মাকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে আসতে বলেন।
উনি কিভাবে যেন সব ম্যানেজ করে উনার বাবাকে নিয়ে আসলেন। তখনো উনার লেখাপড়া শেষ হয়নি, তখর দুই পরিবার মিলে সিদ্ধান্ত নিলো উনার পরীক্ষা শেষে জব পাবার পর আমাদের বিয়ে হবে।
❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️
তার আগ পর্যন্ত আমাদের বাহিরে কোন দেখা হবে না। সপ্তাহে একদিন উনি আমাদের বাসায় আসতে পারবেন। আর যখন উনি আমাদের বাসায় আসতেন কতগুলো করে চিঠি নিয়ে আসতেন, আর আমিও চিঠি লেখে রাখতাম এভাবেই আমাদের কথাবার্তা হতো।?
তারপর এক সময় উনার লেখাপড়া শেষে সরকারি চাকরি হলো তখন আমাদের বিয়েটা হয়ে গেল।
❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️
এবার চলো অনেক রাত হচ্ছে খাবে তোমরা।"
তারপর সকলে নেমে আসলাম, খাবার খাওয়া শেষ হতেই আন্টি বললো: "রাততো অনেক হয়ে যাচ্ছে আজ রাতটা না হয় আমাদের বাসাতেই থেকে যাও তোমরা।"?
আমি: "না আন্টি আজ না অন্য আরেক দিন এসে থাকবো।"☺️
অর্পি: "কেন আজ থাকলে কি হয় সারা রাত তিনজন মিলে গল্প করবো কতদিন ঠিকমত গল্প করা হয়না।"??
আমি তাকিয়ে দেখলাম সোনম কেমন যেন রাগে ফুসফুস করছে।??
আমি: "না আজ না কাল সকালেই ফুপু চলে যাবে অন্য আরেকদিন এসে আড্ডা গল্প হবে" বলে বিদায় নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে এলাম।
বের হয়ে একটা রিক্সা নিলাম বাসায় যাবার জন্য,
সোনম বলে উঠলো "অর্পির সাথে কি এতো গল্প হ্যাঁ?"?
"কি গল্প মানে সব তোকে বলতে হবে নাকি?"?
"হ্যাঁ বলতে হবে।"?
"কেন বলতে হবে?"?
"বলতে হবে কারণ....."?
"কি কারণ?"??
"কিছু না বাদ দাও তাইতো আমাকে বলবে কেন?
আমিও কেমন বোকার মত প্রশ্ন করি।"?
আমি: "এই তোর কি হয়েছে বলবি?"?
"আরে কিছু না" বলেই সোনম হেসে দিলো।?
"কি সুন্দর রোমান্টিক প্রেমের গল্প শোনে আসলাম বুঝলি কাল নাগিনী আগের দিনই ভাল ছিল। সব কথা বার্তা চিঠিতে হতো, কত অপেক্ষায় থাকতে হতো একটা চিঠি পাবার জন্য। তখনকার ভালবাসা গুলোও তাই অনেক শক্ত ছিল। আর এখনকার ভালবাসা মোবাইলে কথা ফেসবুকিং একটা ঝগড়া হলেই ব্রেকআপ।"❤️
সোনম: "শোন সবার ভালবাসা এক রকম না বুঝলে, যেমন ধরো আমি যাকে ভালবাসবো তাকে সারা জীবনেও হারাতে দিবো না। ঝগড়া ঠিকই করবো সারা দিন। তার জন্য তাকেও আমাকে ছেড়ে যেতে দিবো না, আর আমিও তাকে ছেড়ে যাবো না।"
আমি: "তোকে ভালবাসবে কোন পাগলে? তুইতো সেই ছেলের মাথা নষ্ট করে দিবি।"?
"ভাল হচ্ছে না কিন্তু ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিবো কিন্তু।"??
"এই না না এই কাজ করিস না হাত পা কেটে যাবে।"?
