এখানেই শেষ নয়

এখানেই শেষ নয়

সপ্তাহটি নীলার কেটে যায় সংসারী গৃহবধুর মতো। সকাল সাতটায় রেডিয়োর খবর প্রতিদিন বেনোয়াক??

এখানেই শেষ নয়

 

সপ্তাহটি নীলার কেটে যায় সংসারী গৃহবধুর মতো। সকাল সাতটায় রেডিয়োর খবর প্রতিদিন বেনোয়াকে ঘুম থেকে জাগায়, সঙ্গে নীলাকেও। একবার সে বলেছিল, রেডিয়োটা এমন বোমার মতো বেজে ওঠে, যে আঁতকে উঠি। ঘুম পুরো হয় না। বেনোয়া বলেছে, খুব বেশি ঘুমোও তুমি, বেশি ঘুমোলে শরীর ভারী হয়ে যায়। শরীর ভারী হয়ে যাবার ভয়ে, নীলা ঘুম থেকে উঠতে থাকে রেডিয়োর শব্দে। উঠে বেনোয়ার জন্য সকালের খাবার তৈরি করতে রান্নাঘরে ঢোকে। এক একদিন একেক রকম প্রাতরাশের ব্যবস্থা করে সে, বেনোয়ার রুচি পরিবর্তনের জন্য। ঠোঁটে চুমু খেয়ে ও আপিসে চলে গেলে নীলা ঘরদোর গোছায়, কাছের দোকান থেকে বেনোয়া যা যা ভালবাসে তা কিনে এনে রান্না করে, আর ঘড়ি দেখে বেনোয়ার ফিরে আসার, ফোনের শব্দ হলে লাফিয়ে যায় ফোন ধরতে। বেনোয়া জিজ্ঞেস করে কী কী করেছে নীলা সারাদিন, নীলা বিস্তারিত বর্ণনা করে। শেষে জিজ্ঞেস করে, আমাকে ভালবাসো? নীলা বলে, হ্যাঁ বাসে। দিনে বেশ কয়েকবার বেনোয়ার এই নিশ্চিতি দরকার হয়। সন্ধেয় ঘরে ফিরে বেনোয়া প্রথম নীলাকে জড়িয়ে চুমু খেয়ে নেয়, তারপর টেলিভিশন খুলে বসে, খাবার ডাক পড়লে খেতে আসে। টেলিভিশনে এর মধ্যে একদিন ভারতের ওপর একটি তথ্যচিত্র দেখিয়েছে, বেনোয়া লাফিয়ে উঠেছে, এসো এসো ভারত ভারত। নীলাকে দেখতে হয়েছে সোনাগাছির মেয়েদের মিছিল। ওদের অধিকার আন্দোলন নিয়ে মূলত তথ্যচিত্রটি। বেনোয়া দেখেছে আর বলেছে, ইস তোমাদের দেশে এত বেশ্যা! নীলা অন্য কথা পেড়েছে বেনোয়ার মন ফেরাতে, আজ তোমার জন্য শামুক কিনেছি। চেখে দেখার আগেই বেনোয়া উমমম উমমম করেছে। ভারতীয় ধ্রুপদী সংগীত শুনিয়ে বেনোয়াকে চমকিত করতে হরিপ্রসাদ চৌরাশিয়ার বাঁশি চাপিয়ে দিয়ে বেনোয়ার উল্লসিত হওয়া দেখতে তাকিয়ে থেকেছে নির্নিমেষ, বেনোয়া বলেছে, নীলা তুমি কিছু মনে কোরো না, আমি এটা পালটে দিচ্ছি, বলে ফরাসি গানের একটি সি ডি চাপিয়েছে, কেন তুমি চৌরাশিয়ার এমন ভাল বাঁশি পছন্দ করলে না? বেনোয়া দুঃখিত স্বরে শুধু বলেছে, ওয়েল নীলা, ইটস নট মাই কাপ অব টি। বেনোয়া তার ফরাসি কাপ অব টি একাই পান করেছে, একাই পান করে। নীলাকে একদিন হাতে খেতে দেখে বেনোয়া বড় বড় চোখ করে যেন আফ্রিকার জঙ্গল দেখছে তাকিয়েছিল বলে নীলা হাত


Rx Munna

447 Blog posts

Comments