হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ) এর টুপি

হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাদি আল্লাহু আনহু) সাইফুল্লাহ (আল্লাহর তলোয়ার) হিসেবে খ্যাত ছিলেন। তিনি যে কোন যুদ্ধে

হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাদি আল্লাহু আনহু) সাইফুল্লাহ (আল্লাহর তলোয়ার) হিসেবে খ্যাত ছিলেন। তিনি যে কোন যুদ্ধে যাবার সময় স্বীয় টুপি নিশ্চয়ই মাথার উপর রাখতেন এবং সব সময় জয়ী হয়ে ফিরতেন। কোন সময় পরাজয়ের মুখ দেখেননি। একবার ইয়ারমুকের যুদ্ধে যখন যুদ্ধের ময়দান উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল, তখন তাঁর টুপিটা কোথায় হারিয়ে গিয়েছিল। তিনি যুদ্ধ করা বাদ দিয়ে টুপি খুঁজতে লাগলেন।

 

এদিকে শত্রুদের পক্ষ থেকে তীর পাথর নিক্ষেপ করা হচ্ছিল। সৈন্যরা মৃত্যু সন্নিকটে মনে করতে লাগলো। এ অবস্থায়ও হযরত খালিদ টুপির খোঁজে মগ্ন রইলেন। সৈন্যরা ওনাকে গিয়ে বললেন, জনাব টুপির চিন্তা বাদ দিন, যুদ্ধ শুরু করুন। হযরত খালিদ ওদের কথার প্রতি ভ্রুক্ষেপ করলেন না। তিনি তাঁর অনুসন্ধান যথারীতি চালিয়ে গেলেন। শেষ পর্যন্ত টুপি পাওয়া গেল। তিনি খুবই আনন্দিত হয়ে সবাইকে তাঁর টুপি প্রাপ্তির কথা জানালেন এবং বললেন, প্রিয় ভাইয়েরা! এ টুপি আমার এত প্রিয় কেন জানেন? আমি আজ পর্যন্ত যত যুদ্ধে জয়ী হয়েছি সব এ টুপির বদৌলতে। আমার কোন বাহাদুরী নেই, সব এ টুপিরই বরকত। এ টুপি না থাকলে আমি কিছু না।

 

আর যদি এ টুপি আমার মাথায় থাকে তাহলে যতবড় শত্রু হোক না কেন আমার সামনে কিছুইনা। সৈন্যরা জানতে চাইলেন, এ টুপিতে এমন কি বৈশিষ্ট্য আছে? তিনি বললেন, দেখুন এখানে হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর চুল মুবারক রয়েছে, যেটাকে আমি এটার সাথে সেলাই করে রেখেছি। একবার হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর ওমরাহ পালন করার সময় আমি সাথে ছিলাম। ওমরার পর যখন তিনি তাঁর পবিত্র মস্তকের চুল মুবারক কাটালেন তখন এ চুল হস্তগত করার জন্য আমরা যারা উপস্থিত ছিলাম সবাই ঝাপিয়ে পড়েছিলাম।

 

ভাগ্যক্রমে আমি কয়েকটি চুল হস্তগত করতে পেরেছিলাম। সেই চুল মুবারকে আমি এ টুপিতে যত্ন সহকারে সেলাই করে রেখেছি। ফলে এ টুপি আমার জন্য সকল বরকত ও জয়ের উসীলা হয়ে গেল। আমি এর বদৌলতে প্রতিটি যুদ্ধের ময়দানে বিজয়ী হই। তাই আপনারাই বলুন, এ টুপি খুঁজের পাওয়া না গেলে কিভাবে আমার স্বস্তি বোধ হতো?