কথা বলতে বলতে বাসায় চলে আসলাম। দুজনে রিক্সা থেকে নেমে বাসার ভিতরে ঢুকে দেখি ফুপু আর মা কথা বলছেন। আমাদের দেখে বললো: "কিরে তোদের ঘুরা হলো। খেতে হবে না তোদের?"?
আমি বললাম: "না মা আমরা খেয়ে এসেছি, তবে সোনমের কথা জানি না ও খাবে কিনা আমার পেটে জায়গা নেই.." বলে ফ্রেশ হতে রুমে ঢুকে পড়লাম।
কিছু সময় পর ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে গিটারটা হাতে নিয়ে ছাদ এ উঠে পড়লাম। ??গিটারে টুংটাক করা আমার প্রতিদিনের অভ্যাস।
কিছু সময়ের ভিতরে সোনম ছাদ এ আসলো, আমি: "কিরে তুই ঘুমাসনি?"?
সোনম: "না ঘুম আসছিলো না,"?
আমি: "কেন কেন? বফের কথা মনে পড়ছে নাকি?"?
"না ঐসব আমার নেই ভাবলাম তোমাকে খুব জ্বালাবো তাই চলে আসলাম।"?
"এবার লক্ষী মেয়ের মত নেমে যা বৃষ্টি আসবে।"?
"বৃষ্টি আসলে আসবে বৃষ্টিতো আমার খুব প্রিয়।"?
"তোর প্রিয় হলেও লাভ নেই, এখন বৃষ্টিতে ভিজলে জর আসবে।"?
"আমার জর আসলে তোমার কি?"?
"আমার কিছু না আবার আমার অনেক কিছু।"?
"যেমন অনেক কিছু কি?"?
"কাল ফুপু চলে গেলে তখন তোকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে আমাকেই ছুটতে হবে, কাজেই জর আসা যাবে না।"?
"তোমাকে ছুটতে হবে না জর আসবেও না!"?
বলতে বলতে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল।?️?️?️
"তাড়াতাড়ি নেমে যা সোনম,"?
"উহু ভিজবো তুমি নামলে নেমে যাও।"?
"দেখ বেশী কথা না বলে নেমে যা!" ?বলতে বলতেই প্রচণ্ড শব্দ করে বাজ পড়লো?️⛈️ শব্দে সোনম আমাকে দুহাত দিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।?
আমাকে জড়িয়ে ধরার ভরসা কি আমার মাঝে ওকে ভালবাসার রূপ নিলো কিনা আমি বুঝতে পারলাম না। আমিও ওকে শক্ত করে দুহাতে চেঁপে ধরলাম।?
বাজের শব্দ কমতেই কাঁপা কাঁপা ঠোটে সোনম আমার দিকে তাকাতেই কেন জানি আমার ঠোট দুটো সোনমের ঠোটের দিকে চলে গেল।?
To be continue........??
#আমার_ক্রাশ_যখন_কাজিন??
??Writer Umar Faruque??
?#পার্ট_৩?
.
"দেখ বেশী কথা না বলে নেমে যা", বলতে বলতেই প্রচণ্ড শব্দ করে বাজ?️⛈️ পড়ার শব্দে সোনম আমাকে দুহাত দিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো। ?
আমাকে জড়িয়ে ধরার ভরসা কি আমার মাঝে ওকে ভালবাসার রূপ নিলো কিনা আমি বুঝতে পারলাম না। আমিও ওকে শক্ত করে দুহাতে চেঁপে ধরলাম।?
বাজের শব্দ কমতেই কাঁপা কাঁপা ঠোটে সোনম আমার দিকে তাকাতেই কেন জানি আমার ঠোট দুটো সোনমের ঠোটের দিকে চলে গেল। ?
সোনমের কাঁপা কাঁপা ঠোটের নিচের কালো তিলটা ভেসে উঠেছে। নিজের অজান্তেই আমার ঠোট দুটো যেয়ে আলতো করে সোনমের ঠোটকে স্পর্শ করতেই সোনম ভয়ংকর রকম কেঁপে উঠে আমাকে দুহাতে আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।?
