গ্লোবাল ভ্যালু চেইন হলো একটি উৎপাদন প্রক্রিয়া যেখানে পণ্য ও সেবার বিভিন্ন পর্যায় আন্তর্জাতিকভাবে বিভক্ত। এটি বোঝায়, একটি চূড়ান্ত পণ্য উৎপাদনে কাঁচামাল সংগ্রহ, উৎপাদন, বিপণন এবং বিতরণের প্রতিটি ধাপ বিভিন্ন দেশে সম্পন্ন হয়।
বিশ্বায়নের অগ্রগতির ফলে গ্লোবাল ভ্যালু চেইন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বড় কোম্পানিগুলো উৎপাদনের খরচ কমাতে এবং দক্ষতা বাড়াতে তাদের কার্যক্রম বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে দেয়। উদাহরণস্বরূপ, একটি স্মার্টফোনের ডিজাইন হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রে, এর যন্ত্রাংশ উৎপাদিত হয় দক্ষিণ কোরিয়া বা জাপানে, আর চূড়ান্ত সংযোজন হয় চীনে।
গ্লোবাল ভ্যালু চেইন অর্থনীতির জন্য বহুমুখী সুবিধা নিয়ে আসে। এটি উৎপাদনকারীদের সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য উৎপাদনের সুযোগ দেয় এবং ভোক্তাদের জন্য পণ্যের দাম কমায়। উন্নয়নশীল দেশগুলো এতে অংশগ্রহণ করে নতুন প্রযুক্তি শিখতে পারে এবং বৈশ্বিক বাজারে প্রবেশাধিকার লাভ করে।
তবে, এর কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। উৎপাদনশীলতার উপর বেশি জোর দেওয়ার কারণে অনেক সময় শ্রমিকদের অধিকার উপেক্ষিত হয়। এছাড়া, সরবরাহ শৃঙ্খলের যেকোনো ব্যাঘাত, যেমন কোভিড-১৯ মহামারির সময় দেখা যায়, পুরো ব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
গ্লোবাল ভ্যালু চেইন আজকের বৈশ্বিক অর্থনীতির মেরুদণ্ড। সঠিক নীতি ও পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে এটি দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে এবং টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে।