ইভটিজিং: সামাজিক সমস্যা ও প্রতিরোধের উপায়

ইভটিজিং বা যৌন হয়রানি একটি গুরুতর সামাজিক সমস্যা।

ইভটিজিং বা যৌন হয়রানি একটি গুরুতর সামাজিক সমস্যা। যা বিশেষ করে নারীদের জীবনকে প্রভাবিত করে । এটি এমন একটি আচরণ যা প্রকাশ্যে বা বেসরকারিভাবে মহিলাদের সম্মান ও মর্যাদা কে লংঘন করে এবং তাদের নিরাপত্তা ও শান্তি নষ্ট করে। ইভটিজিং একটি চ্যালেঞ্জিং সমস্যা যা আমাদের সমাজে অধিকাংশ ক্ষেত্রে অবহেলিত এবং গভীরভাবে উপেক্ষিত হয়ে থাকে। 

 

 

ইভটিজিং কি? 

 

ইভটিজিং বলতে বোঝানো হয় মহিলাদের উদ্দেশ্যে অসম্মানজনক মন্তব্য করা অশ্লীল ইঙ্গিত করা অপ্রত্যাশিত শারীরিক যোগাযোগ স্থাপন করা অথবা ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করা। এটি সাধারণত পাবলিক প্লেসে ঘটে যেমন সড়ক গণপরিবহন পার্ক ইত্যাদিতে এবং কখনো কখনো অফিস বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও হয়। 

 

 

প্রভাব: 

 

ইভটিজিং শুধুমাত্র একটি সামাজিক সমস্যা নয় এটি মানুষের উপর শারীরিক স্বাস্থ্য কে ক্ষতিগ্রস্ত করে থাকে। ইভটিজিং এর শিকররা নিজেদের নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করে যা তাদের দৈনন্দিন জীবনে নৈতিকতা প্রভাব ফেলে। 

 

 

প্রতিরোধ ও সমাধান: 

 

আইনগত ব্যবস্থা: আইন প্রণয়ন ও কঠোর বাস্তবায়ন অন্তত গুরুত্বপূর্ণ। ইভটিজিং এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

 

 

শিক্ষা ও সচেতনতা: ইভটিজিং প্রতিরোধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলো শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধি। স্কুল কলেজ এবং অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যৌনশিক্ষা ও সম্মানজনক আচরণের শিক্ষা প্রদান করা উচিত।


Ashikul Islam

314 Blog posts

Comments