স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গভীর ভালোবাসার পাঁচটি শক্তিশালী দোয়া

স্বামী স্ত্রীর ভালবাসা বৃদ্ধির দোয়া:

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারস্পরিক সুসম্পর্ক নষ্ট হোক এটা কারোরই কাম্?

স্বামী স্ত্রীর ভালবাসা বৃদ্ধির দোয়া: 

 

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারস্পরিক সুসম্পর্ক নষ্ট হোক এটা কারোরই কাম্য নয়। একান্তই যদি স্বামীর প্রতি স্ত্রী কিংবা স্ত্রীর প্রতি স্বামী অসন্তুষ্ট হয় তবে তাদের জন্য রয়েছে কুরআনের সুন্দর আমল। 

 

যে আমলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি হবে। পরিবারে শান্তি ও শৃঙ্ক্ষলা স্থির হবে। তাই স্ত্রীর প্রতি যদি স্বামীর ভালোবাসা কমে যায় কিংবা স্বামীর প্রতি স্ত্রীর ভালোবাসা কমে যায় তবে এ আমলটি করা যেতে পারে। وَمِنَ ٱلنَّاسِ مَن يَتَّخِذُ مِن دُونِ ٱللَّهِ أَندَادًا يُحِبُّونَهُمْ كَحُبِّ ٱللَّهِ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ أَشَدُّ حُبًّا لِّلَّهِ وَلَوْ يَرَى ٱلَّذِينَ ظَلَمُوٓا۟ إِذْ يَرَوْنَ ٱلْعَذَابَ أَنَّ ٱلْقُوَّةَ لِلَّهِ جَمِيعًا وَأَنَّ ٱللَّهَ شَدِيدُ ٱلْعَذَابِ 

 

উচ্চারণ : 

ওয়া মিনান্ নাসি মাইঁ ইয়াত্তাখিজু মিংদুনিল্লাহি আংদাদাইঁ ইয়ুহিব্বুনাহুম্ কাহুব্বিল্লাহ; ওয়াল্লাজিনা আমানু আশাদ্দু হুব্বাল্লিল্লাহ; ওয়া লাও ইয়ারাল্লাজিনা জ্বালামু ইজ ইয়ারাওনাল আজাবা আন্নাল কুওওয়াতা লিল্লাহি ঝামিআও ওয়া আন্নাল্লাহা শাদিদুল আজাব।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ১৬৫) 

 

আল্লাহ তাআলার গুণবাচক নাম সমূহের মধ্যে ‘আল-ওয়াদুদু’ একটি। এ পবিত্র নামের আমলে স্বামী-স্ত্রী অমিল ও দূরত্ব কমে যায়। 

 

1. স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলে, একে অপরের প্রতি ভালবাসা কমে গেলে, আয়া মানেই 60 বার পড়ে এবং জল, দুধ এবং খাবারে দম বন্ধ হয়ে যায়। 

 

2. যদি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসা কমে যায় বা দুজনের মধ্যে কোনো বন্ধন না থাকে বা তাদের একজন অপরজনের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়; অতঃপর আল্লাহর পবিত্র নাম বা ওয়াদুদ (ইয়া ওয়াদুদু) ১০০১ (এক হাজার এক) বার পাঠ করে কিছু মিষ্টি খাবার ও পানীয়ের মাঝে ফুঁ দিলে আল্লাহর রহমতে উভয়ের মধ্যে সম্প্রীতি ও আন্তরিকতা সৃষ্টি হবে। 

 

