স্টিরিওটাইপ কমেডির একটি প্রাচীন উপাদান, যা নির্দিষ্ট গোষ্ঠী বা চরিত্রের উপর প্রচলিত ধারণাকে মজার ছলে উপস্থাপন করে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে, কমেডিতে স্টিরিওটাইপের বিপর্যয় একটি নতুন প্রবণতা হিসেবে উঠে এসেছে। এটি স্টিরিওটাইপ ভেঙে নতুন এবং অপ্রত্যাশিত দৃষ্টিকোণ থেকে হাস্যরস তৈরি করে।
এই বিপর্যয়ের মূল ধারণা হলো প্রচলিত স্টিরিওটাইপকে চ্যালেঞ্জ করা। উদাহরণস্বরূপ, যদি একজন সাধারণত লাজুক হিসেবে চিত্রিত চরিত্র বিপরীতভাবে আত্মবিশ্বাসী হয় বা একজন তথাকথিত "খলনায়ক" গভীর মানবিক গুণাবলী প্রদর্শন করে, তবে সেটি দর্শকের মনে অপ্রত্যাশিত মজা এনে দেয়। এটি কেবল হাস্যরসই নয়, বরং গভীর বার্তা বা সামাজিক সমালোচনা দিতেও সক্ষম।
স্টিরিওটাইপের বিপর্যয় ব্যবহার করে কমেডি নির্মাতা বিভিন্ন সামাজিক ইস্যু, যেমন লিঙ্গভিত্তিক বা জাতিগত বৈষম্য, নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। এটি দর্শকদের প্রচলিত ধ্যানধারণা নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করে। উদাহরণস্বরূপ, সাম্প্রতিক জনপ্রিয় শো বা সিনেমায় দেখা যায়, নারীরা "ডামসেল ইন ডিস্ট্রেস" না হয়ে গল্পের চালিকা শক্তি হয়ে উঠছে।
এই প্রবণতা কেবল বিনোদনের জন্য নয়, বরং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে। স্টিরিওটাইপ ভেঙে নতুন আঙ্গিকে হাস্যরস সৃষ্টি করা একদিকে যেমন সৃজনশীলতা বাড়ায়, অন্যদিকে তা কমেডিকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সচেতন করে তোলে।