ভালোবাসা সীমান

ছাব্বিশতম পৃষ্ঠায় রয়েছে উপন্যাসটির সবচেয়ে সুন্দর লাইনটি। এই লাইনটিতে আশ্রয় নেই কোন আবেগের। বাস্তব ধর্মী এক??

জানাবেন না। এই জন্য জানাবেন না, কারণ মানুষ পরিবর্তনশীল। টাকা, পয়সা মানুষকে পরিবর্তন করে দেয়। আমার সাথে আবিদকেও বুঝার দরকার আছে। বুঝার পর তার পরিবর্তন আপনার কাছে যদি পছন্দ না হয় তাহলে আমাকে বিয়ে করতে হবে, রাজি? এটাই শর্ত।" সে আমার শর্ত শুনে ভ্রু কুচকে অবাক হয়ে বললো "আমার আবিদ কখনো এমন হবে না" তারপর জেনিয়া আমার শর্তে রাজি হয়েছিল। এই শর্তটা আমি না দিয়ে বিয়েটা ক্যান্সেল করে দিতে পারতাম। কিন্তু এই শহরের পড়ন্ত বিকেলের উন্মাদ করা সৌন্দর্যের মাঝে তার শরীরের স্নিগ্ধ গন্ধটা আমার ভিতরটাকে যখন নাড়িয়ে দিল তখন আমি আমার মাঝে ছিলাম না। যেন আমি সূর্যের উত্তাপ রোদ্দুর থেকে বাঁচার জন্য জেনিয়া নামক ছায়ার আচলে আশ্রয় নিয়েছিলাম। কথা বলার ত্রিশ মিনিট পর পবিবারের সবাইকে বিষয়টা বললাম আমাদের দুজনের একটু ভালোভাবে চেনা জানার প্রয়োজন আছে। তারা আমাদের কথায় সম্মতি জানায়। 

.

দুই

.

