আমি একটি চাকরি খুঁজতে থাকি। চেনা পরিচিত ক’জনকে ফোনে বলি কোথাও কোনও কাজ টাজ পাওয়া যায় কি না দেখতে। সবাই অবাক হয়। বলে–তুমি চাকরি করবে কেন? তোমার না বিয়ে হয়েছে!
আমি বলি–বিয়ে হলে বুঝি চাকরি করতে নেই?
–স্বামী শুনেছি ইঞ্জিনিয়ার।
–স্বামী ইঞ্জিনিয়ার সে তো স্বামীর ব্যাপার। আমার নয়।
–তোমারও কিছু হতে হবে নাকি? তার টাকাই কি তোমার টাকা নয়?
–তার টাকা আমার টাকা হতে যাবে কেন? কোনও অর্থেই তার টাকা আমার টাকা নয়।
–কেন, সে কি টাকা পয়সা দেয় না? এটা ওটা কিনে দেয় না?
–তা দেবে না কেন? দেয়। কিন্তু সে তো তার দান হল। আমার নিজের তো কিছু হল না।
–নিজের আবার আলাদা করে লাগে না কি?
–নিশ্চয় লাগে। আমি যেহেতু একজন আলাদা মানুষ। কারও দ্বারা কোনও সাহায্য হয় না। বরং নানা রকম উদ্ভট প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় আমাকে। আর আমিও আশ্চর্য হই আমার এই বোধ জন্মালো কী করে যে আমাকে একজন আলাদা মানুষ হতে হবে। আমার বাড়ির পরিবেশ আমাকে এই বোধ জন্মাতে দেবার কথা নয়। তবে কি এসব নিজের ভেতরেই জন্মেছে! আপনা আপনি! নাকি আলতাফের স্বামী আমাকে সচেতন করিয়েছে যে স্বামীত্বের আরেক নাম প্রভুত্ব। আর তার প্রভুত্ব মানবার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না বলে আমার ভেতর অবচেতনেই জন্ম নিয়েছে একটি সত্ত্বা অর্জনের তাগিদ।
বাড়ি থেকে বেরোই। অনেকদিন এখানে গুমোট অন্ধকারে বসে ছিলাম। এখানেও কেমন দম বন্ধ লাগে। ধানমণ্ডিতে পাপড়ির বাড়ি, রিক্সা করে ও বাড়িতে যাই। বন্ধুদের মধ্যে ওকেই আমার সাহসী মনে হয় সবচেয়ে বেশি। এই বয়সে ইণ্ডিয়া ঘুরে এসেছে একা একা। ওর বাবা বলেন বাইরে একা ঘোরা অভ্যেস করা দরকার। মেয়েগুলো ঘরে বসে