প্রশ্ন:- পেটের মধ্যে সন্তান কিভাবে জন্ম হয়?
উত্তর:- মেয়েলােকদের তলপেটের ডান পাশে সন্তান সৃষ্টি হবার একটি থলি আছে। তার আকার প্রায় মধ্যম রকমের লম্বা। লাউয়ের মতই- তবে কিছু বাকা। গর্ভ সঞ্চারের আগে সেটা ফুটবলের ব্লাডারের খালি চামড়াটার মত ‘বিজলী’ পানিতে ভরা থাকে। গর্ভ-থলির মুখখানি কেবল সরু, কিন্তু ভিতরের দিকটা খুব বড়। আর শামুকের ভিতরেও সেই রকম তিনটা পেঁচ বা থাক আছে। ঐ গর্ভ থলির মুখের সাথে যৌনিপথের এই তৃতীয় থাকটা লাগা ।
সঙ্গম কালে গর্ভ থলির মুখ খুলে যায়, তখন স্বামী-স্ত্রীর মণি একত্র হয়ে ঐ থলিতে গিয়ে পড়ে-তাতেই গর্ভ সঞ্চার হয়। কেউ-কেউ বলে স্বামীর মণি যৌনিপথের এই প্রথম থাকে পড়লে তাতে সন্তান হয় না পড়ে যায়। দ্বিতায় থাকে পড়লে তাতে প্রায়ই কন্যা সন্তান জন্মে, আর তৃতীয় থাকে পড়লে তাতে পুত্র-সন্তান হয়ে থাকে।
সঙ্গম করলেই যে গর্ভ হয়, তা নয়। সঙ্গমের পর স্বামী-স্ত্রীর মনি প্রায়ই পড়ে যায়। সহবাস কালে যদি স্বামীর পুরাে কামভাব আসে আর ৱাে সাধ মেটে, তাহলে স্বামীর মণি একেবারে গর্ভথলির মুখে যেয়ে পড়ে। তা প্রায়ই নিস্ফল হয় না- তাতেই নিখুঁত পুত্র-সন্তান জন্ম হয়া
মেয়েদের মাসিক হয়ে পবিত্র হয়ে গেলে, পর গর্ভথলিটি কেমন হয়?- যেমন সদ্য ফোটা ফুলটি। তখন সঙ্গম করলে গর্ভ হবার খুবই সম্ভাবনা থাকে। মাসিক থেকে পাক হলে সপ্তাহ দুই পর গভথলির মুখখানি ফুলের কলির মত কুঞ্চিত হয়ে বুজে থাকে। তখন সঙ্গম করলে সহজে গর্ভ হয় না। মাসিকের সময় সঙ্গম করা হারাম, মহাপাপ। করলেও তাতে গর্ভ হয় না। ঝরনার পানির উপর প্রসাব করে দিলে যেমন ভেসে যায়, হায়েয অবস্থায় সহবাস করলেও তেমনি হায়েযের খুনে স্বামীর মণি ভেসে বেরিয়ে যায়। এতে কখনই গর্ভ সঞ্চারণ হতে পারে না।
গভের চিহ্ন:- গর্ভ হলে প্রথম মেয়েদের শরীর খুব দুর্বল লাগে, হাত পা যেন ভেঙ্গে পড়তে চায়। খেতে কিছুই ভাল লাগে না। খেয়েও যেন পেট ভরে না। মাছের গন্ধ, ভাতের গন্ধ, শুধু-শুধু বমি আসে। কোন। রােগ বলে বােধ হয় না। তবুও শরীর শুকিয়ে যায়। হায়েয বন্ধ হয়ে যায়। ক্রমে স্তনের বােটা কালাে হয়- স্তন খুব বড় ও উচু হয়ে ওঠে। তারপর তিন মাসের মধ্যে স্তন টনটনে মােটা আর পেট ভারি হয়ে উঠে। চার মাসের কালে ঢেকে ঢুকে খুব সামলিয়ে চললেও পেট উচু দেখা যায়। দূর থেকে অনেকেই উহা টের পেয়ে যায়।