অফিস শেষে বাসায় এসেছি ত্রিশ মিনিট হয়ে গেছে। এই ত্রিশ মিনিটে আমার বাসার দেয়ালের চারপাশে ছায়ার উদাসীনতা লক্ষ্য করছি। একটু পর জেনিয়া আমার কাছে এসে খুব ইতস্তত হয়ে বললো “আপনাকে চা দিব?” আমি বললাম ”না থাক। এখন চা খাওয়ার কোন ইচ্ছা নেই।” তারপর সে ভিতরের রুমে চলে যায়। গত পরশু রাত থেকে জেনিয়া আমাকে খুব ভয় করে। আমার সাথে কথা বলার সময় তার কথা গুলো যেন গলার ভিতরই আটকে থাকে। গত দুই দিন আগে রাতে আমি যখন ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম ঠিক ত্রিশ মিনিট পর হঠাৎ আমার ঘুমটা ভেঙ্গে যায়। তারপর দেখলাম ও বারান্দায় ফোনে কথা বলছে। জিজ্ঞেস করাতে বলে আবিদ ফোন করেছে। আমি তার উপর ভীষন রেগে গিয়েছিলাম। আজকাল মানুষের অনুভূতি গুলো নিয়ে খেলতে আমার ভিতরে অদ্ভুত ইচ্ছে কাজ করে। আমি জেনিয়াকে ডাকলাম। ও চুপ করে আমার সামনে এসে দাঁড়ায়। আমি ওকে বললাম “অস্বস্থিবোধ করছো কেন মেয়ে? আমি তোমার স্বামী। বিয়ের পর একজন স্ত্রীর কাছে তার স্বামীই সবচেয়ে আপন বন্ধু। এই বন্ধুর সাথে হেসে কথা বলতে হয় আর বিষন্নতাটা লুকিয়ে রাখতে হয়।” তারপর ওর হাত ধরে আমার পাশে বসিয়ে বললাম “আসার সময় মেহেদী নিয়ে আসছি। দেখি হাত দাও তোমাকে মেহেদী দিয়ে দেই। যদিও আমি মেহেদী দিতে পারি না। আচ্ছা আমি মেহেদী যেমনই দিয়ে দেই যদি হাতটা বিচ্ছিরি দেখায় তাহলে কি মন খারাপ করবে?” সে মাথা নাড়িয়ে বুঝায়, না। আমি মেহেদীর টিউভটা খুলে ওর হাতে এলোমেলো করে এঁকে দিচ্ছি। আমি একদম মেহেদী দিতে পারি না। আর ও এই দৃশ্যটা চুপ করে তার চোখে এঁকে নিচ্ছে। আমি বললাম “সুন্দর হচ্ছে না?” সে বলে “খুব সুন্দর” আমি ওর চোখে তাঁকালাম তারপর একটু রাগ রাগ ভাব নিয়ে বললাম “মিথ্যে বলো কেন? এটাকে সুন্দর বলে? তুমি দেখছি সত্যটাই বলতে পারো না। খুব খারাপ জেনিয়া খুব খারাপ। আর কখনো মিথ্যে বলবে না কেমন?” আমার কথার কি প্রত্যুত্তর দিবে সে বুঝতে পারে না। আমি মেহেদী দিতেই দিতেই বললাম “আমার কাছে কথাটা লুকিয়ে রেখেছো কেন বলোতো?” সে বলে “কোন কথা?” আমি একটু হেসে বললাম “গতকাল আমি বাসায় ত্রিশ মিনিট আগে এসেছি। কিন্তু তোমায় বাসায় দেখতে পাইনি। বাসায় তুমি আসার পর যখন তোমাকে জিজ্ঞেস করলাম তখন তুমি বললে বান্ধবীর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলে। আমি আর কিছু বলিনি। এতোটা সময় পার হয়ে গেলো অথচ তুমি আমার কাছে এখনো সত্যটা বলোনি। আমি অপেক্ষা করছিলাম তোমার সত্যটা শোনার জন্য। অফিস থেকে ফেরার পথে আমি কিন্তু ঠিকি তোমাকে দেখেছি তোমার পুরানো বয় ফ্রেন্ডের সাথে।” সে চুপ করে থাকলো। এই চুপ থাকার অর্থ আমি বুঝতে পারছিলাম না। আমি বললাম “উত্তর দাও মেয়ে।” সে তারপরও চুপ করে থাকলো। আমি বললাম “কি ভুল হয়ে গেছে?” সে মাথা নেড়ে বুঝায় ভুল হয়ে গেছে। আমি একটু হেসে বললাম “আর এমন করবে না কেমন? আমার খুব রাগ হয়। আমি মানুষটা অনেক ভালো। কিন্তু এই ভালো মানুষটার রাগ যখন বেড়ে যায় তখন কি করে ফেলি নিজেই ভেবে পাইনা। পরে আমি খুব অনুশোচনা করি এই কাজটা কি আমিই করেছি? আমাকে এমন অনুশোচনায় ফেলবে না ঠিকাছে?” সে ভয় পেয়ে যায়। আমি বললাম “এই দেখো মেয়ে ভয় পেয়েছে। আমার কি দোষ বলো। আমি তো তোমার বয় ফ্রেন্ডকে একটা চাকরি দিয়েছিলাম। তোমাদের সম্পর্কের একটা নাম দিতে চেয়েছিলাম। তোমার বয় ফ্রেন্ডের প্রতি তোমার অগাড় বিশ্বাস ছিল। কিন্তু তোমার এই বিশ্বাসের মর্যাদা রেখেছে ও। আচ্ছা এই কথা বাদ। তোমার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে ত্রিশ দিন হয়েছে আজ। এই ত্রিশ দিনে আমার প্রতি তোমার চোখে ভালোবাসাটা দেখতে পাইনি আমি। জানো আমার খুব ইচ্ছে হয় তোমাক নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজতে। রাতরে রুপালি চাঁদের আলো দেখতে। তোমাকে ভালোবাসতে। আমাকে তুমি না ভালোবাসো। শুধু আমার ইচ্ছে গুলোকে একটা প্রাণ দিয়ে কেমন?” জেনিয়া চুপ করে রইলো। আমি তার চোখের কোনে জল দেখছি। সে জল হাত দিয়ে মুছে বললাম “এতো নড়ছো কেন? মেহেদী দিচ্ছি তো।”

.