 

সবকঃ

হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সকল বরকত ও অবদানের উসীলা। তাঁর চুল মুবারক বরকত ও রহমতের সহায়ক। সাহাবায়ে কিরাম (রাদি আল্লাহু আনহুম) হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সংশ্লিষ্ট সব কিছুকে তাবারুক হিসেবে নিজেদের কাছে রাখতেন। যার কাছে তাঁর নগন্য চুর মুবারক থাকতো, আল্লাহ তাআলা তাকে সব কাজে কামিয়াব করতেন।

 

তথ্যসূত্র

 হুজ্জাতুল্লাহি আলাল আলামীন ৬৮৬ পৃঃ

 ইসলামের বাস্তব কাহিএকদিন এক ধনী পিতা তার ৮ বছরের সন্তান কে নিয়ে ঘুরতে বের হলেন। বাবা চেয়েছিলেন তার ছেলেকে বোঝাতে যে একজন মানুষ কি পরিমান দরিদ্র হতে পারে। তারা একটি গরিব পরিবারের বাড়ি তে সময় কাটালেন।

 

ওখান থেকে বাড়ি ফিরার সময় বাবা ছেলে কে বললেএকজন টিচার তার ছাত্র- ছাত্রীদের নিয়ে শিক্ষা সফরে গিয়েছিল। তারা যখন ঘুরতে বের হল তখন এমন একটা পরিবার দেখতে পেল যার সদস্যরা একে অপরের সাথে চিৎকার করে ঝগড়া করছিল। শিক্ষক তার ছাত্র- ছাত্রীদের দিকে তাকিয়ে স্মিত হাসলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন...

 

‘‘তোমাদের কি ধারনা? মানুষ যখন রেগে যায় তখন একে অপরের সাথে চিৎকার করে কথা বলে কেন?’’

 

শিক্ষার্থীরা কিছুক্ষন চুপ করে ভাবলো, তারপর একজন উত্তর দিল,'কারন আমরা তখন মনের শান্তি হারিয়ে ফেলি এবং চিৎকার করি।’’

 

শিক্ষক প্রশ্ন করলো,‘‘কিন্তু আমরা চিৎকারই বা করি কেন? যাকে আমরা রাগ দেখাই সে তো আমাদের সামনেই আছে, তাকে যা বলার তাতো আমরা শান্ত ভাবেও বলতে পারি।’’

 

ছাত্রছাত্রীরা অনেকেই উত্তর দিল, কিন্তু তারা কেউই তাদের নিজেদের উত্তরেই সন্তুষ্ট হতে পারলো না। শেষে শিক্ষক তাদের ব্যাখ্যা করলো, ‘‘যখন দুইজন মানুষ একজন আরেক জনের সাথে রাগারাগি করে তখন তাদের হৃদয়ের মধ্যকার দূরত্ব বেড়ে যায়। এই দূরত্বের জন্য তারা চিৎকার করে কথা বলে, যাতে একে অপরের কথা বুঝতে পারে।

 

তারা যত বেশি রেগে যায় এই দূরত্ব তত বেশি বেড়ে যায়, আর তখন তারাও তত বেশি চেঁচামেচি করে ঝগড়া করে।’’ শিক্ষকের সাথে তার ছাত্র ছাত্রীদের সম্পর্ক ছিল খুব খোলামেলা, তাই সে ভালভাবে তাদের ব্যাপারটা বোঝাতে পারছিল।

 

‘‘কি ঘটে যখন দুইজন মানুষ একে অপরকে ভালবাসে? তারা কিন্তু নিজেদের সাথে চিৎকার করে কথা বলে না বরং মোলায়েম স্বরে কথা বলে। কারন তাদের ভালবাসা দুইজনের হৃদয়কে খুব কাছে নিয়ে আসে।''

 

শিক্ষক আবার বললো,‘‘ যখন দুইজন মানষের ভালবাসা আরও গভীর হয় তখন কি হয়? তখন তারা একে অপরের

সাথে চাপাস্বরে কথা বলেও সব কিছু বুঝতে পারে। এবং এক পর্যায়ে নিজেদের দিকে তাকিয়েই তারা সবকিছু বুঝতে পারে।’’

 

সে তার শিক্ষার্থীদের দিকে তাকালো এবং বললো, ‘‘তোমরা যখন একে অপরের সাথে তর্ক করো,ঝগড়া করো তখন এমন কোন শব্দ ব্যবহার কোরো না যা তোমাদের হৃদয়ের মাঝে দূরত্ব বৃ্দ্ধি করে। যদি এভাবে চলতেই থাকে তবে হয়তো এমন একদিন আসবে যখন এ দূরত্ব এত বেশি হয়ে যাবে যে আর কোন শব্দই সেখানে পৌছুবে না, সেখান থেকে ফিরে আসারও হয়তো আরএকদিন এক ধনী পিতা তার ৮ বছরের সন্তান কে নিয়ে ঘুরতে বের হলেন। বাবা চেয়েছিলেন তার ছেলেকে বোঝাতে যে একজন মানুষ কি পরিমান দরিদ্র হতে পারে। তারা একটি গরিব পরিবারের বাড়ি তে সময় কাটালেন।

 

ওখান থেকে বাড়ি ফিরার সময় বাবা ছেলে কে বললেন,

“দেখলে তারা কি গরিব… তাদের কাছ থেকে কি শিখলে??”

