বিদেশী সিনেমার ক্রমবিকাশ একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া, যা নানা ধরনের সাংস্কৃতিক, প্রযুক্তিগত ও শিল্পগত পরিবর্তন দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। চলচ্চিত্র শিল্পের শুরুর দিকে, বিশেষ করে ১৯০০-এর দশকে, বিদেশী সিনেমাগুলো ছিল মৌলিক এবং প্রযুক্তিগতভাবে সীমিত। তবে, ১৯১০-২০ এর দশকে সিনেমার নির্মাণ পদ্ধতি এবং কৌশলে বড় ধরনের উন্নতি ঘটে, এবং ইউরোপ, এশিয়া ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর সিনেমা শিল্পে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়।
১৯৪০ থেকে ১৯৬০ এর মধ্যে, হলিউডের আধিপত্য বৃদ্ধি পেলেও, অন্যান্য দেশের সিনেমা যেমন ফরাসি, ইতালিয়ান এবং ভারতীয় সিনেমা নিজেদের স্বকীয়তা ও শক্তি প্রতিষ্ঠা করে। ফরাসি নিউ ওয়েভ, ইতালির নও-রিয়েলিজম এবং ভারতের বলিউড সিনেমা বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করে, যার ফলে বিদেশী সিনেমার প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায়।
১৯৭০ এর দশক থেকে, প্রযুক্তির অগ্রগতি যেমন সিজিআই (কম্পিউটার জেনারেটেড ইমেজ) এবং হাই-ডেফিনেশন ক্যামেরার ব্যবহার বিদেশী সিনেমায় নতুন মাত্রা যোগ করে। এই সময়কার বিদেশী সিনেমা যেমন "প্রতিপক্ষ" (France), "এনিমে" (Japan), এবং "ব্রাজিলিয়ান সিনেমা" (Brazil) আন্তর্জাতিক দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।
বর্তমানে, স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিদেশী সিনেমা দ্রুত বিশ্বব্যাপী পৌঁছে যাচ্ছে, যেমন "প্যারাসাইট" (South Korea) বা "লাল সিনেমা" (China) যেমন একের পর এক বিশ্ব সিনেমা ইতিহাসে নতুন চিহ্ন রেখে যাচ্ছে।
বিদেশী সিনেমার ক্রমবিকাশে প্রযুক্তি, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য এবং বৈশ্বিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিশ্ব চলচ্চিত্র শিল্প একটি নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে, যা ভবিষ্যতে আরও সমৃদ্ধ হবে।