3. স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসা কমে গেলে বা দুজনের মধ্যে কোনো বন্ধন না থাকলে বা পরস্পরের প্রতি অসন্তুষ্ট হলে পবিত্র কোরআনের এই আয়াত, وَأَلْقَيْتُ عَلَيْكَ مَحَبَّةً مِّنِّي وَلِتُصْنَعَ عَلَى عَيْنِي (ওয়া আলকাইতু আলাইকা মাহাব্বাতাম মিন্নি ওয়ালিতুসনা আলা আইনী) (সূরা ত্বা হা-৩৯) আয়াতের অর্থ হল: আমি আমার নিজের দিক থেকে তোমাকে ভালবাসা জানিয়েছি, যাতে তুমি আমার চোখের সামনে পরিলক্ষিত হয়। স্বামী রাগ করলে স্ত্রী স্বামীর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকবে। (স্বামী স্বামীর সামনে এলে স্ত্রী এ কাজ করবে)। (স্ত্রী সামনে এলে স্বামী এটা করবে)। আল্লাহর রহমতে দুজনের মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টি হবে। 

 

4. স্বামী রাগ করলে স্ত্রী এবং স্ত্রী রাগ করলে স্বামী নিম্নলিখিত পিরিয়ড করবে, পিরিয়ড হল فَسَيَكْفِيكَهُمُ اللَّهُ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ (ফাসা আইয়াকফিকাহুমুল্লাহু ওয়াহুয়াস সামিউল আলিম) সুতরাং তাদের জন্য আল্লাহই আপনার জন্য যথেষ্ট। তিনি সর্বশ্রোতা, প্রজ্ঞাময়। [সূরা আল-বাকারা 2:138] ফজরের নামাজের পর ১০০ বার এবং এশার নামাজের পর ১০০ বার আল্লাহর কাছে দোয়া করুন। ইনশাআল্লাহ দুজনের মধ্যে ভালোবাসা গভীর হবে। 

 

5. সেই সময়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে উঠবে। পরিবারে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকবে। তাই স্ত্রীর প্রতি স্বামীর ভালোবাসা কমে গেলে বা স্বামীর প্রতি স্ত্রীর ভালোবাসা কমে গেলে এই আমল করা যেতে পারে। ومن الناس من يتخذ من دون الله أندادا يحبونهم كحبا لله ولو يرى الذين ظلموا إذ يرون العذا أن القوة لله جميعا وأن الله شديد العذاب العذاب 

 

উচ্চারণ: ওয়া মিনান নাসি মেন ইয়াত্তাখিজু মিংদুনিল্লাহি আন্দাইন ইউহিববুনাহুম কাহুব্বিল্লাহ; ওয়াল্লাজিনা আমানু আশহাদ্দু হুব্বালিল্লাহ; ওয়া লাও ইয়ারাল্লাজিনা জবালামু ইস ইয়ারাওনাল আজাবা আন্নাল কুওয়াতা লিল্লাহি জামিয়াও ওয়া আন্নাল্লাহা শাদীদুল আজাব। (সূরা বাকারা: আয়াত 185) 

 

আর কিছু লোক আছে যারা অন্যদেরকে আল্লাহর সমকক্ষ সাব্যস্ত করে এবং তাদেরকে ততটা ভালবাসে যতটা তারা আল্লাহকে ভালবাসে। কিন্তু যারা ঈশ্বরে বিশ্বাস করে তারা তাদের নিজেদেরকে যতটা ভালবাসে তার চেয়ে বেশি ভালবাসে। আর কতই না ভালো হতো যদি এই জালেমরা পার্থিব আযাব দেখে বুঝতে পারত যে, সব ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর এবং আল্লাহর শাস্তি সবচেয়ে কঠিন। [সূরা আল-বাকারা 2:185] যদি কোন স্বামী তার স্ত্রীর প্রতি অসন্তুষ্ট হয়, তবে স্ত্রী একটি মিষ্টি বস্তুর উপর এই আয়াতটি পাঠ করে নিঃশ্বাস ত্যাগ করে স্বামীকে খাওয়াবেন। যে স্বামী আল্লাহর ইচ্ছায় অসন্তুষ্ট সে তার স্ত্রীর প্রতি সন্তুষ্ট হবে। কিন্তু অবৈধ সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো লাভ হবে না।


Jwel Jwel

181 Blog posts

Comments