 

ছেলে জবাব দিল… "আমাদের ১ টি কুকুর… তাদের ৪ টি। আমদের ১ টি ছোট Swimming Pool আছে …….. তাদের বিশাল নদী। আমাদের রাতে বিভিন্ন ধরনের বাতি আলো দেয়… তাদের রাতে আলো দেয়ার জন্য আছে অসংখ্য তারা। আমরা খাবার কিনি… তারা খাবার বানায়। আমদেরকে Protect করার জন্য আছে ঘরের দেয়াল… তাদের Protect করার জন্য আছে তাদের অসংখ্য বন্ধু ও প্রতিবেশী। আমদের আছে বিভিন্ন Famous লেখকের বই… তাদের আছে Quran ,Bible,Gita …।"

 

ধন্যবাদ, আমরা যে খুবই দরিদ্র তা আমাকে দেখানোএকজন টিচার তার ছাত্র- ছাত্রীদের নিয়ে শিক্ষা সফরে গিয়েছিল। তারা যখন ঘুরতে বের হল তখন এমন একটা পরিবার দেখতে পেল যার সদস্যরা একে অপরের সাথে চিৎকার করে ঝগড়া করছিল। শিক্ষক তার ছাত্র- ছাত্রীদের দিকে তাকিয়ে স্মিত হাসলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন...

 

‘‘তোমাদের কি ধারনা? মানুষ যখন রেগে যায় তখন একে অপরের সাথে চিৎকার করে কথা বলে কেন?’’

 

শিক্ষার্থীরা কিছুক্ষন চুপ করে ভাবলো, তারপর একজন উত্তর দিল,'কারন আমরা তখন মনের শান্তি হারিয়ে ফেলি এবং চিৎকার করি।’’

 

শিক্ষক প্রশ্ন করলো,‘‘কিন্তু আমরা চিৎকারই বা করি কেন? যাকে আমরা রাগ দেখাই সে তো আমাদের সামনেই আছে, তাকে যা বলার তাতো আমরা শান্ত ভাবেও বলতে পারি।’’

 

ছাত্রছাত্রীরা অনেকেই উত্তর দিল, কিন্তু তারা কেউই তাদের নিজেদের উত্তরেই সন্তুষ্ট হতে পারলো না। শেষে শিক্ষক তাদের ব্যাখ্যা করলো, ‘‘যখন দুইজন মানুষ একজন আরেক জনের সাথে রাগারাগি করে তখন তাদের হৃদয়ের মধ্যকার দূরত্ব বেড়ে যায়। এই দূরত্বের জন্য তারা চিৎকার করে কথা বলে, যাতে একে অপরের কথা বুঝতে পারে।

 

তারা যত বেশি রেগে যায় এই দূরত্ব তত বেশি বেড়ে যায়, আর তখন তারাও তত বেশি চেঁচামেচি করে ঝগড়া করে।’’ শিক্ষকের সাথে তার ছাত্র ছাত্রীদের সম্পর্ক ছিল খুব খোলামেলা, তাই সে ভালভাবে তাদের ব্যাপারটা বোঝাতে পারছিল।

 

‘‘কি ঘটে যখন দুইজন মানুষ একে অপরকে ভালবাসে? তারা কিন্তু নিজেদের সাথে চিৎকার করে কথা বলে না বরং মোলায়েম স্বরে কথা বলে। কারন তাদের ভালবাসা দুইজনের হৃদয়কে খুব কাছে নিয়ে আসে।''

 

শিক্ষক আবার বললো,‘‘ যখন দুইজন মানষের ভালবাসা আরও গভীর হয় তখন কি হয়? তখন তারা একে অপরের

