ভুতুড়ে অঞ্চল থেকে পর্যটকদের গন্তব্য হয়ে ওঠা ইতালির যে গ্রাম নিয়ে বিরোধ

ক্যাথেরিন বেনেট
Role,বিবিসি নিউজ
৭ জুলাই ২০২৪
ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল ইতালিতে অবস্থিত লিগুরিয়ার পাহ?

ক্রমে পর্যটকদের কাছে একটা জনপ্রিয় গন্তব্য হয়ে ওঠে বুসানা ভেকিয়া। সেই গ্রামেরই বাসিন্দারা এখন উচ্ছেদের আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন। সেই গ্রামে গিয়েছিলেন বিবিসির সংবাদদাতা।

আমি দাঁড়িয়ে আছি ইতালির মধ্যযুগীয় গ্রাম বুসানা ভেকিয়ার এক পুতুল নির্মাতার বাড়ির বাইরে। বৃষ্টি পড়ছে, সরু রাস্তা একেবারে নিস্তব্ধ। আমার সামনের যে কাচের দরজা রয়েছে সেখান থেকে ভেসে আসা হলুদ আলোয় ঝলমল করছে রাস্তার পাথরগুলো।

দরজাটা খুলতেই আমায় দেখে "ভেতরে আসুন! ভেতরে আসুন!" বলে উঠলেন নিনা ফ্র্যাঙ্কো।

পরনে তিনি নীল রঙের একটা পোশাক, যা কাজের সময় পরা হয়ে থাকে। পোশাকে বিভিন্ন রঙের দাগ, স্কার্ফ দিয়ে বাঁধা তার চুল। ঘরের ভিতরের এই অংশ, যা তার ওয়ার্কশপকে দ্বিগুণ করে তোলে, ঠাঁসা রয়েছে হরেক রকমের হাতে বানানো পুতুলে।

কাঠের ক্রেটগুলো থেকে যেন বেরিয়ে এসে ঘরের ছাদের সঙ্গে জুড়ে থাকা জাল থেকে ঝুলছে এক জাতীয় বিশেষ কাপড় দিয়ে বানানো পুতুল আর বার্নিশ করা কাঠের ম্যারিওনেট। এগুলো ভিড় করে রয়েছে ক্ষুদ্র থিয়েটার এবং কমিদিয়া দেল'আর্তের চরিত্রগুলোর ঠিক পাশে।

নিনা ফ্র্যাঙ্কোর পাশ দিয়ে উঁকি মেরে দেখতে পেলাম বাড়ির পিছনের অংশে এখনও কাজ চলছে। রান্নাঘরের মেঝেতে স্তূপ রয়েছে পাথর।

নির্মীয়মাণ অংশে আমার নজর গিয়েছে লক্ষ্য করে তিনি হাসতে হাসতে বলেন, "আমি এখনও নির্মাণের কাজ করে চলেছি। এই গ্রামের সবাইকেই কোনও না কোনও সময় নিজের বাড়ি তৈরি করতে হয়েছে।"

নিনা ফ্র্যাঙ্কো বুসানা ভেকিয়ার নতুন বাসিন্দাদের মধ্যে একজন একজন। আর্জেন্টিনায় ২০ বছর কাটানোর পরে ২০২২ সালে এখানে এসেছিলেন তিনি। যোগ দিয়েছিলেন গ্রামে বসবাসকারী আন্তর্জাতিক শিল্পীদের সারগ্রাহী সম্প্রদায়ে।

"এটা সত্যিই বাবেল টাওয়ার। চোখ বন্ধ করলে আপনি শুনতে পাবেন ফরাসি, জার্মান, রুশ, স্প্যানিশ এবং তাও এখানকার মানুষদের কাছ থেকে," চা খেতে খেতে তিনি আমাকে বললেন।

নিনা ফ্র্যাঙ্কোর ঘরের মেঝেতে পাতা একটা গালিচায় বসে চা খাচ্ছিলাম। আমাকে গ্রামের ইতিহাস সম্পর্কে বলছিলেন তিনি।


hla thue mong marma

23 Blog posts

Comments