আমি জানি না কি হয়েছিল, কতটা সময় একজন আর এক জনকে জড়িয়ে ধরে রেখেছিলাম। এটা কি ভালবাসার জন্য নাকি ক্ষণিকের মোহে।❤️
যখন সজ্ঞানে ফিরে আসলাম সোনম লজ্জায় দৌড়ে সিঁডি ভেয়ে নেমে গেল। আমি আরও অনেকটা সময় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বৃষ্টিতে ভিজলাম।?️?️
❤️মনে মনে ভাবছি আমিতো কখনো সোনমকে ভালবাসিনি তবে আজ এ আমি কি করলাম। কি ভাববে মেয়েটা??
ভাবতে ভাবতে নিচে নেমে রুমে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে ফোনটা হাতে নিতেই দেখি অর্পির অনেক গুলো মিসকল। ?আমি বিছানায় শুয়ে অর্পিকে কল দিলাম। রিং বাজতেই অর্পি কল রিসিভ করে.........
"কি ঘুমিয়ে পড়েছিলে?"??
"আমি না ঘুমাইনি ছাদ এ ছিলাম বৃষ্টিতে ভিজলাম, বলো ফোন দিয়েছিলে কেন?"??
"এমনি ফোন দিলাম, কিন্তু তুমি আর বৃষ্টি কেমন রোমান্টিক হয়ে গেল না ব্যাপারটা? যে তুমি বৃষ্টি দেখলে জ্বর আসার ভয়ে দৌড়ে পালাও সেই তুমি আজ বৃষ্টিতে ভিজলে ঘটনা কি?"?
"কি যে বলো না বৃষ্টিতে ভিজতেও কি ঘটনার প্রয়োজন আছে? এমনি মন চাইলো তাই ভিজলাম।"??
"হুম তা ঠিক, সোনম কি করে?"?
"সোনম কি করে আমি কি করে বলবো আমিতো আমার রুমে। আর তোমার এতো কি দরকার সোনমকে?"??
"আরে আমার দরকার থাকবে কেন? এমনিতে জিজ্ঞাসা করলাম এটা কি অন্যায় করেছি নাকি?"?
"আচ্ছা বাদ দাও কি করছো?"?
"এইতো শুয়ে আছি, তুমি কি করছো?"?
"আমি শুয়ে আছি ঘুমিয়ে পড়বো ভাবছি।"?
"হুম ঘুমাও আমিও ঘুমাবো আচ্ছা কাল কি দেখা করতে পারবে?"?
"পারবো না কেন? কখন কোথায় আসেত হবে?"?
"বিকেলের দিকে নদীর পারে এসো।"?
"ওকে আসবো, শুভ রাত্রি" ☺️বলে ফোন রেখে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।?
সকালে চোখে মুখে পানির ছিটা পড়াতে ঘুম থেকে লাফিয়ে উঠলাম। চোখ মেলে তাকিয়ে দেখি সোনম গ্লাস থেকে পানি ছিটিয়ে দিচ্ছে।?
আমি রেগে যেয়ে "এই কি করছিস এগুলা সকাল সকাল।"?
"কি করছি বুঝতে পারছো না?"?
"না পারছি না বের হয়ে যা ঘর থেকে সকাল সকাল ঘুমটা নষ্ট করে দিলি।"☹️
"এতো ঘুমাতে হবে না উঠো..."?
"না উঠবো না তুই যা"?
"না যাবো না, কি করবা তুমি?"?
কথাটা বলার সাথে সাথেই আমি সোনমের হাত ধরে টান দিয়ে বিছানায় শুয়িয়ে দিলাম। সোনম দু চোখ বন্ধ করে নিলো। সোনমের হার্টবিট বেড়ে গেছে তার শব্দ আমি অনুভব করতে পারছি। নিজেকে নিজে প্রশ্ন করলাম "এ আমি কি করছি আমিতো এমন ছিলাম না।" আস্তে করে আমি খাট থেকে নেমে সোনমের হাত ধরে টান দিয়ে উঠিয়ে বললাম,
"উড়না ঠিক করে নে। সব কিছুর জন্য সরি।"?