সাথে চাপাস্বরে কথা বলেও সব কিছু বুঝতে পারে। এবং এক পর্যায়ে নিজেদের দিকে তাকিয়েই তারা সবকিছু বুঝতে পারে।’’

 

সে তার শিক্ষার্থীদের দিকে তাকালো এবং বললো, ‘‘তোমরা যখন একে অপরের সাথে তর্ক করো,ঝগড়া করো তখন এমন কোন শব্দ ব্যবহার কোরো না যা তোমাদের হৃদয়ের মাঝে দূরত্ব বৃ্দ্ধি করে। যদি এভাবে চলতেই থাকে তবে হয়তো এমন একদিন আসবে যখন এ দূরত্ব এত বেশি হয়ে যাবে যে আর কোন শব্দই সেখানে পৌছুবে না, সেখান থেকে ফিরে আসারও হয়তো আরএকদিন এক ধনী পিতা তার ৮ বছরের সন্তান কে নিয়ে ঘুরতে বের হলেন। বাবা চেয়েছিলেন তার ছেলেকে বোঝাতে যে একজন মানুষ কি পরিমান দরিদ্র হতে পারে। তারা একটি গরিব পরিবারের বাড়ি তে সময় কাটালেন।

 

ওখান থেকে বাড়ি ফিরার সময় বাবা ছেলে কে বললেএকদিন এক ধনী পিতা তার ৮ বছরের সন্তান কে নিয়ে ঘুরতে বের হলেন। বাবা চেয়েছিলেন তার ছেলেকে বোঝাতে যে একজন মানুষ কি পরিমান দরিদ্র হতে পারে। তারা একটি গরিব পরিবারের বাড়ি তে সময় কাটালেন।

 

ওখান থেকে বাড়ি ফিরার সময় বাবা ছেলে কে বললেন,

“দেখলে তারা কি গরিব… তাদের কাছ থেকে কি শিখলে??”

 

ছেলে জবাব দিল… "আমাদের ১ টি কুকুর… তাদের ৪ টি। আমদের ১ টি ছোট Swimming Pool আছে …….. তাদের বিশাল নদী। আমাদের রাতে বিভিন্ন ধরনের বাতি আলো দেয়… তাদের রাতে আলো দেয়ার জন্য আছে অসংখ্য তারা। আমরা খাবার কিনি… তারা খাবার বানায়। আমদেরকে Protect করার জন্য আছে ঘরের দেয়াল… তাদের Protect করার জন্য আছে তাদের অসংখ্য বন্ধু ও প্রতিবেশী। আমদের আছে বিভিন্ন Famous লেখকের বই… তাদের আছে Quran ,Bible,Gita …।"

 

ধন্যবাদ, আমরা যে খুবই দরিদ্র তা আমাকে দেখানোএকজন টিচার তার ছাত্র- ছাত্রীদের নিয়ে শিক্ষা সফরে গিয়েছিল। তারা যখন ঘুরতে বের হল তখন এমন একটা পরিবার দেখতে পেল যার সদস্যরা একে অপরের সাথে চিৎকার করে ঝগড়া করছিল। শিক্ষক তার ছাত্র- ছাত্রীদের দিকে তাকিয়ে স্মিত হাসলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন...

 

‘‘তোমাদের কি ধারনা? মানুষ যখন রেগে যায় তখন একে অপরের সাথে চিৎকার করে কথা বলে কেন?’’

 

শিক্ষার্থীরা কিছুক্ষন চুপ করে ভাবলো, তারপর একজন উত্তর দিল,'কারন আমরা তখন মনের শান্তি হারিয়ে ফেলি এবং চিৎকার করি।’’

 

শিক্ষক প্রশ্ন করলো,‘‘কিন্তু আমরা চিৎকারই বা করি কেন? যাকে আমরা রাগ দেখাই সে তো আমাদের সামনেই আছে, তাকে যা বলার তাতো আমরা শান্ত ভাবেও বলতে পারি।’’

 

