অতলে অন্তরীণ – ৩৫

আট জুলাই, শুক্রবার

আজ দুপুরে খাবার নিয়ে জ-র কন্যা এল। দুশ্চিন্তাগুলোকে

আট জুলাই, শুক্রবার

 

আজ দুপুরে খাবার নিয়ে জ-র কন্যা এল। দুশ্চিন্তাগুলোকে আপাতত দূরে সরিয়ে জীবনের ছোটখাটো জিনিস নিয়ে যদি মগ্ন হতে পারতাম! কিন্তু কি করে তা সম্ভব। জর কন্যার সঙ্গে কথা বলতে বলতে বারবার আনমনা হয়ে পড়ি। মন স্থির হতে পারে না কোথাও। ভেতরে তুমুল তুফান নিয়ে বাইরে স্থবির বসে থাকতে হয়, এমনই স্থবিরতা যে একটু বাতাসও বয় না ভুল করে। জর কন্যার মুখে কুয়োকাটার গল্প শুনি, শুনতে থাকি, মন কিন্তু আমার কুয়োকাটায় নয়, মন বায়তুল মোকাররমে, মন পল্টনে, মন মিছিলে, মিটিংএ। রাতে ঙ এলেন। দেশের ভয়াবহ অবস্থার কথা বর্ণনা করেন তিনি। ভয়াবহ অবস্থাই বটে। জামাতে ইসলামীর সমাবেশ হয়েছে। ধর্মদ্রোহী, জাতিদ্রোহী, নাস্তিক ও মুরতাদদের শাস্তির দাবিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে জামাত। পল্টনের বিশাল সমাবেশে মতিউর রহমান নিজামী বলেছেন, জ্ঞদেশ আজ দুই দলে বিভক্ত। একদল কোরানের পক্ষে, অন্যদল বিপক্ষে। কোরানের বিরুদ্ধ শক্তিকে প্রশ্রয় দিয়ে বিএনপি ধর্মপ্রাণ ভোটারদের সমর্থন পাবার অধিকার হারিয়েছে। তাদের কাজের এই ধারা অব্যাহত থাকলে অচিরেই সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হবে। যে ক্ষুদ্রগোষ্ঠী ইসলাম ও কোরানের বিরুদ্ধে বলছে ও লিখছে তারা দেশ, জাতি ও সংবিধান বিরোধী। বাক স্বাধীনতার অজুহাত তুলে এরা ধর্মের বিরুদ্ধে বলছে। পৃথিবীর কোথাও এমন নজির নেই। বিএনপি সরকার এদের দমন করতে ব্যর্থ। তারা এক্ষেষেন অদক্ষতা ও অদূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছে। আমি তাদের পরিস্কার ভাষায় আরেকবার সতর্ক করে বলতে চাই, এর পরিণাম ভাল হবে না। এর জন্যে তাদের বড় ধরনের মূল্য দিতে হবে। সরকারের এনজিও বিষয়ক ব্যুরো ৫২টি এনজিওর বিরুদ্ধে দেশের স্বার্থ ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উত্থাপন করেছে। সরকার এ ক্ষেষেনও স্পষ্ট ভূমিকা রাখতে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। তারা যদি ব্যর্থতার এই ধারা বজায় রাখে তবে তাদের পক্ষে বেশিদিন আর ক্ষমতায় টেকা সম্ভব হবে না। .. কোরান না থাকলে আমরা থাকি না। আমরা কোরানের মর্যাদা রক্ষার জন্য সংগ্রাম করছি। দেশে যারা ধর্মদ্রোহিতা করছে আমরা শুধু তাদের বিরুদ্ধে নই বরং তাদেরকে আন্তর্জাতিক যেসব মুরুব্বি নাচাচ্ছে, আমরা তাদের বিরুদ্ধেও। .. বিএনপির মধ্যে ওৎ পেতে থাকা রাম ও বামপন্থীরা বার বার মুসলিম জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে। সরকার এসব ট্যাকল করতে না পারলে তাদের ভবিষ্যত অন্ধকার।’ বক্তাদের মধ্যে ছিলেন মতিউর রহমান নিজামি, মাওলানা আবদুস সোবহান (দুজনই সংসদ সদস্য), মুহম্মদ কামরুজ্জামান, আবদুল কাদের মোল্লা, জসিম উদ্দিন সরকার, সাইফুল ইসলাম খান মিলন, আবু জাফর মোহাম্মদ ওবায়েদুল্লাহ ইত্যাদি লোকজন।

 

ইসলাম ও কোরানের অবমাননাকারীদের শাস্তির দাবিতে ১৩টি সংগঠনের সংগ্রাম পরিষদ গঠন হয়েছে। এই পরিষদে আছেন তাঁদের দলবলসহ বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা ওবায়দুল হক, নারিন্দার পীর সাহেব, ইসলাম ও রাষ্ট্রদ্রোহী


Rx Munna

447 Blog posts

Comments