ডায়রির পাতা

ডায়রির পাতা

২৪ নভেম্বর

করন থাপর লিখেছেন হিন্দুস্থান টাইমস। ‘ডু উই পাস দ্য তসলিমা টেস্ট?’ ‘The India

ডায়রির পাতা

 

২৪ নভেম্বর

 

করন থাপর লিখেছেন হিন্দুস্থান টাইমস। ‘ডু উই পাস দ্য তসলিমা টেস্ট?’ ‘The India I would be proud of would welcome Taslima Nasreen and grant her sanctuary. The India I’m embarrassed by wreaks violence on the streets of Calcutta, van dalises art schools in Baroda and threatens peaceful worshippers in Sirsa. Alas, that is the India I live in.’

 

চমৎকার লেখা। কিন্তু লেখাটির শুরুতে লিখেছেন, ‘Taslima Nasreen may not be a great novelist. She may even be motivated by a quest for publicity. And many say she deliberately and calculatedly compromises other people by revealing their personal secrets. But those are literary or moral judgements. No doubt each of us will accept or reject them as we deem fit. The question is, do we have a right to silence her voice because of them?’

 

করন থাপর আমার লেখা পড়েননি, তা অনুমান করতে পারি। লেখা না পড়েও লেখকের মত প্রকাশের অধিকারের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। লেখা যারা বুঝে পড়েছেন, আমাকে যাঁরা ব্যক্তিগতভাবে সঠিক চিনেছেন, তাঁরা জানেন আমি কী লিখি, কেন লিখি। পাবলিসিটি পাওয়ার জন্য লিখি, ভালো কোনও সাহিত্যিক নই, বিতর্ক তৈরি করার জন্য লিখি –ইত্যাদি কথা বাতাসে ভাসতে শুরু করেছে সে অনেক বছর। সেই বাংলাদেশের আমল থেকেই। বাংলাদেশ আর ভারতে পার্থক্য তো খুব বেশি নেই, থাকলেও বাতাসের পার্থক্যটা নেই বললেই চলে। এই হাওয়ার মন্ত্র থেকে মন সরিয়ে অন্য একটি বিশ্বাস এবং ধারণা তৈরি করা কম কঠিন নয়। অনেকে কঠিন কাজটি করেন। অনেকে বাতাসে ভর দিয়েই চলেন। যদি একটুও নিজের প্রতি যত্ন নিতাম, তবে লেখার প্রতিও যত্ন নিতাম, ইংরেজি এবং অন্যান্য ভাষায় অনুবাদ বার করার চেষ্টা করতাম। কিন্তু এ ব্যাপারে আমার চিরকালের উদাসীনতা। লিটারেরি এজেন্টদের তাড়িয়েছি। জাল বইয়ে ভারত আর বাংলাদেশ ছেয়ে গেছে। বই নিয়ে যা ইচ্ছে তাই হয়েছে। জগতের কত লোক বই পড়তে চেয়েছে, সুযোগই হয়নি।

 

.

 

২৭ নভেম্বর

 

‘..তসলিমা নাসরিনকে পশ্চিমবঙ্গ হইতে সরাইয়া দিবার সিদ্ধান্ত আগেই পাকা হইয়া গিয়াছিল। এই সিদ্ধান্ত, এবং যে ভাবে তাহা কার্যকর হইয়াছে, তাহা সম্পূর্ণ অবাঞ্ছিত এবং অনৈতিক। প্রথমত, তসলিমা নাসরিনের নিরাপত্তার জন্য তাঁহাকে অন্য রাজ্যে প্রেরণের কোনও প্রয়োজন ছিল না, এই শহরেই তাহার সুবন্দোবস্ত করা সরকারের অসাধ্য ছিল না। সঙ্গত কারণেই সন্দেহ হয়, নিরাপত্তার যুক্তিটি অজুহাত মাত্র, তাঁহার মৌলবাদী বিরোধীদের সন্তুষ্ট করিবার বাসনাতেই তাঁহাকে অপসারণ করা হইয়াছিল। দ্বিতীয়ত, যে প্রক্রিয়ায় এই স্থানান্তর তথা অপসারণ ঘটানো হইয়াছে, তাহা অত্যন্ত আপত্তিকর। প্রশাসন, দল, এবং উভয়ের ঘনিষ্ঠ প্রতিপত্তিশালী ব্যক্তিবর্গের এই যোগসাজসের পরম্পরা একটি সামগ্রিকভাবে অসুস্থ পরিবেশের সংকেত দেয়, যাহা একটি উদার আধুনিক শাসনতন্ত্রের পরিপন্থী। তৃতীয়ত, ইহা মৌলবাদীদের অন্যায় দাবির নিকট আত্মসমর্পণ। এবং ইহাই সর্বাপেক্ষা উদ্বেগজনক। পশ্চিমবঙ্গের শাসকরা উঠিতে বসিতে নিজেদের ধর্মনিরপেক্ষতার বড়াই করেন, কিন্তু কার্যক্ষেত্রে বার


Rx Munna

447 Blog posts

Comments