ছাত্রছাত্রীরা অনেকেই উত্তর দিল, কিন্তু তারা কেউই তাদের নিজেদের উত্তরেই সন্তুষ্ট হতে পারলো না। শেষে শিক্ষক তাদের ব্যাখ্যা করলো, ‘‘যখন দুইজন মানুষ একজন আরেক জনের সাথে রাগারাগি করে তখন তাদের হৃদয়ের মধ্যকার দূরত্ব বেড়ে যায়। এই দূরত্বের জন্য তারা চিৎকার করে কথা বলে, যাতে একে অপরের কথা বুঝতে পারে।

 

তারা যত বেশি রেগে যায় এই দূরত্ব তত বেশি বেড়ে যায়, আর তখন তারাও তত বেশি চেঁচামেচি করে ঝগড়া করে।’’ শিক্ষকের সাথে তার ছাত্র ছাত্রীদের সম্পর্ক ছিল খুব খোলামেলা, তাই সে ভালভাবে তাদের ব্যাপারটা বোঝাতে পারছিল।

 

‘‘কি ঘটে যখন দুইজন মানুষ একে অপরকে ভালবাসে? তারা কিন্তু নিজেদের সাথে চিৎকার করে কথা বলে না বরং মোলায়েম স্বরে কথা বলে। কারন তাদের ভালবাসা দুইজনের হৃদয়কে খুব কাছে নিয়ে আসে।''

 

শিক্ষক আবার বললো,‘‘ যখন দুইজন মানষের ভালবাসা আরও গভীর হয় তখন কি হয়? তখন তারা একে অপরের

সাথে চাপাস্বরে কথা বলেও সব কিছু বুঝতে পারে। এবং এক পর্যায়ে নিজেদের দিকে তাকিয়েই তারা সবকিছু বুঝতে পারে।’’

 

সে তার শিক্ষার্থীদের দিকে তাকালো এবং বললো, ‘‘তোমরা যখন একে অপরের সাথে তর্ক করো,ঝগড়া করো তখন এমন কোন শব্দ ব্যবহার কোরো না যা তোমাদের হৃদয়ের মাঝে দূরত্ব বৃ্দ্ধি করে। যদি এভাবে চলতেই থাকে তবে হয়তো এমন একদিন আসবে যখন এ দূরত্ব এত বেশি হয়ে যাবে যে আর কোন শব্দই সেখানে পৌছুবে না, সেখান থেকে ফিরে আসারও হয়তো আরএকদিন এক ধনী পিতা তার ৮ বছরের সন্তান কে নিয়ে ঘুরতে বের হলেন। বাবা চেয়েছিলেন তার ছেলেকে বোঝাতে যে একজন মানুষ কি পরিমান দরিদ্র হতে পারে। তারা একটি গরিব পরিবারের বাড়ি তে সময় কাটালেন।

 

ওখান থেকে বাড়ি ফিরার সময় বাবা ছেলে কে বললেএকদিন এক ধনী পিতা তার ৮ বছরের সন্তান কে নিয়ে ঘুরতে বের হলেন। বাবা চেয়েছিলেন তার ছেলেকে বোঝাতে যে একজন মানুষ কি পরিমান দরিদ্র হতে পারে। তারা একটি গরিব পরিবারের বাড়ি তে সময় কাটালেন।

 

ওখান থেকে বাড়ি ফিরার সময় বাবা ছেলে কে বললেন,

“দেখলে তারা কি গরিব… তাদের কাছ থেকে কি শিখলে??”

 

ছেলে জবাব দিল… "আমাদের ১ টি কুকুর… তাদের ৪ টি। আমদের ১ টি ছোট Swimming Pool আছে …….. তাদের বিশাল নদী। আমাদের রাতে বিভিন্ন ধরনের বাতি আলো দেয়… তাদের রাতে আলো দেয়ার জন্য আছে অসংখ্য তারা। আমরা খাবার কিনি… তারা খাবার বানায়। আমদেরকে Protect করার জন্য আছে ঘরের দেয়াল… তাদের Protect করার জন্য আছে তাদের অসংখ্য বন্ধু ও প্রতিবেশী। আমদের আছে বিভিন্ন Famous লেখকের বই… তাদের আছে Quran ,Bible,Gita …।"

 

ধন্যবাদ, আমরা যে খুবই দরিদ্র তা আমাকে দেখানোএকজন টিচার তার ছাত্র- ছাত্রীদের নিয়ে শিক্ষা সফরে গিয়েছিল। তারা যখন ঘুরতে বের হল তখন এমন একটা পরিবার দেখতে পেল যার সদস্যরা একে অপরের সাথে চিৎকার করে ঝগড়া করছিল। শিক্ষক তার ছাত্র- ছাত্রীদের দিকে তাকিয়ে স্মিত হাসলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন...