তিন

.

এই সন্ধ্যার সময়টায় আমি আবিদের সাথে দেখা করতে এসেছি রেস্টুরেন্টে। তার চেহারাটায় কেমন যেন বিষন্নতার ছোয়া লেগে আছে। এই বিষন্নতার মাঝে আমি দেখতে পাচ্ছিলাম ভালোবাসার মর্যাদা না রাখার এক মানুষকে। আমি খুব শান্ত ভাবে বললাম “কি খাবেন?” সে মাথা নেড়ে বুঝায় কিছু খাবে না। আমি বললাম “আপনাকে এখানে ডাকার কারণ নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন?” সে আমার দিকে অদ্ভুত মায়া মায়া দৃষ্টিতে তাকায়। আমি সেই অদ্ভুত মায়া মায়া দৃষ্টিকে উপেক্ষা করে বললাম “যে মানুষটা আপনার ছিল সেই মানুষটা এখন আপনার না। সে মানুষটা এখন অন্যকারো। অন্যজন এই মানুষটাকে নিয়ে স্বপ্ন আঁকে। আর এই স্বপ্নের মাঝে আপনি ঢুকে যাচ্ছেন। এটাকে কি ভদ্রতা বলে বলুন?” সে কি প্রত্যুত্তর দিবে ভেবে পায় না। আমি তার চুপ থাকা দেখে বললাম “আর কখনো ওকে ডিস্টার্ব করবেন না ঠিকাছে? ফের যদি ডিস্টার্ব করেন আপনার সাথে খুব খারাপ হবে মি. আবিদ সাহেব।” এটা বলে আমি চেয়ার থেকে উঠে আবার বললাম “মানুষটাকেও হারিয়েছেন আর চাকরিটাকেও হারিয়েছেন। এই কার্ডটা রাখেন। এটা আমার বন্ধুর কার্ড। জীবনটাকে আবার নতুন করে সাঁজান পরিবারের কথা চিন্তা করে। চাকরি করার ইচ্ছা হলে ওর সাথে দেখা করবেন। ওকে আমি বলে রেখেছি সব। চললাম। বেস্ট অব লাক।

.

মাঝে মাঝে আমি অনুধাবন করি এই আমি মানুষটা এমন কেন? নিজের ভিতরের অনুভূতিকে একটা রুপ দিতে চেতনায় অন্যের অনুভূতির মাঝে প্রবেশ করে নিজের করে নেই। আমার খুব ইচ্ছে করে অনেক অনেক দুরে গিয়ে আমার ভাবনা গুলোকে নিয়ে একটু ভাবতে। এই ভাবনার মাঝে আলো আর আঁধারটাকে খঁজে বের করতাম। খঁজে বের করতাম এই আলো আঁধারের মাঝে আমি কোথায় আছি?

.

ত্রিশ মিনিট পরে আমি বাসায় আসতেই জেনিয়ার মুখটা দেখে আমার ভিতরটা ধক করে উঠে। তার মুখে লেগে থাকা বিষন্ন ছাপ্টা আমি যখন দেখি আমাকে একটা ক্লান্তির ছায়া ঘিরে ধরে। এই ক্লান্তিটা আমার সমস্থ দেহকে অবশ অনুভূতির দেয়ালে আচ্ছোন্ন করে ফেলে। আমি তাকে বললাম "এখন থেকে আবিদ তোমাকে আর ডিস্টার্ব করবে না।" সে চুপ করে থাকে। আমিও চুপ করে থাকি। এই চুপ থাকার মাঝে আমি বুঝতে পারছিলাম আমাদের দুজনের দুরুত্বটা।

.

