-রিয়া আজকে একটু দেখা করতে পারবা..?
অনেকদিন ধরে আমাদের কোনো দেখা সাক্ষাত হয় না.?(আমি)
--ও স্যরি কাব্য আজকে দেখা করতে পারছি না। অন্যদিন দেখা হবে কেমন.?
আজকে আমার ম্যাথম্যাটিক্স-২ এসাইনম্যান্ট আছে।(রিয়া)
--আচ্ছা ঠিক আছে অন্যদিন নাহয় দেখা করবো। ভালোভাবে এসাইনম্যান্ট করো।(আমি)
--হুম....(রিয়া)
এইটুকু কথা বলেই রিয়া ফোনটা রেখে দিলো। একটাবারও খোঁজ নিল না আমি কেমন আছি?
সে এরকম তো ছিলো না। তাহলে কী আমি তাকে আজও চিনতে পারি নি। আমারি কি ওকে চিনতে কোথাও ভুল হয়েছে। এসব ভাবছিলাম আর টেইলর সুইফ এবং এলি গোল্ডউইং-এর গান শুনছিলাম।
ও আপনাদের তো আমাদের পরিচয় টা দেয়া হলো না । আমি কাব্য আহমেদ(নীল) । বাবা-মায়ের আদরের তিনমাত্র সন্তান মানে তৃতীয় সন্তান। অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র আমি। আর এতোক্ষণ যার কথা বলছিলাম, সে হচ্ছে রিয়া।
রাহিয়া চৌধুরী রিয়া। বাড়ি চট্টগ্রাম আমার আম্মুর বান্ধাবীর মেয়ে। সেই সূত্রে ওর সাথে আমার পরিচয়। পরিচয় থেকে ভালোলাগা। আর ভালোলাগা থেকে
ভালোবাসা।♥
ওর সাথে আমার রিলেশনশিপটা এসএসসির পর
থেকেই। কিন্তু বর্তমানের রিয়া আর অতীতের
রিয়ার সাথে অামি আর মিল খুঁজে পাই না। রিয়া আগে আমার অনেক কেয়ার নিতো, আর অভিমানটাও আহ্লাদী সুরে ভাঙ্গাতো। কিন্তু এখন সে অনেক ব্যস্ত। হয়তো তার লেখাপড়া নিয়ে। তাই হয়তো সময়
দিতে পারছে না। যাইহোক ওর ভালোটা আমিও চাই। তাই সবকিছু মেনে নেই। কিন্তু আমার ছোট ছোট আবদার গুলোও কী পূরণ করতে পারে না। খুব বেশী কিছুতো চাই নি। শুধু আমাকে একটু সময় দিবে। তাও ওর এটুকু সময় হয়ে উঠে না তারপরও আমি রিয়াকে অনেক বেশী ভালোবাসি।♥
মাগরিবের আযানের সুর ভেসে আসলো পাশের মসজিদ থেকে। গানটা বন্ধ করে উঠে আস্তে আস্তে বাসার উদ্দ্যেশে হাঁটতে লাগলাম। আর আনমনে ভাবতে লাগলাম ফেলে আসা দিনগুলো। এসব ভাবতে ভাবতে বাসায় চলে এলাম। এসে ফ্রেশ হয়ে ল্যাপটপ নিয়ে বসলাম। একটা থ্রিডি ডিজাইন করতে হবে। আম্মু এসে চা দিয়ে গেলো। চা খাচ্ছিলাম। হঠাৎ ফোন আসলো একটা নাম্বার থেকে। যার কোড সংখ্যা নয়টা। আমি