একবার নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কঠিন অসুখে পড়লেন। একরাতে স্বপ্নে দেখলেন, দুজন ফেরেশতা এসেছেন। একজন বসেছেন তাঁর শিয়রে, আর একজন পায়ের কাছে। দুজনের মধ্যে কথোপকথন শুরু হলো এভাবে- এঁর কী হয়েছে? ইনি অসুস্থ। কি অসুখ? যাদুগ্রস্ততা। কে যাদু করেছে? ইহুদি ‘লাবীদ ইবনে আসাম’। কিভাবে? চামড়ার ফিতায় যাদুমন্ত্র করে পাথর চাপা দিয়ে রেখে দেওয়া হয়েছে অমুক কূপে। যাও সেটিকে বের করে আগুন দিয়ে জ্বলিয়ে দাও।
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ঘুম ভেঙ্গে গেলে। সকালবেলা নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কয়েকজন সাহাবীকে কথিত কূপে পাথরচাপা দিয়ে রাখা যাদুকৃত ফিতাটি উদ্ধার করে আনতে বললেন। দেখাগেল, ফিতাটির মধ্যে একটি সূতা পেঁচানো রয়েছে। সুতাটিতে রয়েছে এসারাটি গিঁট। এ ঘটনার পেক্ষিতে সূরা ফালাক ও সূরা নাস অবতীর্ণ হয়েছে। সূরাদ্বয়ের আয়াত সংখ্যা এগারো। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি করে আয়াত পড়তে লাগলেন। সঙ্গে সঙ্গে খুলে যেতে লাগল একটি করে গিঁট। সূরা দুটি শেষ করার সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত গিঁট খুলে গেল। ওদিকে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সুস্থ হয়ে উঠলেন।
একদিন হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) রাসুল (সাঃ) এর নিকট এসে কাঁদছেন। রাসুল (সাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, হে আবু হোরায়রা তুমি কেন কাঁদছ? আবু হোরায়রা (রাঃ) বললেন আমার মা আমাকে মেরেছেন। রাসুল (সাঃ) বললেন, কেন তুমি কি কোন বেয়াদবী করেছ?
আবু হোরায়রা বললেন, না হুজুর কোন বেয়াদবী করিনি। আপনার দরবার হতে বাড়ি যেতে আমার রাত হয়েছিল বিধায় আমার মা আমাকে দেরির কারণ জিজ্ঞেস করায় আমি আপনার কথা বললাম। আর আপনার কথা শুনে মা রাগে আমাকে মারধর করল আর বলল, হয়ত আমার বাড়ি ছাড়বি আর না হয় মুহাম্মদ (সাঃ) এর দরবার ছাড়বি। আমি বললাম, ও আমার মা তুমি বয়স্ক মানুষ তোমার গায়ে যত শক্তি আছে তত শক্তি দিয়ে আমাকে মারতে থাকো। মারতে মারতে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দাও, তবুও আমি আমার রাসুলকে ছাড়তে পারবো না।
তখন রাসুল (সাঃ) বলেছেন, তোমার মা তোমাকে বের করে দিয়েছেন আর এজন্য আমার কাছে নালিশ করতে এসেছ? আমারত এখানে কিছুই করার নেই।
হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বললেন, হে রাসূল (সাঃ) আমি আমার মায়ের জন্য এখানে নালিশ করতে আসি নাই। রাঢ়ুল (সাঃ) বললেন, তাহলে কেন এসেছ?
আবু হোরায়রা বললেন, আমি জানি আপনি আল্লাহর নবী। আপনি যদি হাত উঠিয়ে আমার মায়ের জন্য দোয়া করতেন, যাতে আমার মাকে যেন আল্লাহ হেদায়েত করেন।
আর তখনই সাথে সাথে রাসুল (সাঃ) হাত উঠিয়ে আল্লাহর দরবারে দোয়া করলেন, হে আল্লাহ! আমি দোয়া করি আপনি আবু হোরায়রার আম্মাকে হেদায়েত করে দিন।
রাসুল (সাঃ) দোয়া করলেন আর আবু হোরায়রা বাড়ির দিকে দৌড়ে যাচ্ছেন। পিছন থেকে কয়েকজন লোক আবু হোরায়রার জামা টেনে ধরল এবং বললো, হে আবু হোরায়রা! তুমি দৌড়াচ্ছ কেন?
