বাইশ জুলাই, শুক্রবার
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন তসলিমা নাসরিনকে বাংলাদেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থাকে অনুসরণ করতে হবে। সেটাই তার জন্য মঙ্গলজনক। আজকের কাগজের সাংবাদিকের সঙ্গে তিনি টেলিফোনে তসলিমা বিষয়ে কথা বলেছেন। ইউরোপীয় দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা লেখিকা তসলিমাকে বাংলাদেশের বাইরে যে কোনও দেশে যেতে দেবার যে আবেদন জানিয়েছে তার জবাবে সরকার কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে? বললেন, আমরা এখনও এর জবাব চূড়ান্ত করিনি। ৩০ জন মার্কিন সিনেটরসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, তাঁরা অভিযোগ আনছেন যে লেখিকা তসলিমা নাসরিনের বিরুদ্ধে মামলা করে সরকার মৌলবাদীদের সোচ্চার হতে সাহায্য করেছে। এর জবাবে সরকারের পক্ষ থেকে আপনি কি বলবেন? মন্ত্রী বলেছেন, ২৯৫(ক) ধারায় যে মামলাটি করা হয়েছে, সেই আইনটি বৃটিশরা অত্যন্ত সুচিন্তিত ভাবে প্রণয়ন করে গেছেন। আজকে যদি সরকার নিজে মামলা না করত, তবে দেশের ৬৪টি জেলার কোর্ট থেকে কেউ না কেউ মামলা করে বসত। তখন মেয়েটার অবস্থা কি হত? এই আইনে তাই সরকারকেই মামলা করতে হয়েছে যাতে অন্যরা মেয়েটিকে হয়রানি করার সুযোগ না পায়। যদিও এই আইনটি নন বেইল-এবল, তবু কোর্টের পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে মেয়েদের প্রতি উদার সিদ্ধান্ত নেবার। সরকার কি জামাত আর মৌলবাদীদের দাবি অনুসারে ব্লাসফেমি আইন প্রণয়ন করবে? আমি তো পার্লামেণ্টে একবার বলেছি এই ধরনের আইন প্রণয়নের ব্যাপারে পার্লামেন্টই সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি কি? সরকার এই মুহূর্তে কিছু ভাবছে না। তবে ভবিষ্যতে যে ভাববে না তা এখনই বলা যাচ্ছে না। আমরা সর্বতোভাবে চাইব দেশের আইনগুলোর ধর্মনিরপেক্ষ ব্যবহার এবং ধর্মনিরপেক্ষ আইনের সংরক্ষণ। দেশের মৌলবাদী তৎপরতায় দাতাদেশগুলোর ক্রমাগত উদ্বেগের ফলে দেশের উন্নয়নের প্রয়োজনে বিদেশি সাহায্য প্রবাহে কোনও অসুবিধে হবে কি? না অতটা খারাপ অবস্থা ঘটার মত দুর্ভাগ্যের কোনও কারণ দেশে ঘটেনি। দেশে মৌলবাদী শক্তিগুলো যে ক্রমাগত রাজনৈতিক শক্তি অর্জনের চেষ্টা করছে সেদিকে তাকিয়ে সরকার কি চিন্তিত? সরকারের জন্য তারা থ্রেট হয়ে উঠছে কি? তাদের এই তৎপরতা খুবই সাময়িক। সরকার বা বিএনপির জন্য তারা কোনও ফ্যাক্টর না। গোলাম আযমের ব্যাপারে আইন যেমন নিজস্ব ধারায় চলেছে, তেমনি তসলিমাnর