এই কবিতাটির সাথে আমরা কম বেশি সবাই পরিচিত । খুব সুন্দর কবিতাটিতে কত আবেগ ,কত দয়া শীল ভাবনা রয়েছে ।চোখের জল যেন বেরিয়ে আসবে । মনের মত একটি কবিতা, যখনই এই কবিতাটি মনে পড়ে তখন সেই ছোট কালের কথা মনে পড়ে এবং কোথায় যেন মোনটা হারিয়ে যায় কবিতায় । কবিরা ঈশ্বরেরই অস্তিত্ব, চোখের জলকে টেনে বের করে আপ্লুত করে দেয়।
কাজলা দিদির জন্য চোখ ভিজে ওঠে না এমন পাঠক খুঁজে পাওয়া মুসকিল। কবিতায় দিদি হারানো ছোট্ট এক বোন তার মার সাথে দিদিকে নিয়ে নানা কথাবার্তা বলে এবং সে বিশ্বাস করে তার কাজলা দিদি একদিন ঠিক ফিরে আসবে। যে বোনটি জানে না বা তখনো তার বোঝার বয়স হয়নি মৃত্যু কী।
অসম্ভব মন খারাপ করা, শূন্যতা সৃষ্টি করা একটি কবিতা বলে হয়তো পাঠকের হৃদয়ে এর ঠাঁই হয়েছে। এই যে কাজলা দিদি নামের একটি চরিত্র সৃষ্টি করে, একটি কবিতা সৃষ্টি করে কবি যতীনন্দ্রমোহন বাগচী বেঁচে আছেন এখানেই কবির স্বার্থকতা ।
না জানি কত হারিয়ে যাওয়া দিদির খোঁজ করছে তাদের ভাই বোনেরা ?? ছোটবেলার শোনা কবিতা আজ অন্য মানে নিয়ে দেখা দিল।