তখন আবু হোরায়রা বললেন, ওহে সাহাবীগণ তোমার আমার জামা ছেড়ে দাও। আমাকে দৌড়াতে দাও।
আমি দৌড়াচ্ছি এই কারণে যে, আমি আগে পৌঁছলাম নাকি আমার নবীজির দোয়া আছে পৌঁছে গেছে। হযরত আবু হোরায়রা বাড়িতে পৌগে দরজা ধাক্কাতে লাগলো। ভিতর থেকে তার মা যখন দরজা খুললো তখন আবু হোরায়রা দেখলেন তার মার সাদা চুল বেয়ে বেয়ে পানি পড়ছে। তখন মা তাকে বললেন, হে আবু হোরায়রা! তোমাকে মারার পর আমি বড় অনুতপ্ত হয়েছি, অনুশোচনা করেছি। মনে মনে ভাবলাম আমার ছেলেতো কোন খারাপ জায়গায় যায়নি। কেন তাকে মারলাম? আমি বরং লজ্জায় পড়েছি তোমাকে মেরে। হে আবু হোরায়রা! আমি গোসল করেছি। আমাকে তাড়াতাড়ি রাসুল (সাঃ) এর দরবারে নিয়ে চল।
আর তখনই সাথে সাথে আবু হোরায়রা তার মাকে রাসুল (সাঃ) এর দরবারে নিয়ে গেলেন। আর তার মাকে সেখানেই কালিমা পাঠ করে মসুলমান হয়ে গেলেন। পিতা মাতা জান্নাতের মাঝের দরজা। যদি চাও, দরজাটি নষ্ট করে ফেলতে পারো, নতুবা তা রক্ষা করতে পারো। সুবহান আল্লাএকদিন হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) রাসুল (সাঃ) এর নিকট এসে কাঁদছেন। রাসুল (সাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, হে আবু হোরায়রা তুমি কেন কাঁদছ? আবু হোরায়রা (রাঃ) বললেন আমার মা আমাকে মেরেছেন। রাসুল (সাঃ) বললেন, কেন তুমি কি কোন বেয়াদবী করেছ?
আবু হোরায়রা বললেন, না হুজুর কোন বেয়াদবী করিনি। আপনার দরবার হতে বাড়ি যেতে আমার রাত হয়েছিল বিধায় আমার মা আমাকে দেরির কারণ জিজ্ঞেস করায় আমি আপনার কথা বললাম। আর আপনার কথা শুনে মা রাগে আমাকে মারধর করল আর বলল, হয়ত আমার বাড়ি ছাড়বি আর না হয় মুহাম্মদ (সাঃ) এর দরবার ছাড়বি। আমি বললাম, ও আমার মা তুমি বয়স্ক মানুষ তোমার গায়ে যত শক্তি আছে তত শক্তি দিয়ে আমাকে মারতে থাকো। মারতে মারতে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দাও, তবুও আমি আমার রাসুলকে ছাড়তে পারবো না।
তখন রাসুল (সাঃ) বলেছেন, তোমার মা তোমাকে বের করে দিয়েছেন আর এজন্য আমার কাছে নালিশ করতে এসেছ? আমারত এখানে কিছুই করার নেই।
হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বললেন, হে রাসূল (সাঃ) আমি আমার মায়ের জন্য এখানে নালিশ করতে আসি নাই। রাঢ়ুল (সাঃ) বললেন, তাহলে কেন এসেছ?
আবু হোরায়রা বললেন, আমি জানি আপনি আল্লাহর নবী। আপনি যদি হাত উঠিয়ে আমার মায়ের জন্য দোয়া করতেন, যাতে আমার মাকে যেন আল্লাহ হেদায়েত করেন।
আর তখনই সাথে সাথে রাসুল (সাঃ) হাত উঠিয়ে আল্লাহর দরবারে দোয়া করলেন, হে আল্লাহ! আমি দোয়া করি আপনি আবু হোরায়রার আম্মাকে হেদায়েত করে দিন।
রাসুল (সাঃ) দোয়া করলেন আর আবু হোরায়রা বাড়ির দিকে দৌড়ে যাচ্ছেন। পিছন থেকে কয়েকজন লোক আবু হোরায়রার জামা টেনে ধরল এবং বললো, হে আবু হোরায়রা! তুমি দৌড়াচ্ছ কেন?
