শৈশবের হাস্যরস ও কৌতুক একটি শিশুর মানসিক ও সামাজিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিশুরা সাধারণত প্রথমে পরিবার, বিশেষত বাবা-মা বা নিকটজনদের মাধ্যমে কৌতুকের ধারণা লাভ করে। এটি তাদের ভাষা শেখা, চিন্তাধারার বিকাশ এবং সামাজিক দক্ষতা অর্জনে সাহায্য করে।
হাস্যরস শিশুর আবেগ নিয়ন্ত্রণ এবং সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা বাড়ায়। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনো শিশু কোনো হতাশাজনক পরিস্থিতিতে হাস্যরস খুঁজে পায়, তবে তা তার মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক হয়। এই কৌশল পরবর্তী জীবনে আরও জটিল পরিস্থিতি মোকাবিলার ক্ষেত্রেও কার্যকর হতে পারে।
কৌতুক সামাজিক সম্পর্ক গড়তে সহায়তা করে। শৈশবে বন্ধুদের সঙ্গে মজার গল্প বা কৌতুক বিনিময় একটি শিশুর সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে। এটি দলগত কার্যক্রমে অংশগ্রহণ এবং সহমর্মিতা গড়ে তুলতেও সহায়ক।
তবে, পরিবেশের ভূমিকা এখানে গুরুত্বপূর্ণ। ইতিবাচক কৌতুক যেমন শিশুদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়, নেতিবাচক বা বিদ্রূপাত্মক কৌতুক তাদের আত্মসম্মানকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাই, শিশুদের হাস্যরস বোধ বিকাশে একটি সমর্থনমূলক পরিবেশ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
সার্বিকভাবে, শৈশবের কৌতুক শিশুর সৃজনশীলতা, আবেগপ্রবণতা এবং সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষমতাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। এটি শুধু আনন্দের মাধ্যম নয়, বরং ব্যক্তিত্ব বিকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার।