তিনজন লোক হুসাইন বিন আলী (রা:) এর নিকট আসল ।
প্রথমজন অনাবৃষ্টির অভিযোগ করে বলল অনেকদিন বৃষ্টি হচ্ছে না । একথা শুনে হুসাইন বিন আলী (রা;) বললেন বেশী করে তওবা কর ।
দ্বিতীয়জন অভিযোগ করল আমার কোনো সন্তান নেই, আমি সন্তান পেতে আগ্রহী । একথা শুনে হুসাইন বিন আলী (রা;) বললেন বেশী করে তওবা কর ।
৩য়জন ব্যক্তি অভিযোগ করল এলাকায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে , ফসল উৎপন্ন হচ্ছে না । তখনও হুসাইন বিন আলী (রা;) বললেন বেশী করে তওবা কর ।
তার সামনে যারা বসা ছিল তারা বলল হে রসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম ) এর নাতি, তিনজন ৩ ধরনের অভিযোগ করল আর আপনি একই উত্তর দিলেন
তিনি একথা শুনে বললেন তোমরা কি আল্লাহ সুবহানাহু তাআলার এই বানী পড় নাই ?
স্বীয় প্রভুর নিকট তাওবা কর , নি:সন্দেহে তিনি তাওবা কবুলকারী , তিনি তোমাদের জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাত করবেন , তিনি তোমাদেরকে সমৃদ্ধ করবেন ধন-সম্পদ ও সন্তান সন্তুতিতে এবং তোমাদের জন্য স্হাপন করবেন উদ্যান ও প্রবাহিএক বিদুইন তার কাপড়ের আস্তিত্বের ভিতরে কিছু লুকিয়ে হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর খেদমতে হাজির হলো এবং বললো, হে মুহাম্মদ! যদি তুমি বলতে পার যে আমার আস্তিনের ভিতর কি আছে, তাহলে আমি স্বীকার করবো যে তুমি সত্যিকার নবী। হুযুর ফরমালেন, সত্যিই তুমি ঈমান আনবে? সে বললো, হ্যাঁ, ঠিক! আমি ঈমান আনবো।
হুযুর ফরমালেন, তহলে শুন, তুমি এক জংগল দিয়ে যাচ্ছিলে, পথের ধারে এক গাছ দেখলে, যেখানে কবুতরের বাসা ছিল। সেই বাসায় কবুতরের দুটি বাচ্চা ছিল। তুমি বাচ্চা দুটি ধরে যখন নিয়ে আসতে ছিলে, তখন স্ত্রী কবুতরটি তা দেখে তোমার উপর ঝাপিয়ে পড়ছিল তখন তুমি সেটাকেও ধরে ফেলেছ।
এ মূহুর্তে সেই স্ত্রী কবুতর ও বাচ্চাদ্বয় তোমার কাছে তোমার কাপড়ের আস্তিনের ভিতর লুকায়িত আছে। বেদুইন একথা শুনে বিস্মিত হয়ে গেল এবং সঙ্গে সঙ্গে ঘোষনা করলো, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নাই, আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি নিশ্চয় আপনি আল্লাহ রসূল ।
সবকঃ
আমাদের হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর কাছে কিছু গোপন ছিল না। একজন অজ্ঞ বেদুইন এটা জানতো যে, যিনি নবী তিনি অদৃশ্য জ্ঞানের অধিকারী হন। কিন্তু জ্ঞানী গুনীর দাবীদার হয়ে যে নবীর জ্ঞানতে অস্বীকার করে, ওর থেকে বড় মূর্খ ও কান্ডজ্ঞানহীন আর কেউ হতে পারে না।
তথ্যসূত্র
জামেউল মুজিজাত ২১ পৃঃ
ইসলামের বাস্তব কাহিনীতিনজন লোক হুসাইন বিন আলী (রা:) এর নিকট আসল ।
প্রথমজন অনাবৃষ্টির অভিযোগ করে বলল অনেকদিন বৃষ্টি হচ্ছে না । একথা শুনে হুসাইন বিন আলী (রা;) বললেন বেশী করে তওবা কর ।
- ১ম খন্ডত নদী-নালা