তখন আবু হোরায়রা বললেন, ওহে সাহাবীগণ তোমার আমার জামা ছেড়ে দাও। আমাকে দৌড়াতে দাও।
আমি দৌড়াচ্ছি এই কারণে যে, আমি আগে পৌঁছলাম নাকি আমার নবীজির দোয়া আছে পৌঁছে গেছে। হযরত আবু হোরায়রা বাড়িতে পৌগে দরজা ধাক্কাতে লাগলো। ভিতর থেকে তার মা যখন দরজা খুললো তখন আবু হোরায়রা দেখলেন তার মার সাদা চুল বেয়ে বেয়ে পানি পড়ছে। তখন মা তাকে বললেন, হে আবু হোরায়রা! তোমাকে মারার পর আমি বড় অনুতপ্ত হয়েছি, অনুশোচনা করেছি। মনে মনে ভাবলাম আমার ছেলেতো কোন খারাপ জায়গায় যায়নি। কেন তাকে মারলাম? আমি বরং লজ্জায় পড়েছি তোমাকে মেরে। হে আবু হোরায়রা! আমি গোসল করেছি। আমাকে তাড়াতাড়ি রাসুল (সাঃ) এর দরবারে নিয়ে চল।
আর তখনই সাথে সাথে আবু হোরায়রা তার মাকে রাসুল (সাঃ) এর দরবারে নিয়ে গেলেন। আর তার মাকে সেখানেই কালিমা পাঠ করে মসুলমান হয়ে গেলেন। পিতা মাতা জান্নাতের মাঝের দরজা। যদি চাও, দরজাটি নষ্ট করে ফেলতে পারো, নতুবা তা রক্ষা করতে পারো। সুবহান আল্লাসূরা ফালাক ও নাসের এগারোটি আয়াতের তত্ত্বএকবার নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কঠিন অসুখে পড়লেন। একরাতে স্বপ্নে দেখলেন, দুজন ফেরেশতা এসেছেন। একজন বসেছেন তাঁর শিয়রে, আর একজন পায়ের কাছে। দুজনের মধ্যে কথোপকথন শুরু হলো এভাবে- এঁর কী হয়েছে? ইনি অসুস্থ। কি অসুখ? যাদুগ্রস্ততা। কে যাদু করেছে? ইহুদি ‘লাবীদ ইবনে আসাম’। কিভাবে? চামড়ার ফিতায় যাদুমন্ত্র করে পাথর চাপা দিয়ে রেখে দেওয়া হয়েছে অমুক কূপে। যাও সেটিকে বের করে আগুন দিয়ে জ্বলিয়ে দাও।সূরা ফালাক ও নাসের এগারোটি আয়াতের তত্ত্বএকবার নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কঠিন অসুখে পড়লেন। একরাতে স্বপ্নে দেখলেন, দুজন ফেরেশতা এসেছেন। একজন বসেছেন তাঁর শিয়রে, আর একজন পায়ের কাছে। দুজনের মধ্যে কথোপকথন শুরু হলো এভাবে- এঁর কী হয়েছে? ইনি অসুস্থ। কি অসুখ? যাদুগ্রস্ততা। কে যাদু করেছে? ইহুদি ‘লাবীদ ইবনে আসাম’। কিভাবে? চামড়ার ফিতায় যাদুমন্ত্র করে পাথর চাপা দিয়ে রেখে দেওয়া হয়েছে অমুক কূপে। যাও সেটিকে বের করে আগুন দিয়ে জ্বলিয়ে দাও।
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ঘুম ভেঙ্গে গেলে। সকালবেলা নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কয়েকজন সাহাবীকে কথিত কূপে পাথরচাপা দিয়ে রাখা যাদুকৃত ফিতাটি উদ্ধার করে আনতে বললেন। দেখাগেল, ফিতাটির মধ্যে একটি সূতা পেঁচানো রয়েছে। সুতাটিতে রয়েছে এসারাটি গিঁট। এ ঘটনার পেক্ষিতে সূরা ফালাক ও সূরা নাস অবতীর্ণ হয়েছে। সূরাদ্বয়ের আয়াত সংখ্যা এগারো। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি করে আয়াত পড়তে লাগলেন। সঙ্গে সঙ্গে খুলে যেতে লাগল একটি করে গিঁট। সূরা দুটি শেষ করার সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত গিঁট খুলে গেল। ওদিকে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সুস্থ হয়ে উঠলেন।
হ [তিরিমিজি]
হ [তিরিমিজি]