দুপুরে আলতাফের বন্ধু মনজুরের স্ত্রী রুবিনা আসে আমার কাছে। গল্প করতে। কাছেই বাড়ি। কাজ নেই। স্বামী দুবাই গেছে। অবসর কাটে না। আমার সঙ্গে অবসর কাটাতে এসেছে।
রুবিনা ঠোঁটে হাসি চেপে বলে–ভাবী, বাচ্চা টাচ্চা নিচ্ছেন না, আরও এনজয় করে পরে নেবেন বুঝি?
–এনজয় মানে?
রুবিনা অপ্রস্তুত হয়। স্বামী স্ত্রীর ‘এনজয়’ কী তা যদি বিবাহিত মেয়ে হয়ে বুঝতে পারি তবে তো করবার কিছু নেই তার।
সে কাটিয়ে নিয়ে বলে–হুম, লুকোনো হচ্ছে! রুবিনার সঙ্গে আমি সোয়াসদি, ভিডিও কানেকশন, স্কাই রুমের খাবার এসব নিয়ে কথা বলি। তুচ্ছ কথা বার্তা। ও এসব কথায় থাকে না। নাটাই থেকে সুতো ছাড়ে আমাকে ওড়ায়। চোখ ছোট করে হাসে। বলে–আলতাফ ভাই কি রাতে খুব জ্বালায় আপনাকে?
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে উত্তর দিই–হ্যাঁ।
রুবিনা বিছানায় আরাম করে বসে। বলে–কটা পর্যন্ত?
–মানে?
–মানে কটায় ঘুমোতে দেয়?
হেসে বলি–ঘড়ি দেখি না।
–তার মানে অনেকক্ষণ চলে! মনজুর তো একঘন্টার আগে শেষ করে না। রুবিনার ঠোঁটের কোণে হাসি ঝিলিক দেয়।–আলতাফ ভাইএর সময় কি রকম?
ও রসালো কিছু আমার মুখ থেকে শুনতে চাইছে। কিন্তু এসব কথা কি করে বলতে হয়, এসব কী ভাষায় বর্ণনা করা যায়, আমি জানি না। আলতাফ আমাকে শেখায়নি কিছু। আমি চুপ হয়ে থাকি। রুবিনা আমার হাত টেনে কাছে বসায়। বলে–এত লজ্জা কিসের? আমাদের সঙ্গে মিশলে লজ্জা কোথায় পালায়, বুঝবেন। আমার জিভ তো অনেক ভাল, লিপি ভাবীর সঙ্গে কথা বললে যে কী অবস্থা হবে। ও এত স্ল্যাং জানে। রুবিনা জোরে হেসে ওঠে। আমি অবাক হয়ে দেখি কী প্রশান্তি ওর সারা মুখে। আমি হঠাৎ জিজ্ঞেস করি, আমি নিজেই প্রস্তুত ছিলাম না এই প্রশ্নটি করবার জন্য–আচ্ছা একঘন্টার কথা কী যেন বললেন!
রুবিনা চায়ে চুমুক দিয়ে আবার হাসে, বলে–মিনিমাম আধঘন্টা, ম্যাক্সিমাম একঘন্টা তো হয়ই।
–কী হয় একঘন্টা?
–কী আবার? যা করে পুরুষলোকে। আমারও পিক আসতে আধঘন্টা এক ঘন্টা লাগে। কখনও কখনও অবশ্য দশ পনেরো মিনিটেও হয়।
–পিক মানে?
–অরগাজম।
–অরগাজম মানে?
–অরগাজম জানেন না?
–না তো!
আমার চোখে অপার কৌতূহল। রুবিনার আরও পাশে সরে আসি। তার ভ্রু কুঞ্চিত হয়। বলে-ইজ ইট?
মাথা নেড়ে বলি-হ্যাঁ।
–ওহ সো কিড ইউ আর! আলতাফ ভাই বলে না কিছু?
–না।
–অরগাজম মানে কী আপনি বুঝতে পারছেন না? ওই যে সারাশরীরে একধরনের ফিলিংস হয়। তীব্র এক ভাল লাগা যাকে বলে। এরপর ঘুম