আতা একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল। এই ফলটি গ্রামীণ বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয় এবং এটি মূলত গ্রীষ্মমন্ডলীয় এলাকায় জন্মায়। আতার বাইরের অংশ সবুজ বা হালকা হলুদ বর্ণের এবং এর ভেতরে সাদা, মিষ্টি এবং দানাদার একটি অংশ থাকে।
আতা ফলের পুষ্টিগুণ অনেক। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ফাইবার, এবং পটাসিয়াম রয়েছে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। আতা দেহের স্নায়ু শিথিল করতে সাহায্য করে এবং মানসিক চাপ কমাতে কার্যকর। এছাড়া, এর ফাইবার হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে।
আতা ফলের বিশেষ একটি গুণ হলো, এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা দেহের ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিক্যালস থেকে রক্ষা করে। এটি ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং বার্ধক্য রোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। আতা ফলের বীজ থেকে তৈল উৎপাদন করা হয়, যা মাথার ত্বকের যত্নে ব্যবহৃত হয়।
সব মিলিয়ে আতা একটি সুস্বাদু, পুষ্টিকর এবং উপকারী ফল, যা সহজলভ্য ও স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এই ফলটি অন্তর্ভুক্ত করলে আপনি শারীরিক ও মানসিক উভয় দিক থেকে উপকৃত হবেন।