সোনম আমার দিকে অপলক তাকিয়ে আছে কি বলবে ও হয়তো বুঝতে পারছে না, আমি সোজা ওয়াশ রুমে চলে গেলাম। ফ্রেশ হয়ে নাস্তার টেবিলে যেতেই মা বললো: "নাস্তা করে তোর ফুপুরে যেয়ে গাড়িতে তুলে দিয়ে আয়।"
আমি বললাম: "ঠিক আছে..."?
নাস্তা শেষ করে রেডি হয়ে বের হয়ে দেখি ফুপুর সাথে সোনমও দাঁড়িয়ে,
"কিরে তুইও যাবি নাকি?"?
"হুম যাবো আবার তোমার সাথে চলে আসবো।"?
"কেন তোর যেতে হবে না তুই থাক।"?
মা এসে বললো: :আহা যেতে চাচ্ছে নিয়ে যা ও একা বাড়িতে থেকেই বা কি করবে ঘুরলে মন ভাল থাকবে।"?
আমি আর কিছু না বলে দুজনকে নিয়ে রওনা হলাম বাস স্ট্যান্ডে।???
ফুপুকে বাসে?? তুলে বিদায় দিয়ে সোনমকে নিয়ে রওনা হলাম বাসার উদ্দেশে।
সোনম বলে উঠলো: "এই চলো না কোথাও ঘুরতে যাই।"?
"কোথায় যাবো এই রোদ এর ভিতর?"?
"যেখানে নিয়ে যাবে সেখানেই যাবো।"☺️
"না কোথাও যেতে হবে না, ভাল লাগছে না আমার,"? বলতে বলতে মোবাইলের রিংটোন বেজে উঠলো।??
ফোন বের করে দেখি অর্পি ফোন দিয়েছে।?
ফোন রিসিভ করতেই অর্পি বললো: "আজ দেখা করতে পারবো না, তোমার আসতে হবে না।"?
আমি বললাম: "কেন কি হয়েছে?"?
"শরীরটা ভাল না মনে হয় জ্বর এসেছে, অন্য একদিন দেখা করবো।"???
আমি বললাম: "আচ্ছা ঠিক আছে"
বলে ফোন রেখে দিলাম।
সোনম বললো: "কার ফোন এসেছিল?"?
"অর্পির ফোন।"?
"কি বললো?"?
"তোকে এতো কিছু বলবো কেন?"?
"আজব এতো কিছুর কি হলো?"?
"কিছুনা আজ আমাদের দেখা করার কথা ছিল। ওর শরীর ভালনা তাই বললো দেখা করতে পারবে না।"??
"তো এই কথাটা আগে বললে কি হতো?"?
"কিছুই হতো না... এতো প্রশ্নই বা তোর কেন করতে হবে?"?
"করতেই পারি...সে অধিকার আমার আছে।"?
"ওরে আমার অধিকার কে দিলো এমন অধিকার তোকে?"?
"সে সময় হলেই জানতে পারবে।"?
কথা বলতে বলতে রিক্সা প্রায় বাসার কাছাকাছি চলে আসলো, আমি সোনমকে বললাম::
"দেখ কাল রাতের জন্য আমি সরি, তুই কিছু মনে করিস না। যা হয়েছে সব ভুলে যা..."? কথাটা বলতে বলতে রিক্সা এসে বাসার গেটে থামতেই সোনম কান্না করতে করতে দৌড় দিলো।? আমি কিছুই বুঝতে পাড়লাম না কি হলো।?