 

‘‘তোমাদের কি ধারনা? মানুষ যখন রেগে যায় তখন একে অপরের সাথে চিৎকার করে কথা বলে কেন?’’

 

শিক্ষার্থীরা কিছুক্ষন চুপ করে ভাবলো, তারপর একজন উত্তর দিল,'কারন আমরা তখন মনের শান্তি হারিয়ে ফেলি এবং চিৎকার করি।’’

 

শিক্ষক প্রশ্ন করলো,‘‘কিন্তু আমরা চিৎকারই বা করি কেন? যাকে আমরা রাগ দেখাই সে তো আমাদের সামনেই আছে, তাকে যা বলার তাতো আমরা শান্ত ভাবেও বলতে পারি।’’

 

ছাত্রছাত্রীরা অনেকেই উত্তর দিল, কিন্তু তারা কেউই তাদের নিজেদের উত্তরেই সন্তুষ্ট হতে পারলো না। শেষে শিক্ষক তাদের ব্যাখ্যা করলো, ‘‘যখন দুইজন মানুষ একজন আরেক জনের সাথে রাগারাগি করে তখন তাদের হৃদয়ের মধ্যকার দূরত্ব বেড়ে যায়। এই দূরত্বের জন্য তারা চিৎকার করে কথা বলে, যাতে একে অপরের কথা বুঝতে পারে।

 

তারা যত বেশি রেগে যায় এই দূরত্ব তত বেশি বেড়ে যায়, আর তখন তারাও তত বেশি চেঁচামেচি করে ঝগড়া করে।’’ শিক্ষকের সাথে তার ছাত্র ছাত্রীদের সম্পর্ক ছিল খুব খোলামেলা, তাই সে ভালভাবে তাদের ব্যাপারটা বোঝাতে পারছিল।

 

‘‘কি ঘটে যখন দুইজন মানুষ একে অপরকে ভালবাসে? তারা কিন্তু নিজেদের সাথে চিৎকার করে কথা বলে না বরং মোলায়েম স্বরে কথা বলে। কারন তাদের ভালবাসা দুইজনের হৃদয়কে খুব কাছে নিয়ে আসে।''

 

শিক্ষক আবার বললো,‘‘ যখন দুইজন মানষের ভালবাসা আরও গভীর হয় তখন কি হয়? তখন তারা একে অপরের

সাথে চাপাস্বরে কথা বলেও সব কিছু বুঝতে পারে। এবং এক পর্যায়ে নিজেদের দিকে তাকিয়েই তারা সবকিছু বুঝতে পারে।’’

 

সে তার শিক্ষার্থীদের দিকে তাকালো এবং বললো, ‘‘তোমরা যখন একে অপরের সাথে তর্ক করো,ঝগড়া করো তখন এমন কোন শব্দ ব্যবহার কোরো না যা তোমাদের হৃদয়ের মাঝে দূরত্ব বৃ্দ্ধি করে। যদি এভাবে চলতেই থাকে তবে হয়তো এমন একদিন আসবে যখন এ দূরত্ব এত বেশি হয়ে যাবে যে আর কোন শব্দই সেখানে পৌছুবে না, সেখান থেকে ফিরে আসারও হয়তো আরএকদিন এক ধনী পিতা তার ৮ বছরের সন্তান কে নিয়ে ঘুরতে বের হলেন। বাবা চেয়েছিলেন তার ছেলেকে বোঝাতে যে একজন মানুষ কি পরিমান দরিদ্র হতে পারে। তারা একটি গরিব পরিবারের বাড়ি তে সময় কাটালেন।

 

ওখান থেকে বাড়ি ফিরার সময় বাবা ছেলে কে বললেন, কোন পথ থাকবে না।র জন্যন, কোন পথ থাকবে না।র জন্যন, কোন পথ থাকবে না।র জন্য কোন পথ থাকবে না।ন,নী - ১ম খন্ড


bablu islam

76 Blog posts

Comments