এগারো জুলাই, সোমবার
খবরগুলো দেখি। খবরগুলো জামাতে ইসলামীর। জামাতে ইসলামী ৪ দফা দাবির স্মারকলিপি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে যাচ্ছে।
৪ দফার প্রথম দাবি ধর্মজাতি ও রাষ্ট্রবিরোধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান। বাকি দাবি জাতীয় সংসদে জামাতে ইসলামির আনা ধর্ম অবমাননাকারীদের শাস্তির বিধান সম্বলিত আইন প্রণয়নের বিল পাস করা, কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা করা, এনজিওদের জাতি, ধর্ম ও সামাজিক মূল্যবোধ বিরোধী তৎপরতা বন্ধ করা। বিশাল সমাবেশ হল হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কোম্পানীর সামনে। সেখানে মওলানা মতিউর রহমান নিজামী ভাষণ দিলেন। বললেন বর্তমান সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোনও অধিকারই নেই। কারণ এই সরকার ধর্মদ্রোহী তসলিমার এবং কাদিয়ানি ও এনজিওগুলোর জাতীয় স্বার্থবিরোধী কাজ প্রতিহত করার দায়িত্ব মোটেও পালন করেনি। জামাতে ইসলামীর আরও নেতা বক্তৃতা করেন। তারপর মহামান্য নেতাগণ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপিটি দেন। খবরগুলো দেখি, জাতীয় সংসদে আজ সোমবার তসলিমাকে নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ইসলামী ঐক্যজোটের নেতা ওবায়দুল হক সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির ৬৮ ধারা অনুযায়ী সংক্ষিপ্ত আলোচনার জন্য সংসদ সচিবালয়ে নোটিশ জমা দিয়েছিলেন। খবরগুলো একসময় আর দেখতে ইচ্ছে করে না। আর আমার জানতে ইচ্ছে করে না সংসদে কি কি কথা হল আমাকে নিয়ে। আমি জানি কি কথা হবে, কেমন কথা হবে। আমি জানি আমাকে আজ কোথায় কোন অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে মানুষ। অল্প কজন মানুষ আমার যে পাশে আছেন তা ঠিক, কিন্তু দেশের বেশির ভাগ মানুষই আমার পাশে নেই। দেশের বেশির ভাগ মানুষই কায়মনোবাক্যে আমার মৃত্যু চাইছে। জানি আমি।
বলা নেই কওয়া নেই হঠাৎ ক আর তার বন্ধু গভীর রাতে এসে ঘোমটা মাথার আমাকে তুলে নিলেন গাড়িতে। গাড়ি থামল ঝর বাড়িতে। ঝ অপেক্ষা করছিলেন গেটের কাছে। আমাকে নিয়ে তুললেন সেই ঘরে, সেই পুরোনো ঘরে।