আমি রিক্সা ভাড়া দিয়ে ওকে ডাকতে ডাকতে বাড়ির ভিতর ঢুকলাম। ও সোজা যেয়ে ঘরের দরজা লাগিয়ে দিছে। আমি কয়েকবার ডাকলাম কিন্তু দরজা খুললো না আমার মনের ভিতর কেমন যেন ভয় ভয় লাগতে শুরু করলো।
আমি ওকে কল দিলাম বার বার ও কল কেটে দিচ্ছে। আমি টেক্স করলাম::
✉️ প্লিজ পাগলামী করিস না কি হয়েছে আমাকে বল।✉️
ও কোন রিপ্লাই করছে না।❌
এর ভিতর মা চলা আসলো আমাকে জিজ্ঞাসা করতে শুরু করলো: "কি হয়েছে।"?
আমি কি বলবো বুঝতে পারছিলাম না।
এর ভিতর সোনম দরজা খুলে বেড়িয়ে এসে স্বাভাবিক ভাবে বললো "কি হলো এতো চেঁচামেচি করছো কেন আমার ঘুম পেয়েছিল তাই এসে শুয়ে পড়েছি।"???
মা ওর কথা শোনে চলে যেতেই আমি ওর ঘরে ঢুকলাম।
"তুই মাকে মিথ্যা কথা বললি কেন?"?
"আমার মন চেয়েছে তাই বলেছি তোমার কোন সমস্যা আছে?"?
"না সমস্যা নেই তবে মিথ্যা বলা পাপ।"?
"তো কি আমি সত্যি কথা বলতাম? যে মামী তোমার ছেলে প্রথম পুরুষ যে আমার ঠোটে কিংবা আমার দেহে স্পর্শ করেছে?"??
আমি ওর এই কথার কি উত্তর দিবো বুঝতে পাড়ছিলাম না।
সোনম আবার বলতে শুরু করলো, "তোমার হয়তো অব্যাস আছে এই সবে তাইতো খুব সহজে কথাটা বলে দিলে। যাই হোক তুমি যাও আমি ঘুমাবো।"? বলেই বিছানায় শুয়ে পড়লো।
আমি ওর পাশে যেয়ে বসে ওর মাথায় হাত দিতেই ও হাউমাউ করে কান্না করে দিলো।? এই পাগলী কাঁদিস না মা দেখলে আমার খবর আছে।?
"আচ্ছা শোন বিকেলে তুই আর আমি ঘুরতে যাবো প্লীজ তুই কাঁদিস না।"?
"তুমি এখন যাও প্লিজ আমার কোন কিছু ভাল লাগছে না।"?
আমি রুম থেকে নিরবে বেড়িয়ে আসলাম। নিজের রুমে বিছানায় শুয়ে শুয়ে ভাবতে শুরু করলাম,, তবে কি সোনম আমাকে ভালবাসে??
কিন্তু তা কি করে হয় আর আমাকেতো ও কখনো বলেনি ও আমাকে ভালবাসে। কি থেকে কি হয়ে যাচ্ছে মাথায় কোন কিছুই কাজ করছে না।
ভাবতে ভাবতে কেমন জানি চোখের সামনে সব কিছু অন্ধকার হয়ে আসছিল। আমি দুচোখ বন্ধ করে ঘুমিয়ে. ???????????
To be continue??
আমার_ক্রাশ_যখন_কাজিন??
??Writer Umar_Faruque ??
?পার্ট_৪?
(ভাই/আপুরা,,? ভালো লাগলে অন্তত লাইক/রিয়েক্ট দিয়ে যাবেন ?☺️ তা না হলে,, আমি তো গল্প লেখার উৎসাহ হারিয়ে ফেলবো। গল্প লিখতে তাড়াহুড়া করতে হচ্ছে।। সময় পাচ্ছি কম?।। যাইহোক,, আমি সম্পূর্ণ গল্পটা আপনাদের কাছে পৌঁছে দিব ইনশাল্লাহ ??। গল্পটা পড়ার পর প্লীজ লাইক/রিয়েক্ট/কমেন্ট করে যাবেন ??। Thanks for having patience ? Have a good day ?❤️)
.
.
.
.
.
.
আমি রুম থেকে নিরবে বেড়িয়ে আসলাম। নিজের রুমে বিছানায় শুয়ে শুয়ে ভাবতে শুরু করলাম তবে ক