পোশাক চেঞ্জ আর ফ্রেশ হওয়ার ত্রিশ মিনিট পর ও আমার সামনে এসে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে। আমি বললাম "কিছু বলবে?" সে শাড়ির আচল আঙ্গুলের মাঝে পেচিয়ে আমাকে খুব ইতস্তত করে বললো "জীবনটা এমন কেন বলতে পারেন? যাকে এতো এতো ভালোবাসলাম সেই আমার সাথে এমন করলো। কেন করলো এমন আমার সাথে?" আমি চুপ করে থাকি। এই কথার কি প্রত্যুত্তর দিব বুঝতে পারি না। আমার মাঝে মাঝে নিজেকে নিয়ে উদ্ভট পাগল মনে হয়। আমার চুপ থাকা দেখে জেনিয়া আবার বললো "ঐদিন আপনি যখন ঘুমিয়ে ছিলেন আবিদ ফোন করে খুব কান্না করেছিল। আমার ভিতরটার মাঝে বিষাদের ছায়া বাসা বেধে গিয়েছে। আমি ওকে বুঝালাম এখন আমার একটা সংসার আছে। তুমি আমার সাথে আর যোগাযোগ রাখিও না। তারপর শেষবারের মত আমার সাথে একবার দেখা করতে চেয়েছে। আপনাকে আমি বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বিষয়টা নিয়ে আপনি কি ভাবছেন আমি জানি না। আমাকে মাফ করবেন। আপনি তো আমার স্বামী। স্বামীর কাছে এই বিষয়টা আড়াল করা আমার একদম উচিৎ হয়নি।" এইটা বলেই ও থামলো। ওর চোখের কোনে জল আসে। এতো ঝড়ের মাঝে সময়ের বিষন্নতায় তার সব অনুভূতি ত্যাগ করে আমার অনুভূতির দরজায় সে। জেনিয়া চোখের জল মুছে বললো "খেতে আসেন। আপনার পছন্দের খিচুড়ি রান্না করেছি।" এই কথার উত্তরে কি বলা যায় আমি ভাবছিলাম। তার এই কথার মাঝে নিশব্দ কান্না গুলোকে আমি দেখতে পাচ্ছি। আমার দেয়ালের চারপাশে বিষন্নতা গ্রাস করে। কিন্ত এই বিষন্নতা তৈরি করতে আমার তো কোন দোষ নেই। শর্ত অনুযায়ী সে আমার। 

.

