জীবনে যা কিছুই করো না কেনো, নিজেকে খুশি রাখার কারন অন্য কারো মাঝে খোঁজার চেষ্টা করো না। কখনো কারো উপর এত এক্ট্রিম লেভেলের নির্ভরশীল হবে না যাতে তোমার এক্সপেকটেশন পূরণ না হলে মন ছোট হয়।
তোমার মন খারাপ তুমি গান শুনো, নিজেকে এক কাপ গরম কফি বানিয়ে দাও, বিকেল বেলা মিষ্টি রোদে আপনমনে নিজের সাথে কথা বলো, পছন্দের লেখকের বই পড়ো। নিজের কোন বিশেষ ক্রিয়েটিভিটি থাকলে সেটা নিয়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখো। খুব বেশি মন খারাপ হলে রুম অন্ধকার করে চুপচাপ বসে থাকো। যার যার ধর্ম অনুসারে প্রার্থনা করো।
পুরানো কোন স্মৃতি মনে করো, হাসো, কাঁদো যাই করো নিজের সাথে নিজের এমন একটা সুন্দরম্পর্ক তৈরি করো যাতে নিজের মন খারাপের দিনগুলোতে একটা কাঁধের প্রয়োজন না হয়।
নিজের সাথে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হও। তবে অন্য কারো চোখে নিজের পারফেকশন খোঁজার চেষ্টা করো না।
অন্যের চোখ তোমার ত্রুটিগুলোর মাঝে যখন তোমার গুণগুলো খুঁজে পাবে না তুমি কষ্ট পাবে । সবাইকে খুশি রাখাও তোমার দায়িত্ব না, দুনিয়ার কারো পক্ষেই সবাইকে খুশি করা সম্ভব না। যেখানে পারবে না, "না" বলাও শিখতে হবে।
আমার বাবা-মা আমাকে এপ্রিসিয়েট করে না, আমার বন্ধু আমাকে সময় দেয় না, আমার কাছের প্রিয়জন আমার সাথে ঠিকমত কথা বলে না, আমার জন্য সময় নেই এসব উপদ্রবের সৃষ্টি করবে না। আমাদের ভাষায় যেটা এটেনশন অন্যের জন্য এই চাওয়াগুলো অযথা টেনশন মাত্র। কেন নিজেকে অন্যের বিরক্তির কারণ বানাবেন?
একটা সুন্দর ব্যক্তিত্ব থাকার জন্য খুব কঠিন হওয়ার দরকার নেই শুধু নিজেকে অতটুকু ভালবাসলেই হবে যাতে অন্যের চোখে নিজের জন্য ভালবাসা খোঁজার প্রয়োজন না হয়।
বর্তমান এই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে মানুষের মন প্লাস্টিকের মতোই, কখন জানি রূপ বদলায় কারণে বদলায়, অকারণে বদলায়। তাই মনে হয় নিজের মধ্যে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখা তুলনামূলক ভাল।