পরিশিষ্ট।

গতকাল আমি বাসায় ত্রিশ মিনিট আগে এসেছি। কিন্তু তোমায় বাসায় দেখতে পাইনি। বাসায় তুমি আসার পর যখন তোমাকে জিজ্ঞেস করলাম তখন তুমি বললে বান্ধবীর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলে। আমি আর কিছু বলিনি। এতোটা সময় পার হয়ে গেলো অথচ তুমি আমার কাছে এখনো সত্যটা বলোনি। আমি অপেক্ষা করছিলাম তোমার সত্যটা শোনার জন্য। অফিস থেকে ফেরার পথে আমি কিন্তু ঠিকি তোমাকে দেখেছি তোমার পুরানো বয় ফ্রেন্ডের সাথে।” সে চুপ করে থাকলো। এই চুপ থাকার অর্থ আমি বুঝতে পারছিলাম না। আমি বললাম “উত্তর দাও মেয়ে।” সে তারপরও চুপ করে থাকলো। আমি বললাম “কি ভুল হয়ে গেছে?” সে মাথা নেড়ে বুঝায় ভুল হয়ে গেছে। আমি একটু হেসে বললাম “আর এমন করবে না কেমন? আমার খুব রাগ হয়। আমি মানুষটা অনেক ভালো। কিন্তু এই ভালো মানুষটার রাগ যখন বেড়ে যায় তখন কি করে ফেলি নিজেই ভেবে পাইনা। পরে আমি খুব অনুশোচনা করি এই কাজটা কি আমিই করেছি? আমাকে এমন অনুশোচনায় ফেলবে না ঠিকাছে?” সে ভয় পেয়ে যায়। আমি বললাম “এই দেখো মেয়ে ভয় পেয়েছে। আমার কি দোষ বলো। আমি তো তোমার বয় ফ্রেন্ডকে একটা চাকরি দিয়েছিলাম। তোমাদের সম্পর্কের একটা নাম দিতে চেয়েছিলাম। তোমার বয় ফ্রেন্ডের প্রতি তোমার অগাড় বিশ্বাস ছিল। কিন্তু তোমার এই বিশ্বাসের মর্যাদা রেখেছে ও। আচ্ছা এই কথা বাদ। তোমার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে ত্রিশ দিন হয়েছে আজ। এই ত্রিশ দিনে আমার প্রতি তোমার চোখে ভালোবাসাটা দেখতে পাইনি আমি। জানো আমার খুব ইচ্ছে হয় তোমাক নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজতে। রাতরে রুপালি চাঁদের আলো দেখতে। তোমাকে ভালোবাসতে। আমাকে তুমি না ভালোবাসো। শুধু আমার ইচ্ছে গুলোকে একটা প্রাণ দিয়ে কেমন?” জেনিয়া চুপ করে রইলো। আমি তার চোখের কোনে জল দেখছি। সে জল হাত দিয়ে মুছে বললাম “এতো নড়ছো কেন? মেহেদী দিচ্ছি তো।”

.

তিন

.

এই সন্ধ্যার সময়টায় আমি আবিদের সাথে দেখা করতে এসেছি রেস্টুরেন্টে। তার চেহারাটায় কেমন যেন বিষন্নতার ছোয়া লেগে আছে। এই বিষন্নতার মাঝে আমি দেখতে পাচ্ছিলাম ভালোবাসার মর্যাদা না রাখার এক মানুষকে। আমি খুব শান্ত ভাবে বললাম “কি খাবেন?” সে মাথা নেড়ে বুঝায় কিছু খাবে না। আমি বললাম “আপনাকে এখানে ডাকার কারণ নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন?” সে আমার দিকে অদ্ভুত মায়া মায়া দৃষ্টিতে তাকায়। আমি সেই অদ্ভুত মায়া মায়া দৃষ্টিকে উপেক্ষা করে বললাম “যে মানুষটা আপনার ছিল সেই মানুষটা এখন আপনার না। সে মানুষটা এখন অন্যকারো। অন্যজন এই মানুষটাকে নিয়ে স্বপ্ন আঁকে। আর এই স্বপ্নের মাঝে আপনি ঢুকে যাচ্ছেন। এটাকে কি ভদ্রতা বলে বলুন?” সে কি প্রত্যুত্তর দিবে ভেবে পায় না। আমি তার চুপ থাকা দেখে বললাম “আর কখনো ওকে ডিস্টার্ব করবেন না ঠিকাছে? ফের যদি ডিস্টার্ব করেন আপনার সাথে খুব খারাপ হবে মি. আবিদ সাহেব।” এটা বলে আমি চেয়ার থেকে উঠে আবার বললাম “মানুষটাকেও হারিয়েছেন আর চাকরিটাকেও হারিয়েছেন। এই কার্ডটা রাখেন। এটা আমার বন্ধুর কার্ড। জীবনটাকে আবার নতুন করে সাঁজান পরিবারের কথা চিন্তা করে। চাকরি করার ইচ্ছা হলে ওর সাথে দেখা করবেন। ওকে আমি বলে রেখেছি সব। চললাম। বেস্ট


Tanvir Arafat

93 Blog posts

Comments